১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট গণতন্ত্রের পুনর্জন্ম ।
লিখেছেন লিখেছেন শারমিন হক ১৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৫০:০৯ সন্ধ্যা
সালাম জানাই সেইসব বীরদের যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাকশালি সরকারের হাত থেকে দেশকে মুক্তি করে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন ।
১৯৭১ সালে ৯মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম হয় ।
৩০ লক্ষ প্রাণের ত্যাগ ও ১লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে বাংলার মানুষ খুঁজে পেতে চেয়েছিল একটি স্বাধীন স্বার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র যেখানে থাকবে না কোন
হানাহানি ,মারামারি ,দুঃশাসন,লুটতরাজ,রাহাজানি,
খুন, ধর্ষণসহ এরকম ঘৃণিত সভ্যসমাজ বিরোধী কার্যকলাপ ।
শেখ মুজিব একজন ভাল নেতা ছিল একথা যেমন সত্য ঠিক একইভাবে সে যে একজন বিশ্বাসঘাতক,স্বার্থলোভী দুঃশাসক ছিল তাও তেমন সত্য ।
দেশের জন্য
সে যেমন মঙ্গল আনায়ন করেছিল,
তেমন অমঙ্গল ও কম করে নি বরং অমঙ্গলটাই বেশি করেছিল ।
যার ফলশ্রুতিতে গোটা পরিবারকে নিজ বাড়িতে নিহত হতে হয়েছিল ।
এখানেই শেষ নয়,
তাঁর মৃত্যুতে বাংলার শান্তিপ্রিয় জনতা মিষ্টি খেতেও এতটুকু দ্বিধা করে নি ।
অথচ দেশ স্বাধীন হবার পরে
এই শেখ মুজিবকে মানুষ ভালবেসে,বিশ্বাস করে দেশকে সঠিকভাবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে দেশের সমস্ত দায়িত্ব তাঁর হাতে তুলে দিয়েছিল ।
কিন্তু সে পারে নি মানুষের
সেই আশা আকাঙ্খা,
সেই অমলিন সত্য ,
সুন্দর স্বপ্নকে পূরণ করতে ।
সে পেরেছিল-
বাকশালি ক্ষমতা কায়েম করার সকল পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে,
গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করতে,
সত্য প্রকাশের ক্ষেত্রে প্রচারিত গণমা্ধ্যম সমূহকে বাকরুদ্ধ করতে,
মানুষকে দ্বিধাহীনভাবে হত্যা করার মত প্রহসনমূলক কাজসহ নিরীহ জনতার উপর অত্যাচারের স্টিম রোলার চালাতে ।
তাইতো দিবালোকের আলোয় সিরাজ সিকদারকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করার পরও সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভের সাথে বলেছিল আজ সিরাজ সিকদার কোথায় ?
মানুষ তা মনে রেখেছিল বলেই তাঁর(মুজিব) মৃত্যুর পর আনন্দ মিছিল করেছিল ।
বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সবই ছিল তাঁর নিয়ন্ত্রণে ঠিক বর্তমান সরকার ব্যবস্থার মত ।
দেশ ছিল তখন দুরভিক্ষে পরিপূর্ণ অথচ শেখ কামালকে ঘটা করে বিয়ে দিতে সামান্যতম ভুল করে নি শেখ মুজিব ।
ছেলের বিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক ,
এতে মানুষের বলার কি আছে তা বটে;কিন্তু ঐ বিয়েটা যেরকম জাঁকজমক পূর্ণ হয়েছে
তখনকার সময়ে দেশ তার জন্য প্রস্তুত ছিল না ।
মানুষ যেখানে না খেয়ে মারা যাচ্ছে,
সেখানে এতটা জাঁকজমক পূর্ণ বিয়ে মানুষের মনকে আরো বিষিয়ে তুলেছিল ।
সে যে সুশাসনের বদলে দুঃশাসন করেছিল
তাঁর জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত তাঁর ছেলে শেখ কামালের ব্যাংক ডাকাতি করেও পার পেয়ে যাওয়া,
শুধু তাই নয় তাঁর দুশ্চরিত্রা লম্পট ছেলের বিচার না করা ও আর একটি বড় প্রমাণ ।
যেই জনগণ তাঁকে ক্ষমতার মসনদে বসিয়েছিল ,
সেই জনগণেকেই সে ধীরে ধীরে পিঁপীলিকার থেকেও অধম ভাবতে শুরু করেছিল ।
ঠিক এসময়ে বাংলার কিছু কৃতী সন্তান শক্ত হাতে অসীম সাহসিকতার সাথে এই দুঃশাসককে পরাস্ত করেন এবং বাংলার মাটিতে পুনরায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হন ।
আমার প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই ঐসব কৃতী ভাইদের যারা জালিম সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল ।
অবসান ঘটল বাকশালি ক্ষমতার,
পাপ বাপকেও ছাড়েও এই প্রবাদটির সত্যতা কাঁটায় কাঁটায় মিলে গিয়েছিল ১৯৭৫ সালের এ দিনটিতে ।
কিন্তু ভাগ্যক্রমে,তাঁরই ঔরসজাত দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যায় যার যন্ত্রনায় দেশ আজ বিধস্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে এবং মানুষ হয়েছে বিহ্বল ।
দেশের মানুষ আজ হাঁড়ে হাঁড়ে টের পাচ্ছে এবং বুঝতেছে কেন শেখ মুজিবকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল !
বিষয়: বিবিধ
১২৯৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন