“কেন রাগন্বিত খালেদা”!
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৩, ১২:৪৩:৩০ দুপুর
বাংলাদেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।শুধু তাই নয় ,তিনি আপোষহীন নেত্রী নামেও পরিচিত।জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়া দুই বারের প্রধানমন্ত্রী তিনি।অথচ ,কোন আন্দোলনই তিনি সরকারি বাঁধায় করতে পারতেছেন না।দিনের পর দিন তাঁকে গৃহবন্দী করে রাখা হচ্ছে এটা কোন ধরণের গণতান্ত্রিকতা আমার জানা নেই।
যত যাই হোক তিনিও সবার মত রক্তে -মাংসে গড়া একজন মানুষ।তিনি বড় মাপের নেত্রী হওয়ায় তাঁর কোন রাগ কিংবা ক্ষোপ থাকতে নেই তা কি করে হয়!
বিগত পাঁচ বছরে হাসিনার শাসনামলে ১৮ দলীয ঐক্যজোট শাসিত হয়েছে অবর্ণনীয়ভাবে।যার ধারা এখনও অব্যাহত।হাসিনার ক্ষমতার ৫ বছর শেষ হলেও শেষ হয় নি অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার কুটচাল।
যারা বলেন খালেদা জিযা কেন এত ক্ষিপ্ত তাঁদের বলতে চাই-
আপনারা বলতে পারেন কি-
হাসিনা কেন এত ক্ষমতালোভী?
হাসিনাকে আর কত রক্তপান করতে হবে?
খালেদা জিয়া তো কেবলমাত্র একটি জেলার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছেন।অন্যদিকে,শেখ হাসিনা তো পুরো বাংলাদেশটাকেই ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে চাইছেন ,কেন তাঁ এই শয়তানী চাওয়া?বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল কি ভারতের দাসত্ব করতে?
গোপালী পুলিশলীগ মানুষের উপর যেভাবে অত্যাচার নিপীড়ণ চালাচ্ছে তা ১৯৭১ সালকেও হার মানিয়েছে।ঘরে ঢুকে মানুষ খুন করা ,নারীদেরকে ধর্ষণ করা স্বাধীন দেশে এ কোন ধরণের আইন।গোপলী পুলিশের অত্যাচারের কাছে সাধারণ জনতা আজ জিম্মি হয়ে আছে।কাজেই গোপালী হায়েনাদের এর থেকে ভালো কিছু বলার ছিলনা বলেই তিনি গোপালগঞ্জের নাম পরিবর্তনের কথা বলেছেন।
যখন ২বারের নির্বাচিত হওয়া প্রধানমন্ত্রীকে ব্যারিকেড,পুলিশ দিয়ে আঁটকিয়ে রাখা হয়,সুপ্রীম কোর্টে নারী আইনজীবিদের বর্বতার চরম সীমায় গিয়ে নির্যাতন করা হয়,সাংবাদিকদের মারা হয়,শিক্ষকদের উপর কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন কোথায় থাকে আপনাদের চেতনা?
আপনাদের চেতনার থলি তখন বুঝি শামুকের মত মুখ বুঝে থাকে।গোপালী পুলিশের তান্ডবে মানুষ আজ দিশেহারা ,ঘরছাড়া।গোপালি পুশিলীগ অবৈধ সরকারের নির্দেশে বিরোধী দলের সভা-সমাবেশকে হারামের মত মনে করছে আর অবৈধ সরকারের সভা-সমাবেশকে হালালের মত অবলীলায করতে দিচ্ছে,এটা কোন ধরণের প্রশাসন জানতে পারি কি?
হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের দিন এক হলুদ সাংবাদিককে নির্যাতিত হতে হয়েছিল তাতে আপনাদের চেতনাকে রাখার মত কোন পাত্র খুঁজে পাচ্ছিলেন না,ভাত রান্না করলে তার মার যেমন উপচে পড়তে চায় আপনাদের চেতনাও তেমনউপচে পড়তে চাইছিল।আর এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে যখন নারী আইনজীবিদেরকে গোপালি পুলিশী পাহারায় ছাত্রলীগ নামক সন্ত্রাসগুলো ইতিহাসের রেকর্ড করা বর্বতার নির্যাতন চালালো তখন বুঝি আপনাদের কলমের কালি ফুড়িয়ে গেল?একেই বলে চেতনার ফেরিওলায় বিশ্বাসী।
আপনারা কিছু হতে না হতেই শিক্ষতার প্রশ্ন তুলেন।কিন্তু মনে রাখবেন -
“ শিক্ষিত মানেই স্ব-শিক্ষিত নয়”।
আপনাদের হয়তো জানা নেই-
“ জ্ঞান আর্জন করলেই জ্ঞানী হওয়া যায় না”।
যা হাসিনার ক্ষেত্রে ষোল আনায় সত্য।যদি শেখার মত মন থাকে তবে এই আন্ডার মের্টিক খালেদার কাছে, দেড় ডজন ডিগ্রী অর্জনকারী হাসিনার অনেক কিছুই শেখার আছে।
বিষয়: রাজনীতি
১৪৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন