অপরের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া যতটা আনন্দের বিষয় ,নিজের মধ্যে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখা ততটাই পরিতাপের বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ২৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:০৪:৪০ সন্ধ্যা
পৃথিবীতে বসবাস রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ।
কিন্তু সব প্রজাতি এক নয় ।
এক এক প্রজাতি এক এক রকম ।
এদের খাদ্যাভাস ,চাল-চলনে রযেছে দারুণ ভিন্নতা ।
এছাড়া বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে যাচ্ছেন নাম না জানা অগণিত প্রাণির জীবন ধারা ।
কিন্তু এসব কিছুর মালিক একজন তিনি হলেন মহান রাব্বুল আল-আমিন যিনি সবজান্তা,মহাবৈজ্ঞানিক যার উপরে কেউ নেই এবং তিনিই কেবলমাত্র সকল ক্ষমতার অধিকারি ।
এই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে "আশরাফুল মাকলুকাত" অর্থাৎ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে প্রেরণ করেছেন ।
এ প্রেরণ শুধু কি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য ?,কখনই তা হতে পারে না্।
আল্লাহ আমাদেরকে যেমন সৃষ্টির সেরা জাতি হিসেবে পাঠিয়েছেন ঠিক তেমনভাবে আমাদেরকেও সেই শ্রেষ্টত্বের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে হবে ।
কিন্তু এই মর্যাদা বজায় রাখা কেবলমাত্র বড় বড় ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমেই নিহিত নয় ।
দুনিয়াতে আসলাম আর গেলাম,সদা নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকলাম এর মধ্যে কোন সার্থকতা খুঁজে পাওয়া নিতান্তই মূর্খতার পরিচয় ।
শিক্ষাও মনুষ্যত্ব অর্জনের মাধ্যমে মানুষ নামের যোগ্য হতে হবে ।
জাগ্রত করতে হবে জ্ঞানকে,
জাগ্রত করতে হবে বিবেক,বুদ্ধিকে ।
ধর্মের আলোয় আলোকিত করতে হবে নিজেকে তথা সমাজকে।
অপর কে সাহায্য সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
আমাদের মনে রাখতে হবে-
"সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে ।"
অপরকে সাহায্য করা,অপরের সুখে-দুঃখে,হাসি-কান্না,আনন্দ-বেদনার সাথী হওয়াই প্রকৃত মানবের কাজ আর এর মাধ্যমেই খুঁজে পাওয়া যয় প্রকৃত জীবন ব্যবস্থা যার আরেক নাম সার্থকতা।
অপরের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়া যতটা আনন্দের বিষয় ,নিজের মধ্যে নিজেকে গুঁটিয়ে রাখা ততটাই পরিতাপের বিষয়।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবন চিত্র পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায় তিনি সর্বদা নিজের জীবনটাকে ও অন্যের জন্য দিতে সর্বদা প্রস্তুত ছিলেন ।
তাঁর চরিত্রের মাধুর্যতায় শত্রু মিত্রতে
পরিণত হওয়ার হাজারও উদাহরণ লক্ষ্যণীয় ।
তিনি যেভাবে চলেছেন যে পথে চলেছেন তা আমাদের জীবন চলার একমাত্র পাথেয় হওয়া উচিত ।
বিশ্বে যত মহান ব্যক্তিবর্গ ছিলেন তাঁদের সকলেই নিজেকে নিয়ে ভাবার থেকে অন্যকে নিয়েই ভেবেছেন অনেক বেশিমাত্রায়।
জীবন খুবই সীমিত সময়ের জন্য তাই এমন কিছু করা উচিত যাতে মানুষ যুগ যুগ ধরে মনে রাখে ।
আমাদের স্মরণ রাখতে হবে -মহান আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিন আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন তাঁর ইবাদত করতে,তাঁর মনোনিত ধর্মের সেবা করতে,তাঁর সৃষ্টি সকল জীব কুলদের প্রতি দয়া দেখাতে ।
মনে রাখতে জীবন সারা জীবনের জন্য অমর হয়ে আসে নি ।
মনে রাখতে হবে প্রত্যেকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে স্বয়ং আজরাইল (আঃ) কে যিনি আল্লাহর হুকুমে সবার জান নিয়ে থাকেন তিনিও এ মৃত্যু থেকে রেহাই পাবেন না ।
তাই শুধু পৃথিবীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ না হয়ে,এখানকার শান্তির জন্য ব্যস্ত না হয়ে সর্বদা আখিরাতের কথা চিন্তা করে পথ চলতে হবে ।
ভুবন যেমন সৃষ্টি হয়েছে একদিন তা শেষ ও হয়ে যাবে ।
কিন্তু মৃত্যুর পর এমন জীবনআসবে যার শুরু আছে শেষ নেই ।
ওই জীবনটা প্রত্যেককে মোকাবিলা করওেত হবে।
আল্লাহর কথা অনুযায়ী পথ চললে কোন কঠিন বিপদের সম্মুখীন হতে হয় না যদিও হতেও হয় মহান আল্লাহ তাআলাই তার সমাধান করে দেন ।
আল্লাহ তাআলা অসীম ক্ষমতার মালিক তিনি পারেন না এমন কিছু নেই ।
কিন্তু বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে দুনিয়ার মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যারা ইসলামকে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যাচ্ছে ,ইসলামকে ধ্বংসের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে ।
তাই আমাদের সকলের উচিত এদেরকে রুখে দেয়া এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ।ইসলাম শান্তির ধর্ম ।
আর এ শান্তি রক্ষার্থে মুসলমান জাতিকে বদ্ধ পরিকর হতে হবে,তবেই শান্তি বহাল থাকবে ।
আল্লাহ তাআলা ,নবী রাসূল গণ যা বলেছেন তা বিকৃত করে নয় বরং তাকে সম্মানের সাথে পালন করে মানুষকে পালন করতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে তবেই শ্রেষ্ট জাতি হওয়ার সার্থকতা প্রতীয়মান হবে ।
ইনশাহ্ আল্লাহ্ ।
বিষয়: সাহিত্য
৯৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন