মানবাধিকার আসলে কাদের জন্য ?
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:৪৬:২৭ রাত
মানবাধিকার শব্দটি বিশ্লেষণ করলে দুটি শব্দ পাওয়া যায়
একটি,মানব যার অর্থ মানুষ
অন্যটি,অধিকার।
অর্থাৎ,মানবাধিকার বলতে মানুষ হিসেবে তাঁর মৌলিক অধিকার গুলোকে বুঝায় ।
কিন্তু ,মানুষ হিসেবে আমরা কি সেই অধিকারগুলো পেয়েছি?
এক কথায় বলতে গেলে না,কখনই পাইনি বরং মানবাধিকার কর্মীরা সাধারন জনতাকে অন্ধকারের ধুম্রজালে ফেলেছে বারংবার।
আজ মানবাধিকার সংস্থার প্রধান ড.মিজানুর রহমানের মায়াকান্নার যেন আর শেষ নেই ।
কেন?এ কান্না !
শুধু কি বাবা-মার খুনি ঐশীকে বাঁচাতে নাকি এ জাতীয় সংস্কৃতি তাঁদেরই সৃষ্টি বলে(মাদকাসক্ত) ।
আইনের নামে প্রহসনে তাঁরা নিরব।
আইনের দোহাই দিয়ে মানুষের উপর অমানবিক নির্যাতনে তাঁদের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায় না্ ।
বস্তুত,এখানেই মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কার্যকরী ভূমিকা রাখা প্রয়োজন ।
এরা কি আসলেই মানবাধিকার রক্ষণকারী,নাকি মানবতা লঙ্গনকারী সবার মনে আজ এ প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে ।
তথাকথিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি স্তরে কি ভূমিকা রেখেছে এরা !
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী আপরাধি না হযে শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারণে অভিযুক্ত হলেও তাঁর উপর আনিত অভিযোগ প্রমান না হওয়া সত্বেও তাঁকে ফাঁসির রায় দেয়া হয় ।
এ রায়ের পর ২৮ শে ফেব্রুয়ারি এক জঘন্যতম গণহত্যা চালানো হয় অথচ এরকম একজন কোরআনের খাদেমের জন্য তাঁদের মিটিং মিছিল করা দোষের কিছু ছিল না ।
শুধু এটাই নয়,৫মে গভীর রাতে শাপলা চত্ত্বরে নিরস্হ ইসলামপ্রিয় জনতার উপর ছোড়া হয় হাজার হাজার রাউন্ড বুলেট যাতে অনেক বাবা-মা সন্তাহরা হয় ।
এখানেই শেষ নয়,এমনকি শহীদি ভাইদের লাশগুলো পর্যন্ত তাঁদের বাবা-মা পায়নি ।
ছাত্র-শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের উপর অহেতুক অত্যাচারের স্টিম রোলার চালানো হয় রিমান্ডে দিয়ে যাতে তাঁর শরীরের ৮৫ ভাগ মাংশপেশী অকেজো হয়ে গেছে ।
সত্যের সন্ধানি আমারদেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যে মামলা ,জেল ,রিমান্ড দেয়া ।
এগুলো কি মানবাধিকার লঙ্গন করেনি !
এসময়ে তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে গাঁ ভাসিয়ে বেড়িয়েছি ,মানবাধিকার তখন বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়েছে ।
তখন এরা কাজের কাজ কিছুই করেনি ।
কিন্তু ,এখন একটি মাদকাসক্ত বাবা-মার খুনি মেয়েকে বাঁচাতে বড়ই মরিয়া হয়ে উঠেছে এই মিজান ।
ধর্ষণে সেঞ্চুরি করে মিষ্টি বিতরণ করেন কোন অসুবিধা নেই যদি আ’লীগ সমর্থন করেন ,
দেড়শ ছাত্রীর ইজ্জত নিলামে উঠিয়ে বাজারে বিক্রি করেন কোন সমস্যা নেই যদি আ’লীগ সমর্থন করেন ।
কারণ,এদেরকে প্রোটেক্ট দেয়ার জন্য মানবাধিকার মিজান,সুলতানা কামাল সদা প্রস্তুত ।
মাহমুদুর রহমান বলেছিলেন, মুসলমানদের জন্য মানবাধিকার থাকতে নেই ।
আমি আর একটি যোগ করলাম ভাল মানুষদের জন্য ও মানবাধিকার থাকতে নেই ।
মানবাধিকার খুনি ,ধর্ষকদের জন্য ।
বিষয়: বিবিধ
১১৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন