মানবতা,মানবাধিকার,ইহুদি বর্বরতা !
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ১৩ জুলাই, ২০১৪, ০৫:২৫:২৩ বিকাল
মানবতা চারটি অক্ষরের সমন্বয়ে গঠিত একটি শব্দ ।এর সাথে অধিকার শব্দযোগে হয়েছে মানবাধিকারর যার শাব্দিক অর্থ দাঁড়ায় মানুষের অধিকার ।শব্দটির বাহ্যিক অর্থ ঠিক থাকলেও বাস্তবতা সম্পূর্ণই ভিন্ন ।
কিছুদিন পূর্বে কোরআনের তালিম করতে গিয়ে সভানেত্রি সহ ছাত্রী সংস্থার ২৪ জন গ্রেফতার হন ।গ্রেফতারের সময় তাঁদের বিরুদ্ধে কোন সু-নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ না দেখানো সত্ত্বেও মানবাধিকার লজ্ঞিত হয় নি ।পরবর্তীতে দেখানো হয় তাঁরা নাশকতা সৃষ্টিতে একত্রিত হয়েছিল ।
নাশকতা কি !
আজও জানলাম না ।তাঁদের কাছে নাশকতা সৃষ্টিতে যে সরঞ্জামাদি পাওয়া গিয়েছিল তা হল ইসলামের জ্ঞানকে বৃদ্ধি করার একমাত্র নিয়ামক পবিত্র কোরআন শরীফ,বিভিন্ন ইসলামিক জ্ঞানসমৃদ্ধ বই যার কোথা ও লেখা নেই নাশকতা কিভাবে সৃষ্টি করা যায়।তখন আমাদের দেশের মানাধিকার কর্মিরা নিরব দর্শকের ভূমিকায় ছিলেন ।অথচ,সুলতানা কামালরা পতিতালয় রক্ষায় সদা সোচ্চার ।১৬ বছরের নিরাপরাধ কিশোরী গ্রেফতারেও তাঁদের মানবতা বোধ জাগ্রত হয় না ।বাবা-মার খুনি ১৮ বছরের ঐশীকে তাঁরা কিশোরী প্রমাণে তাঁরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়েছে ।
গত কয়েক দিন যাবত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ ইহুদীবাদ ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনির কোমলমতি নিষ্পাপ শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করার ছবি দেখে বাকরুদ্ধ হয়েছে।
মূলত,মানাধিকার বলতে কোন কথা নেই ।ওটা মনগড়া কোন গতানুগতিক কথামাত্র ।ছবির ভয়ংকর সব দৃশ্য দেখলে মনে হয় হলিউডের হরর মুভি ।অথচ,এগুলো কোন মুভি নয় ; ফিলিস্তিনিতে বর্তমানে ঘটা প্রতিদিনকার বাস্তব চিত্র ।
যেখানে ফিলিস্তিনিতে শিশুদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় সেখানে ইসরায়েলের কারো কান্নার আওয়াজ খুব বেশি জোড়াল মনে হয় যেক্ষেত্রে মিডিয়া সর্বাধিক ভূমিকা রেখে চলছে ।মিডিয়ার গতিবিধিতে মণে হচ্ছে এই বর্বরতা,নির্যাতন –নিপীড়ণ ফিলিস্তিনি মুসলমানদের প্রাপ্তি ছিল ।
ভাবুনতো ভিনদেশী কোন হানাদার আপনাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে আর আপনার ৩বছরের বাচ্চা পিছন থেকে জামা ধরে টানছে!!!
বিষয়টা কতটা হৃদয়বিদারক হতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এটা এখন ফিলিস্তিনে প্রতিনিয়ত ঘটছে-
মায়ের সামনে থেকে সন্তানকে ;
স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামীকে,
.......................।
ছবিটি দেখে আমি আমার চোখের পানি ধরে রাখতে পারি নি।
ফিলিস্তিনের এক মা খুশিতে খাবার বিতরণ করছেন।
অনুসন্ধান করে জানা যায় -যুদ্ধে ২ পুত্রসহ স্বামী অনেক আগেই শহীদ হয়েছেন।
আজ তাঁর ৯ বছরের সর্বশেষ পুত্র ও শহীদ হয়ছেন।
তাই তিনি ৩ শহীদি সন্তানের গর্বিত মাতা হওয়ার খুশিতে সবার মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন।
হয়তো আমাদের দেশের জাহানারা ইমামের মত শহীদ জননীর খেতাব তিনি পাবেন না কিন্তু প্রভুর দরবারে সর্বোচ্চ মর্যাদায় আসীন হবেন।
মা তাঁর অতি আঁদরের সন্তানকে দেশ রক্ষার্থে যুদ্ধের সাঁজে সাঁজিয়ে যুদ্ধের ময়দানে পাঠাচ্ছেন ।ছেলে মাকে,বাবা সন্তানকে,স্ত্রীকে বলে যাচ্ছেন দেখা হবে জান্নাতে ।
বিশ্বের কোন দিকে তাকাতে পারি না। যেদিকে তাকাই দেখি মুসলমানরা নির্যাতিত, নিপীড়িত হচ্ছে ।এসব দেখে মনে হচ্ছে আমরা মুসলমান জাতিও আজ খাবারে পরিণত হয়েছি ।খাবারের যেমন প্রতিবাদ করার ক্ষমতা থাকে না , মুসলমানদের ও তেমন অধিকার নেই
ইহুদীদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি অপেক্ষা করতেছে।
কোরআনের ভাষায় এরা আজীবন লাঞ্জিত।এদের নির্দিষ্ট কোন ভূ-খন্ড ছিল না।
সেদিন হয়তো বেশি দূরে নয়-যেদিন পাথর ডেকে বলবে-
"হে মুসলিম!আমার পিছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে,তাঁকে হত্যা কর।"
গাছ ডেকে বলবে-
"হে মুসলিম!আমার পিছনে একজন ইহুদি আছে,তাঁকে হত্যা কর।"
বিষয়: আন্তর্জাতিক
২৪০৬ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে আজ মুসলমানরা যেমন একদিকে ঐক্যবদ্ধ নেই, মুসলিম দেশগুলোতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসে থাকা শাসকগুলো ইসলামকে পরিত্যাগ করে ভোগ বিলাসে লিপ্ত রয়েছে। অপরদিকে নিজের মধ্যে একতাবদ্ধতা না থাকার কারণে ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের ভাড়াটিয়া গোলাম হয়ে উম্মাহর উপর অত্যাচার চালাতে নিজেরাই নিয়োজিত রয়েছে। আজকের জেনারেল সিসি, শেখ হাসিনা, বাশার আল আসাদ, বাদশা আব্দুল্লাহগংদের নাফরমানী এবং ক্রিমিনালগিরি দেখলেই বুঝা যায়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন