ড. ইউনূসকে গ্রেফতার ও মন্ত্রিসভা থেকে দীপু মনিকে অপসারণ দাবি awamiসংবাদ সম্মেলনে আওয়ামীপন্থী ওলামা-মাশায়েখ পরিষদ।
লিখেছেন লিখেছেন মোন খুলে লিখবো ২৭ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৩০:৪৯ রাত
সমকামীদের সমর্থন ও তাদের পক্ষে গোপনে কাজ করার অভিযোগ তুলে বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসকে গ্রেফতার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী হিসেবে পরিচিত ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
গতকাল বেলা ১১টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা আইয়ুব আনসারী। সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসকে সামাজিকভাবে বয়কট করে তাকে যেখানেই পাবে সেখানেই প্রতিহত করা, রমজানের পর ইউনূস সেন্টার ঘেরাও এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনিকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের কঠোর কর্মসূচি ঘোষণারও হুমকি দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ওলামা-মাশায়েখ সংহতি পরিষদের মহাসচিব মাওলানা ফারুক আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা রুহুল আমিন সিরাজী, আবদুল আলিম ফরিদ, মাওলানা শরীফ উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গোপনে সমকামীদের সমর্থন আদায়ে ও তাদের পক্ষে কাজ করেছেন এবং সমকামীদের পক্ষে আইন পাস করার সুপারিশ করেছেন। এজন্য তাকে মন্ত্রিসভা
থেকে অপসারণের দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। তারা বলেন, দীপু মনির স্বাক্ষরিত ওই সুপারিশের লিখিত কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি ও দেশের জনগণের প্রতি পাঁচটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো—অবিলম্বে বলাত্কারের সমর্থক ড. ইউনূসকে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি, ড. ইউনূসকে সামাজিকভাবে বয়কট করে দেশে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, তাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহত করতে ধর্ম বিশ্বাসী সবার প্রতি আহ্বান, প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে এ জঘন্য কর্ম ও ব্যক্তির মুখোশ উন্মোচনের লক্ষ্যে আলোচনা করার জন্য ইমাম-খতিবদের প্রতি আহ্বান এবং রমজানের পর ইউনূস সেন্টার ঘেরাওসহ আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পশ্চিমা ভোগবাদী শক্তির মানুষের জৈবিক চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণহীন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়ে সমকামীদের অধিকার সংরক্ষণের এজেন্ডা নিয়ে ড. ইউনূস মাঠে নেমেছেন। এতদিন বিশ্বব্যাপী সমকামীদের কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রে নীরবে সঙ্গোপনে পরিচালিত হতো। সামাজিক সভ্যতার দেয়াল টপকে দিবালোকে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না। কিন্তু আমাদের দেশের গর্বিত সন্তান নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস বর্তমানে এই অসভ্য নির্লজ্জ কাজের একজন বড় সমর্থক। বিশ্বব্যাপী সমকামীদের প্রতি তিনি একাত্মতা প্রকাশকারী। তারা অভিযোগ করেন, গত ২০১২ সালের ২১ জুন ইসলামের মৌলিক একটি বিধানের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সমকামীদের পক্ষে জনমত তৈরির জন্য নোবেল বিজয়ী আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটু (সাউথ আফ্রিকা), অধ্যাপক জেডি উইলিয়াম (যুক্তরাষ্ট্র), ড. শিরীন এবাদী (ইরান) ও ড. ইউনূস এই চারজন একত্রে বিদেশি পত্রিকায় বিবৃতি প্রদান করেছেন। যাতে সমকামী জীবন ধারণকারীদের বৈষম্যের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
সংবিধান সমকামিদের অধিকারের পক্ষে : দীপু মনি
বাংলাদেশের সংবিধানে লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের (সংক্ষেপে এলজিবিটি) অধিকার সংরক্ষণের স্বীকৃতিদানের কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপুমণি।
গত এপ্রিল মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউতে তিনিএ তথ্য জানান।
তিনি আরো বলেন, সাংবিধানিকভাবে তাদের সমঅধিকার ও স্বাধীনতা দেয়ার কথা বলা হয়েছে ।
dipu moniসম্প্রতি বিডি নিউজ ২৪ ডট কম-এ প্রকাশিত রেইনার এবার্টের “সমকামিতা : ধারণা বনাম বাস্তবতা” শিরোনামের এক নিবন্ধে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
নিবন্ধে আরো বলা হয়,কয়েক মাস আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বন্ধু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেন যে, জাতীয় আইন কমিশনের সহায়তায় তার কমিশন একটি আইনের খসড়া তৈরির কাজ করছে যেটি ব্যক্তির যৌনজীবনের কারণে তার প্রতি বৈষম্য নিষিদ্ধ করবে।
বিষয়: রাজনীতি
১২৬৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন