তখন আমি নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলাম ।

লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৭:৫৪:৪১ সন্ধ্যা

আজ আমার একান্তই ব্যক্তিগত কিছু কথা শেয়ার করব।জানি না কে কিভাবে নিবেন তবে কারো কারো সন্দেহকে ক্লিয়ার করতেই আমার এ লেখা ।

আমার স্বামী অত্যন্ত সৎ এবং ভাল মনের মানুষ ।তাঁকে নিয়ে আমার অনেক গর্ব ।এই মানুষটার সাথে আমার প্রথম পরিচয় হয় ২০০৬ সালে তখন আমি নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলাম ।ঐ সময় তিনি আমাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন ।কিন্তু কখনও ভাবতে পারি নি এ মানুষটাই হবে আমার জীবন সঙ্গী্।তিনি সবসময় আমাকে যেকোন ভাল কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন এখনও যোগায়।তাঁর অনুপ্রেরণায় আজ আমার এ পর্যন্ত আসা ।বিয়ের আগে এ মানুষটি আমাকে কখনও দেখেনি জাস্ট বিয়ের আগে কিছু ছবি দেখেছিল ।অবশ্য প্রথম পরিচয়ের পর তাঁর সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘদিন কোন যোগাযোগ ছিল না।সে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়া চলে আসে।আমার বিযে হয় ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার ১মাস পূর্বে এবং পরীক্ষার সাত দিন আগে সে তাঁর কর্মস্থলে চলে যায় ।

আমার সপ্ন ছিল ডাক্তার হয়ে আমাদের গ্রামের লোকজন সহ গরীব দুংখীদের পাশে দাঁড়ানো ।যাক পরীক্ষা শেষ হল এবার মেডিকেলে চান্স পাওয়ার প্রস্তুতি ।যেই কথা সেই কাজ আমাকে একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি করল এবং উৎসাহ দিতে থাকল ।ইন্টারমিডিয়েটের রেজাল্ট বের হল মেডিকেলের পরীক্ষাও দিলাম কিন্তু মেরিট লিস্টে ১১হাজারের ঘরে থাকায় চান্স পাওয়া হল না।আমার স্বামী এখানেই থেমে যেতে পারত কিন্তু না সে থামেনি বরং সে পূর্বের আরো দ্বিগুণ উৎসাহে উৎসাহিত করতে শুরু করল।পুনরায় মেডিকেল পরীক্ষায় অংশগ্রহন নেয়ার সব রকম ব্যবস্থার পাশাপাশি একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রিতে ভর্তি করিয়ে দেন।কিন্তু ,দ্বিতীয়বার মেডিকেলে চজান্স পাওয়ার থুব দ্বারপ্রান্তে গিয়েও থেমে থাকতে হয় ।কি আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে শুরু করলাম চান্স পেয়ে গেলাম ভর্তিও হলাম ।ক্লাশ করতে থাকলাম প্রায় চার মাস শেষ হয়ে যাবে যাবে এমন সময় আমাকে বলল তোমার সব কাগজপত্র আমাকে পাঠাও দেখি কোন ভাল সাবজেক্টে তোমাকে ভর্তি করাতে পারি কিনা ।কারণটা হল পিছনে আমার অলরেডি এক বছর গ্যাভ পড়ে গিয়েছে তাছাড়া বাংলাদেশের সেশন জট এর অন্যতম কারণ।

আই আই ইউ এমে এ্যাপ্লিকেশন করল চান্সও পেলাম হাফ ইয়ার

ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হল যেদিন সেদিনই বিদেশে লেখাপড়া করার পা বাড়ালাম বিদেশের মাটিতে।এখানে আসলাম বর্ হলাম মাত্র ২ সেমিস্টার করলাম এরপর অসুস্হ হয়ে পড়াতে লিভ নিলাম ভাবছিলাম পরের সেমিস্টার করব কিন্তু না পারলাম না।অপারেশন করে আমার মা-মনি দুনিয়াতে আসাতে আরও এক সেমিস্টার লিভ নিতে হল ।আমার স্বামী আমাকে এখনও যতরকম সাহায্যের দরকার তা করে যাচ্ছে ।আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুণ এই দোয়াই করি ।চলতি মাসের নয় তারিখে আমার ক্লাশ শুরু হবে ।আশা করি আমাকে নিয়ে আর কারও কোন দ্বিধা থাকবে বাকিটা যার যা খুশি।দেশকে খুব মিস করি,দেশের আত্মীয়-স্বজনকে মিস করি।দেশকে ভালবাসি ,দেশের সবাই ভাল থাকুক এই দোয়াই করি।আমার ও আমার ছোট্র পরিবারের জন্য দোয়া করবেন ।

বিষয়: বিবিধ

২৭৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File