আইএসআইএসের সৃষ্টি ও এর বিস্ময়কর উত্থান নিয়ে আজ দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় চলছে।

লিখেছেন লিখেছেন আকবার১ ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৫, ১১:৫০:২২ রাত

আইএসআইএসের সৃষ্টি ও এর বিস্ময়কর উত্থান নিয়ে আজ দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় চলছে। পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সারা বিশ্বে যত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নেটওয়ার্কের সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার ও তা বজায় রাখার জন্য এবং তার ভূ-রাজনৈতিক কৌশল হাসিলের জন্যই মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন নেটওয়ার্কের জন্ম দিয়ে থাকে। এসব নেটওয়ার্কের কর্মকা- যখন সকল মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন তা নির্মূলের নামে দেশে দেশে সামরিক হস্তক্ষেপসহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী তার আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে এ ধরনের নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করা। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা হচ্ছে ‘সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে’। আবার অনেক সময় মার্কিন নৃশংসতার পাল্টা অভিঘাত হিসেবেও বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠনের জন্ম হয়। আইএসআই সৃষ্টির পেছনে যে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে তা আজ খুবই স্পষ্ট। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর আগে নানা সংবাদ বেরিয়েছে। আইএসআইএস সৃষ্টিতে মার্কিন নৃশংসতা সরাসরি ভূমিকা রেখেছে Ñ এক মার্কিন সেনাও আজ সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন। সাবেক মার্কিন মেরিন সেনা ভিনসেন্ট ইমানুয়েল স্বীকার করেছেন, তারাই আইএসআইএস সৃষ্টিতে সাহায্য করেছেন। ইরাক যুদ্ধফেরত সাবেক মেরিন সেনা ইমানুয়েল মার্কিন সেনাদের নিষ্ঠুরতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকা- সম্পর্কে খোলাখুলি কথা বলেছেন। যুদ্ধের সময় ইমানুয়েল ও তার সহযোদ্ধারা ইরাকে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, মার্কিন নীতিই মধ্যপ্রাচ্যের ভয়াবহ অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি সৃষ্টির মূল। সাবেক মেরিন সেনা ইমানুয়েল এক নিবন্ধে আইএসআইএসের নিষ্ঠুরতায় নিজের দায় খোলাখুলি স্বীকার করেছেন। নিবন্ধটি ‘টেলএসইউআর’ নামে এক ওয়েবসাইটে পোস্ট করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, তার এই নিবন্ধ আইএসআইএস সৃষ্টি সম্পর্কে মানুষের হাজারো প্রশ্নের উত্তর পেতে সাহায্য করবে। ২০০৩-০৫ সময়কালে ইরাকে মার্কিন সপ্তম মেরিনের ফার্স্ট ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন ইমানুয়েল। নিবন্ধে তিনি বলেন, এই যুদ্ধের অভিঘাত কেমন হবে তিনি তা তেমন জানতেন না। তবে এটা তিনি স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন, এর পাল্টা অভিঘাতের পরিণাম হবে ভয়াবহ যা আজ সারা বিশ্ব হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছে। বিশেষ করে ইরাক, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, লিবিয়া, মিসর, লেবানন, সিরিয়া, ফ্রান্স, তিউনিসিয়া, ক্যালিফোর্নিয়া ও অন্যান্য স্থানে আজ যে ভয়াবহ সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হামলার ঘটনা পৃথিবী প্রত্যক্ষ করছে তার পেছনের পটভূমিতে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূরাজনৈতিক কৌশলেরই পরিণতি। আর এ ধরনের হামলা বন্ধের কোনো আলামতই আজ দেখা যাচ্ছে না।ইমানুয়েল বলেন, দ্বিতীয়বার ইরাকে অবস্থানের সময় তিনি ভবিষ্যৎ ভয়াবহ পরিণাম সম্পর্কে আঁচ করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, এ সময় ইরাকে তিনি তার মেরিন সহযোদ্ধাদের নির্বিচারে নিরীহ লোকদের হত্যা, নিরপরাধ বেসামরিক লোকদের অমানুষিক নির্যাতন, সহায়-সম্পদ ধ্বংস, নিহত ব্যক্তিদের লাশ বিকৃত করা ও লাশের স্তূপ দেখেছেন। এসব নিষ্ঠুরতা চালানোর সময় অনেক মেরিন সেনা হাসিমুখে ছবিও তুলেছে। ইমানুয়েল বলেন, মার্কিন মেরিন সেনাদের কাছে এসব ঘটনা ছিল খুবই সাধারণ ব্যাপার। মার্কিন মেরিন সেনারা ইরাকের ঐতিহাসিক শহর ম্যাসোপোটিমিয়াকে কেমন করে ভাগাড়ে পরিণত করেছিল ইমানুয়েল নিবন্ধে তাও বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, তাদের হামভি যান থেকে নির্বিচারে বর্জ্য নিক্ষেপ করে ঐতিহাসিক স্থানটিকে ভাগাড়ে পরিণত করা হয়। এসব বর্জ্যরে মধ্যে ছিল অনেক বয়স্ক ও শিশুর লাশ যাদের খেলার ছলেই হয়তো হত্যা করা হয়েছে, ছিল প্র¯্রাবে ভরা অসংখ্য বোতল, ইটপাথরের ধ্বংসাবশেষ ও অন্যান্য ময়লা-আবর্জনা। নিবন্ধে ইমানুয়েল তার সহযোদ্ধাদের কৃত অনেক নির্যাতনের কাহিনীও স্মরণ করেন। তার সহযোগী মেরিন সেনারা বন্দিশিবিরে নির্বিচারে বেসামরিক লোকদের ওপর নির্যাতন চালাত। ইমানুয়েল বলেন, মেরিন সেনারা বন্দি ইরাকি পুরুষদের একে-অপরের সঙ্গে যৌন ক্রিয়া চালাতেও বাধ্য করত। কোনো বন্দি অস্বীকৃতি জানালে তার ওপর এমন নির্মম নির্যাতন চালানো হতো যা বর্ণনারও অতীত।কুখ্যাত আবু গারিব কারাগারে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন চালানো হতো। ২০০৩ সালে আবু গারিব কারাগারে এ ধরনের নির্যাতন চরম মাত্রায় পৌঁছায়। এসব ভয়াবহ নির্যাতনের কাহিনী প্রকাশ পেলে সারাবিশ্ব স্তম্ভিত হয় এবং অ্যামনেস্টি ইন্টান্যাশনালের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটি ইরাকজুড়ে বিভিন্ন কারাগার ও অস্থায়ী বন্দিশিবিরে মার্কিন সেনা ও তার পশ্চিমা জোটের সেনাদের পরিচালিত মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের নানা ঘটনার রিপোর্ট প্রকাশ করে। আইএসআইএস সম্পর্কে ইমানুয়েল লেখেন, মার্কিন সেনাদের হাতে বন্দিদের মধ্যে যারা বেঁচে গেছেন, তাদের মধ্যে ছিলেন আবু বাকার আল-বাগদাদি যিনি এখন ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ইসলামিক স্টেট যা এখন নামে আইএস নামে পরিচিত। আইএসআইএস বা আইএসআইএল নামেও এই নেটওয়ার্ক পরিচিত।ইমানুয়েল তার নিবন্ধে বলেন, ইরাকে দ্বিতীয়বার অবস্থানের সময় তিনি পরিবারের সদস্য, বন্ধু ও যুদ্ধবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িত লোকজন এবং হাওয়ার্ডজিন, নোয়াম চমস্কি ও এমি গুডম্যানের মতো বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে কথা বলার মাধ্যমে নিজেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেন। ভ্যাটারান্স ফর পিস, ইরাক ভ্যাটারান্স এগেইনস্ট ওয়ার, ভিয়েতনাম ভ্যাটারান্স এগেইনস্ট ওয়ারের মতো সংগঠনগুলোর কার্যক্রম সম্পর্কে জানার মাধ্যমে ইমানুয়েল নিজেকে আলোকিত করে তোলেন। নতুন এই উপলব্ধিই তাকে তার তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে উদ্বুদ্ধ করেছে।ইমানুয়েল বলেন, ইরাকে অবস্থানকালে তিনি যা দেখেছেন তা ছিল ভুল। তিনি জানতেন সেগুলো ছিল অস্বাভাবিক এবং অন্যায়, অবিচার, অবৈধ ও অনৈতিক। তিনি বলেন, তবে এটা তিনি জানতেন যে একদিন এর জন্য তাদেরও মূল্য দিতে হবে। পাল্টা অভিঘাতের মধ্যদিয়ে তাদের মূল্য পরিশোধ করতে হবে যা আজ আইএসআইএসের মতো গ্রুপগুলোর কর্মকা-ের মাধ্যমে বিশ্ববাসী প্রত্যক্ষ করছে। তিনি বলেন, এখন যা ঘটছে তা মার্কিন নৃশংস ঘটনারই প্রতিক্রিয়া মাত্র।তিনি বলেন, ইরাকে যা ঘটেছে তার সঙ্গে তিনি ছিলেন এবং তিনি এটাও জানেন যে যুদ্ধ হচ্ছে মার্কিন আগ্রাসনের দীর্ঘ ইতিহাসেরই অংশ। এটা কেবল ইরাক, আফগানিস্তান, ভিয়েতনাম বা কোরিয়া যুদ্ধ নয়। মার্কিন ইতিহাস তার চেয়েও অনেক পুরনো। নিজ দেশে নেটিভ আমেরিকান, আফ্রিকান-আমেরিকান দাস এবং দক্ষিণ ও ল্যাটিন আমেরিকার লোকদের ওপরও এ ধরনের গণহত্যা চালানোর ইতিহাস আমরা জানি।ইমানুয়েল আশা প্রকাশ করেন, তার এই নিবন্ধ মানুষের উপলব্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজ দেশে কী করছে এবং সারাবিশ্বে কী করছে তা জানতে মানুষকে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, মানুষের বিবেকবোধ জাগিয়ে তোলাও তার এই নিবন্ধ প্রকাশের উদ্দেশ্য।তিনি বলেন, আমি যা লিখছি তাতে অনেক কিছু রয়েছে। অনেক চিন্তার খোরাক রয়েছে। এ ব্যাপারে আমার নিজের অনেক ভাবনা রয়েছে। আমার এই লেখা বা চিন্তাভাবনা কেবল মানুষকে পরিস্থিতি ভালোভাবে জানতে বা বুঝতেই সাহায্য করবে না, এটা আমার নিজের জন্যও অনেক শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে। কেবল নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা মানুষের এক ধরনের স্বার্থপরতা। নিজেকে আলোকিত জ্ঞানে উদ্বুদ্ধ করে তোলা ও আগ্রহ জাগিয়ে রাখাই মানুষের জীবনের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত বলে মনে করেন ইমানুয়েল।তিনি বলেন, যুদ্ধের শিকার ও যুদ্ধফেরত প্রবীণ সেনার সংখ্যা অনেক। বিশেষ করে ইরাক ও আফগানিস্তান এবং বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় যুদ্ধের শিকার হয়েছে অগণন মানুষ। ড্রোন হামলায় এখনো অনেক মানুষ প্রাণ হারাচ্ছে। আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন অসংখ্য মানুষ। যুদ্ধফেরত অনেক সাবেক সেনা রয়েছেন যাদের বিবেক আজ দংশিত হচ্ছে। যুদ্ধ মানুষের জীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে। ইমানুয়েল বলেন, আমি মনে করি, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির সংখ্যা কেবলই বাড়বে। একই সঙ্গে নিহত সেনাদের লাশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুদ্ধফেরত আহত ও পঙ্গু সেনাদের সংখ্যাও বাড়বে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৃহত্তর পশ্চিমা বিশ্বেও এই চিত্র দেখা যাবে। ইমানুয়েল বলেন, আমি মনে করি, মানুষ যদি তার নিজস্ব বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে খোলাখুলি কথা বলে এবং বাইরের দুনিয়ায় যুদ্ধ নিয়ে যা ঘটানো হচ্ছে সেই অভিজ্ঞতা যদি সততার সঙ্গে তুলে ধরে, তাহলে আগ্রাসনের এসব যুদ্ধের বিরুদ্ধে মানুষের বিবেক কিছুটা হলেও জাগ্রত হবে। এবং এতে নিজের বিবেকের দংশন কিছুটা হলেও হয়তো লাঘব

বিষয়: বিবিধ

১০৩৫ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

355885
০১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ১২:০৮
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আমার ধারনা মার্কিন যুদ্ধ নীতি কারনেই সাধারণ মানুষ দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছে। উদ্দেশ্য যেটাই থাক,শুরুটা হয়েছে ক্ষোভ থেকে। ওদিকে অনেক মার্কিন যোদ্ধা ফেরত এসে অসহ্য অনুভূতিতে ভুগেছে। অনেকে আত্মহত্যা করেছে। অনেকে চাকুরী ছেড়ে দিয়েছে।
০১ জানুয়ারি ২০১৬ দুপুর ০৩:০৭
295564
অপি বাইদান লিখেছেন : ঠিক তাই, অথর্ব আল্যার মুমিনরা সভ্যতার কাছে টিকতে না পরে এখন পাগলা কুকুরের মত হয়ে গেছে। যাকে পায় কামড় দেয়।
355910
০১ জানুয়ারি ২০১৬ রাত ০৪:৩৮
আকবার১ লিখেছেন : আপনার সাথে একমত
355911
০১ জানুয়ারি ২০১৬ সকাল ০৫:৪৫
সাদাচোখে লিখেছেন : আস্‌সালামুআলাইকুম!

আপনার লিখার এতটুকু পয্যন্ত কয়েক ডজন ডকুমেন্টেড প্রমান আছে।

পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সারা বিশ্বে যত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী ও জঙ্গি নেটওয়ার্কের সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী আধিপত্য বিস্তার ও তা বজায় রাখার জন্য এবং তার ভূ-রাজনৈতিক কৌশল হাসিলের জন্যই মার্কিন প্রশাসন বিভিন্ন নেটওয়ার্কের জন্ম দিয়ে থাকে। এসব নেটওয়ার্কের কর্মকা- যখন সকল মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখন তা নির্মূলের নামে দেশে দেশে সামরিক হস্তক্ষেপসহ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী তার আধিপত্য বিস্তার ও বজায় রাখতে এ ধরনের নেটওয়ার্ককে ব্যবহার করা। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা হচ্ছে ‘সর্প হইয়া দংশন করে ওঝা হইয়া ঝাড়ে’।

এর পর আপনি তথাকথিত ওয়ার ভেটারান ইমানুয়েল এর মুখনিঃসৃত যা জানিয়েছেন - তা সেই আমেরিকা ই আপনাকে, আমাকে, আপনার পরিচিতজনকে এবং তার দেশবাসীকে বেশী বেশী জানাতে চায় - এই জন্য যে আপনি, আমি এবং তাদের দেশবাসী - যারা অবাক হয়ে ভাবতে শুরু করেছে, জানতে শুরু করেছে, প্রশ্ন করতে শুরু করেছে - কেন তার দেশ এই আইসিস বানালো ইত্যাদি - তখন তাদেরকে ধাপ্পা দিতে এই মেরিন এর মুখে আই সিস জন্মের আর একটা রেশানাল কিংবা যুক্তি তুলে ধরছে যাতে আপনি আমি ও তারা ভাবে যে আসলেই মুসলিম রা লেজিটিমেইট কারনে অমন পাগল হয়ে গেছে।

মূলতঃ আপনি বেসিক গবেষনা করলে জানবেন
১। হলিউড এর স্ক্রিপ্ট লিখা একটা জীবন্ত চলমান নাটক মঞ্চায়ন হচ্ছে সিরিয়া হয়ে সারা বিশ্বে।
২। এ নাটকের কমান্ডিং চরিত্রে কাজ করছে ন্যাটো ভুক্ত ও আমেরিকার স্লেইভতুল্য প্রতিটি দেশের ইন্টেলিজেন্স বাহিনীর লোক রা - যারা মুখ ডেকে রাখে।
৩। সাইড চরিত্রে অভিনয় করছে এ্যাথিটস্ট, হিন্দু, বৌদ্ধ, ও বিশ্বের ভাড়া খাটা বিভিন্ন লেভেল এর সৈনিকেরা - এর মধ্যে হতে যারা বের হতে চায় তাদেরকে আমেরিকান সাংবাদিক, রাশিয়ান অমুক তমুক সাজিয়ে ভিডিও করা হয় এবং তা ইন্টেলিজেন্স কমান্ড ও স্ট্যাট্রেজী ইউনিট দিয়ে ইন্টারনেট এ আপলোড করা হয় এবং মিডিয়াকে জানানো হয়।

উদ্দেশ্য স্যেকুলার সেন্স এ আপনি যা বলেছেন সর্প হয়ে দংশন কর আর ওজা হয়ে ঝাড় টাইপের।

কিন্তু ইসলামিক সেন্স এ - কোরান ও হাদীস অনুযায়ী ভিন্ন।

শুধুমাত্র আল্লাহ ই সব চাইতে সঠিক ভাবে জানেন।

ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File