“ছাত্রী সংস্থা সমাজকে ধ্বংস নয় ; করে আলোকিত”
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২০ জুন, ২০১৪, ০৫:০২:০২ সকাল
ইসলাম আছে থাকবে ।
ইসলামেরই জয় হবে।
বর্তমান বিশ্বের সব জায়গায়তেই ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।কিন্তু ,ষড়যন্ত্রের জাল যতই গভীর হোক না কেন ;ইসলামকে কোনভাবেই দামিযে রাখা যাবে না।ক্ষাণিক সময়ের জন্য ইসলাম বিদ্বেষীরা জয়ের উল্লাসে মেতে ওঠলেও পরক্ষেণে ধ্বংস হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রয়ী ক্ষমতা আজ সেক্যুলারিজমদের দখলে।
নিউজফেডে দেখলাম ২৪ জন ছাত্রীসংস্থার কর্মীকে অপরাধবিহীন গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাঁদের অপরাধ যা, তা হল –তাঁরা একত্রিত হয়ে আসছে রমজান উপলক্ষে তালিমে বসেছিল এবং তাঁদের কাছে ধর্মীয় বই –পুস্তক পাওয়া গেছে!তাঁদের অপরাধ তাঁরা মদ,জুয়ার আসর বসায় নি!পার্কে বয়ফ্রেন্ডরদের সাথে অসামাজিক কমর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় নি!
তাঁরা ইসলামের জ্ঞানকে প্রসারিত করতে আলোচনায় বসেছিল!আমার জানামতে,ছাত্রীসংস্থার মেযেরা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার মত কাজ কখনও করে না।
সম্পূর্ন অন্যায়ভাবে তাঁদেরকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের কাছে সাংবাদিকরা-তাঁদেরকে গ্রেফতারের কারণ জানতে চাইলে বলা হয় ,তাঁদেরকে আটক করার কারণ দেখানোর জন্য মামলার প্রস্তুতি চলছে।যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোন মামলাই না থাকবে তবে তাঁদের কিভাবে গ্রেফতার করা হল !!!
মোট কথা হচ্ছে –তোমাদের অপরাধ থাকুক আর নাই থাকুক ভাই;সরকারের নির্দেশে গ্রেফতার করা চাই।
অন্যদিকে খেয়াল করলে দেখা যায় ,কিছুদিন আগে ও ইডেন কলেজে ছাত্রীলীগের মেয়েরা নিজেদের মধ্যে প্রকাশ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।শুধু কি তাই –ছাত্রলীগরা, মেয়েদের রুমে রাত কাটাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা খায়।কিন্তু,তাঁরা হল বাংলাদেশের প্রাইম মিনিস্টারের সোনার ছেলেমেয়ে।কেননা,তাঁরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোন সময়ে আরো একটি নয় বরং শতশত ২৮ শে অক্টোবর তৈরী করতে সদাপ্রস্তুত।
গতকাল ছাত্রীসংস্থার একটি প্রোগ্রামে আমাকে আমন্ত্রন করা হয়।যেদিন আমাকে এ বিষয়ে ইনফ্রম করা হয় ভাবতেছিলাম যা কি যাব না!অবশেষে প্রোগ্রামটিতে এটেন্ড করলাম।প্রথমেই উদ্যোক্তা ফাহিমা ভাবী খুব সুন্দর করে বিষয়টিকে সবার মাঝে তুলে ধরলেন এবং এককভাবে পরিচয় দিতে বললেন।
এরপর সে সুরা অল-তাকাছুর পাঠ করলেন এবং তাঁর বকঙ্গানুবাদ করে ব্যাখ্যা দিলেন।এক কথায় বলতে গেলে প্রোগ্রামটি আমার খুব ভালো লাগলো।কিছু বিষয়ে নতুনভাবে অনুধাবন করতে পারলাম ।
ছাত্রীসংস্থার একদিনের প্রোগ্রামে যোগদান করে যা বুঝতে পারলাম –
ছাত্রীসংস্থা পরকালকে বারবার স্মরণ করিয়ে দিতে সাহায্যকারী,অন্যায়কে না বলতে শেখায়,ইসলামিক জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে,অহংকারকে বিলুপ্ত করে,ভ্রাতৃত্ব বন্ধনকে দৃঢ় করে,স্বল্প সম্পদে তুষ্ট করতে ভূমিকা রাখে।
তাঁরা মানুষকে গোঁড়ামীর পথ থেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
হে আল্লাহ্ !তুমি এ দ্বীনি বোনদের জালিমীর কারাগার থেকে মুক্ত করে দাও।তাঁদেরকে ধৈর্য্য ধারণ করার তৌফিক দাও।
আমিন।
বিষয়: বিবিধ
১৯০৪ বার পঠিত, ২৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তাঁরা মানুষকে গোঁড়ামীর পথ থেকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে।
এখনও ওভাবে যোগ দিই নি,দেব ভাবছি।
ভালো লাগলো
ঘর থেকে বাহির হলেই আপাকে ডেকে জানতাম কিছু লাগবে নাকি। যাইহোক, আমি বন্ধুর বাসায় থাকলেও আড্ডা দিতাম জামান ভাইদের বাসায়। জামান ভাইরা চাচাতো-মামাতো মিলিয়ে এক ফুটবল টিম। তারা সকলেই ভালো ছাত্র। এক বাসায় থাকে। এরা সকলেই শিবির করতো। জামান ভাই ছাত্র ইউনিয়ন ছেড়ে শিবিরে এসেছে। অর্থনীতিতে মাস্টারস করছেন। আমি তখনও মার্কস-লেলিন ভক্ত। আমি অর্থনীতির ১ম বর্ষে। জামান ভাই জ্ঞান-গর্বের তালিম দিতেন। ভাবখান এমন তিনি সবজানতা। এখন তিনি বিএম কলেজের খুবসম্ভবত সহযোগী প্রফেসর। আর তার ছোট ভাই মিজান ভাই ছিল আরএক পণ্ডিত। তিনি এখন ব্যাংকের ম্যানেজার। আমার ব্যাচমেইড মাহমুদ মেনন। ও এখন বাংলা নিউজ ২৪ 'র নিউজ প্রধান। এরা সকলেই আপাকে সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা করতো। আপার শালিন-শোভন ব্যবহার, চারিত্রিক সততা এবং ব্যক্তিত্বে একটা চরম মাস্তানও আপাকে সম্মান করতে বাধ্য হতো।
আপার কথা আজও মনে পরে। কিন্তু কোন কন্টাক্ট নাম্বার নেই। আমি দুঃখিত অনেক লিখেছি্
এতো কথা এজন্য লিখলাম যে আপনি যা লিখেছেন তা খুবই সত্য। ছাত্রীসংস্থা সত্যিই মেয়েদের চরিত্র গঠন করে। তারা স্বামীর সংসারে অল্পে তুষ্ট থাকার চেষ্টা করে। স্বামীকে দুনীর্তিবাজ হতে বাধ্য করে না।
একদম সঠিক কথাগুলো খুব সুন্দর করে বলেছেন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন