মন কি?

লিখেছেন লিখেছেন অতনু সাগর ২৭ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৫০:৪৮ সকাল

তা যাই হোক না কেন, কোন বিজ্ঞান বা দর্শনের বা ধর্মের এ কথা মানতে কোন আপত্তি নেই যে মনটাই মানুষ।

আমার 'আমি'ই আমার মন।

কিন্তু এই 'আমি' টা কে?

এর কোন জবাব নেই। 'আমি'কে না পেয়ে কখনোই বলা সম্ভব নয় আমি কে। আবার 'আমি' কে যে জানেনি, তাকে হাজারো বললেও কখনো বুঝানো যাবেনা যে তিনি কে। 'আমি' কে জানার একমাত্র উপায় হল তাকে পাওয়া। কিভাবে তাকে পাওয়া যাবে? এটাই ধাপে ধাপে আলোচনা করার চেস্টা করব আমি। যা 'পর্ব...' টাইটেলে প্রকাশ হবে।

মানুষের মনটাই তার অস্তিত্বের তথা আমিত্বের ধারক। অর্থাৎ মনই তার উপোভোগ, মনই তার ভালোবাসা, মনই তার আকাংক্ষা, মনই তার কাম্যবস্তু। এক কথায়, মনই তার আসল বস্তু।

অথচ মানুষের বড় শত্রু এই মনই। তার যাবতীয় কষ্ট-বেদনা, দারিদ্রানুভূতি, পীড়া, অস্থিরতা এ সব কিছুরই মূল হোতা হলো তার মনটাই। মানুষের মনই তার নরক রচনা করে। এবং এর মধ্যেই তা গঙ্গনে দোজখের মত জ্বলতে থাকে।

মানুষ মনে করে যে, তার মন যে কষ্টে ভোগে, তার কারণ হল বাইরের জগত। বাইরে থেকে তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার এই ভাবনার মুলে রয়েছে মন সম্বন্ধেই তার চরম অজ্ঞতা।মনকে যিনি জানেন, তিনি স্পষ্টভাবে জানেন যে জগতে বাহির বলে কিছুই নাই। অজ্ঞ মনের বিচারে যা কিছু বাইরের জগত, প্রজ্ঞাবান এবং আলোকপ্রাপ্ত মন তাকে নিজের ভেতরই খুজে পেয়েছে।বাইরে পেয়েছে কেবল তার ছায়া। ফলত চক্ষুষ্মান ব্যাক্তিমাত্রই জানেন যে মনের কষ্টের কারন সে নিজেই। মন নিজের উপরই অবচার করে থাকে। তাকে আয়ত্ত করা মানেই মানব জীবনের সব উদ্দেশ্যই সফলভাবে হাসিল করা।

আল্লাহ্‌ পাক নিজে বলেছেন,



কিন্তু আল্লাহ্‌ পাক তাদের কোন ক্ষতি করেননি; তারা নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করেছে। (সূরা নহল, ৩৩)

তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই। (সূরা ইয়াসীন, ১৯)

আমি যখন মানুষকে অনুগ্রহের স্বাদ দেই, তখন ওরা তাতে আনন্দিত হয়। এবং ওদের কৃতকর্মের ফলে ওরা দুর্দশাগ্রস্থ হলেই ওরা হতাশ হয়ে পড়ে। (সূরা রূম, ৩৬)

আল্লাহ্‌ বিশ্বাসীদের মনোরোগ নিরাময় করে দিবেন। (সূরা তওবা, ১৪)


এই হারিয়ে যাওয়া মনকে ফিরে পাবার উপায়টা জানলে আর কোন দুঃখের কারণ থাকেনাঃ

তারা ক্ষমাপ্রার্থনা (তওবা) করলে তাদের জন্য কল্যান হবে, কিন্তু তারা মুখ ফিরিয়ে নিলে- আল্লাহ্‌ তাদের ইহকাল ও পরকালে যন্ত্রনাপ্রদ শাস্তি দেবেন। (সূরা তওবা, ৭৪)

আমি তাদের ভোগান্তিকে/দুঃখ-কষ্টকে সমৃদ্ধিতে রুপান্তরিত করে দিয়েছিলাম। (সূরা আ'রাফ, ৯৫)

তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরনে স্মরন কর। (সূরা আহযাব, ৪১)

নিশ্চয় আল্লাহর স্মরনেই চিত্ত বিশ্রামের প্রশান্তি পায়। (সূরা রা'দ, ২৮)


-অতনু সাগর। (চলবে.............)

বিষয়: বিবিধ

১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File