মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহন করে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে নেয়া এবং মানুষেরই মনগড়া আইনের আনুগত্য স্বীকারের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়া চরম বিভ্রান্তি ও মারাত্মক ভুল। আমীর, ইসলামী সমাজ।
লিখেছেন লিখেছেন আকবার১ ০৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৭:২৮:০৭ সন্ধ্যা
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতল্লাহ্!
আঊযুবিল্লাহি মিনাশ্-শাইত্বনির রাজীম, বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম।
সম্মানিত সাংবাদিক বন্ধুগণ!
শুরুতেই ঘোষণা করছি সকল প্রশংসা সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর জন্য এবং দুরুদ ও সালাম পেশ করছি বিশ্ব মানবতার মুক্তির দূত আল্লাহর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা এর উপর এবং শান্তি বর্ষিত হোক তাঁর সকল অনুসারীদের উপর। আর সকল মানুষের জন্য কল্যাণ ও শান্তির দোয়া করছি মহান সার্বভৌম মালিক আল্লাহর নিকট।
সম্মানিত বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ!
আপনারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত হওয়ার কারণে দেশ ও জাতির কল্যাণ, শান্তি, উন্নয়ণ ও অগ্রগতিতে আপনাদের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ভূমিকা অপরিসীম। কাজেই আপনারা স্ব স্ব প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যমের সাহায্যে দেশ ও জাতির সার্বিক কল্যাণে “সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল নেতৃত্ব এবং ক্ষমতা ও অর্থলোভী নেতাদের অপরাজনীতির কারণে দেশ ও জাতি গভীর সংকটে নিমজ্জিত, সংকট উত্তরণে করণীয়” এ বিষয়ে আমাদের উপস্থাপিত সুস্পষ্ট বক্তব্য দেশবাসীর সামনে যথাযথভাবে তুলে ধরবেন এবং আপনারাও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন, এ প্রত্যাশাই আমরা ব্যক্ত করছি।
সম্মানিত বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ এবং প্রিয় দেশবাসী ভাই ও বোনেরা,
সুশাসন, ন্যায় বিচার ও শোষণমুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছর পরও দেশের মানুষের জীবনে আজ পর্যন্ত সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, সমাজ হয়নি শোষণ মুক্ত, মানবাধিকার হচ্ছে ভূলুন্ঠিত এবং সন্ত্রাস ও দূর্নীতি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত জাতির মানুষ আজ বিভিন্ন ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে মানবতা ও মনুষত্ব হারিয়ে হিংস্রতা, পশুত্ব ও প্রতিহিংসায় মেতে উঠেছে।
প্রচলিত রাজনৈতিক দল ও ইসলামের নামে গঠিত দল সমূহের নেতৃবৃন্দের পাল্টা-পাল্টি উগ্র বক্তব্য ও কর্মসূচী প্রদানের প্রেক্ষিতে জাতির মানুষ ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের মুখোমুখী। গণতন্ত্র রক্ষার নামে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষে দেশে গঠিত ১৪ দলীয় জোট ও ১৮ দলীয় জোট তাদের সহযোগীদের সাথে নিয়ে দেশবাসীকে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে। গণতন্ত্র রক্ষা ও জনগণের কল্যাণের দোহাই দিয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় নেতৃত্ব পরিবর্তনে নির্বাচন ও নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে পরষ্পর বিরোধী দুটো জোট দেশবাসীর জান ও মাল নিয়ে ছিনি-মিনি খেলা শুরু করেছে। বিভিন্ন রকম জনদুর্ভোগ মূলক কর্মকান্ড ও কর্মসূচী প্রদানের মাধ্যমে যান-বাহনে অগ্নিসংযোগ করে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা সহ বিভিন্ন শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর আক্রমন, অগ্নিসংযোগ করে পুরো দেশ জুড়ে নৈরাজ্য ও সংঘাতময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। ফলে ব্যবসা-বানিজ্য, মানুষের কর্ম উদ্দীপনা, উন্নয়ণ ও অগ্রগতি সবই মুখ থুবরে পড়ছে এবং শিক্ষাঙ্গণ সহ দেশের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের জীবনে দেখা দিয়েছে চরম অস্থিরতা ও হতাশা এবং দেশবাসী বহুবিধ সমস্যায় জড়িয়ে আতংকিত ও দিশেহারা।
রাজনীতির নামে গঠিত দল ও জোট সমূহের উগ্র, জনদুর্ভোগ ও উস্কানি মূলক কর্মকান্ড ও কর্মসূচী, সরকারের দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা ও উগ্রতা এবং প্রশাসনের যথাযথ দায়িত্ব পালনে দায়িত্বহীনতা ও অক্ষমতার কারণে দেশের মানুষের জান, মাল ইজ্জত ও ধর্ম পালনের নেই কোন নিরাপত্তা। বিভিন্ন ইসলামী দল সমূহের ইসলামের নামে উগ্রতা, জঙ্গী তৎপরতা ও নৈরাজ্যমূলক অপতৎপরতার কারণে ইসলাম নিয়েও চলছে বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তি। এসব কারণে মানুষের ধর্ম ও জান-মালের ক্ষতি সাধনসহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গীতৎপরতা, চাঁদাবাজী, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি, হত্যা, ধর্ষণ, গুম, খুন ও বিভিন্ন রকম অন্যায়, অপকর্ম ও অপতৎপরতা পুরো জাতিকে গ্রাস করে ফেলেছে। দেশ ও জাতি আজ গভীর সংকটে নিমজ্জিত!
সম্মানিত বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ ও প্রিয় দেশবাসী,
কেন দেশে আজ এ গভীর সংকট? কেন অরাজক ও নৈরাজ্যময় অবস্থা দেশে বিরাজ করছে? দেশের এহেন নাজুক পরিস্থিতিতে চুপ থেকে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালনের কোন সুযোগ নেই। দেশ ও জাতির বর্তমান ভয়াবহ ও সংকটময় পরিস্থিতি উপলব্ধি করে দেশ ও জাতির কল্যাণে আমাদেরকে গুরুত্বসহ যথাযথ দায়িত্ব পালন করতেই হবে। তাই আমরা আপনাদের এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশায় নিয়োজিত দেশবাসী সকল ভাই ও বোনদের উদ্দেশ্যে সুস্পষ্টভাবে বলছি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ভুল নেতৃত্ব এবং ক্ষমতা ও অর্থলোভী দূর্নীতিপরায়ণ নেতাদের অপরাজনীতির কারণেই দেশ জুড়ে অরাজক ও নৈরাজ্যময় অবস্থা বিরাজ করছে এবং দেশ ও জাতি গভীর সংকটে নিমজ্জিত হয়ে ধ্বংসের মুখোমুখী।
সম্মানিত বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ ও প্রিয় দেশবাসী,
সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা গ্রহন করে মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মেনে নেয়া এবং মানুষেরই মনগড়া আইনের আনুগত্য স্বীকারের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেয়া চরম বিভ্রান্তি ও মারাত্মক ভুল। দেশ স্বাধীনের আগে এবং পরেও সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচলানায় মানুষের সার্বভৌমত্ব ভিত্তিক মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত ছিল, এখনও তাই আছে।
অথচ সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর প্রতিনিধি হিসাবে আমাদের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে তাঁরই সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের প্রতিনিধিত্ব করা এবং এরই ভিত্তিতে সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির মানুষদেরকে পরিচলনা করা।
মানুষের জীবনে কল্যাণ ও শান্তির প্রয়োজনেই সমাজ ও রাষ্ট্র। আর এজন্য সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচলনায় দরকার কল্যাণকর রাজনীতি। রাজনীতির মূল বিষয় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব। “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর”- এটাই মহা সত্য, এটাই আল্লাহর প্রতি ঈমান এবং এটাই মানব জাতির জন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলামের মূল বিষয়। সুতরাং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ প্রদত্ত জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম”ই একমাত্র কল্যাণকর রাজনৈতিক বিধান, যার অধীনে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন পালনের পরিপূর্ণ সুযোগ এবং সকল মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন, শোষণমুক্ত অর্থনীতি এবং সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার ব্যবস্থা নিহীত রয়েছে।
বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ ও প্রিয় দেশবাসী ভাই ও বোনেরা,
সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানুষের মেনে নেয়ার অর্থই হচ্ছে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে চরম বিদ্রোহ, যা মূলতঃ র্শিকে আকবার এবং মারাত্মক কুফরী ও ক্ষমার অযোগ্য মহা অপরাধ। এটাই দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের মূল উৎস এবং আল্লাহর ক্রোধ বৃদ্ধির কারণ। “সার্বভৌমত্ব মানুষের” এই মহা মিথ্যার ভিত্তিতে মানুষেরই মনগড়া আইন-বিধান দ্বারা মানুষ যখন তাদের সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন ও পরিচালনা করে তখনি তাদের এ কর্মের কারণে তাদের উপর আল্লাহর বিশেষ রহমতের পরিবর্তে তাঁরই আযাব-গযব অবতীর্ণ হতে থাকে এবং গযবের মাত্রা ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পেয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।
অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, এসিডবৃষ্টি, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছাস, ভূমিকম্প, ভূমিধ্বস ইত্যাদি এবং অর্থ-সম্পদ ও ক্ষমতার মোহে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে মানুষে মানুষে দলাদলি, জোট গঠন, দ্বন্দ্ব, সংঘাত, সংঘর্ষ ও প্রতিহিংসা এসবই মূলতঃ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সাথে বিদ্রোহ, আল্লাহর চরম অবাধ্যতা ও আল্লাহর সাথে শির্কের কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গযব। সুতরাং সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব এবং মানব রচিত ব্যবস্থা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের আযাব-গযবের পথ। এ পথে সুশাসন ও ন্যায় বিচার, শোষণমুক্ত অর্থনীতি এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না, হওয়া সম্ভবও না। তাই মানুষের সার্বভৌমত্ব ও মানব রচিত ব্যবস্থাকে রাজনীতি বলার কোন সুযোগ নেই।
আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে যারা রাষ্ট্রীয় শাসন ক্ষমতায় ছিলেন এবং বর্তমানে যারা আছেন সকলেই মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে থেকে মানব রচিত আইন-বিধান দ্বারাই সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন এবং এখনও করছেন। ক্ষমতাসীন সকলেই রাজনীতি ও জনগণের কল্যাণের নামে, ব্যাক্তি, পরিবার ও দলের স্বার্থে দেশের অর্থ সম্পদ লুট এবং সাধারণ জনগণকে শোষণ করে নিজেরা প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক বনেছেন এবং ক্ষমতা ও অর্থের লোভে দেশবাসীকে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছেন, বিভিন্ন কৃত্রিম ইস্যু সৃষ্টি করে উগ্র বক্তব্য ও কর্মসূচী প্রদানের মাধ্যমে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দেশবাসীকে গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছেন। এসবই ভুল নেতৃত্ব এবং ক্ষমতা ও অর্থলোভী নেতাদের রাজনীতির নামে অপরাজনীতি। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচলনায় ভুল নেতৃত্ব এবং অর্থ ও ক্ষমতালোভী নেতাদের অপরাজনীতি প্রতিষ্ঠিত রেখে জাতীয় জীবনে সংকট উত্তরণ সম্ভব নয়।
সম্মানিত বিজ্ঞ সাংবাদিক বন্ধুগণ ও প্রিয় দেশবাসী,
দেশে বিদ্যমান ও চলমান সংকট থেকে দেশ ও জাতির মানুষের উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে- সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর”- এ মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠন করে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় আল্লাহ্ প্রদত্ত কল্যাণকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষের মাঝে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে সকল মানুষের সকল অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ করা। একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” এর আইন-বিধান দ্বারা গঠিত ও পরিচালিত রাষ্ট্রই মূলতঃ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য একমাত্র কল্যাণকর রাষ্ট্র। সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে গঠিত সরকার আল্লাহর আইন-বিধান দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করলেই সকল মানুষ তাদের সকল অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারবে এবং প্রত্যেক মানুষই নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন স্বাধীনভাবে পালন করতে পারবে। সকল মানুষের জীবনে সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। মানুষের মাঝে সকল বৈষম্য দূর হয়ে সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশ ও জাতির অর্থনৈতিকসহ সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
সুতরাং দেশে চলমান সংকট থেকে উত্তরণে জাতির মানুষের একমাত্র করণীয়:
০১. সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের পরিবর্তে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব মানার ঘোষণা করতে হবে।
০২. মানব রচিত আইন-বিধানের পরিবর্তে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধানের আনুগত্য করার অঙ্গীকার করতে হবে।
০৩. মানব রচিত ব্যবস্থার ধারক-বাহক নেতৃত্বের আনুগত্য ত্যাগ করে আল্লাহর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর শর্তহীন আনুগত্য-অনুসরণ ও অনুকরণ করার অঙ্গীকার করতে হবে।
০৪. ইসলাম-এর পথে চলা এবং আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণে, তাঁরই প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা’র নেতৃত্বে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ব জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং এ পথে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র ও বাঁধার মুকাবিলার দায়িত্ব সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়ে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে দৃঢ় থেকে তাঁরই উপর পূর্ণ নির্ভর করতে হবে। নিয়মিত ছালাত এবং অহির প্রশিক্ষনের মাধ্যমে ঈমান, চরিত্র ও আমলের উন্নতি সাধন করতে হবে।
এ চারটি বিষয় গ্রহন এবং অর্থ ও সময় ব্যয়ের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার আন্তরিক চূড়ান্ত চেষ্টার প্রেক্ষিতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের বিশেষ রহমত ও সাহায্যে ভুল নেতৃত্ব এবং অপরাজনীতির রাহুগ্রাস থেকে জাতি মুক্তিলাভ করবে এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্ব সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত হবে। আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতিনিধিত্বকারী নেতার নেতৃত্বে কল্যাণ ও শান্তির পথে পরিচালিত হওয়ার মাধ্যমে দেশ ও জাতি সংকট মুক্ত হবে।
এ লক্ষেই “ইসলামী সমাজ” সকল মানুষের সার্বিক কল্যাণে “মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর” এ মহা সত্যের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রে আল্লাহ প্রদত্ত কল্যাণকর একমাত্র জীবন ব্যবস্থা “ইসলাম” প্রতিষ্ঠার আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাই আপনাদের সকলের প্রতি আন্তরিক ও উদাত্ত আহ্বান- আসুন, দলমত নির্বিশেষে আমরা সকলে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হই এবং নিজের, জাতির ও মানবতার কল্যাণে দেশ ও জাতিকে সংকট মুক্ত করার লক্ষে “ইসলামী সমাজ” এ শামিল হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ‘ইসলাম’ প্রতিষ্ঠার নৈতিক, মানবিক ও ঈমানী দায়িত্ব পালন করি।
সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সর্বশক্তিমান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই আমাদের একমাত্র সহায়
বিষয়: বিবিধ
১৩৪৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ভালো লাগলো / ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন