অসমাপ্ত

লিখেছেন লিখেছেন ট্রাস্টেড থিফ ০৫ মার্চ, ২০১৪, ০৫:২৭:১৪ সকাল

কিছু কথা বলতে চাইলেও ঠিক সেভাবে বলা হয়ে উঠে না। মনের ভিতরে যে ভাবে গোছানো থাকে তার প্রকাশটা ঠিক সে ভাবে হয়ে উঠে না। কোন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে একটানা লিখতে হয় না হলে পরে সে মেজাজটা ধরে রাখা যায় না। মনে আছে এসএসসি এর আগে মাকে নিয়ে কত কথা লিখেছিলাম আমার লিখার খাতায়। কখনো ইচ্ছে করেনি সেগুলো সংরক্ষণ করি। করলে হয়তো চমৎকার একটি গদ্য হতে পারতো। মাঝে মাঝে ভাবি রাফ খাতার ভিতরে লিখা সে সব কবিতা গুলো কি মুছে গেছে না কি মুড়ির ঠোঙ্গা হয়ে আবর্জনাতে গিয়ে বৃক্ষের তলে জৈব সার হয়ে গেছে। সেই সময় যেভাবে লিখেছিলাম এখন আর সে ভাবে লিখা যায় না। এখন লিখতে গেলে আতেল গিরি হয়ে যায়। তখন মনে যা আসতো তাই লিখতাম কিন্তু এখন লিখতে গেলে মাথায় হাজারটা চিন্তার জট পাকে। ওহ রাইস কুকারে ভাতটা উঠিয়ে দিতে হবে নইলে না খেয়ে ঘুমাতে হবে। পিরে এসে যখন আবার শুরু করলাম। দূর আজাইরা তার চাইতে আর্নল্ড সোয়ার্জনেগারের লাস্ট মুভিটা দেখি। ছোট বেলায় অনেক বিষয় নিয়ে আমার কৌতূহলের শেষ নেই। বাচ্চারা যখন দুষ্টামি করে গল্প করে তখন আমিও ভাবি আচ্ছা ওদের মত করে আমিতো গল্প করতাম। আচ্ছা গল্পের বিষয়গুলি যেন কি ছিল? না মনে করতে পারছি না। খুব সম্ভবত কার কয়টা জামা কাপড় প্যান্ট সার্ট ছিল। হয়তোবা অন্য কিছু। দেশ ছাড়ার আগে একবার আমার পিচ্ছি ভাগ্নিরা গল্প করছিল। বললাম আম্মু মামাও তোমাদের সাথে গল্প করবো। পিচ্ছি কয় ঠিক আছে মামা ভুতের গল্প বলেন। আরে না না তোমরা যে বসে দুজনে কথা বলছ আমিও তোমাদের সাথে সেগুলো শুনবো। পিচ্ছি কয় তুমি এখনো ছোট তোমার এগুলো শুনার বয়স হয়নি। আমি কই হায় হায় এইডা তো পিচ্ছি না, পুরাই পাকনা। ভাগ্নি এবার বায়না ধরছে ভুতের গল্প শোনাতে হবে নইলে তাকে নিয়ে বেড়াতে যেতে হবে। ঠিক করলাম প্রথম অফসানটাই বেটার। শুরু করলাম, চাঁদের ভুঁড়ি চাঁদে গেল। ভাগ্নি কইল তারপর। তারপর কি কমু, কি কমু। অহ হে চাঁদে গিয়াতো দেখে অবস্থা কাহিল অক্সিজেন নাই, খাবার নাই। ভাগ্নি ধইরা পালাইছে। এইডা কোন গল্প। বানাইয়া বানাইয়া গল্প কইতেছে। তুমি একটা হাঁদা রাম। একটা গল্পও পার না। কইলাম আম্মু তুমি একটা কও আমি হুনি। ভাগ্নি শুরু করলো, বললাম প্রত্যেক লাইনে তারপর তারপর বলা যবে না। ওয় আমারে চোখ পাকিয়ে, গল্প বলার সময় ডিস্টার্ব কর কেন। আইচ্ছা আম্মা ঠিক আছে আর হবে না।

ক্লাস টু-র পিচ্ছিটি ক্লাস সেভেনে উঠে গেছে। কত দিন দেখি না রে তোরে মা। আল্লাহ চায়তো আমি যখন দেশে যাবো তুই আগের মত সেই ছোট্টটি হয়ে যাস যাকে কাঁদে নিয়ে আমি ঘুরেছিলাম খালের ধারে, পুকুর পাড়ে, রাস্তা ধরে অনেক দুরে। না থাক তুই বড় হ অনেক বড়। সবার মুখ উজ্জ্বল করে আলো ছড়িয়ে দিবি। তোর জন্য এত্তগুলান আদর আর ভালোবাসা।

বিষয়: বিবিধ

১২৪৮ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

187021
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:১৫
গেরিলা লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
187052
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:১৭
সজল আহমেদ লিখেছেন : ভাল্লাগ্লো।
187081
০৫ মার্চ ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
বাংলার দামাল সন্তান লিখেছেন : ভাল লাগলো, ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য
187141
০৫ মার্চ ২০১৪ দুপুর ১২:৫৫
হুদাই প্যাচাল বাক্স লিখেছেন : ভালো লাগলো
187669
০৬ মার্চ ২০১৪ সকাল ০৯:১১

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File