অর্থনীতি নিয়ে ভাবুন প্লিজ...........

লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ২০ আগস্ট, ২০১৩, ১০:৪৬:০৮ রাত

ব্লগ, ফেবু সর্বত্র রাজনীতি, ইতিহাস, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনার ঝড় ঊঠে...

কিন্তু অর্থনীতি আলোর নিচে অন্ধকার হয়ে থাকছে। আসলে একটা গনতান্ত্রিক সমাজে অর্থনীতিই মূল বিষয়, সরকারের সফলতা এবং ব্যর্থতার তার সাথে প্রয়োজন আইনের শাসন।

আমরা হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, ডেসনিটি নিয়ে কথা বলি কিন্তু অর্থনীতির অবস্থা যে

“কাজীর গরু কিতাবে আছে গোয়ালে নাই” সে অবস্থার কেও কি খোঁজ রাখেন?

Healthy economics’র মূল প্রতিবাদ্য হচ্ছে “স্বস্থির অর্থনীতি” অর্থাৎ দেশের অধিকাংশ মানুষ স্বস্থিতে আছে কি না?

এখন অনেক সূচক দেখা যায় ভালো কিন্তু মানুষ কষ্টে আছে তাহলে সমস্যা কি?

“হয় সেটা শুভঙ্করের ফাঁকি” বা অপর্থনীতি......

কিছু বিষয়ঃ

১। দেশের শিল্পায়নে মূল ভূমিকা রাখে সরকারী ব্যাংক বি,এন,পি একটি শক্তিশালী ব্যাংকিং ব্যবস্থা রেখে এসেছিল, কিন্তু শুধুমাত্র হলমার্ক নিয়ে আলোচনা করে সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রুপালী, বেসিক ব্যাংকে যে সামগ্রিক লুটপাটের মাধ্যমে আ,লীগ দেউলিয়া করে দিয়েছে সেটা ভুলে যাচ্ছি। দেউলিয়া হবার ফলে কি হচ্ছে একদিকে লুটপাট করে দলীয় এক শ্রেণীর মানুষের কাছে টাকা গিয়েছে এবং তার বড় অংশ দেশ থেকে পাচার হয়েছে অন্য দিকে ভবিষ্যতের শিল্পায়ন কে ক্ষতিগ্রস্থ করবে যার ফলে বেকারত্ব বেড়ে যাবে আর নিসচিত ভাবেই সামাজিক বিশৃংখলা তৈরী হবে।

২। গত একবছর Capital machinery & Industrial raw material import ক্রমাগত কমছে আর বাড়ছে রিজার্ভ, এর ফলে ভবিষ্যতে রফতানী কমবে বেকারত্ব বাড়বে। মূলত আমদানী কম হবার ফলে রিজার্ভ বাড়ছে, সরকারের ব্যর্থতাই এখানে সফলতা।

৩। কুইক রেন্টাল নামের সর্বনাশা আ,লীগ চাঁদাবাজি চলছে এবং চালাতেই হবে কারন এর বাইরে নতুন কোন বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরী হয়নি, যার ফলে বছরে ৩০,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি আ,লীগের পেটে দিতেই হবে সেটা যে সরকারই ক্ষমতাই আসুক না কেন। তিন-চার বছর লাগে বিদ্যুৎ প্লান্ট তৈরী করতে। আর বর্তমানে ৪৫% বিদ্যুৎ কুইক রেন্টালের সো আপনি রাতারাতি সেটা বাদও দিটে পারবেননা। ফলে বিনিয়োগের গাটতি থেকেই যাবে, সরকারকে ধার কর্য করেই চলতে হবে।

৪। শেয়ার মার্কেট থেকে আপনি আগেই জনগনের পকেটের টাকা চুরি করেছেন, তার মানে জনগনের কাছ থেকে আবার ক্যাপিটাল উঠানো কঠিন হবে, ফল বিনিয়োগের সমস্যা।

৫। রাজস্ব আহরণের ক্ষেত্রে সরকারের বড় সফলতা আছে, কিন্তু সেটার সক্ষমতা শেষের দিকে বা প্রান্তিক অবস্থায় কিন্তু সরকারের ব্যয় বাড়বেই তখন কি হবে, করের বোঝা বাড়াবেন আর আমরা বিরক্ত হব, বিক্ষুব্ধ হব।

৬। কৃষি উৎপাদনও সক্ষমতার শেষ দিকে, নতুন বিপ্লব ছাড়া খুব বেশী বারবে না, তাহলে? খাদ্য মূল্য বাড়বে কারন চাহিদা এবং জোগানের ভারসাম্যতা নষ্ট হবে।

৭। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার আপাতত বাড়ার সম্ভাবনা কম ভবিষ্যতে অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে। তাহলে রিজার্ভে টান পড়তে পারে আপনার।

৮। যোগাযোগ অবকাঠামোর কোন বড় উন্নতি হয়নি তাই আপনার অর্থনীতির চলমানতা ধীর হতে পারে আর তাহলে কি হবে?

৯। পাশের সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে শিক্ষার গুনগত মান নষ্ট হয়েছে, তার অর্থ বিশ্বায়নের যুগে দক্ষতাই আপনি মার খেতে যাচ্ছেন।

এই ব্যর্থ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের নতুন করে জাগতে হবে।

বিষয়: বিবিধ

১০১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File