"সেই ছোট্রবেলার কথা আজও মনে পড়ে।"

লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:৫৩:৪৫ দুপুর

আজ আমি খুবই শঙ্কিত এবং চিন্তিত।১৯৯৩ সালের ১৭ই নভেম্বর আমার মা আমাকে জন্ম দিয়ে যতটা না বেশি চিন্তিত ছিলেন আজ ২০১৩ সালে এসে আমি আমার ছোট্র সোনামনির জন্য তার থেকে অধিক বেশি চিন্তিত।কারণ,একটাই আমাদের সমাজ ব্যবস্থার নিত্যনৈমত্তিক পরিবর্তন।জানিনা আমি আমার মেয়েকে কতটুকু সঠিক শিক্ষা দিতে পারব তবে চেষ্টার কোনত্রুটি করব না ইনশাহআল্লাহ।তখনকার সময়ে রোকেয়া প্রাচি ,মিতা হকদের মত শয়তানদের উৎপাত এতটা বেশি ছিল না।কিন্তু,বর্তমানে শুধু রোকেয়া প্রাচিতে ক্ষান্ত নয়,প্রসব হচ্ছে ঐশীর মত সন্তানদেরও।প্রত্যেক বাবা-মা তাঁর ছেলেমেয়েকে ভাল মানুষ হিসেবে হিসেবে গড়তে চায়।কিন্তু,এ চাওয়াটা হওয়া উচিত আল্লাহর দেখানো পথকে অনুসরণ করে।

আমার মনে পড়ে গেল সেই ছোট্র বেলার কথা-যতটুকু মনে পড়ে দেখতাম মা খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠে নামাজ পড়ত আমাদেরকেও ডেকে তুলত,কুরআন শরীফ পড়ত।অবেশেষে,সবাই যখন ঘুম থেকে ওঠে পড়ত বাবা একখানা ভারী বই নিয়ে আমাদের সবার মাঝে বসে পড়ত এবং বইটির দুএক লাইন পড়ে পড়ে আমাদেরকে বুঝাত।এটাকে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলে তালিম করা।বইটির নাম কি ছিল স্মরণ নেই তবে কুরআন হাদিস সম্পর্কিত কোন বই হবে এতটুকু বলতে পারি।কারণ,আব্বাকে মাঝে মাঝ আরবি ও পড়তে শুনতাম।আমার একটা অভ্যাস ছিল প্রতিদিনই কিছুক্ষণ শুনার পর ঘুমিয়ে পড়তাম।মা ভয় পেত আব্বা যদি কিছু বলে কিন্তু না, আব্বা কখনই কিছু বলত না বরং মাকে বলত এখন ছোটতো তাই এমন, একদিন দেখবে শুনতে শুনতে ওদের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে এবং নিজে্ নিজেই কিছু বলতে শিখবে।এ নিয়মটি আমি যখন কলেজে ওঠেছি তখনও দেখেছি।শুধু এতটুকু পরিবর্তন হয়েছিল ছোট থাকতে দেখেছি আব্বাকে পড়তে কিন্তু যখন একটু বুঝতে শিখেছি তখন হয়তো আমি পড়েছি না হয় আমার অন্য কোন ভাই বোন পড়েছে।

সেই ছোটবেলা মা যখন নামায পড়ত তাঁর গলা ধরে ঝুলে থাকতাম।সিজদায় গেলে পিঠে ওঠে বসে থাকতাম কিন্তু কখনও রাগ করত না।আর এভাবেই নামায পড়া শিখে যাই।সকালে ঘুম হতে ওঠা থেকে ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত যতরকম দোয়া আছে তার সবই আমরা আমাদের মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। সবসময় তাঁর নিজ হাতে আমাকে খাইয়ে দিত।খুব বেশি মনে পড়ে মায়ের কথা।জানি না কেমন আছে সে।আজ অনেকদিন হল ব্যস্ততার কারণে তাঁর সাথে কথা বলতে পারছি না।স্কুলে যাওয়া নিয়ে একদিন খুব মার খেয়েছিলাম মায়ের হাতে তখন আমি চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী ছিলাম।বাবার আদর কেমন অতটা বুঝতে পারিনি।কারণ,আমি যখন প্রথম শ্রেণীতে পড়ি তখন আমার বাবা বিদেশে চলে যান।সেই ছোটবেলা থেকে মা আমাদেরকে অক্লান্ত পরিশ্রম করে বড় করে তুলেন।আমরা যখনই ঘুম থেকে ওঠতাম মা আমাদেরকে সালাম দিত।মায়ের অবদানের কথা বলে শেষ করতে পারব না।আজকের এ সময়ে আমি কি পারব আমার মায়ের মত শিক্ষক হতে?

বিষয়: বিবিধ

২১১৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File