FACTS & DOCUMENTS OF ISLAM PART -2
লিখেছেন লিখেছেন অন্য আমি .। ১৪ অক্টোবর, ২০১৩, ১১:২২:৫৩ রাত
আজকাল অনেক মানুষ বিশেষত নাস্তিক রা প্রায়ই একটা কথা খুব গর্বের সাথে বলে 'যে আল্লাহ্ কে দেখিনা ' তাকে কেমন করে বিশ্বাস করি? তাদের কথার জবাব টা খুব সহজেই দেয়া যায়। খুব সাধারন একটা উদাহরন দিই। প্রত্যে্ক মানুষ নিজেকে আয়নায় দেখতে খুব পছন্দ করে ।অথচ যেই সে আয়নার সা্মনে দাড়ায় তার মুখের ভাষা হারিয়ে যায়।সে ভাবে সে যাকে দেখছে সে সবার চেয়ে আলাদা যদিও সে নিজে জানেনা সে কি।এভাবে সে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাকিয়ে থাকার পর ও নিজেকে চিনতে পারেনা ।সে ভাবে নিজের ই আরএ্কটু গভীরে সে লূকিয়ে আছে।তাই সময়টা কখনই শেষ হয়না ।কারন সে জানেনা তার ভেতরের রূপ আর বাহ্যিক রুপের ভেতরের দুরত্ব টা অনন্তকালের ।আমরা এ পৃথিবীতে নিজেকে কখনও দেখিনি অথচ বিশ্বাস করি ।কখনই মানুষ এভাবে চিন্তাকরেনা যে 'আমি'কে নিয়ে সে এত বাড়াবাড়ি করে সেই আমির অস্তিত্ব টা কেমন । এটা খুবই নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আমরা আমি বলতে যে 'দেহ' কে নির্দেশ করি টা আসলে তা আমি নিজে নই।
মানুষ নিজের ক্ষেত্রে যা বিশ্বাস করে সেই একি জিনিস সে স্রস্টার ক্ষেত্রে অবিশ্বাস করেই।মানুস দোষ দেয়ার বেলায় এক আল্লাহ্ কে খোজে আর উপাসনার বেলায় খোজে বহু কে।বিষয়টা এভাবে বুঝানো যায় ঃ গভীর ঘুমে মানুষ কখনও 'আমি' উচ্চারন করেনা কারন তখন মানুষ দেহ সচেতন থাকেনা ।দেহের একবিন্দু রক্ত ও বদলে যায় প্রতিনিয়ত।ছোটবেলার দেহটা ও এখন নেই ।অথচ মানুষ সেই বদলে যাওয়া দেহকেই আমি হিসেবে সম্বোধন করে ।এখন যদি মানুষের দেহের প্রত্যেক্ টা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ কেটে ফেলা হয় তবু সে 'আমি ই' থাকবে।তাই দেহের রেফারেন্স থেকে আমি কে বিচ্ছিন্ন করলেই মানুষ জানতে পারবে তার প্রকৃত আমির উৎস।আল্লাহ্ তায়ালার কোন সীমা পরিসীমা নেই।আল্লাহ হলেন পরম বাস্তবতা।আর 'আমি' হল বাস্তবতার যে কোন ডাইমেশন থেকে তার ঐক্যের প্রতি রেফারেন্স।
রসুল (সঃ) বলেছিলেন 'যে নিজেকে চিনেছে সে আল্লাহ্ কে চিনেছে'
অনেকেই নিজেদের স্বল্প জ্ঞান এর মাধ্যমে বলে ওঠে স্রস্টার অস্তিত্ব নেই।অথচ সে তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা নিয়ে চিন্তা করেনা।এখানে পরকাল বা বেহেস্ত নেই সত্যি কিন্তু আল্লাহ্ আছেন তিনি তো কোন সময়সীমার মধ্যে সীমাবদ্ধ নন।এক্ মাত্র আমিত্ব কে বিসর্জন দেয়ার মাধ্যমেই তাকে চাওয়া সম্ভব।মহাবিশ্বের মোট শক্তি,আল্লাহ্র ই শক্তি যা স্থির।তিনি আয়াতুল কুরসিতে বলেছেনঃ
তাকে নিদ্রা ও তন্দ্রা আচ্ছন্ন করেনা। অর্থাৎ তার শক্তিতে ঘাটতি পড়েনা ,তার কুদরতের কার্যকারিত কমেনা।
আল্লাহ্ বলেন ঃ''কেউ ভাল কাজ করলে আমি তার জন্য ভাল কাজ করা সহজ করে দেব এবং খারাপ কাজ করলে আমি তার জন্য খারাপ কাজ করা সহজ করে দেব এবং তাকে কঠোর পরিণামের দিকে চালিত করবো''
আল্লাহ্ তায়ালা বলেন আমি হাসাই আমি কাঁদাই আমি বিভ্রান্ত করি আমি দূরে ঠেলে দেই ইত্যাদি।সবকিছুতে আল্লাহ্র এই সক্রিয় ভূমিকার কারনে কুরআন পড়তে গেলে যারা অহঙ্কারী তাদের অহঙ্কার আরো বেড়ে যায়। কিছু ভ্রান্ত মারেফাত পন্থী আবার বলে যেমনে নাচাও তেম নে নাচি।।এটা নিছক কোন রচনার স্টাইল নয়। এটাই সত্য কারন কেউ যখন কোন কাজ করে ইচ্ছা বা নিয়ত টা তার।তাতে শক্তি জোগান তো আল্লাহ্ ।তিনি ই তো শক্তি।
(চলবে)
REF: গোপন মৃত্যু ও নবজীবন প্রথম এবং দ্বিতীয় খন্ড
বিষয়: বিবিধ
১২৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন