ঈদ মানে কী?
লিখেছেন লিখেছেন প্রতিবেশী ফারুক ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:৫৩:৪৫ দুপুর
আমাদের শৈশবে ঈদ মানে ছিল খুশী, অবিরাম খুশীর ঢেউ, অনাবিল আনন্দের জোয়ার। সবার নতুন জামা থাকতো। সবার ছিল একই কাজ- এই ঘর সেই ঘর, এ বাড়ি ও বাড়ি ঘুরে বেড়ানো।
শহর থেকে যারা গ্রামে বেড়াতে আসত তাদের ঘিরে নানা কৌতুহল, আগ্রহ থাকতো সবার। বর্ষায় ঈদ হলেতো কথাই নেই। কেউ ফুল বাবু। আর যারা ঈদের আনন্দ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকত তারা ব্যাঙের মত লাফা-লাফি করতো আমাদের সাথে। আমরাতো কাদামাটিতে বেড়ে ওঠেছি, খুব একটা সমস্যা হতো না। বলাহতো আমাদের পায়ে ব্রেক আছে, তাই আমরা স্লিপ কাটিনা। শহুরেদের বলতাম- আমরা কাঁঠাল খেয়ে খোসার উপর পা ধারিয়ে নিই। তাই কাদা মাটিতে আমরা পা পিছলে পড়ি না। হাবাগোবারা তা বিশ্বাসও করতো। আমাদের আনন্দের মিথ্যা বলতে এতটুকুই ছিল। অসুন্দর বলতে এতটুকুই ছিল।
কিন্তু সময় পাল্টেছে! আনন্দের ধরনও পাল্টেছে! শহর বা গ্রাম সবখানেই এখন ঈদ মানে ঘরের কোণে বসে মিডিয়া মোড়লদের ছেটেপুটে খাওয়া শিক্ষিত পতিতাদের রূপ-যৌবন ভোগ করা। এক দিন দুই দিন নয়; সপ্তাহ ব্যাপী কর্পোরেট বেশ্যাদের নিয়ে আয়োজন থাকে। এই প্রতিযোগিতা সেই প্রতিযোগিতা; এই প্রতিভা সেই প্রতিভা বলে বলে বেশ্যা তৈরীতে সিদ্ধহস্ত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীগুলোও অঢেল টাকা খরচ করে এই প্রকল্পে।
মা-বোনতো নয়ই, বউ নিয়ে টিভি দেখাটাও এখন রুচিতে বাধে।
একটা অভিজ্ঞতার কথা বলি। গত সপ্তাহে গ্রামের একটা প্রতিষ্ঠান থেকে শহরে ফিরছিলাম। ট্যাক্সীর সামনে আমরা দু’জন যাত্রী। পিছনে ৩ জন মহিলা। ২জন মা-মেয়ে। অন্য জন পথে নেমেগেলেন। যিনি পথে নেমেছেন তিনি উঠার সময় কথাই ছিল অতটুকুতে নামবেন; সেখানে থেকে মা-মেয়ের আরেক যাত্রী উঠবে। পথে ঐ স্থান থেকে একজন ২৩/২৪ বছরে পুরুষ যাত্রী উঠল। মা ছিল বামে, ছেলেটা বিনয়ীভাবে মায়ের পাশই বসতে চাইল। মা তাকে তার পাশ না বসিয়ে মেয়ে পাশে বসার অনুরোধের সুরে আদেশ করলেন। অনেকের কাছে এটা প্রত্যাশিত হলেও আমার খটকা লাগল। বাকিটা বললাম না।
এটাকি কর্পোরেট বেশ্যা তৈরীর ফল নাকি এভাবে কর্পোরেট বেশ্যা তৈরী হয় তা আপনিই বলুন।
বিষয়: বিবিধ
২০৯০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন