উপজেলা নির্বাচন পর্যালোচনঃ তৃতীয় পর্যায় ==============================
লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ১৬ মার্চ, ২০১৪, ১১:৫১:০১ রাত
তৃতীয় পর্যায়ে ৮১ টি উপজেলার নির্বাচনে আলীগ কথিত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।
কিছু পর্যালোচনা তুলে ধরলাম।
# ভোটকেন্দ্র দখল, প্রাসনিক ব্যাপক হস্তক্ষেপ, জালভোট, ফলাফল পালটে দেয়ার মাধ্যমে জেতা আলীগের উপজেলা গুলি হচ্ছে
১। চিলমারী, কুড়িগ্রাম ২। লোহাগড়া, নড়াইল ৩। বাগেরহাট সদর
৪। মোড়েলগঞ্জ, বাগেরহাট ৫। রামপাল, বাগেরহাট ৬। মংলা, বাগেরহাট
৭। শরণখোলা, বাগেরহাট ৮। ভোলা সদর ৯। মুলাদী, বরিশাল
১০। হিজলা, বরিশাল ১১। বাবুগঞ্জ, বরিশাল ১২। শরীয়তপুর সদর
১৩। নড়িয়া, শরীয়তপুর ১৪। নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা ১৫। চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা
১৬। কচুয়া, চাঁদপুর ১৭। হাজীগঞ্জ, চাঁদপুর ১৮। দাগনভূইয়া, ফেনী
১৯। কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা
এর ভিতর সর্বোচ্চ তিনটি আলীগ জিতত। ১৬টি বিএনপি জিতত বলে ধরে নেয়া যায়।
তাহলে আলীগ ৪১-১৬ = ২৫ টা জিতেছে আপনি ধরে নিতে পারেন।
# দূর্ভাগ্যজনক ভাবে বিএনপি- জামায়াতের স্থানীয় সমন্বয়ের অভাবে হেরেছে আন্দোলনের কিছু সূতিকাগার জায়গা। যেখানের শহীদদের আত্মা নিশ্চিত কষ্ট পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
১। কালীগঞ্জ, সাতক্ষীরা -জামায়াত হেরেছে
২। মনিরামপুর, যশোর -জামায়াত হেরেছে
৩। কুড়িগ্রাম সদর- বিএনপি হেরেছে
৪। সীতাকুন্ডু, চট্টগ্রাম- বিএনপি হেরেছে
৫। সিলেটের দক্ষিন সুরমা- জামায়াত হেরেছে
৬। দিনাজপুর সদর- বিএনপি হেরেছে
৭। শ্রীবর্দী, শেরপুর- বিএনপি হেরেছে
৮। বড়লেখা, মৌলভীবাজার- জামায়াত হেরেছে
৯। নীলফামারী সদর- জামায়াত হেরেছে
এই বিষয়টা ১৯দলীয় জোটের আরো সতর্ক হতে হবে...... ভবিষ্যতের আন্দোলনের ক্ষেত্রে এটা যেন প্রভাব না ফেলে।
# আমি অত্যন্ত খুশি হয়েছি ফরিদপুর সদরে হেরে যাওয়ায়। গত সাত বছর ফরিদপুরে বিএনপির কোন তৎপরতা নাই। গত তত্বাবধায়ক আন্দোলনে কোন ভূমিকাই রাখে নাই সংস্কারপন্থী নেতা কামাল ইউসুফ। জামায়াতও কোন ভূমিকা নাই। সো তাদের হারতেই হবে এনং হারা উচিৎ। জনগন এই বাটপারদের গ্রহণ করছে না।
# বরিশাল এবং ভোলা বিএনপি সুবিধাবাদী নীতি গ্রহণ করেছে। কোন কাজ নাই সকাল ১০টায় ঘোষনা দিয়ে নির্বাচন বর্জন করছে। আমার প্রশ্ন সরোয়ার, হাফিজউদ্দিন, সেলিমা রহমানরা কি আলীগকে ছেড়ে দিচ্ছে?? কেন্দ্রীয় বিএনপিকে এটা ভাবতে হবে।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১১ টি আসনে চেয়ারম্যান পদে জামায়াত দ্বিতীয় আর বিএনপি তৃতীয়, জঙ্গী লীগ প্রথম। বিএনপি যদি বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে এসব আসনে প্রার্থী না দিতো তাহলে জামায়াত প্রার্থী বিজয়ী হতো। এতে মূলত ১৯ দলই বিজয়ী হতো। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একই অবস্থা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন