কিভাবে সম্ভব???
লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ১৮ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:১৭:৫৬ রাত
নতুন অনির্বাচিত সরকারের শপথ হয়েছে শিবিরের শাহ আমানত হলের সেক্রেটারী হত্যার মাধ্যমে।
আজ ঘুম ভেঙে বিভিন্ন নিউজে দেখলাম---
++++++++++
১। আসাদুজ্জমান নূরের উপর হামলার আসামী বিএনপি নেতা গোলাম রব্বানী কে গুলি করে হত্যা করেছে সরকারের গুপ্ত বাহিনী/কিলাররা। গুম হয়ে আছে দুই ছাত্রদল নেতা।
২। সাতক্ষীরায় যৌথ বাহিনীর নির্মম সন্ত্রাসের শিকার শিবির কর্মী আবু হানিফ ছোটন নিহত।
৩। সিলেট সহ সারাদেশে যৌথ বাহিনীর গনগ্রেফতার, প্রকাশ্যে প্রায় ২০০ জন, অপ্রকাশ্য???
এছাড়াও আরো দেখলাম
++++++++++
১। পলাতক বিএনপি নেতাদের মানবেতর জীবন-মানব কন্ঠ
২। বাণিজ্যিক গ্রেপ্তারে পুলিশ-ক্ষমতাসীন- বাংলামেইল
৩। সাভার-ধামরাইয়ে পুলিশের গ্রেপ্তার বানিজ্য রম রমা-প্রথম আলো
৪। বেশ কিছু যায়গায় হিন্দু বাড়ীতে হামলা
৫। তথ্য মন্ত্রী ইনু গনমাধ্যম বন্ধের রেকর্ড করেছেন।
সন্ধ্যায় দেখলাম
+++++++++
১। অজ্ঞাত সন্রাসীদের হাতে নাটরের সিংড়ায় আলীগ নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান নিহত
২। সীতাকুন্ডুতে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
আমার প্রশ্নঃ
+++++++
১। আমাদের সঠিক পথে চলতে থাকা দেশকে কারা হানাহানির পথে নিয়ে গেল??
২। আলীগ-বামরা কিসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের??
৩। ভারতের স্বাধীনতা-সার্বভৌত্ব বিরোধী খেলায় কেন হাসিনা-বাম-মিডিয়া এবং সুশীল সমাজের একটা অংশ অংশগ্রহন করছে???
৪। এই সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিনতি কি হতে পারে???
জাতিকে ক্রমাগত ভাবে অসুস্থ করে দেবার খেলার এখনি সমাপ্তি প্রয়োজন।
কিভাবে সম্ভব??? কিভাবে???
বিষয়: বিবিধ
১২৭৪ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের দেশে এত সব আলেম ওলামা আছেন - এত সব বিদ্বগ্ধ জন আছেন - তারা কেউ ই কোন দিক নির্দেশনা কিংবা করনীয় দেশের মানুষের সামনে পেশ করছেন না, না প্রকাশ্যে না গোপনে।
বিপরীত শক্তির নামে বিএনপি সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল কোরান সুন্নাহ র বিরোধী - সমাধান এর নিমিত্তে পশ্চিমা কিছু তন্ত্র মন্ত্র টাইপ প্রস্তাব করছে এবং কর্মসূচী দিচ্ছে - যা প্রাকারান্তরে আরো খুন, আরো গুম, আরো নির্যাতন, আরো নিষ্পেষন ও আরো ঘরবাড়ী দোকানপাট ধ্বংশ ও মানুষের মনোভাব এ হতাশা সৃষ্টি করছে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি - ইসলাম সংশ্লিষ্ট নেতৃবৃন্দ আজকের বিশ্ব ব্যবস্থাকে, আজকের সরকারী মেকানিজমকে অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সামহাউ এ শক্তিকে অপরাজিত, অনড় এবং ভাংগা গড়া যাবেনা বলে মনে করছে। সাথে সাথে তারা মুসলিম ও মুসলিম ভাইদের রক্ত ও নির্যাতনকে মেনে নিয়েছে এই ভেবে যে মুসলিম রা দূর্বল, এবং তারা ভংগুর এবং তাদের রেসিসটিং পাওয়ার থাকবেনা এই তাগুত শক্তির বিরুদ্ধে।
সো ওনারা বৃহত্তর শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রত্যাশায় ইসলামিক উপায় ও উপকরন কে সামনে আনার আহ্বান জানাচ্ছেন না।
যার পরিনতিতে আমরা দেখছি শয়তান ও শয়তানের দোসর রা কি করে আমাদেরকে আচ্ছাদিত করে দুমড়িয়ে দিচ্ছে এবং এ ভাবে চলতে থাকলে আগামীতে বাংলাদেশের মুসলিম রা 'আমাদের এই গ্রামে একজন মুসলিম ছিলেন' এমন কোন লাইন শুনতে পাব। এবং আমেরিকা যেমন আজকে মশা মারার স্প্রের মত পাকিস্থানে মুসলিম মারছে এবং পাকিস্থানের মুসলিম অত বিলিয়ন ডলার টাকার অস্র শস্র ও সেনাবাহিনী পালা স্বত্তেও আমেরিকাকে কোলে তুলে আদর সোহাগ করে দিন যাপন করতে হচ্ছে আগামীতে আমাদেরকে ও তেমনি মরতে হবে এবং খুনীকে তোয়াজ করে চলতে হবে।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি খুনের নেশায় উন্মত শত্রুকে, ইলিমিনেশানের ধান্ধায় আশক্ত কোন শত্রুকে এভাবে ঝামেলা মুক্ত থাকতে দিয়ে দাবা খেললে কাজ করবেনা।
আমাদের বুঝতে হবে তথাকথিত মানবতা, তথাকথিত গনতন্ত্র ও তথাকথিত হিউম্যান রাইটস - ইত্যাদি হল শত্রুর তৈরী করা টুলস একটা দেশের গনমানুষকে বিভ্রান্ত করার, গনমানুষকে ট্রু সমাধানের বাহিরে নিয়ে বিকল্প সমাধানের লেমুন্সুস চোষার ব্যবস্থা স্বরূপ।
সো আপনার প্রশ্নের সমাধান হিসাবে আমি মনে করি - আমাদের শত্রুদের দৌড়ের উপর রাখতে হবে। গনমানুষের সমস্যা হয়, নরমাল জনজীবন বিপর্যস্ত হয়, সাধারন মানুষের মৃত্য হয় অমন সকল কর্মসূচী হতে বেরিয়ে এসে - টার্গেটেড হতে হবে। শত্রুর কমান্ডিং চেইনকে দৌড়ের উপর রাখতে হবে। প্লানিং টিমকে এমন ভাবে ব্যস্ত করে ফেলতে হবে - যে তারা যখন একটি প্লান করবে - তা বাস্তবায়নের আগে নতুন প্লান করার আবশ্যকতা দেখা দেবে। এজন্য উদ্যোগী মানুষ চিহ্নিত নেতা নেত্রীর আদেশ নির্দেশের বাহিরে থেকে কাজ করতে হবে। এবং একাত্তরের গেরিলা কৌশল চিহ্নিত শত্রুর বিরুদ্ধে কাজে লাগাতে হবে।
মনে রাখতে হবে ওয়েস্টার্ন সকল সরকার ও বাংলাদেশের গনমানুষ বাংলাদেশের ক্লডিং স্লেইভ, ইকোনমিক একটিভিটি তে কোন প্রতিবন্ধকতা না হলে - লিপ সারভিস কনটিনিউ করবে। কিন্তু এসকল কাজে বাধা এলে পক্ষাবলম্বন করবে ঐ শক্তির - যে তা নিশ্চিত করবে তাদের জন্য।
এমন কোন একটিভিটি যা হয়তো নিউজ করবে,
১। ঘাদানী আন্ডারগ্রাউন্ডে।
২। আত্মহত্যা করেছে - কথিত র এর এজেন্ট সাবেক মন্ত্রী।
৩। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বাংলাদেশের পার্ট গোছালেন।
৪। বাংলাদেশের মিডিয়ায় নতুন সুর।
৫। ভারত বাংলাদেশে গোয়েন্দা কার্যক্রম সীমিত করার ঘোষনা দিয়েছে।
৬। অবশেষে নদীর পানির ন্যয্য হিস্যার জন্য সরকার আন্তর্জাতিক আদলতের দ্বারস্থ হয়েছে।
৭। মাদক পাচারের মামলায় ২৫০০ বিডিআর এর বিরুদ্ধে চার্জশীট দিয়েছে পুলিশ।
ইত্যাদি
মন্তব্য করতে লগইন করুন