মুক্তি চাই এসব ভন্ডামী হতে...!!

লিখেছেন লিখেছেন চিন্তিত মন ২৪ জুলাই, ২০১৩, ০৮:১৬:০০ রাত

শক্ত হয়ে বসুন। যে বিষয়টা নিয়ে লিখতে যাচ্ছি তা খুবই সংবেদনশীল এবং হজম করতে বেশ কস্ট হবে।

গণতান্ত্রিক যাত্রার চালিকা শক্তিও এখন উন্মাদনার নিয়ন্ত্রণে। সামনের নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় যাবে, কোন পরিবারের অধীশ্বর সরকার প্রধানহবেন তার কক্ষপথ আঁকবে সন্ত্রাস, খুন, অস্ত্র, ক্যাডার, চাপাতি, কিরিচ,ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের মত রাজনীতির বাহ্য, লেহ্য, দূষিত আর দুর্গন্ধ যুক্ত বাই-প্রোডাক্ট সমূহ। আমরা সাধারণ পাবলিকরা বিশ্বজিৎ হয়ে নেতা-নেত্রীদের চরণতলে রক্ত নিবেদনকরে যাবো, আর দিনান্তে ক্লান্তি, শ্রান্তি ধুয়ে মুছে ফেলতে রাজাধিরাজ গন নাইতে নামবেন সে রক্ত সরোবরে। যারপর নাই কৃতার্থ হব আমরা। কৃতজ্ঞতার নিশান উড়িয়ে চরণে পূজা দিয়ে ধন্য হব। খারাপ বলছি কি কিছু? খুব কি অন্যায় করছি?বিচার করার সামান্যতম সাহস অবশিষ্টথাকলে হে স্বদেশি আমাকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করান। চ্যালেঞ্জ করছি আপনাদের সে সাহস নেই। আন্ধা, কালা, বোবা আর পঙ্গু জাতি বাঁচে না, টিকে থাকে। আমরাও বেচে নেই, টিকে আছি। টিকে আছি একদল চোর, ডাকাত, খুনিআর লুটেরাদের করুণার পাত্র হয়ে।

পৈত্রিক সম্পত্তি বাংলাদেশের মালিকানা নিয়ে দুই পরিবারের বস্তির লড়াইয়ে আমি পূজার ঢালি হব,গতরের প্রতি ইঞ্চিতে তক্তা পেটা হব,চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হব, পাশাপাশি কথিত গণতন্ত্রের সেবক হয়ে দুই মহিলার নাম উচ্চারণের আগে নবীদের কায়দায় মাননীয়া বলতে বাধ্য থাকবো, দুঃখিত সুপ্রিয় স্বদেশবাসী, এমন গণতন্ত্রের স্থান আমার বিচারে গণশৌচাগারে। আমি আপনাদের মতই অক্ষম একজন এবং আমার এইঅক্ষমতা আর কিছু না পারুক নিয়মিত নিয়ে যায় সে শৌচাগারে এবং সহায়তা করে মলমূত্র ত্যাগে। আমার মত একজন হয়ে থাকলে আপনিও যোগ দিন এ মিছিলে। অ্যামোনিয়ার কুৎসিত গন্ধে ভারী করে তুলুন দেশের আকাশ বাতাস। আমার জন্যে রাস্তায় নিরাপদে হাটাঁর নাম গণতন্ত্র। অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, চাকরি, আইনের শাসন আর স্বাভাবিক জন্ম-মৃত্যুর নিশ্চয়তাই আমার গণতন্ত্র। বাকি সব ভাওতাবাজি।

পিতার নামে, স্বামীর নামে, চেতনার নামে, ইতিহাসের নামে পারিবারিক শাসনের বেড়ি গ্রাস করে নিচ্ছে গণতান্ত্রিক শাসনের ঐতিহ্য। পাশাপাশি সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পচনের বীজ ঢুকিয়ে তার ফায়দা লুটছে বিশেষ দুটি পরিবার। রাষ্ট্রের সবগুলো গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে পারিবারিক সেবাদাস বানিয়ে দলিত মথিত করছে একদল পেশাজীবি লুটেরা। ওরা লুটছে আর আমরা লুণ্ঠিত হচ্ছি। লুণ্ঠিত অর্থেকেউ বৈজ্ঞানিক কেউবা মেহমান সেজে আয়েশি জীবন কাটাচ্ছে সুদূর আমেরিকা ও ইউরোপে। কোত্থেকে আর কারা যোগান দিচ্ছে এসব অর্থ একবার ভেবে দেখেছেন কি? এই কি সে অর্থ নয় যা আপনার, আমার আর লাখ লাখ প্রবাসি বাংলাদেশির মাথার ঘাম পায়ে ফেলা কষ্টের ফসল? বিনিময়ে কি পাচ্ছি আমরা? লাশের মিছিল, খুনের পৈশাচিক উল্লাস, লুটের মহামারী বৈ অন্যকিছু কি?

তাড়াবার কি সময় আসেনি? রুখে দাঁড়াবার কি প্রেক্ষাপট তৈরী হয়নি? জবাব যদি হ্যা হয় তাহলে কলমধরুন, মুখ খুলুন, লিখুন, কথা বলুন। আসুন ওদের রাস্তা দেখাই। সে রাস্তা,যে রাস্তায় বেন আলী আর হোসনি মোবারকের দল হেটে গেছে।

বিষয়: রাজনীতি

১৩৮৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File