সাধের গনতন্ত্র ও রাজনীতির ১/১১ ....!!!

লিখেছেন লিখেছেন চিন্তিত মন ০৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৪৯:২৮ দুপুর

বাংলাদেশে রাজনীতি বলতে যা চর্চা করা হয়েছে তা কোন অবস্থায় রাজনীতিরসংজ্ঞায় প্রতিস্থাপন করা যায়না। তা ছিল শুধুই পেট আর পকেটনীতির উলঙ্গ প্রদর্শনী। খালেদা জিয়া, এরশাদ আর হাসিনাকে যদি রাজনীতিবিদ আখ্যায়িত করা হয় তা হবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিবেদিত রাজনীতিবিদ্‌দের জন্য এক ধরনের অপমান। একজন দশম শ্রেনী অকৃতকার্য গৃহবধূকে দল বাঁচানোর তাগিদে রান্নাঘর হতে টেনে এনে দেশ এবং রাষ্ট্রকে বর্গা দেয়ার নাম রাজনীতি হতে পারে না, তা স্রেফ দেশ নিয়ে জুয়া খেলা। এবং এ তামাশা জাতিকে উপহার দিয়েছে একদিকে ইস্কান্দর, শামীম, তারেক, ককো, সৈয়দাতৈয়বার মত লুটেরা আত্মীয়দের, অন্যদিকে বাবর, হুদা, সিরাজ, মওদুদ আর লালু ভুলুদের মত হাজার হাজার প্রফেশনাল ডাকাতদের। চুরি আর লুটপাটের দৌড়ে পিছিয়ে পরে শেখ হাসিনা রাজনীতির নামে যা করেছিলেন তা ছিল লাগামহীন উন্মাদনা। লাগাতার হরতাল, লগি-বৈঠার তাণ্ডব আর আগুনে পুড়িয়ে বাস যাত্রীদের কয়লা বানানোর রাজনীতি কোন সুস্থ রাজনীতিবিদের মগজ হতে বেরুতে পারে না। ছাউনির ডাকাত এরশাদ হচ্ছেন সেইরাজনীতিবিদ যাকে চুরির দায়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সাজা দিয়েছিল এবং তিনি সে শাস্তির মেয়াদ শেষে আবারও ফিরে এসেছেন খালেদা-হাসিনা রাজনীতির নিয়ামক শক্তি হতে। এর চেয়ে লজ্জাজনক ঘটনা বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে দ্বিতীয়টা খুঁজলে পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না।

আজকে ছাত্র এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বলতে আমাদের সামনে ভেসে উঠে একদল এজিদ যারা হাতিয়ার নিয়ে একে অন্যকেধাওয়া করছে, লাল নীল আর হলুদ রংধারীশিক্ষক যারা জ্ঞানের বদলে ছাত্রদের শিরায় ঢুকিয়ে দিচ্ছে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি সহ দলীয় ভৃত্যগীরির ভয়াবহ বিষ। দেশের বিচার ব্যবস্থা দলীয় ভৃত্যদের পদচারনায় করা হয়েছে দলিত মথিত, আইনের শাসনকে বদলে দেয়া হয়েছে দলীয়শাসনে। রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ভাগাভাগির দৌড়ে নিজকে বঞ্চিত ভেবে হাসিনা তার কুট চালকে আন্তর্জাতিকীকরণ করেছেন নির্লজ্জের মত। ছেলে, মেয়ে, বোন এবংসহায়-সম্পত্তি সহ সব বিদেশে পাচার করে উনি বাংলাদেশকে বানিয়ে ফেলেছেন দুধালো গাভি। অপরাজনীতির এই ভয়াল থাবার কারনেই জাতি হিসাবে আমাদের পরিচিতি দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হিসাবে।

চড়াই উৎরাই শেষে দেশে আবারও ফিরে এসেছে কথিত গণতান্ত্রিক রাজনীতি। অন্তত দেশের রাজনীতিবদগন তাই মনে করেন। এখান হতে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে তা বাংলাদেশীদের ঠিক করতে হবে। রাজনৈতিক ব্যর্থতার জরায়ুতে জন্ম নেয়া সময় এবং চাহিদার ফসল মউআ/ফউআদের বিচার নিয়ে মাতামাতির আগে রাজনীতিবিদ্‌দের উচিৎ আয়নায় নতুন করে নিজেদের চেহারা দেখে নেয়া। তা হলে ভবিষ্যতে নতুন ফকরুদ্দিন-মইনউদ্দিন গংদের উত্থানই শুধু ঠেকানো যাবে না, পাশাপাশি নিজেদের রক্ষা করা যাবে জেল-হাজতের কালিমা হতে। দেশে আইনের শাসন নিশ্চিত পূর্বক বিচার ব্যবস্থা দলীয় ভৃত্যদের হাত হতে মুক্ত করা গেলে রাজনৈতিক সুবিধায় অর্থনীতিকে ধর্ষন করার সাংস্কৃতি চীরতরে কবর দেয়া সম্ভব হবে। এমন একট সুস্থ বিচার ব্যবস্থায় শুধু রাজনীতিবিদ কেন মউআ/ফউআদের মত বন্দুক-কামানধারী অবৈধ ক্ষমতাসীনদের আনা যাবে আইনের আওতায়। এর নামই রাজনীতি, সুস্থ এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতি।

বিষয়: রাজনীতি

১৭৭৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File