সম্ভাবনার বাংলাদেশঃ সমস্যা, সমাধান ও সম্ভাবনা (১)
লিখেছেন লিখেছেন বাংলার মাহাথির ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১১:০৩:১১ সকাল
তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর থেকে অজস্র বাধা বিপত্তি পেরিয়ে আমাদের আজকের বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। শকুনের কালো থাবা সবসময় আমদের উপর আঘাত করার জন্য উৎপেতে আছে। আমদের প্রতিবেশিরা চাচ্ছেনা যে বাংলাদেশ কোন উন্নতি করুক। কারণ বাংলাদেশ উন্নতি করলে যে তাদের সবক্ষেত্রে নাক গলানোর অভ্যাসে বাধা পরতে পারে। তাই তারা সবসময় বসে থাকে কিভাবে আমাদের ক্ষতি করা যায় তা করার জন্যে। কিন্তু ওইসব আমাদের দেখলে চলবে না। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির জন্য আমাদের কাজ করে যেতে হবে।
আমাদের অনেক সমস্যা আছে। আছে অনেক সীমাবদ্ধতা। কিন্তু তারচেয়ে বেশি আমাদের আছে সম্ভাবনার অসংখ্য দিক, যা আমাদের এগিয়ে যাবার পথে প্রেরণা জোগাবে এবং আশার আলো দেখাবে। আমাদের সমস্যা গুলো কাটিয়ে উঠতে পারলেই আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গঠন করতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমাদের কি কি সমস্যা আছে? চলুন খুঁজে দেখা যাক।
১. অধিক জনসংখ্যা – আমাদের দেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। প্রতি বর্গকিলোমিটারে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রায় ১০৮৫ জন। দেশে প্রতি ১১ সেকেন্ডে জন্মায় একটি শিশু। প্রতি মিনিটে জন্মাচ্ছে গড়ে ৮টি শিশু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, প্রতি মিনিটে বিশ্বে জন্মায় ২৫০ শিশু, এর মধ্যে বাংলাদেশে জন্মাচ্ছে ৯ জন। সরকারি এক হিসাবে দেশে প্রতি বছর ৩০ লাখের বেশি শিশু জন্মাচ্ছে। বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের হিসাবমতে, পাঁচ বছর ধরে বছরে ৩২ লাখের বেশি শিশু জন্ম নিচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের জনসংখ্যা এখন কত—এ বিষয়ে সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান নিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। জাতিসংঘের ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি প্রতিবেদন ২০১০’-এ বলা হয়, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৪ লাখ ২৫ হাজার।
অসম্পূর্ণ, ত্রুটিযুক্ত ও বিতর্কিত ‘আদমশুমারি ও গৃহগণনা ২০১১’ অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যা ১৪ কোটি ৮০ লাখ। অনেক বড় মনে হচ্ছে তাই না? কিন্তু আপনি কি জানেন, অত্যন্ত উন্নত দেশ সিঙ্গাপুরে ৭০৪ বর্গকিলোমিটারে বসবাস করে প্রায় ৫,৩১০,০০০ মানুষ? অর্থাৎ, তাদের জনসংখ্যার ঘনত্ব ৭৫৪৩ জন। হংকং এর ১১০১ ব.কি.মি. এ বসবাস করে প্রায় ৭,১৭৩,৯০০ মানুষ অর্থাৎ তাদের ঘনত্ব ৬৫১৬ জন। তাহলে এত ঘনবসতির দেশ হয়েও যদি তারা এত উন্নতি করতে পারে তাহলে আমরা পারবনা কেন? তারা তাদের জনসংখ্যাকে জনশক্তিকে পরিণত করতে পেরেছে। আমরাও এই কাজটা করতে পারলে আমাদের এই জনসংখ্যাও আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। জেনারেল মইন উ আহমেদের ঐ কথা কি মনে আছে, ১৫ কোটি মানুষের ৩০ কোটি হাত, এনে দেবে সম্ভাবনার স্বর্ণালী প্রভাত?
ঢালাওভাবে দেশের জনসংখ্যাকে সমস্যা বলা যাবে না। মনে রাখতে হবে মনে রাখতে হবে, দেশে জনসংখ্যা বেশি বলে আমাদের উন্নয়নের সম্ভাবনা অনেক বেশি। কারণ দেশের এই জনসংখ্যাকে কাজে লাগাতে পারলে উন্নয়নের গতি অন্য যে কারো তুলনায় বেশি হতে বাধ্য। চলুন খুঁজে দেখি কিভাবে এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি করা যায়-
১. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের যথাসাধ্য চেষ্টা করা।
২. শিক্ষার হার কমপক্ষে ৮০ ভাগের বেশিতে উন্নিত করতে হবে।
৩. কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে।
৪. কঠোর হস্তে বাল্যবিবাহ রোধ।
৫. নারী শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া।
২য় সমস্যা- দারিদ্র্য
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১১০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন