প্রধান মন্ত্রী ডিজিটাল কুত্তার কাফেলা প্রসব করছে! সবাই লাঠি হাতে নিন.....!!

লিখেছেন লিখেছেন চিন্তিত মন ২৮ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৫০:১২ সন্ধ্যা

ভেবেছিলাম আওয়ামী সরকার নিয়ে লেখালেখি কটা দিনের জন্যে উঠিয়ে রাখব। সরকারের পদলেহনকারী কতিপয় কুকুর বেজায় নাখোশ আমার উপর। অনেকে রাজাকারের তালিকায় সমাহিত করার চেষ্টা করছে। কিন্তুদেশের শাসন ব্যবস্থায় এমন সব ঘটনা ঘটছে তা হতে দূরে থাকা নিজের প্রতি এক ধরণের বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে হচ্ছে। তাই নতুন করে কলম ধরতে বাধ্যহলাম। এক ছাত্রলীগের মহামারিতে গোটা দেশ এখন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। হীরক রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও তার গবুচন্দ্র মন্ত্রিসভার লীপ সার্ভিসের ওরস্যালাইনেও কাজ হচ্ছে না।

অর্থনীতি চলে তার নিজস্ব নিয়মে। তার সাথে যদি যোগ হয় পলিটিক্যাল ক্রাইম এর নিয়ন্ত্রণ শেখ হাসিনা অথবা খালেদা জিয়ার মত অল্প ও স্বশিক্ষিত গৃহবধূদের পক্ষেসম্ভব হওয়ার কথা নয়। তাই চালের বর্তমান দর ১০ টাকা নেই বলে দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে আদালতে দাঁড় করায়নি, অথবা মিথ্যা বলার অভিযোগে আন্দোলনে নামেনি। রাজনীতিতে মিথ্যাচারিতা সর্বস্বীকৃত অপরাধ, এহতে কেউ মুক্ত নয়। তবে চালের দর নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব না হলেও শেখ হাসিনার পক্ষে যে জিনিসটা নিয়ন্ত্রনে আনা সম্ভব ছিল তা হল, উনার ’কুত্তা’দের উন্মাদনা।

মালিকানা প্রকারভেদে বাংলাদেশে দুই প্রকার কুত্তার দেখা পাওয়া যায়। এক, রাস্তাঘাটের বেওয়ারিশ, দুই,গৃহপালিত। ছাত্রলীগ নামের কুত্তালীগকে উইকিপিডিয়ার কোন সংজ্ঞাতেও বেওয়ারিশ বলা যাবে না, কারণ এর মালিক জীবিত আছেন এবং তিনি আছেন বেশ বহাল তবিয়তে। কুত্তাদের নির্দিষ্ট একটা মাস থাকে যে সময়টায় তারা উন্মাদ হয়ে যায় পাশবিক ইচ্ছা চরিতার্থের লালসায়। প্রধানমন্ত্রীর কুত্তার কাফেলাও তেমনি একটা সময় পার করছে এ মুহুর্তে। তাদের লালসা কার্তিক মাসের লালসাকেও হার মানিয়ে এমন একটা উচ্চতায় ঠাঁই নিয়েছে যেখান হতে চাইলেই তারা ৫টনের সমগ্র বাংলাদেশকে যখন খুশি ধর্ষণ করতে পারে, দলিত মথিত করতে পারে, ফুটবল খেলতে পারে। এবং তারা তা করছে অতীতের সব রেকর্ড ভংগ করে। কুত্তালীগের মালিক যদিও বলছেন এ দল বেওয়ারিশ দল, কিন্তু ভুক্তভোগি মাত্রই জানে গৃহপালিত এসব কুত্তাদের উন্মাদনার শক্তি কোথায়।

তারেক আর খাম্বা মামুনদের কারণে না হয় বিদ্যুৎ খাতে উলাওডা বিবির রাজত্ব চলছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীনিজ দলের ’কুত্তা’দের বৈশাখ মাসে কাতি মাসের রাজত্বের জন্যে দায়ি করবেন কাকে, ককো, ফালু, বাবর অথবা হারিছ চৌধুরীদের? বিদ্যুতের অভাবে ধান উৎপাদন ব্যহত হয়, যার প্রভাবে প্রতিশ্রুত ১০ টাকা কেজি চাল সরবারহেও আসে বাধা।এ মুহূর্তে জাতি ১০ টাকা কেজি চাল না পেয়ে যতটা না কষ্টে আছে তার চেয়ে ঢেড় কষ্টে আছে প্রধানমন্ত্রীর ’কুত্তা’দের যন্ত্রণায়। জনাবা প্রধানমন্ত্রী, আমরা ১০ টাকা কেজির চাল চাইনা, আপনি’কুত্তা’ সামলান।

বিষয়: রাজনীতি

১৫৬৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File