পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক। ইসলামকে জানার ক্ষেত্রে শফি হুজুরের কাছ হাসিনা কিছুই না ।
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৭:০২ দুপুর
শেখ হাসিনার বক্তৃতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়-উনি কেবলমাত্র অশালীন বক্তব্যতেই ক্ষান্ত নন বরং নিজেকে সভ্য পরিচয় করাতে গিয়ে হর হামেশায় নিজের অসভ্যতার পরিচয় তুলে ধরেন ।আল্লামা শাহ আহম্মদ শফি হুজুরকে নিয়ে উনার যেন ভাবনার কোন অন্ত নেই।রক্তখেকো এ নেত্রী শুধুমাত্র হাজার হাজার মুসলিম ভাইদের রক্তই পান করেনি নি,মদদপুষ্ট দিয়েছেন নবী রাসূলের অবমাননাকারীদের ।যেখানে নিজের জনপ্রিয়তা একেবারেই নাই বললে ভুল হবে না সেখানে অন্যের বিরুদ্ধে মিথ্যে অশালীন বক্তব্য দিয়ে নিজের জনপ্রিয়তাকে জোর করে টিকিয়ে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছেন ।উনি ভুলে গেছেন রাতের আঁধারে মুসলিম পন্থি তৌহিদী জনতাকে গুলি করে নির্মমভাবে মারার কথা ।কিন্তু,বাংলার জনতা তা মনে রেখেছে বলেই গাজীপুর ও চার সিটি নির্বাচনে তার উপযুক্ত জবাব দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিবে ।উনি নানা ধরণের আক্রমনাত্মক বক্তৃতা দিয়ে যাচ্ছেন একজন সুখ্যাতি আলেম তথা আলেম সমাজের কর্ণধার শফি হুজুরের বিরুদ্ধে ।
উনি যখন ভিনদেশী পুরুষদের হাতে চুমু খান তখন তা ইসলাম বিরোধী কাজ নয় বলে যে নেত্রীর ধারণা সে কিনা ইসলামের ব্যাখ্যা দিবেন। তাও যেমন তেমন কারোর বক্তব্য খণ্ডন করে নয় আল্লামা শফি হুজুরের নারীদের পর্দার ব্যাপারে সজাগ থাকা বিষয়ে আহবান করার উপর দেয়া মার্জিত বক্তৃতার প্রেক্ষাপটে।শফি সাহেবের সারাটি জীবন পার করেছেন ইসলামকে জানার মাধ্যমে আর হাসিনা নীতিহীন রাজনীতিতে ।এখানে ইসলামের বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে শফি হুজুরের কাছে হাসিনা কিছুই না ।তাই এ দু’জনার মধ্যে তুলনা তো দূরের কথা প্রসঙ্গই আসে না ।
আওয়ামী লীগের অবস্থান ব্যাখ্যা করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা শালীনভাবে চলাফেরা করার পক্ষে। পোশাক পরিধেয় কিন্তু দেশ কাল পাত্র হিসাবে। জলবায়ুর ওপর নির্ভর করে পোশাক-পরিচ্ছদ।
“সব দেশের পোশাক তো এক না। আমি যদি শীতের দেশের পোশাক এখন পরি, আর গরমের পোশাক শীতের দেশে পরি- তাহলে তো হবে না। যেখানে বালুর ঝড়, সেখানে মুখ ঢাকার ব্যবস্থা রাখতেই হয়।”
“আমি বহুবার হজ করেছি। মাথার ওপর একটা ওড়না দিয়ে রাখতেই হয়। শালীনতার সঙ্গে সকলে চলবে- এটা আমরা চাই।”
এ কথাগুলো থেকে এটা স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান-উনি মিতা হক,অদিতি ফাল্গুনি,রোকেয়া প্রাচি এদের থেকে ভিন্ন কেউই নন জাস্ট পদবীটা একটু উঁচু-নিচু।ইসলামে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দা ফরয করা হয়েছে ।এখানে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি তোমরা তোমদের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ,আরাম-আয়েশের জন্য যেমন খুশি তেমন পোশাক পরিধান করতে পার ।ইসলামে নারীর পর্দা বিধান আছে বলে ,নারীকে ইসলাম ইসলামের পরিপন্থি ব্যতিত কোন কাজ করতে বাঁধা দেয়নি ।যেখানে নারীরা জিহাদ পর্যন্ত করেছে সেখানে এক শ্রেণীর নিকৃষ্ট প্রজাতির প্রাণি বলে বেড়ায ইসলাম নাকি হিজাবের দ্বারা নারীকে তাঁর স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত করেছে, যা নিতান্তই ভিক্তিহীন উক্তি।অথচ ইসলামই নারীকে পূর্ণাঙ্গ সম্মান দিতে সমর্থ হয়েছে যা অন্য কোন ধর্ম দিতে পারে নি।
নারী-পুরুষের পোশাক কেমন হওয়া উচিত তা পবিত্র কুরআনে স্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে এ নিয়ে বিভ্রান্তির কিছু নেই ।নারীর পোশাক অবশ্যই তাঁর পুরো শরীর ঢেকে রাখার জন্য যথেষ্ট হতে হবে । হাত এবং চেহারা নিয়ে কোন কোন বর্ণনায় কিছু দ্বিমত থাকলেও বর্তমান ফেতনা ও নারীর সম্মান ,সম্ভ্রম রক্ষার তাগিদে মুখ ঢেকে পর্দা করার ব্যাপারে ফকীহগণ একমত হয়েছেন।আরবদের পোশাক কিংবা কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে অন্ধের মত অনুসরণ করে নয়;বরং কোরআন ও হাদীসে যেভাবে নারী-পুরুষদের বলা হয়েছে ,সেভাবে মেনে চলার মধ্যে প্রকৃত শান্তি,সম্মান এবং নিরাপত্তা নিহিত।
পর্দা নারীর মর্যাদার প্রতীক ।বিষয়টি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী ।বর্তমান সমাজে চারদিকে তাকালে দেখা যায় ধর্ষণ,সম্ভ্রমহানি,শ্লীতাহানি,অবিশ্বাস ,দ্বন্ধ-সংঘাত ,বিচ্ছেদ এসবের পিছনে কেবল একটিমাত্র কারণ তা হল পর্দা ফরয হওয়া সত্ত্বেও তার বাস্তবায়ন না ঘটা ।আসুন আমরা কোরআন ও হাদীসের দেখানো পথকে অনুসরন করি ,নিজে পর্দা করি অন্যকে পর্দা করতে বলি, সমাজকে অন্ধকারের কষাঘাত থেকে মুক্ত করে ইসলামের আলোয় আলোকিত করি ।
বিষয়: বিবিধ
১৯৮০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন