মধ্যপ্রাচ্যঃ অনৈক্য এবং সম্ভাবনা-১

লিখেছেন লিখেছেন ভাবনার ল্যাম্পপোস্ট ১৯ আগস্ট, ২০১৩, ১১:০২:৩৩ রাত

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে কেন ভাবি?...... এই প্রশ্নটা অনেকের মধ্যেই ঘুরে আমারও তাই।

উত্তর অনেক জটিল, কিছু বিষয় আগে বলে নিই......

১। আমেরিকা বা বৃটেন নিয়ে যেমন ভাবে ভাবি তেমনি মধ্যপ্রাচ্য নিয়েও ভাবতে হবে কারন আমরা গ্লোবালাইজেশনের যুগে বাস করছি।

২। আমার এবং আমাদের চৌদ্দ পুরুষের নামের সাথে ইসলাম, খান, হাসান, মোহাম্মদ, হোসেন জড়িত। ৯/১১’র পরের দিনই জর্জ বুশ ক্রুসেডের ঘোষণা দিয়েছিলেন, সেদিন থেকেই আমরা হয়ে গেছি মানে মুসলমানরা তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সেটা আপনি যতই সেক্যুলার হন না কেন।

৩। হান্টিংটনের থিওরী অনুযায়ী সামাজতন্ত্র পরবর্তী যুদ্ধ হবে পাশ্চাত্য বনাম ইসলাম। আর এই থিওরী বাস্তবায়ন করার জন্য ৬ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে আমেরিকা শুধু মাত্র ইরাক এবং আফগানিস্থানের যুদ্ধে।

৪। আমদের সবার কমবেশি ঈমানী চেতনা আছে তাই মুসলিমদের কষ্টে দুঃখ পাই, আর যদি ব্যাথা অনুভব না করি তাহলে আমরা মুসলিম সমাজের অন্তর্ভুক্ত নই এটাই রাসুল(সাঃ)’র আক্বীদা।

৫। ইসলামের মূল কেন্দ্র হচ্ছে মক্কা, মদীনা তার পরে আরব সেন্টার গুলি। মক্কা, মদীনা, ফিলিস্থিন, সিরিয়া, মিশর, বসরা ছিল রাসুল (সাঃ)’র সময়ের বা অল্প পরবর্তী সময়ে ইসলামের মূল কেন্দ্র। সিরিয়া ছিল ব্যবসার কেন্দ্র, মক্কা-মদীনা আধ্যাত্বিক কেন্দ্র এবং পরিকল্পনার কেন্দ্র, মিশর ছিল আফ্রো-এশিয়ার ইসলাম প্রচারের সেন্টার।

৬। রাসুল(সাঃ) নিজেই পারস্য বা ইরান এবং তুরস্ক জয়ের ভবিষ্যত বাণী করেছিলেন। পরবর্তীতে তুরস্কের উসমানীয়া খেলাফতের হাত ধরে মধ্য এশিয়া, ভারতীয় উপমহাদেশে ইসলামের বিজয় অর্জন সম্ভব হয়।

৭। মধ্যযুগে সারা পৃথিবী যখন অন্ধকারে নিমজ্জিত তখন বিশ্বে মুসলমানরা জ্ঞান, বিজ্ঞান, দর্শন, মানবতা ইত্যাদির আলোতে আলোকিত করছে, ইসলাম কখনই বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার প্রতিবন্ধক ছিলনা বরং নেতৃত্ব ভূমিকায় ছিল।

৮। আজকের বিশ্ব মানবাধিকারে দর্শণ আর রাসুল(সাঃ)’র বিদাই হজ্বের ভাষণের পার্থক্য আপনি করতে পারবেন না, পারবেন না বাগদাদ, স্পেন, মিশরের বিশ্ব সভ্যতা বিনার্মানের এবং বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার সাথে বর্তমানের পার্থক্য করতে।

তাহলে সমস্যাটা কোথায়? কেন নতুন করে ক্রুসেডের সম্মুখীন হতে হচ্ছে? আর এই ক্রুসেডে কেন আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপ, ইন্দো-ইয়াহুদী চক্র, চীন সবাই এক সুতায় গাঁথা?

ভাবার বিষয় একদিকে মিশর জ্বলছে, ইরাক, আফগানিস্থান, সিরিয়া, লেবানন জ্বলছে, চীনে উইঘুর রা মরছে। তিউনিসিয়া,তুরস্ক, জর্ডান, লিবিয়া যে কোন সময় মিশরের পরিস্থিতি শুরু হতে পারে। পাকিস্থান বহুদিন ধরে অস্থিতিশীল যেখানে একদিন মানুষ না মরা বা বোমা না ফুটলে অবাক করা বিষয় হবে।

ইন্ডিয়ায় মুসলিমরাতো দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক যেদিন থেকে বৃটিশ শাশন শুরু হয়েছে।

তাহলে এই সবই কি ক্রুসেডারদের ষড়যন্ত্র?

এটা কি শুধুমাত্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না কি সভ্যতার দ্বন্দ?

কেন সমস্থ পরাশক্তির অবস্থান মুসলমানদের বিরুদ্ধে?

আমি ভাবি যে, ষড়যন্ত্রতো থাকবেই কিন্তু ষড়যন্ত্রে আমি পা দিচ্ছি কেন?

আর এইজন্যই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে ভাবনা, কষ্ট, ভালবাসা অনুভব করি।

কারন ও বর্তমানঅবস্থা এবং প্রত্যাশা আগামী পর্বে

বিষয়: রাজনীতি

১২৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File