বিমানবন্দরে কাজ না করে ১২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ !

লিখেছেন লিখেছেন আজ আছি কাল নেই ০৮ মার্চ, ২০১৫, ১২:৩৬:৪৫ দুপুর

ছোট বেলায় বাগধারায় অনেক বার পড়েছি “পুকুর চুরি”। বই পড়ে জানতাম পুকুর চুরি মানে বড় রকমের চুরি। ছোটবেলায় মনে মনে ভাবতাম বাড়ি ঘরের সবকিছু চুরি করে নিয়ে গেলে তাকে পুকুর চুরি আর অল্প চুরি হলে তাকে ছিচকে চুরি বলে। কিন্তু পরবর্তীতে পুকুর চুরি গল্পটা শুনে মানুষের দুর্নীতি করার সাহসিকতার নিয়ে আতকে উঠেছিলাম। পুকুর চুরির গল্পটা অনেকেই জানেন তাই সেদিকে আর না যাই। যে কারনে পুকুর চুরির কথা টা বলছিলাম . . . . . আজ পত্রিকায় দেখলাম দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে রান ওয়ের কাজ করার জন্য ১২৫ কোটি টাকার টেন্ডার নেয় একটি প্রতিষ্ঠান। কাজ নিয়েছে ভাল কথা কিন্তু একফোটা কাজ না করেই মাত্র দুইটি চেকের মাধ্যমে সমদয় টাকা তুলে নিয়েছে। আহ কি সুন্দর কথা। আর কাজে সহায়তা করেছে বিভিন্ন মিস্টার টেন পারসেন্ট। আর যারা ভাগে কিছু পান নাই তারা ফাঁস করে দিয়েছেন ওই খবর (ফাঁসকারীদের মাঝে যে ভাল মানুষ নেই তাও বলছি না)। ১২৫ কোটি টাকার অর্থমন্ত্রীর কাছে কোন অর্থই না কারণ তিনি কাজ করেন হা---জা--র হা--জা--র কোটি টাকা নিয়ে। কিন্তু আমরা যারা অনেক কষ্ট করে সরকারের কোষাগারে আয়কর দেই তাদের জন্য এটা বিশাল একটা বড় এমাউন্ট। বিমান বন্দরের ওই দুর্নীতির তদন্ত করছে আমাদের দুদক নামের চুদক। জানি এসব পুকুর চুরির মত দুর্নীতির কোন কূল কিনারা হবে না কারণ সর্ষের ভেতরে রয়েছে ভূত।

বিষয়: বিবিধ

১০৫৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

307817
০৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯
আফরা লিখেছেন : গোপন কথা ফাস করল কে তার ফাঁসী চাই ।
307829
০৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
সোহেল মোল্লা লিখেছেন : ধন্যবাদ
307832
০৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:১০
হতভাগা লিখেছেন : আমার বাসা বিমান বন্দরের রানওয়ের পিছনে । সেখান থেকে বিমান ওঠা-নামা দেখা যায় ।

মাস ৮-৯ আগে রানওয়ে মেরামত করা হচ্ছিল , বিশেষ করে টারমাক থেকে ওড়ার স্পট পর্যন্ত ব্যাপক কাজই হয়েছে বলবো ।

সাধারনত শাহজালাল বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামা করে উত্তর দিক থেকে । সে সময়ে কিছু কিছু প্লেন দক্ষিন সাইড ব্যবহার করতো । রানওয়ে পৌছানোর জায়গাটায় কাজ হচ্ছিল বলে বিমান গুলো রান ওয়েতেই চলাচল করতো উড্ডয়নের সময় ।
০৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:২৪
249099
আজ আছি কাল নেই লিখেছেন : http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/first-page/2015/03/08/36175.html

রানওয়ে মেরামতের ১২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
সত্যতা পেয়েছে দুদক
আমীর মুহাম্মদ০৮ মার্চ, ২০১৫ ইং
হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রানওয়ে মেরামতের নামে ১২৫ কোটি টাকা আত্মসাত্ করার অভিযোগ ওঠেছে। সিভিল এভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রানওয়ের কাজ না করেই এ অর্থ আত্মসাত্ করেছে। সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়া এমন অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে কশিশন। এরই ধারাবাহিকতায় কমিশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধানে নেমেছে। দুদকের একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দুদকে আসে। অভিযোগটি যাচাই-বাছাই শেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এ নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক আবদুস ছাত্তারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, সিভিল এভিয়েশনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এবং একটি ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান যোগসাজশে বিমান বন্দরের রানওয়ে মেরামতের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার দাখিল করে গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুইটি চেকের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে। এই চক্রটি রানওয়ে মেরামতের নাম করে ভুয়া কাগজ-পত্র তৈরি করে আরও মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়েছে বলেও কমিশনে তথ্য রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী ঋণ খেলাপী কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সিভিল এভিয়েশনের কাজ করতে পারবে না। ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার কমার্স ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের ঋণ খেলাপি। এ পরিস্থিতিতে সিভিল এভিয়েশনের কাজ করার জন্য ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানটি দুবাই ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানের কিছু কাগজ-পত্র জমা দেয়। ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানটি নিজেদেরকে ওই প্রতিষ্ঠানের দেশীয় এজেন্ট হিসেবে এভিয়েশন থেকে গত বছরের নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রানওয়ে মেরামতের কাজ নেয়। এরপর কোন কাজ না করেই ২৩ নভেম্বর দুইটি চেকের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা তুলে নেয়। এমনকি ভুয়া চেকের মাধ্যমে এই টাকা হাতিয়ে নিতে ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠানটি সিভিল এভিয়েশনের একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে শতকরা ১০ ভাগ কমিশন দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া আনুপাতিক হারে এই টাকার কমিশন নিয়েছেন সিভিল এভিয়েশনের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা। এতো দ্রুত বিল তুলে নেয়ার ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে গেলে এভিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তা একটি নথি তৈরি করে। নথিতে বলা হয়, গত বছরের জুনে এ সংক্রান্ত কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এই কাজ প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া হয়েছে। দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, এ অভিযোগ অনুসন্ধানে সংশ্লিষ্ট দফতরে রেকর্ড-পত্র চাওয়া হয়েছে। অভিযোগে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।



আমার মনে হয় সেই সময় অন্যকোন প্রতিষ্ঠান কাজ করে থাকতে পারে। কারণ রানওয়ের বিভিন্ন ধরনের কাজ থাকতে পারে। ওই সময় যে কাজ হয়েছে হয়তো সেটা অন্য প্রতিষ্ঠানের।
307839
০৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০২:৫৮
তোমার হৃদয় জুড়ে আমি লিখেছেন : এই দেশে এখন এটাই বাস্তব। না করলেই বরং খারাপ
307918
০৮ মার্চ ২০১৫ রাত ১০:১৭
শেখের পোলা লিখেছেন : ভূত শুধু সর্ষেতে নয় ভূত ওঝাতেও ঢুঁকে গেছে৷ শুধু কেরামতি দেখে যান৷ এসব বলা মানে যুদ্ধ অপরাধীদের বাঁচানোর অপবাদ নেওয়া মনে রাখবেন৷
০৯ মার্চ ২০১৫ দুপুর ০১:১৮
249097
আজ আছি কাল নেই লিখেছেন : হুম ঠিক বলেছেন

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File