বাংলা পেপার থেকে নেয়া----- রফতানি খাতে বড় ধরনের বিপর্যয় : মুখ থুবড়ে পড়বে অর্থনীতি
লিখেছেন লিখেছেন সুজা মানুস ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৩:১৭:০৫ রাত
দেশের রফতানি খাত বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবং আয় কমতে শুরু করেছে আশঙ্কাজনক হারে। রফতানি আয়ের প্রধান খাতগুলো লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। আয় কমে যাওয়ার প্রধান একটি কারণ হলো, বেশ কিছুদিন ধরে অনেক পণ্য রফতানিই করা যাচ্ছে না। যেমন প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, ১৪০টি গুদামে এক হাজার কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি পড়ে আছে। কাঁচা পাট শিল্পের রফতানিতেও পিছিয়ে পড়েছে দেশ। গার্মেন্টের কথা নিশ্চয়ই বলার অপেক্ষা রাখে না। নির্ধারিত সময়ে রফতানি করতে গিয়ে শিল্পোদ্যোক্তা মাত্রকেই বহুগুণ বেশি ভাড়ার অর্থ গুণতে হয়েছে। এখনও পরিবহন ব্যয় কমে আসেনি। ওদিকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় প্রধান খাত রেমিট্যান্সেও বলতে গেলে ধস নেমেছে। ২০১২ সালের তুলনায় গত বছর প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ কমেছে সাত হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। এ সময় বিদেশে জনশক্তি রফতানি কমেছে দুই লাখ। গার্মেন্টসহ অন্য পণ্যগুলোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সঙ্কট ও সহিংসতা প্রধান কারণ হলেও জনশক্তি রফতানি কমার পেছনে রয়েছে অন্য কারণ। প্রকৃতপক্ষে রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি তথা পরিমাণ কমতে শুরু করেছে দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে। আগে প্রবৃদ্ধি যেখানে ছিল সাড়ে ২২ শতাংশ সেখানে ২০০৯-১০ অর্থ বছরেই কমে হয়েছিল সাড়ে ১৩ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থ বছরে এই পরিমাণ আরও কমে নেমে এসেছিল মাত্র পাঁচ শতাংশে। কমে যাওয়ার সে ধারাই এখনও অব্যাহত রয়েছে। তথ্যাভিজ্ঞরা বলেছেন, সরকারের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতাই রেমিট্যান্স কমে যাওয়ার প্রধান কারণ। ভ্রান্ত ও একদেশ তথা ভারতমুখী পররাষ্ট্রনীতির কারণে বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক শীতল হয়ে পড়েছে। সে কারণে ওই দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়া হয় বন্ধ করেছে নয়তো অনেক কমিয়ে দিয়েছে। কোনো কোনো দেশ এমনকি বাংলাদেশীদের ফেরতও পাঠিয়েছে। এখানে সৌদি আরবের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা দরকার। কারণ, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি তথা মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩৫ শতাংশই এসেছে সৌদি আরব থেকে। বড় সে চাকরির বাজারেই বাংলাদেশীদের জন্য দরজা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। চাকরিরতদের সংখ্যাও ২২ লাখ থেকে কমে এসেছে ১৫/১৬ লাখে। আরও কয়েক লাখ বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠানোর আয়োজন চলছে বলে খবরে জানা গেছে। অর্থাত্ বিদেশে বাংলাদেশের জন্য চাকরির বাজার অনেক সংকুচিত হয়ে এসেছে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে সরকারের জন্য চোখে শুধু ‘সরষের ফুল’ ছাড়া আর কিছুই দেখার থাকবে না।
বিষয়: বিবিধ
১২০৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন