বি এন পির নেতৃত্বের ধারাবহিক ব্যর্থতায় আওয়ামী স্বেচ্ছাচারীতার মুল কারণ।
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার আবাবিল ১২ আগস্ট, ২০১৩, ১১:২০:০৭ রাত
আসার লেখার শিরনাম দেখে অনেকেই হয়তো নাক সিটকাবেন তবে বাস্তবতা কিন্তু এটাই, আপনার খেয়াল করলে দেখবেন গত সাড়ে চার বছরে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার যে সীমাহীন স্বেচ্ছাচারী মনোভাব নিয়ে দেশ চালিয়ে যাচ্ছে এবং পাহাড়সম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে তার একটিরও উপযুক্ত প্রতিবাদ করতে পারেনি বি এন পি। দায়িত্বশীল বিরোধীদল হিসাবে শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, হলমার্ক কেলেঙ্কারী, পদ্মা সেতু কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলা গুম খুন কোন কিছুরই যথাযথভাবে তারা হ্যান্ডেল করতে ব্যর্থ হয়েছে আজকে তারা যদি উপরোক্ত বিষয়গুলিকে বুদ্ধিমত্বার সাথে আন্দোলনের সঠিক মাত্রা তৈরী করত তাহলে আওয়ামী লীগের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা বিরাজ করত এমনকি তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পূর্নবহাল করতে তারা বাধ্য হতআপনারা আরো খেয়াল করবেন যে, হেফাজতের ৫ই মের অবরোধ কর্মসূচীকে তারা হ্যান্ডেল করতে মারাত্বক ভাবে ব্যর্থ হয়েছে, শুধুমাত্র হেফাজত কর্মীদেরকে যদি অবরোধের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী অনুযায়ী অবরোধ পয়েন্টগুলিতে ২৪ ঘন্টা অবস্থান করানো যেত তবে সরকারের অবস্থা অন্যরকম বিরাজ করত। বর্তমানেও খেয়াল করবেন তারা জামায়াতকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ, নিজেরা হরথাল অবরোধের কর্মসূচীতো দিতেই পারছে না উপরুন্তু জামায়াতকেও তাদের কর্মসূচীতে যথাযথভাবে সমর্থন ও সহযোগীতা দিতে তারা চরমভাবে ব্যর্থ। সরকার খুব ভালভাবে বুঝে গেছে বি এন পির কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে কেস দিলেই তারা বোরখা পরে পালাবে, আর এ সুযোগের পুরা স্বদব্যবহার তারা করছে।
তবে এখনো সময় আছে বি এন পি নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং কঠোর কর্মসূচী দিতে হবে, মনে রাখতে হবে সারদেশের জনগণ আজ বি এন পির দিকে চেয়ে আছে কবে এই বাকশালী সরকারের পতন হবে এই আশাতে, একারণেই ১৮ দলীয় জোটের সকল দলকে নিয়ে সীসাঢালা ঐকের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের সূচনা করতে হবে, আর নয় ঘোষনা আগামীতে কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে এই বক্তব্য এখনই আন্দোলনের সূচনা করতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
১৩০১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন