নাগরিকের স্বাধীন ভাবনা
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ১০:৩১:৩৭ রাত
যে কোনো দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়ে নাগরিকের ভূমিকা সর্বাধিক। তবে নাগরিককে পেতে হবে সুন্দর পরিবেশ যা সৃষ্টিতেও নাগরিকের ভূূমিকা কোনো অংশে কম নয়। সুশাসন নাগরিকদের মতামতকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরতে সাহায্য করে। বিশ্বের সব দেশে নাগরিকত্ব অর্জন এক নিয়মে নিয়ন্ত্রিত নয়। এক এক দেশে এক এক ধারায় নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। বাংলাদেশে জন্ম এবং উত্তরাধিকার সূত্রে নাগরিকত্ব প্র্রদান করা হয়। নাগরিক হতে পারলেই শেষ নয়, বরং শুরু। নাগরিকদের চিন্তা-চেতনার পরিশেষে বাস্তবে প্রতিপাদনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের বাস্তবিক চিত্র ফুটে ওঠে। নাগরিকদের থাকতে হবে সত্ সাহস এবং দেশের তরে কাজ করার মনোভাব।
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটের জন্য এক ধরনের সুশীলবেশী নাগরিকের আধিপত্যই বেশি দায়ী। তারা সরকারের দালালি করতে করতে যেমন দেশের অবনতি, ধ্বংস ডেকে এনেছে; তেমন সমাজকে করেছে কদাকার, নির্বিচ্ছিন্ন। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ ভূলুণ্ঠিত, পদদলিত। দেশের প্রতিটি প্রান্তে লেগে আছে দ্বন্দ্ব-সংঘাত। গত ৫ জানুয়ারি ২০১৩ হয়ে গেল একতরফা নির্বাচন যেখানে গণতন্ত্রকে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। মানুষ হারিয়েছে তাদের ভোটের অধিকার। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়েছে এমপি, মন্ত্রী-স্পিকার যা ইতিহাসে বিরল, বিশেষ করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নজিরবিহীন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আজ প্রশ্নবিদ্ধ! বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা পরাধীনতার গ্লানি বয়ে বেড়াচ্ছে, পালিয়ে বেড়াচ্ছে বন-জঙ্গলে। তাতেও রেহাই মিলছে না তাদের। দেশে নেই কোনো শান্তি। আছে শুধু দুঃশাসন আর হাহাকার। বাতাস ভারী করা আর্তনাদ। প্রতিদিনই ঘটে চলেছে হত্যা নামক বর্বরতা, পৈশাচিকতা। কেউ হারাচ্ছে পিতাকে, কেউ সন্তানকে, কেউ স্বামীকে। স্বাধীন রাষ্ট্রের এ কী হাল! মানবতা কোথায়! বিরোধী দল নিধনের মহোত্সব চলছে বাংলাদেশে। প্রতিদিনই শোনা যায় স্বজন হরানোর আহাজারি। এ কেমন রাষ্ট্র পেলাম আমরা!
বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ হওয়া সত্ত্বেও নাস্তিকদের উত্পাতে মসজিদে ঠিকমত আজান হচ্ছে না, মুসল্লিরা মসজিদে যেতে পারছে না। দাড়ি রাখলে, টুপি পরলে অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই নেই। নাস্তিকরা মাথা উঁচিয়ে দিনের পর দিন সভা করতে পারে আর মুসল্লিরা একদিনও থাকতে পারে না। বুলেটবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর মুখে পতিত হয় হাজারো মায়ের সন্তান। রক্তে রঞ্জিত হওয়া শাপলা চত্বরের কথা আজও ভুলতে পারিনি, পারব না। কারণ, তারা এসেছিল আমাদের প্রিয় নবী ও রাসুল (সা.)-এর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারী নাস্তিক-ব্লগারদের বিচারের দাবিতে। আমারও চাওয়া ওদের বিচার হোক।
সাতক্ষীরাবাসীদের কী দোষ ছিল! কেন তাদের সংসারছাড়া, ঘরহারা হতে হলো! মানুষ হত্যা নামক এ যৌথ অভিযানে কতগুলো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে কি শান্তি পেল! এতে করে কি ইসলাকে দমানো যাবে? মোটেই না, বরং ইসলাম শান্তির পথে দাবমান হবে আরও দীর্ঘভাবে। সন্ত্রাস-নৈরাজ্যবাদ, হাঙ্গামা, দুর্নীতি দেশটাকে দুমড়ে-মুচড়ে খাচ্ছে। দেশ ধীরে ধীরে এক অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হতে যাচ্ছে। স্বাধীনচেতা নাগরিকদের এগিয়ে আসাই হবে এ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ।http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/02/06/234800
বিষয়: বিবিধ
১১৫৪ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন