বুকের তাজা রক্তে রাজপথকে রঞ্চিত করে,
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:১৯:৫৮ বিকাল
মিশরে গণতন্ত্রের বদলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে গণহত্যা ।
যার শিকার হতে হচ্ছে ব্রাদারহুডের নেতাকর্মীদের ।
মোহাম্মদ মুরসির নেতাকর্মীরা নিজ জীবনকে অবলীলায় বিলিয়ে দিচ্ছেন কুরআনের সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে,শরীয়তের জীবন ব্যবস্থা বজায় রাখতে ।
শুধু কি পুরুষেরা?
না,পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন বুকের তাজা রক্তে রাজপথকে রঞ্চিত করে,
এদের সাথে সাথে ছোট্র ছোট্র ছেলেমেয়েরাও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অংশগ্রহণ করতেছে ইসলামের সম্মানকে অটুট রাখতে।
অন্যথায়,আমাদের দেশে মুসলিমের লেবাসে ইসলামকে ধ্বংসের নেশায় মেতে ওঠেছে কিছু সেক্যুলার,অপসংস্কৃতি মন-মানসিকতার ব্যক্তিবর্গ।
এক্ষত্রে অন্যান্য কিছুসংখ্যক মুসলিম নারী পুরুষ তা না বুঝে
সাথে এর বাস্তবতাকেও অস্বীকার করে তাঁদেরকে মৌনি সম্মতি দিয়ে তথা নিজস্ব কর্মকাণ্ডের মধ্যমে সাপোর্ট করতেছে কোন দ্বিধা-সংকোচকে ব্যতিরেখেই ।
আমরা মিশরের নারীদের দিকে তাকালে দেখতে পাই -
তাঁরা কতটা ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ,আত্মপ্রত্যয়ী সংগ্রামী চেতনার কর্ণধার মহিয়সী নারী।
আসমা বোলতাগী,হাবিবা সহ শতশত মা-বোন ইসলামের শান্তি রক্ষার্থে নিজ জীবনকে উৎসর্গ করেছে আল্লাহর রাস্তায়।
অন্যদিকে ,আমরা বাঙ্গালী নারিরা ব্যস্ত আছি নাস্তিকদের পথকে সুগম করতে,বাঙ্গালিত্বকে যাচাই করতে,রুপচর্চা করতে,হিন্দি-সিরিয়াল নিয়ে রিমোট নিয়ে কাড়াকাড়ি করা সহ নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে যা আমাদের জীবনে কোন প্রয়োজনে আসবে না ।
আসমা বোলতাগী রাবেয়া স্কয়ারের নেতৃর্ত্বদানকারী একজন বড় মাপের নেতার মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও হায়েনাদের আক্রমণে তাঁর জীবনটাই আগে চলে গেল ।
এরাই হচ্ছে ইসলামের শান্তি রক্ষার্থের প্রকৃত সেনা।
এদের দেখে আমাদের দেশের নারীদের শেখা উচিত কিভাবে ইসলামের জন্যে যুদ্ধের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় ।
বস্তুত,আমাদের দেশের নেতাকর্মীদের ছেলেমেয়েরা তো দূরের কথা নেতারাই যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত থাকে না ।
অথচ,মিশরের নেতাকর্মিরা নিজেদের অতি আদুরের কলিজার টুকরা সন্তানদের নিয়ে থাকে সবার আগে যা বাংলাদেশের জন্য
অবিশ্বাস যোগ্য হলে ও মিশরের জন্য এটাই বাস্তব এবং অমলিন সত্য কথা ।
মিশরে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের শাহাদত বরণের পরেও সত্যের জয় ছিনিয়ে আনতে বদ্ধ পরিকর ব্রাদারহুডের কর্মিরা।
মিশরের শাহাদাত বরণকারী ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিকে
তাকালে কষ্টে বুকটা ফেঁটে চৌচির হয়ে যাওয়ার মত অবস্হা হয় ।
এর নাম কি গণতন্ত্র!
কিছুতেই তা হতে পারে না,এর নাম শয়তানতন্ত্র যা প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেছে মিশরের নব ফেরাউনদের হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১২৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন