রাজাকারের জানাযা!!!!
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৬ অক্টোবর, ২০১৪, ০৯:৩৫:৪৫ রাত
‘শুক্রবার বায়তুল মোকাররমে এক কু-খ্যাত রাজাকারের জানাযা হয়েছে ।তিনি শুধু রাজাকারই ছিলেন না ১৯৭১ সালে সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধের ঘোর বিরোধীতার পাশাপাশি খুন,ধর্ষণ,লুটতরাজ জাতীয় ঘৃণিত কাজের নেতৃ্র্ত্বেও ছিলেন ।তাঁর সহযোগিতায় গঠিত হয়েছিল আল-বদর,আল-শামস বাহিনী ।
উপরোক্ত কথাগুলো আমি আমার বুঝ হবার পর থেকেই শুনে আসছি ।কিন্তু,অধ্যাপক গোলাম আযমের মৃত্যুতে যত না বেশি ব্যথিত হয়েছি ,তাঁর থেকে বেশি হতবাক হয়েছি।একজন রাজাকারের জানাযায় জনতার স্রোত প্রকাশ করেছে, মূলত তিনি কি ছিলেন ।যে মানুষটির বিরুদ্ধে স্বাধীনতার ৪২টি বছর রাম-বামদের কলম সদা সোচ্চার থাকা সত্ত্বে ও মানুষের জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমে নি,সে যে আসলেই একজন ভালো মনের মানুষ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যেসব কারণে অধ্যাপক গোলাম আযম সহ অন্যান্য যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন তা ২০১৩ সালে এসে মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ।
মানুষ দেখেছে শাহবাগী নাস্তিকদের বেহায়াপনা, ধর্ম অবমাননা যার ধারা শেষ পর্যন্ত আওয়ামি লতিফের মধ্যে ও দেখা গিয়েছে।স্বাধীনতার ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করেছিল যাতে বাংলাদেশে তাঁদের দখলদারিত্ব রাখতে পারে এবং বাংলাদেশ একটি ধর্মহীণ রা্ষ্ট্রে পরিণত হয় ।
তাছাড়া ,অধ্যাপক গোলাম আযম কেন পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেছিলেন তা ২০১৩ সালে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে নয়া দিগন্তে দেয়া সাক্ষাৎকারে স্পষ্ট তিনি করেছেন ।যার মূল বিষয় ছিল –বাংলাদেশে ভারতের আধিপত্য বিস্তার ।বাস্তবে কিন্তু,তাঁর ব্যতিক্রম কিছুই ঘটে নি ।মানুষ ভারতের কাছে প্রতিনিয়ত হেনস্তা হচ্ছে ।যার প্রমাণ শুধুমাত্র সীমান্ত হত্যার দিকে তাকালেই যথেষ্ট বলে মনে করি ।ভারত আজ বাংলাদেশকে নিয়ে খেলছে যেটা তখনই এই বিজ্ঞ লোকগুলো অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, যার প্রেক্ষিতেই তাঁরা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা নামক তথাকথিত পরাধীনতাকে উপেক্ষা করেছিল ।তাঁদের মধ্যে জাফরদের মত লোক দেখানো চেতনা না থাকলেও দেশ প্রেমে কোন ঘাটতি ছিল না।কিন্তু,বাংলাদেশ ব্যর্থ হয়েছে ,বাংলাদেশের অমূল্য রতনদের চিনতে পারে নি । এইসব বুদ্ধিজীবিরা বারবার আসে না,বাংলাদেশ তাঁদেরকে কাজে লাগাতে পারে নি ।
যারা আজ তাঁদের সম্পর্কে কটূক্তি করছে তাঁদের জন্য বলা – আপনারা জানেন না কটূক্তি কাকে বলে , জেনে থাকলে ব্যবহার করার যোগ্যতা হয় নি ।কথাটা রূঢ় মনে হলে ও আপাতত এর থেকে ভালো কিছু মনে আসছে না ।আমাকে জামাত-শিবির খেতাব দিতে পারেন ,কিন্তু এটাই বাস্তব ।যার ভালো গুণ আছে তাঁকে তা বলাটা দোষের কিছু আছে বলে মনে করছি না ।কারো সমালোচনা করার আগে নিজের থলিতে তাকান !!!
অধ্যাপক গোলাম আযম ছিলেন ধর্মভীরু ।তিনি ইসলামি দল প্রতিষ্ঠার জন্য ৯১ বছর বয়সে জালিমী কারাগারে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ।আল্লাহ তাঁকে উত্তম মর্যাদা দাণ করুণ ।তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুণ ।
বিষয়: রাজনীতি
১০১২ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সাথে কাজির লেইনের অফিস সাক্ষাৎ হয়েছে।
এবং উনার কোরান তাফসীর শুনেছি। হৃদ্বয়
ছুয়ে যায়। সারা জীবন দ্বীন কায়েমের জন্য
কাজ করে গেছেন। রেখে গেছেন দ্বীনি আনন্দোলনের কাফেলা। একদিন ওনার রেখে যাওয়া কাফেলা। বিজয়ের পতাকা তুলবে।ইনশা আল্লাহ
হাজার মিথ্যাও কখনই সত্যকে ঢাকতে পারেনা।
আল্লাহ তাঁকে উত্তম মর্যাদা দাণ করুণ ।তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুণ । আমীন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন