রমজানের বিষয়ভিক্তিক আলোচনাঃসূরা আল মূলক,আয়াতঃ১-১২।
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ১৬ জুলাই, ২০১৪, ০৬:১৩:৩০ সন্ধ্যা
সূরা মূলক এমন একটি সূরা যে সূরার শুরুতে মহান রাব্বুল আল আমিন তাঁর ক্ষমতা এবং সৃষ্টির সৌন্দর্য সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন ।
_______________________________________
বিষয়টা এমন নয় যে –তিনি কোন বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান আবার ক্ষমতাহীন অর্থাৎ তিনি সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী ।তিনি জীবন এবং মৃত্যুকে সৃষ্টি করেছেন আমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল আমলকারী তা পরীক্ষা করার জন্য ।মহান রাব্বুল আল আমিনের কর্ম এমনই নিঁখুত –যার মধ্যে কোন বক্রতা খুঁজে পাওয়া যাবে না ।তিনি তাঁর নিঁখুত কুদরতি হাত দিয়ে সুনিপুণভাবে সাতটি আসমানকে স্তরে স্তরে সাঁজিয়েছেন ।
আমাদের সায়েন্টিস্ট, যারা আসমানকে খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সন্দিহান তাঁদেরকে বলব বিজ্ঞান এখন ও সে পর্যন্ত পৌঁছায় নি ।যেখানে পৃথিবীর সব থেকে কাছের নক্ষত্রে মানুষকে আলোর গতিতে পৌঁছতেও ৫০ হাজার আলোকবর্ষ সময় লাগবে সেখানে তাঁরা ৭ টি আসমান খুঁজে পাবে কি করে!!!
বিষয়গুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে –বারবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখে মানুষের দৃষ্টি ক্লান্ত ও ব্যর্থ হয়ে যাবে কিন্তু কোন ত্রুটি খুঁজে পাবে না ।
মহান রাব্বুল আল আমিন এই আসমানকে অসংখ্য তারকারাজির মাধ্যমে সু-সজ্জিত করেছেন ।
আমরা যদি কখনও রাতের আঁধারে আসমানকে দেখি তাহলে প্রভুর সৃষ্টির সৌন্দর্যতা উপলব্ধি করতে পারব ।আল্লাহ্র সৃ্ষ্টির এত সৌন্দর্যতা দেখেও যারা তাঁকে অস্বীকার করবে তাঁদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের শাস্তি ।আর এ জাহান্নাম আত্যন্ত খারাপ জায়গা যেখানে তাঁদেরকেই নিক্ষেপ করা হবে ।যখন তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে তোমাদের কাছে কি কোন সতর্ককারী আসে নি?তখন তাঁরা বলবে হ্যাঁ এসেছে ।কিন্তু,তাঁদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছি এবং বলেছি তোমরাই বড় ভূলের মধ্যে আছ ।অতঃপর জাহান্নামবাসীরা আফসোস করে বলবে আহ! আমরা যদি বুদ্ধি এবং বিবেক দিয়ে তাঁদেরকে বুজতাম তাহলে আজ আমাদের এ পরিণতি হত না ।এভাবেই জাহান্নামবাসীরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করবে ।
অপরদিকে মহান প্রভুর সৃষ্টির সৌ্ন্দর্যে এবং স্রষ্টাকে না দেখে যারা আল্লাহকে ভয় করবে ; তাঁরা নিশ্চয়ই লাভ করবে জান্নাতের মত বড় নেয়ামত ।
আমাকে উপরোক্ত আলোচনায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন আমার স্বামী মাওলানা মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৩ বার পঠিত, ৩৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আররাহমান)
আপনাকে এবং দুলাভাইকে অনেক শুক্রিয়ে সুন্দর আলোচনার জন্য।
অনেক মানুষ আল্লাহ্'র যথাযোগ্য মর্যাদা বুঝতে ভুলে করে। "তারা আল্লাহর যথাযোগ্য মর্যাদা বোঝেনি। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিধর, মহাপরাক্রমশীল।" (আল-কুরআন,২২:৭৪)
এ সুরার ব্যাপারেই রাসুল (সঃ) এর মনের ইচ্ছা ছিল, কতই না ভালো হতো যদি আমার সকল উম্মতের দিলে সুরা মুলক থাকত।
মাত্র ৩০টি আয়াত। চলুন না, আমরা চেষ্টা করি। ১ দিনে না হোক ৩০ দিনে ৩০ আয়াত মুখস্ত করে নিই। ইহকাল এবং পরকালের বড় একটা পাথেয় তৈরি করি।
খুবই সুন্দর আলোচনা। আপনাকে এবং ভাইয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনাদের উভয়ের জন্য রইলো দুআ ও শুভকামনা।
ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন