ভারত কি চায়!!!!

লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৬ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:১০:৫৪ রাত

http://www.anandabazar.com/26bdesh1.html

ভারত কখনই বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না,ওরা সবসময়ই বাংলাদেশের ভালোর থেকে ক্ষতিই বেশি চেয়েছে ।যখন বাংলাদেশে একদিনে দেড় শতাধিক মানুষ মারা গিয়েছিল সেদিন ভারতের কোন খবর ছিল না।আজ মানুষ যখন স্বৈরাচারী সরকারকে উৎখাত করতে চাচ্ছে তখন ভারতের মায়া অবৈধ সরকারের প্রতি উপচে পড়ছে।ভারত উঠে পড়ে লেগেছে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনতাকে জঙ্গি প্রমাণ করতে।মূলত,হাসিনা সরকারের পতন ঘটলে ভারতকে কিছুটা হলেও খেসারত দিতে হবে।হাসিনা সরকারকে তাঁদের এতটা প্রিয় হওয়ার কারণ,হাসিনা সরকার সর্বদা বাংলার স্বার্থকে ক্ষুন্ন করে ভারতকে সাহায্য করেছে,সীমান্তে হত্যা হাসিনা সরকার ক্ষমতা আসলেই অধিক মাত্রায় বেড়ে যায়।রামপাল বিদ্যুৎ স্থাপন এ জাতীয় নানা কাজে বাংলাদেশের কোন লাভ হয়নি বরং হয়েছে ক্ষতি।

যাই যা হোক বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিল স্বাধীন হতে দাসত্ব করতে নয় ।কিন্তু,ভারত চাচ্ছে বাংলাদেশকে তাঁদের একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে।বাংলাদেশের রাজণীতির প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণই বাংলাদেশের নিজস্ব ব্যাপার এতে ভারতের হস্তক্ষেপ করার কোন অধিকার নেই।শুধু ভারত কেন কোন দেশেরই এতটা নাক বাড়ানোর অধিকার নেই।হ্যাঁ,তারা পারে এবং তা শুধুমাত্র পরামর্শ।অথচ,ভারত কেবলমাত্র বিরোধী দলের বিরুদ্ধে প্রচারণায় লিপ্ত।যখন জয়ের কারণে পদ্মা সেতু হয়নি তখন তাঁরা তাঁকে নিয়ে কোন প্রশ্ন তোলে নি কিন্তু আজ যখন বাংলার মানুষ একটি ন্যায্য দাবী আদায়ে রাস্তায় নেমেছে এবং বিরোধী দল তাতে মূখ্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে তখন ভারতের আর সহ্য হচ্ছে না।

আজকের কলকাতার আনন্দ বাজার পত্রিকায় তারেক রহমান সম্পর্কে লেখা রিপোর্ট দেখে আমি হতবাক হয়ে গেছি।কারণ,বাংলাদেশের বর্তমানের প্রেক্ষাপটে জামায়াত শিবির কিংবা তৌহিদী জনতাকে সমর্থন করে তারেক রহমান কোন ভূল করেনি।আজকে আনন্দ বাজার পড়ে যা বুঝলাম তা হল তাঁরা তারেক রহমান সহ বি এন পিকে জঙ্গি ও মৌলবাদীদের সহযোগী কিংবা সমর্থণ দাতা হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রমাণ করতে ব্যস্ত।।ভারতের মিডিয়া এর আগেও তারেক রহমানকে নিয়ে নানা ধরণের ভিত্তিহীন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যার সত্যতা তাঁরা নিজেরাও মেলাতে পারেনি।যেমন-দাউদ ইব্রাহিমের সাথে ঘনিষ্টতা,২১ শে আগস্ট গ্রেনেট হামলার মূল পরিকল্পনাকারী।

আমরা যদি সঠিকভাবে জঙ্গিবাদের উত্থান বিশ্লেষন করি তবে দেখা যায় ১৯৯৬ এর পর এদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয় যে সময়টা ছিল ঘষেটি বেগমর(হাসিনা) শাসনামল।কিন্তু ঐ সময়ে যত জায়গা বোমা হামলা হয়েছে তাঁর সুষ্ঠ তদন্ত ঘষেটি বেগম করে নি কারণ, করলে তাঁরা ফেঁসে যেত।পক্ষান্তরে-জামাত,বি এন পি এক্ষেত্রে কখনও আপোষ তো দূরের কথা মদদ ও দেয় নি।যার প্রমাণ -বাংলা ভাই,আওয়ামিলীগের দুলাভাই নামে পরিচিত শায়খ আব্দুর রহমান(মির্জা আজমের দুলাভাই)।

শুধু তাঁদের গ্রেফতারই করেনি ভেঙে দিয়েছিল তাঁদের সমস্ত নেটওয়ার্ক।সে সময় জি এম বির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল ওলামায়ে শাহবাগী আওয়ামিলীগের অত্যন্ত আস্তাভাজণ মাওঃফরিদ উদ্দিন মাসুদ।এর দ্বারাই বুঝা যায় জঙ্গিবাদের মদদদাতা হিসেবে ঘষেটি বেগম কতটা তৎপর।

বিষয়: রাজনীতি

২১০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File