ঢাকা মহানগর বি,এন,পি এবং ১৮ দলঃ হবে, তবে কবে?? ================================
লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ০৭ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:০২:২০ বিকাল
গত ২৫শে অক্টোবর থেকে বি,এন,পি তথা ১৮ দল সারা দেশে অল আউট আন্দোলন করছে। ঢাকা মহানগরীর বাইরেরে বাংলাদেশের ছিত্র সম্পূর্ণই ১৮ দল ময়। কিন্তু ঢাকাতে কোন আন্দোলন হচ্ছে না। কিছু গাড়ী পোড়ানো, ককটেল বিস্ফোরণ, ঝটিকা মছিলের মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ এই আন্দোলন। ঢাকা মহানগর ১০০ টা ওয়ার্ডে বিভক্ত।
সাথে রয়েছে বাড্ডা, ভাটারা, উত্তরখান, কদমতলী, সুলতানগঞ্জের মত প্রায় ১২টি ইউনিয়ন। এই সীমার বাইরে থেকেই বাংলাদেশের অন্যরুপ। এখন দেখি ১৮ দল গুলির কি অবস্থা।
১। বি,এন,পি- সব দলের চেয়ে একাই কমপক্ষে ১০০গুন বড়। বি,এন,পি, শ্রমিকদল, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ প্রায় ৩০ টি সংগঠন আছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে অঙ্গসংগঠন মিলে প্রায় ৭০০-৮০০ নেতা আছে। কর্মী ধরলাম আরো ১০০০ করে। তাহলে আমি যদি কমপক্ষে ১২০০ করে নেতা নেতা কর্মী ধরি সেটা হবে ১৪০টি ওয়ার্ডে মোট
১২০০ X ১৪০= ১,৬৮,০০০ (এক লক্ষ আটষট্টি হাজার)। কিন্তু একদিনের হরতাল মিছিলে সব মিলিয়ে ১,০০০ ও হয় না। এমনকি ম্যাডামের জনসভায়ও এই দুই লাখ নেতা-কর্মী আসে না। সেটা ২৫শে অক্টোবরই প্রমান হয়েছে। বি,এন,পি তে আছে কিছু শক্তিশালী নেতা যেমন মীর্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, সালাহউদ্দিন,
নবিউল্লাহ নবী, লতিফ, এস,এ, খালেক, পিন্টু, কাইউম প্রমূখ। যারা দুইজনই মিলেই ঢাকাওকে অচল করে দিতে পারে। কিন্ত কেওই মাঠে নাই। অবাক করার ব্যাপার।
এটা কি পলিসি? যদি পলিসি হয় তাহলে এটা ভুল। আর যদি না হয়???
এটাই অনেক প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
২। জামায়াতঃ এই সব এলাকায় সর্বমোট তাদের সর্বোচ্চ ৫০,০০০ নেতা-কর্মী আছে। হরতালে সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২,০০০ নামে।
৩। বিজেপি (পার্থ)- ভোলাতেই তারা মিছিল করে না। ঢাকাতো দূর ছাই।
৪। ইসলামী ঐক্যজোটঃ কওমি মাদ্রাসা কেন্দ্রিক দল ধর্মীয় ইস্যু ছারা তারা মাঠে নামে না।
তাহলে মনে প্রশ্ন তৈরী হয়ঃ
++++++++++++++++
১। এটা কি আন্দোলনের স্ট্রাটেজী??? যদি তাই হয় তাহলে কে ঠিক করেছে এটা??
আমাদের মনে রাখতে হবে এটা মুক্তিযুদ্ধ নয়। গনতান্ত্রিক আন্দোলন।
২। বি,এন,পির কোন অংশ কি বেঈমানী করছে??? যদি করেই তাহলে কি সবাই একসাথে
করছে??? যদি কিছুও সত্য হয় তাহলে তাদের কেন রাখা হচ্ছে??? ভয়ে দল ছেড়ে
যাবে বলে? বি,এন,পি ছাড়া সবাই আসলে জিরো, সে যত বড় নেতাই হোক।
৩। কেন ঢাকা আগে নয়?? সমাজবিজ্ঞানে একটা কথা আছে মানুষ সব সময় উপরের দিকে তাকায়। সো, ঢাকাকে ছেড়ে দিলে গ্রামের আন্দোলনও একসময় স্তব্ধ হয়ে যাবে।
৪। “রাজধানী যার রাজ্য তার” এটা কি বি,এন,পি জানে না??? যদি না জানে তাহলে বড় ভুল করছে।
৫। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবও কি দায়িত্ব পালন করছে??? আমার মনে হয় দলের মুখপাত্র এবং রাজপথের নেতা এক নয়।
৬। ওয়ার্ডের সাবেক কমশনাররা এখন কোথায়??? কোটি পতি হয়ে কি তারা টাকা পাহারা দিচ্ছে?? এদের দরকার কি বি,এন,পির ??
৭। বিষয়টা কি এমন “পদ্মায়ও একদিন ব্রীজ হবে, যেদিন পদ্মায় পানি থাকবে না” আন্দোলনেও একদিন আমরা নামব, যেদিন আন্দোলনের দরকার হবে না।
প্রস্তাবনাঃ
++++++
১। ম্যাডামকে জরুরী ভিত্তিতে পল্টন অফিসে একদিনের ভিতর ওয়ার্ড থেকে ২০০ নেতা কর্মী নিয়ে একদিন বসতে হবে, এবং প্রতিশ্রুতি নিতে হবে আন্দোলনের।
২। মহানগরীকে চার ভাগে ভাগ করে একজন সমন্বয়ক নিযুক্ত করা। খোকা সাহেবকে কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। সমন্বয়ক হিসাবে তরিকুল/আমীর খসরু/ নোমান কে মনোয়ন দেয়া।
এটা এক সপ্তাহের ভিতরই করতে হবে।
৩। যুবদল এবং ছাত্রদল ভেঙ্গে দেয়া।
৪। ছাত্রদল, যুবদল এবং শিবিরের সমন্বয় কমিটি করা দরকার।
বিষয়: রাজনীতি
১২৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন