“ইস্যু”
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ১৬ মার্চ, ২০১৪, ০২:৩৪:২৪ দুপুর
আমাকে ক্ষমতায় যেতে হবে-হোক তা জঙ্গীবাদ ইস্যুকে কেন্দ্র করে;দেশের সত্যিকারের দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের হত্যা করে;দেশের জাতীয় স্বার্থকে বিলীনের মাধ্যমে পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের তোষামোদ করে; দেশে অরাজকতা-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে এই নীতিতে ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে আওয়ামিলীগ।এতে ইন্ধন যুগিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশের কিছু নামধারী আওয়ামি বুদ্ধিজীবি।তাঁরা সবখানে শুধু চেতনার আস্ফালন ঘটাতে ব্যস্ত কিন্তু এই চেতনা যে মানুষকে কতটা নিচে নামিয়ে দিচ্ছে তারদিকে কোন ভ্রূক্ষেপ না করেই চালিয়ে যাচ্ছে তাঁদের চেতনা ব্যবসা। তাঁরা টকশো গুলোতেও নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।এই তো কিছুদিন আগে এক আওয়ামি বুদ্ধিজীবি টকশোতে বলতেছিল-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভুল করেছেন-১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সেনা অফিসারদের পনুরায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ দিয়ে।ঐ বুদ্ধিজীবির মতে,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিহত হওয়ার কারন নাকি এটাই।আমি বলি হ্যাঁ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভুল করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ভুলটা না করলে জিয়াউর রহমানের মত সফল দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়ককে হারাতে হত না।ঐ বুদ্ধিজীবি মনে হয় ভুলে গিয়েছেন কিংবা জনগণকে বিভ্রান্তি করার জন্য এসব কথা বলছেন।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করতে কতজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেছিল তা কি তিনি ভুলে গিয়েছেন।
বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আসার সর্বাত্মক সহযোগিতাকারী দল হচ্ছে জাতীয় পার্টি।যারা এখন নামে মাত্র বিরোধী দলে অবস্থান করে আছে।আর এই দলের প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যিনি পাকিস্তান ফেরত সেনা অফিসার পর্যায়ক্রমে সেনাপতি।
দেশে কখন জঙ্গীর উত্থান শুরু হয়!সময়টা ছিল আওয়ামিলীগের শাসনামল ১৯৯৬।তখন উদাচি,রমনার বটমূল সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ ঘটে,প্রাণহানি ঘটে বহু লোকের।যার একটিরও সুষ্ঠ তদন্ত করে নি আওয়ামিলীগ ।তদন্তের নামে হয়রানি করেছিল মাদ্রাসার কিছু শিক্ষক ও ছাত্রদের।আঁধার রাতের ধোাঁয়াশার মত থেকে যায় এর নেপথ্যে কারা!আর এ জঙ্গীবাদকে সমূলে ধ্বংস করেছিল বি এন পি তখা চার দলীয় ঐক্যজোট।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্ণেল গুলজাররা গ্রেফতার করেছিল শায়খ আবদুর রহমান ও বাংলা ভাইদের।যার পুরস্কার আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার মাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বি ডি আর বিদ্রোহ আন্দোলন নাটকের মাধ্যমে বাংলার মুখ উজ্জ্বলকারী সেনা অফিসারদের হত্যার মাধ্যমে প্রদান করেন।কারণ,শায়খ আবদুর রহমান ছিল মির্জা আজমের দুলাভাই।জঙ্গীবাদের প্রযোজক,পরিচালক,সম্পাদক সবই আওয়ামিলীগ ।শায়খ আবদুর রহমান ,বাংলা ভাই ,আতাউর রহমান সানি এরা সবাই অভিনেতা মাত্র।
কিছুদিন পূর্বেও জি এম বি নাটক মঞ্চায়িত হয়ে গেল ।আমার মত স্বল্পজ্ঞানের মানুষও বুঝতে পারে দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মাত্র চার জনের পুলিশী পাহারায় নিয়ে যাওয়ার অন্তরালে কি কারণ থাকতে পারে!আমি মনে করি বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ বড় কোন সমস্যা না।বাংলাদেশের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে আওয়ামিলীগ।ওরা মুখে বলে এক, করে আরেক।
বর্তমানে আওয়ামি বুদ্ধিজীবিরা দেশপ্রেমের দৃষ্টান্ত দেখাতে ভারতের দেবযানি ইস্যুকে টেনে আনে।তাঁরা বলে বেড়ায় ভারতের সরকার এবং বিরোধী দলের দেশপ্রেম তাঁদের জন্য শিক্ষণীয়।অথচ,সুন্দরবনের কাছাকাছি রামপালের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনা শুধুমাত্র সুন্দরবনের হুমকি নয় ;বাংলাদেশের পরিবেশের জন্য ও হুমকি কিন্তু তখন তাঁদের দেশপ্রেশ জেগে ওঠে না।যখন টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণ করা হল, এ্সব বুদ্ধিজীবিদের দেশপ্রেমে ছেদ পড়ে না্ই।ফেলানিকে হত্যা করে কাটাতারে ঝুঁলিয়ে রাখা তাঁদের কাছে স্বাভাবিক বিষয়য় হলেও তাঁদের মধ্যে দেশপ্রেমের ঘাটতি নেই!সেইসময়ে তো বিরোধী দল ছিল সরব কিন্তু, মেরুদন্ডহীন সরকার ছিল নিরব!
কোথায় ছিল তখন তাঁদের এই দেশপ্রেমের
মহড়া!!!
বিষয়: রাজনীতি
১২০৪ বার পঠিত, ২৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আরেকটি সুযোগ আসছে ২৬ শে মার্চ - এবারের বিষয় জাতীয় সংগীত গেয়ে রেকর্ড করা ।
সাবাস বাংলাদেশ এগিয়ে যাও ! বিশ্ব দেখছে এবং শিখছে দেশপ্রেম কাহাকে বলে ?
হায়দারাবাদও এক সময় এভাবেই এগিয়ে গিয়েছিল। আজ হয়দারাবাদকে তিন টুকরো করে আজগরের পেটে হজম হয়ে গেছে।
ধন্যবাদ ।
যে ব্যক্তি গনতন্ত্রকে হত্যা করলো আজ সেই ব্যক্তি হয়েছে পূজনীয়?
ভালো লাগ্লো... তবে দেশের বারোটা বাজানো হচ্ছে এভাবেই...
মন্তব্য করতে লগইন করুন