দেশের শীর্ষ দুই নেত্রী জাতির মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। আমীর, ইসলামী সমাজ।
লিখেছেন লিখেছেন আকবার১ ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:৪৮:০৫ রাত
ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ক্ষমতার মোহে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার নামে দেশের শীর্ষ দুই নেত্রী জাতির মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসার আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধ, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ইত্যাদি ইস্যুতে জাতি আজ দুই শিবিরে বিভক্ত হয়ে ভয়াবহ সংঘাত ও সংঘর্ষের মুখোমুখী। তিনি বলেন, মানুষের সার্বভৌমত্বের অধীনে দেশে গঠিত প্রচলিত ইসলামী দলসমূহ আল্লাহর সার্বভৌমত্বের সাথে শিরক করে ভূল পথে পরিচালিত বিধায় জাতির মানুষকে সঠিক পথের দিক নির্দেশনা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ ও জাতির এ নাজুক পরিস্থিতিতে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে সকল ধর্মের লোকদের জন্য যার যার ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার সুযোগ রেখে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করা।
ইসলামী সমাজের আমীর হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেন, দুর্নীতি-সন্ত্রাস, উগ্রতা, জঙ্গীতৎপরতা, হরতাল, নৈরাজ্য এবং জনগণের জান-মালের ক্ষতি সাধন মূলক কার্যকলাপ ইসলাম বিরোধী অপতৎপরতা বিধায় এ সবের বিরুদ্ধে “ইসলামী সমাজ” এর নেতা ও কর্মীদের দৃঢ় অবস্থান। আজ এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইসলামী সমাজ” দেশ ও জাতির কল্যাণে এবং আখেরাতে মুক্তির লক্ষ্যে একমাত্র আল্লাহর সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর প্রদর্শিত পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীর মাধ্যমে ছবর ও ক্ষমার নীতিতে অটল থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর আইন-বিধান প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শীর্ষ দুই নেত্রীসহ দেশবাসী সকলকে তিনি সংঘাত ও সংঘর্ষের পথ পরিত্যাগ করে এ মহতি প্রচেষ্টায় শামিল হওয়ার আহবান জানান।
বিষয়: বিবিধ
৯২৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এদের সাথে তো ইসলামের নামধারী তথাকথিত দলগুলোও যোগ দিয়েছিল !
বাংলাদেশের মানুষ যে এদের দ্বারাই শাসিত হতে চায় তা তো আমরা ২০০৭-২০০৮ এই দেখেছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন