এক কাপ চা আর একটা আকিজ বিড়ির যাঁতাকলে ধর্ষিত বাংলাদেশের গণতন্ত্র....!!!!
লিখেছেন লিখেছেন চিন্তিত মন ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৯:৫৪:৩৮ সকাল
সাধের গণতন্ত্র এ মুহূর্তে জিন্দালাশ। ২০০৮ সালেজন্ম নেয়া এ শিশু কৈশোর আর যৌবনের সিঁড়ি না মাড়িয়ে পা রাখতে বাধ্য হয়েছে বার্ধক্যে। চা আর বিড়ির স্বাস্থ্য নিয়ে বেশি দুর যেতে পারেনি রোগাক্রান্ত এ পিগমি। শয্যাহতে শ্মশান, গণতন্ত্রের এ যাত্রা আগে যেমন মসৃন হয়নি সামনেও যে হবেনাএ ব্যাপারে কারও কোন সন্দেহ নেই। পৈশাচিকতার উলঙ্গ প্রদর্শনীতে বাংলাদেশকে হার মানাতে পারে বিশ্বেএমন দেশের সংখ্যা একেবারে হাতে গোনা। গণতন্ত্রের শবযাত্রায় লাশের উপর সাম্বা নাচ এ কেবল এদেশেই সম্ভব।পৈশাচিকতার রেকর্ড পৈশাচিকতা দিয়ে ভাঙ্গতে অভ্যস্ত গণতন্ত্রের সৈনিকরা। তাই ধরে নেয়া যায় সামনের শবযাত্রা হবে আরও মানবেতর, আরও ভয়াবহ।
এক মাথা এক ভোটের গণতন্ত্র পশ্চিমা দুনিয়ায় সফলভাবে কাজ করলেও আমাদের মত মার্কা ভিত্তিক সমাজে এর কার্যকরিতা ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিতে বাধ্য। দেশে প্রকৃত শিক্ষার হার কত তার সঠিক কোনতথ্য নেই। লাশের মত পরিসংখ্যান নিয়েও বানিজ্য হয় এখানে। ২০০১ সালের হিসাব মতে দেশটার শিক্ষিতের হার ছিল শতকরা ৪১.৪ ভাগ। সংখ্যাটাকেসত্যের কাছাকাছি ধরে নিলে আমাদের মানতে হবে গণতন্ত্রের মৌলিক চাহিদাসম্পর্কে নূন্যতম ধারণা নেই দেশের ৫৯ ভাগ জনগণের। এখানেই আসে নৌকা, ধানের শীস আর লাঙ্গলের প্রয়োজনীয়তা।
নখে কালি আর মার্কায় সীলের ভোট কখনোই গণতান্ত্রিক ভোট হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না। কারণ এক মাথা এক ভোটের মূল্য সম্পর্কে সামান্যতম ধারণা নেই দেশের অধিকাংশভোটারের। এ কারণেই লাখ টাকার মনোনয়ন বানিজ্য আর কোটি টাকার নির্বাচনী যুদ্ধের মূল ভিকটিম হয় দেশের আম জনতা। সংগত কারণেই এ ধরণেরএকটা ভোটের মূল্য দাঁড়ায় এক কাপ চা একটা আকিজ বিড়ি। এ মূল্যেই বেচাকেনা হয় দেশের গণতন্ত্র। আর এ গণতন্ত্রের রায় নিয়েই ক্ষমতার মসনদে আসীন হন হাসিনা খালেদার মত অযোগ্যের দল। দেশকে ভাগার বানিয়ে শকুনের মত লুটে পুটে খাওয়ার লাইসেন্স দেয় এ গণতন্ত্র। সমাজের স্বীকৃত অপরাধীর দলকে তাদের অপরাধ বৈধ করার করার সুযোগ করে দেয় কথিত গণতান্ত্রিক নির্বাচন। আসলেই কি এ ধরণের নির্বাচন গণতান্ত্রিক তকমা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে, বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে? প্রতিদিনের দৈনিকগুলো পড়লে দেশের যে করুণ ও ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠে তার মূলে থাকেনির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জন্মভূমিরঅস্তিত্বকে ওরা মাছ ভাগাভাগির মত ভাগ করে নিয়েছে নিজেদের ভেতর। হোক তা ব্যবসা-বাণিজ্যে, চাকরীর মাঠে, শিক্ষা ব্যবস্থায়, অফিস-আদালতে, জনপ্রতিনিধিদের উলঙ্গ থাবার কাছে ধর্ষিত হচ্ছে দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি। এবং সবকিছুই হচ্ছে গণতন্ত্রের নামে। বাংলাদেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে যে পাপ তাকেও হালাল করা হচ্ছে এক পরিচয়ে, গণতন্ত্র!
গণতন্ত্র নিয়ে মায়াকান্নার অবকাশ নেই বাংলাদেশে। এ দেশের বীর্যে গণতন্ত্র প্রজননের যথেষ্ট শুক্রকীট নেই। এ নামে যা জন্ম দেয়া হচ্ছে তা ভাঁওতাবাজি, জাতিকে নেশাগ্রস্ত বানিয়ে ব্যক্তি ও পারিবার উদরপূর্তির নির্লজ্জ প্রদর্শনী। গত দুবছরে যথেষ্ট হয়েছেএসব। দেনার পাহাড় জমা হয়েছে রাজনীতিবিদদের। এর শোধ উঠাতে আকাশ হতে আবাবিল পাখি আসার যেমন সম্ভাবনা নেই, তেমনি সম্ভাবনা নেই নতুন কোন নিনিয়ান আসার। তাহলে জাতি হিসাবে আমরা কি অনন্তকাল ধরে ধর্ষিত হতে থাকব এক কাপ চা আর একটা আকিজ বিড়ির গণতন্ত্রের যাঁতাকলে?
বিষয়: রাজনীতি
১৬৪৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন