“যার আলোয় আলোকিত মানবজাতি”

লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৫:৫১:৩৯ সকাল

পৃথিবীতে মানুষের জন্ম-মৃত্যু প্রকৃতির নিয়মে ঘটে।কেউ কেউ ছোটবেলায়,কেউবা মাঝবয়সে,কেউবা বুড়োবয়সে পৃথিবীর মায়া ছিন্ন করে চলে যায় না ফেরার দেশে।সময়ের প্রয়োজনে,জীবনের তাগিদে খুব কাছের মানুষকেও মানুষ এক নিমিষেই ভূলে যায়।কিন্তু,এরই মাঝে কিছু কিছু মানুষকে কখনই ভুলে না মন,ছোট-বড় সকলেই মনে রাখে কিংবা একনামে চিনতে পারে সেই মাহান ব্যক্তিকে।তবে পৃথিবীর ইতিহাসে ক’জনই বা অমর হয়ে থাকেন।অনুরূপভাবে,প্রতিটি দিন-রাত তার নিজস্ব গতিধারায় চালিত।প্রত্যেকটি দিনই মানুষের জীবনে গুরত্বপূর্ণ অর্থবহন করে।কিন্তু,মানুষ কয়টা দিনকে গুরুত্বতার সাথে অতিবাহিত করেন।

তারপরও কিছু কিছু দিন ,কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা কেবলমাত্র ইতিহাসের পাতায় নয়,মানুষের মনের গহীনেও স্থান পায় নির্দ্বিধায় ।এক কথায় বলতে গেলে তুলনাতীত।যে শুধু নিজ বৈশিষ্ট্যই তাঁর মাধুর্যতাকে ধরে রাখতে পারে যুগ যুগ ধরে,শুধু যুগ যুগ বললে ভুল হবে যার মাধুর্যতার শেষ হবে না পৃথিবী ধ্বংসেও।

তিনি তো চির অমলিন,সত্য,সুন্দর এবং পবিত্র।হ্যাঁ,তিনি হলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সাঃ।তাঁর সম্পর্কে কিছু বলা বা লেখার ভাষা,সাহিত্য কোনটাই আমার জানা নেই।তাঁর একজন অধম এবং নগন্য উম্মত হিসেবে একটু কিছু লিখতে চাই।

বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই রবিউল আউয়াল মক্কার কুরাইশ বংশে সোমবার সুবেহ সাদিকের সময় আগমনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর মুখকে আলোকিত করেন।তাঁর সম্মানিত পিতার নাম আবদুল্লাহ ।মাতার নাম আমেনা।দুধ মাতা হালিমা।রাসূলুল্লাহ(সাঃ) আগমন ঘটেছিল ঠিক সেই সময়ে যখন মানুষ অন্ধকারের অতল গহ্বরে নিমজ্জিত ছিল।তখন মানুষ খুন,রাহাজানি েসহ এমন কোন অপরাধ ছিল না যা তাঁরা করত না।মৃত্যু জন্তুর গোশত খাওয়া থেকে শুরু করে আপন মায়ের সাথে অবাধ মেলামেশায়ও তাঁদের কোন বাঁধা ছিল না।তখনকার সময়ে সবথেকে বেশি নিপীড়িত ছিল নারী সমাজ অর্থাৎ নারীদেরকে সমাজের মানুষ হিসেবে গণ্য করা তো, হতই না বরং সমাজের নিকৃষ্ট প্রাণির চোখে দেখা হত।ঐ সময়ে মানুষ এতটাই বর্বর ছিল যে-কোন পিতা যদি বুঝতে পারত তাঁর আগত সন্তান মেয়ে তবে সে লজ্জায় ,ঘৃণায় সেই কন্যাসন্তানকে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে ফেলত।বিষয়টা এমন ছিল-কন্যাসন্তান পিতার কাছে উত্তরাধিকার পাওয়ার মত কিছুই না।আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এ বিষয়গুলো দক্ষতার সাথে সমাধান করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিলেন।মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) এই নিগৃহিত নারীজাতিকে সমাজের সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন।

বর্তমান সমাজে কিছু উগ্র চেতনাধারী নারীদের দেখা যায় যারা নারীর অধিকার আদায়ের নামে বেহায়াপনা করে।যারা বলে বেড়ায় -সমাজে ইসলামিক জীবনব্যবস্থা কায়েম হলে বর্তমান সমাজব্যবস্থা দেড়শ বছর পিছিয়ে পড়বে,সমাজ মধ্যযুগে নিপাতিত হবে।আরে চেতনাবাজ নারী শুনে রাখ-বাস্তবিক প্রমাণের সাপেক্ষে বলা কথা নারীদের আবিষ্কারই করেছে ইসলাম,তাঁদের অস্ত্বিতকে স্বীকারকারী তথা পূর্ণরুপদানকারী ধর্মই হচ্ছে ইসলাম।আর এসব কিছুই পূর্ণরুপে প্রতিষ্ঠা করেছেন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) সর্বশ্রেষ্ট ও শান্তির ধর্ম ইসলামের ধারক ও বাহক।তাই বলে তিনি কেবলমাত্র ইসলাম ধর্মের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন নি,তিনি সকলকে সঠিক পথে চলার দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, তিনি সকল ধর্মকে সম্মান দেখিয়েছেন।সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায়ে তিনি মানুষকে দেখিয়েছেন সঠিক পথ ,প্রতিষ্ঠা করেছেন সামাজিক নিয়ম-নীতি।যার স্বাদ আমরা আজও অনুধাবন করতে পারি।মহানবী(সাঃ) একাধারে ছিলেন একজন সমাজ সংস্কারক।তিনি সামাজিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।মহানবী(সাঃ) যুবক বয়সেই সুশীল সমাজ বিনির্মাণে দৃঢ় প্রত্যয়ে মক্কায় বর্ণ ,গোত্রের সংঘাত নিরসনে গড়ে তুলেন “হিলফুল ফুযুল”।

মহানবীর আবির্ভাবে সমাজ হযেছিল কু-সংস্কারমুক্ত।মানুষ শিখেছিল সভ্যতা,দুরীভূত হয়েছিল অজ্ঞতা।সমাজব্যবস্থা খুঁজে পেয়েছিল মুক্তির সুগম পথ যার ধারা আজও বহমান।তখনকার যুগে বাপ ছেলেকে,ছেলে বাপকে বিশ্বাস করত না।কিন্তু ,একমাত্র আমাদের নবী করীম (সাঃ) কে সকলেই বিশ্বাস করতেন এবং তাঁর কাছে বিভিন্ন মালামাল আমানত রাখতেন।এমনকি মিথ্যাবাদী কাফেররা নবীর নবুয়্যাতি প্রাপ্তির পর সম্পূর্ণরুপে তাঁর বিরুদ্ধে চলে গেলেও আমানত নবীর কাছেই বিশ্বাস করে রাখতেন,যার খেয়ানত নবী করীম(সাঃ) কখন ও করেন নি।নবীর চরিত্রে মুগ্ধ হয়ে সকলে তাঁকে “আল-আমিন “বলে ডাকত।

হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) নবী ও রাসূলগণের সর্দার।হযরত উসামা ইবন যায়েদ(রাঃ) হতে বর্ণিত,

“ নবী করীম(সাঃ)সমস্ত পৃথিবী থেকে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও সবার থেকে বিনয়ী ও বিনীত ছিলেন।”

মহানবী (সাঃ) ছিলেন অসীম ধৈর্য্যের অধিকারী।মানুষ তাঁকে যতই কষ্ট ,দুঃখ,আঘাত দিত না কেন,তিনি কখনও তাঁদের মনে কষ্ট দিয়ে পর্যন্ত কথা বলতেন না।পৃথিবীর জগতে সর্বময় ক্ষমতাবান হয়েও তিনি ছিলেন স্বার্থহীন একজন সাধারণ মানুষ।

এই হচ্ছে সেই নবী ও রাসূল যার চরিত্রে বিন্দুমাত্র কালিমার দাগ পড়েনি।মহান আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন-

“আপনাকে(মুহাম্মদ)উত্তম চরিত্রে সৃষ্টি করা হয়েছে”।

তাঁর চরিত্রের সৌন্দর্যতা এতই প্রকট যে যেকোন মানুষ অতি সহজে তাঁর চরিত্রে মুগ্ধ হত এবং আকৃষ্ট হত।হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নবুয়্যাত লাভ করেন ৪০ বছর বয়সে ।তিনি খাদিজা (রাঃ) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ২৫ বছর বয়সে।তখন খাদিজা (রাঃ) এর বয়স ছিল ৪০ বছর।নবুয়্যাতের পূর্বে ১৫ বছর এবং পরবর্তীতে ১০ বছর মোট ২৫ বছর তিনি খাদিজা(রাঃ) এর সাথে সাংসারিক জীবন পার করেন যখন নবী করমি (সাঃ) ছিলেন একজন টগবগে যুবক।খাদিজা (রাঃ) জীবদ্দশায় নবী করীম(সাঃ)আর দ্বিতীয় কোন বিযে করেন নি।খাদিজা (রাঃ) মৃত্যুর পর মহনবী (সাঃ) ১১টি বিয়ে করেন যার নির্দিষ্ট কারণ এবং ব্যাখ্যা রয়েছে।কিছু নাস্তিক এ বিষয়ে নানা ধরণের কুৎসা রটিয়ে থাকে যা সম্পূর্ণ ভিক্তিহীন এবং অযৌক্তিক।বস্তুতপক্ষে ,মহানবী (সাঃ) চরিত্র নিয়ে কটূক্তি করার যোগ্যতা আজ অবধি কারো হয়নি ,হবেও না।যারা নবী করীম(সাঃ) সম্পর্কে বাজে কথা বলে তাঁরা নিতান্তই মূর্খ ব্যতিত কিছুই নয়।কারণ,ঐসব নাস্তিকেরা কখনও কোনদিন মহানবী (সাঃ) পায়ের দুলার সমতুল্য পর্যন্ত হতে পারবে না।কাজেই, এ বিষয়ে নবী করীম(সাঃ) চরিত্র নিয়ে মিথ্যে ধুম্রজাল সৃষ্টির কোন অবকাশ নেই।

হাজারো সমস্যায় জর্জরিত আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা।সর্বত্র শুধু সংঘাত আর সংঘাত কোথা ও নেই কোন শান্তির অবকাশ।সাম্রাজ্যবাদের ছোবলে পড়ে ক্ষীণ ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলো আজ নির্যাতিত,নিপীড়িত ও অবহেলিত।বিশ্বের সকল রাষ্ট্র আজ প্রতিযোগিতায় জেতা নামক নষ্ট খেলায মেতে সমাজকে দুমড়ে -মুচড়ে আঁচড়ে ফেলে দিচ্ছে অন্ধকারের কারাপ্রকোষ্ঠে।বিশেষ করে মুসলিম জাতির আবস্থা আরো শোচনীয়।কুশিক্ষা ,দারিদ্রতা,দুঃশাসন,চেতনা,স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা মুসলিম জাতি ধ্বংসের অন্যতম কারণ।মুসলমানরা বিধর্মীদের ষড়যন্ত্রের কবলে পড়ে আজ দিশেহারা নাবিক।বাংলাদেশ,মিশর,থাইল্যান্ড,ফিলিস্তিন,আফগানিস্তান,আরকান সহ মুসলিম রাষ্ট্রে সর্বদাই মুসলমানের রক্তের হলিখেলা চলছে।অনৈক্য ও বিভেদ মুসলিম বিশ্বের শক্তিকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করে দিচ্ছে এবং তাতে উস্কানি দিয়ে যাচ্ছে বিধর্মী উচ্চ ক্ষমতাধর রাষ্ট্র।

হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) ছিলেন পৃথিবীর অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ,সামাজিক ও ধর্মীয় নেতা।তাঁর এই বিশেষ্যত্বের অন্যতম কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক ও জাগতিক উভয় জগতেই চূড়ান্ত সফলতা অর্জন।তিনি ধর্মীয় জীবনে যেমন সফল তেমনই রাজনৈতিক জীবনে।এজন্যে আজ মহানবী (সাঃ)জীবনাদর্শ একান্তভাবে অনুশীলন এবং চর্চা সমাজের জন্য কাম্য।আল্লাহ বলেন-

“আমার সৃষ্টিকূলের সবার জন্য আপনাকে(মুহাম্মদ)শান্তির অগ্রদূত হিসেবে প্রেরণ করছি।”(সূরা আম্বিয়াঃ১০৭)

বিষয়: বিবিধ

২১৮২ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162307
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:৪০
আলোকিত ভোর লিখেছেন : যাজাকাল্লাহ Praying
162309
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:০২
হতভাগা লিখেছেন : ''আরে চেতনাবাজ নারী শুনে রাখ-বাস্তবিক প্রমাণের সাপেক্ষে বলা কথা নারীদের আবিষ্কারই করেছে ইসলাম,তাঁদের অস্ত্বিতকে স্বীকারকারী তথা পূর্ণরুপদানকারী ধর্মই হচ্ছে ইসলাম।''

০ স্বামী যদি ২য় বিয়ে করতে চায় তাহলে প্রথম স্ত্রীর অনুমতি নিতে হয় - এটা মনুষ্য আইন ।

পবিত্র ক্বুরআনে আল্লাহ পুরুষদের অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন সামর্থ্য থাকলে ৪ টা পর্যন্ত বিয়ে করার ।

এখানে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে যে আল্লাহর আইনের সাথে মনুষ্য আইনের দ্বন্দ্ব। যেখানে আল্লাহই অনুমতি দিয়েছেন তার পরও স্ত্রীর অনুমতির বিধান এড করা কি ইসলামকে নারীদের অস্তিত্ব স্বীকারকারী তথা পূর্ণরুপ দান কারী ধর্ম মনে করা হবে ?

পূর্ণরুপ দানকারী যদি মনেই করা হত তাহলে আল্লাহ এর অনুমতির পরও কেন স্ত্রীর অনুমতি লাগবে ?

আপনারা মহিলারা কোন টা মানেন , পুরুষদেরকে আল্লাহর দিয়ে দেওয়া অনুমতি না কি নারীদের অনুমতি লাগার মানুষের তৈরি আইনকে ?

০ স্বামী তার স্ত্রীকে প্রহার করতে পারে একটা নির্দিস্ট সীমা ছাড়িয়ে গেলে - এটা ক্বুরআনে বলা আছে ।

মনুষ্য আইন এর বিপরীতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন করেছে যেখানে একজন নারীর ১ টা মিথ্যা কথা ১ জন পুরুষের হাজারটা সত্যের চেয়েও বেশী গ্রহনযোগ্য । অথচ ক্বুরআনে আমরা জানতে পারি একজন পুরুষের সাক্ষ্য = দুইজন মহিলার সাক্ষ্য ।

ইসলামকে নারীদের অস্তিত্ব স্বীকারকারী তথা পূর্ণরুপ দান কারী ধর্ম যদি মনেই করা হত তাহলে আল্লাহ এর বলে দেওয়া বিধানের পরও কেন এই প্রহারকে নির্যাতনের কালার দিয়ে আইন প্রনয়ন ?

০ ছেলে পাবে ২ জন মেয়ের সমান ; এটা আল্লাহর বিধান ।

কিন্তু বর্তমানে নারীরা সম্পত্তিতে সমান অধিকারের জন্য আন্দোলন করছে , আইন প্রনয়ন করাতে চাচ্ছে ।

ইসলামকে যদি নারীদের অস্তিত্ব স্বীকারকারী তথা পূর্ণরুপ দান কারী ধর্ম মনেই করা হত তাহলে আল্লাহ এর বিধানের পরও কেন মেয়েদের জন্য আলাদা আইন করার কথা উঠছে ?



এই কথাগুলো ব্লগে কোন ম্যাম ইসলামপন্থী কোন পোস্ট বা মন্তব্য করলেই বলি ।

জানার চেষ্টায়রত থাকি যে , উনারা যে নিজেদের এত ইসলামমনঃষ্ক হিসেবে ফুটিয়ে তুলতে চাইছেন , তাহলে উপরোক্ত বিষয়গুলো নিয়ে তাদের কি অবস্থান ?

কারও কাছ থেকে এখনও পর্যন্ত কোন জবাবও পাই নি ।

পাবই বা কেন ?

ইসলাম তথা আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে করা এই মনুষ্য আইনই যে তাদেরকে বেশী দুনিয়াবী লাভ এনে দিয়েছে ।

চাকুরিতে যেখানে আপনার বসের কথাই মেনে চলার কথা , মানা বা না মানাও অপশনাল না ; সেখানে আপনিই যদি আপনার বসের উপর বসিং করার অধিকার পেয়ে যান - তাহলে এমন কোন বলদ আছে যে সে সুযোগটা হাতছাড়া করবে ? প্রতিষ্ঠানের মালিক কার সাথে ডিল করবে বা না করবে , কোন এমপ্লয়িকে নিবে বা বাদ দিবে তাও যদি আপনার অনুমতি সাপেক্ষ হয় যেটা অদ্ভুতই স্বাভাবিক নিয়মে - তাহলে এমন কোন বলদ আছে যে সুযোগটি নেবে না ?

আপনি যদি কোন জালিয়াতি করেন বা সাবোটাজ করেন এবং এর জন্য যদি কোম্পানী আপনাকে বরখাস্ত করে বা শাস্তি দেয় - সেটাই হল নিয়ম ।

কিন্তু যদি এমন নিয়ম করা হয় যে শাস্তি দিলে মালিকের নামে মামলা করা যাবে এবং এই মামলায় মালিকই দোষী সব সময় , এবং আপনাকে সে বিশাল ক্ষতিপূরণও দিতে বাধ্য - তাহলে কোন বলদ আছে সেই নিয়মকে গ্রহণ করবে না ?

ছেলেদের দায়িত্ব মেয়েদের তুলনায় অনেক বেশী বলে সম্পত্তিতে ছেলেরা মেয়েদের দ্বিগুন পায় । তাকে যেমন বাবা মাকে দেখতে হয় , তেমনি দেখতে হয় স্ত্রী ও সন্তানদেরকেও - সেটা আর্থিকভাবেই ।

মেয়েদের উপর এই চাপটা একেবারেই নেই বললেই চলে । সে তো স্বামীর কাছ থেকে পাচ্ছেই , পাচ্ছে বাবার কাছ থেকেও ।

হিসেব করলে দেখা যাবে যে বিভিন্ন সোর্স থেকে মেয়েদের যা প্রাপ্য ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী তা যোগ করলে বরং একজন ছেলের চেয়ে বেশী বই কম হবে না ।

মেয়েদের এডভান্টেজ হল , তার অংশের তুলনায় সে একেবারেই দায়িত্বমুক্ত ।

পক্ষান্তরে ছেলেরা বেশী অংশের সাথে দায়িত্বও পায় , যেটার জন্য আর্থিক সঙ্গতিও আবশ্যক ।

এখন যদি শরিয়তের বেঁধে দেওয়া খুবই কম দায়িত্বপূর্ণ সুবিধার সাথে মনুষ্য আইন করে অর্ধেকটাকে সমান ভাগ করে নেওয়া যায় - তাহলে কোন বলদ আছে যে এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইবে না ?



১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৩৯
117320
শেখের পোলা লিখেছেন : যে বোন নিজেকে মোহাম্মদ সঃ এর আওতাভুক্ত মনে করেন তারা আপনার কথীত আন্দো লনে যাবেন না৷ ওগুলো বিধর্মীদের উস্কানী৷
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৮:২৩
117340
হতভাগা লিখেছেন : ''যে বোন নিজেকে মোহাম্মদ সঃ এর আওতাভুক্ত মনে করেন তারা আপনার কথীত আন্দো লনে যাবেন না৷ ''

বটে!
163010
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৬:৪২
শেখের পোলা লিখেছেন : আপা হজরত মোহাম্মদ সঃ ইসলামের প্রবর্তক নন, উনি সংষ্কারক বা পূর্ণরূপদানকারী৷ ইসলামের শুরু হজরত আদম আঃ এর মাধ্যমে৷
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
117394
শারমিন হক লিখেছেন : ভাইয়া,আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর একটি বিষয় বলার জন্য।
“হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক।”
হযরত আদম(আঃ),হযরত মূসা(আঃ),হযরত ঈসা (আঃ) এরা সবাই মানুষকে সত্যের পথে আহবান করেছেন কিন্তু সু-নির্দিষ্টভাবে ইসলাম ধর্মকে উল্লেখ করা হয় নি।একমাত্র হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) মাধ্যমে সুনির্দিষ্টতার সাথে ইসলাম ধর্মের অবতারনা ঘটে।হ্যাঁ,তিনি একাধারে ইসলাম ধর্মের সংস্কারক ও পূর্ণরুপদানকারী।কারণ,উপরোক্ত নবীদের আগমন এবং তাঁর আগমনের মাঝে একটা দীর্ঘ সময় ছিল যখন মানুষ গোড়ামির মধ্যে চলে গিয়েছিল।হযরত মুহাম্মদ(সাঃ)আবির্ভাবে ঐসব মানুষেরা পুনরায় সঠিক পথে ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছিল।
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৯:৪১
117553
শেখের পোলা লিখেছেন : আপা সব নবীরাই এসেছিলেন ইসলামের বাইরে চলে যাওয়া গোষ্ঠিকে পুনরায় ইসলামে আনার জন্য৷ ইব্রাহীম আঃ ও নিজেকে হানিফাম মুসলীমা বলেছেন৷আর সেই সত্যের পথটিই ইসলামের পথ৷ মুসলীম হতে হলে সব নবীদের ও সব আসমানী কিতাব মানতে হবে, তার কারণও ঐ সবাই ইসলামের দাওয়াতই দিয়েছেন৷
163345
১৬ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১১:২৩
ভিশু লিখেছেন : অসাধারণ! সময়োপযোগী লেখা!
খুব ভালো বলেছেন!
জাযাকাল্লাহ খাইরান!
164678
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০১:২৬
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন :
আল্লাহ আমাদের রব
রাসুল আমাদের নেতা
কুরআন আমাদের সংবিধান
জান্নাত আমাদের মন্জিল।
২০ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ১০:৩৪
119222
শারমিন হক লিখেছেন : satti.

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File