কেমন আছে তসলিমা নাসরিন?
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ০৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৫:০০ দুপুর
পৃথিবীতে মানুষ আসে যায় প্রকৃতির নিয়মে।কোন মানুষই চিরঞ্জীবি কিংবা চিরস্থায়ী নয়।জন্ম গ্রহণ করলে মৃত্যূর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম।আমাদের এ আসা যাওয়া হয়তো কারো জন্য ৬০-৭০বছর,খুব বেশি হলে বর্তমান সময়ে ১০০-১২০বছর।কিন্তু,পরপারে পাড়ি দিতেই হবে।আমরা ইচ্ছা করলেই হঠাৎ করে যেমন জন্ম নিতে পারি না,একইভাবে মৃত্যুবরণ ও করতে পারি না।সবকিছুরই একজন নিয়ন্ত্রণদাতা আছেন আর তিনি হলেন মহান রাব্বুল আল-আমিন।আমাদের এ আসা-যাওয়া ,জীবন-যাপন করা সবকিছুরই একটা নিয়ম-নীতি আছে আর তা ইসলামে সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছে।কিছু কিছু মানুষ আছে যারা এ জীবন বিধান মানতে নারাজ,নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে চায় ,তাঁদের মধ্যেই একজন তসলিমা নাসরিন।
কে এই তসলিমা নাসরিন?ছোট -বড় সবারই হয়তো এই নাসরিন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা আছে।তসলিমা নাসরিন ময়মনসিংহে ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।তাঁর বাবা ছিলেন ডাক্তার,মা ধর্মভীরু।বাবার স্বপ্ন ছিল তসলিমা বড় হয়ে বাবার মত ডাক্তার হবে হলোও তাই কিন্তু প্রচন্ড রকমের ইসলাম বিদ্বেষী।সে একসময় ইসলামের বিরুদ্ধে লেখায় বাংলাদেশে আন্দোলনের ঝড় তুলেছিল,যার প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে দেশ ত্যাগ করে।
সে তিনবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেও ,বিচ্ছেদ ঘটে তিনবারই।সে একজন উভকামী,জরায়ুর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।একজন নারীকে হাজারো পুরুষের সাথে থাকোকে সে সমর্থন করেছে এবং বাস্তবয়নও করেছে নিজ জীবনে।সে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে যুগল জীবন-যাপন করেছেন।
একজন নারী অনেক পুরুষের সাথে থাকার পর যদি তাঁর বাচ্চা হয় তবে সে বাচ্চা কার পরিচযে বড় হবে?কে লালন-পালন করবে তাঁকে?তসলিমা নাসরিনের বাবা-মাকে ছোট করছি না কিন্তু বলতে হচ্ছে -এই তসলিমা নাসরিন দেশ ছেড়েছে ২০ বছর হয়েছে কিন্তু তাঁর দাবী সে মৌলবাদীদের কারণে তাঁর বাবার লাশ শেষবারের মত দেখতে পারে নি।আচ্ছা,সে তো জরায়ুর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তাঁর মা যদি তাঁর মতই হত তবে সে কাকে বাবা বলে দাবী করত?
তাঁর এই উগ্র চিন্তা-চেতনা তাঁকে কি দিয়েছে ধ্বংস ব্যতীত কিছুই নয়,বরং নষ্ট হওয়ার পথকে আরো সুগম করে দিয়েছে।তাঁর এই নষ্টামির জন্য তাঁকে সব ছাড়তে হয়েছে- দেশ,সংসার ,স্বামী ,বাবা-মা ,আত্মীয-স্বজন সব।একজন নারীর জীবনে পূর্ণতা আসে মাতৃর্ত্বে কিন্তু সে তা থেকেও বঞ্চিত।সে নারী কি পুরুষ, কোনটাই বুঝার ক্ষমতা তাঁর হয় নি। সে শারীরিক গঠনগতভাবে নারী বটে;তাই বলে পূর্ণাঙ্গ নারী সে হতে পারেনি।সে পায়নি সতী নারীর মর্যাদা,পেয়েছে সমাজের নিকৃষ্টতম খেতাব।সে পায়নি স্বামীর আদর -সোহাগ।তাহলে,সে কিসের নারী!
সুযোগ পেলেই ইসলামকে নিয়ে নানা ধরণের কটূক্তি করে এই নারী।অথচ,ইসলামই একমাত্র সেই ধর্ম যেই ধর্ম নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে।তাঁকে নারী বলতেও লজ্জা পাই কারণ,আমি নিজেও একজন নারী।
বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত হওয়া এই নাসরিন ইসলামের বিপক্ষে লেখায় ভারতে কিছুদিনের জন্য ঠাঁই পেলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারে নি।তসলিমা নাসরিন যখনই হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে দুই কলম লিখেছিল তখনই ভারতে বসবাসেও তাঁর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।তাঁর যশ ,সুখ্যাতি যেমন আছে ;কুখ্যাতি কোন অংশে কম নেই।বরং কুখ্যাতির পরিমানটাই বেশি।
আশ্চর্যের বিষয় হল এই পঞ্চাশোর্ধ তসলিমার শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হল সাদ-কালো একটি বিড়াল।এখন তাঁর রুপ -যৌবন যেমন থেঁতলে গেছে,তাঁর জীবনের সব সঙ্গীরাও একইভাবে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান তাঁর জীবনকে দুমড়ে-মুচড়ে অন্ধকারের এক আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান কখনই কাউকে ভালো কিছিু দিতে পারে না,দেয় না।
বিষয়: বিবিধ
১৯৭০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন