একজন মুরসির বিদায় : গণবিপ্লবের সমাপ্তি নাকি নব বিপ্লবের পদধ্বনি?

লিখেছেন লিখেছেন প্রতিবেশী ফারুক ২০ জুলাই, ২০১৩, ০৪:৩৬:৫৪ বিকাল



আপনি আমি যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পেয়েছি মুরসিদেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করে। মিশরের এই বিপ্লবের পর যতগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কেবল মুরসি একাই নেননি; সেখানে মিশরের উত্তপ্ত বালুতে পুড়ে খার হওয়া নেতৃত্বছিল। তাদের কাছে তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, তাদের অভ্যন্তরীন অবস্থা সর্বোপরি সার্বিক অবস্থা মাথায় রেখেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্রের মানেই হচ্ছে ২টা পরিবার। দুই পরিবারের কর্তারা যাই বলেন তাই আমাদের সমাজ গ্রহণ করে, করতেই হয়। তাদের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের ‘গ’ও নেই। ‘এক নেতার এক দেশ’ এই মন্ত্রই আমাদের গণতন্ত্র।

একটু পিছনে ফিরি। মক্তবে পড়ার সময় থেকেই মিশর শব্দের সাথে পরিচিত ছিলাম। মূসা, ফেরাউন, নীলনদ ইত্যাদি শব্দ তখনই শিখেছিলাম। একটু বেড়ে ওঠার পর পিরামিড, ফারাও, ক্রুসেড, সালাউদ্দীন আইয়ুবীদের সাথেও পরিচিত হলাম। তারপর সাইয়্যেদ কুতুব, হাসান আল বান্না, জয়নব আল গাজ্জালীদের, জামাল নাসের-মোবারক প্রমুখ ।

আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে এক তিতুমীর ছিল; প্রতি ঘরে না জন্মালেও বাংলার ঘরে ঘরে এখন অসংখ্য তিতুমীর আছে। আছে হাজী শরিয়ত উল্যাহ, শাহ্ জালাল, শাহ্ আমানত। মিশরে সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী ছিলেন; সেখানে এখন ঘরে ঘরে আইয়ুবী আছে। মুরসি উত্তর মিশরের রাজপথ সেই কথাই প্রমাণ দিচ্ছে।

কিছু মিল-অমিলের কথা বলি- বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার ৩০ হাজারের বেশী ভিন্ন মতের রাজনৈতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবি হত্যা করেছে। শহীদ জহির রায়হান (৩০ জানুয়ারী, ১৯৭২), সিরাজ শিকদার সেই তালিকার প্রধান সারিতে আছেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা নিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের লোকেরাই। তাদের আচরণ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার আয়োজন ছিল তখন ৭ নভেম্বর ঘটল সিপাহী বিপ্লব। সেই সিপাহী-জনতার বিপ্লবে সামনে আসলেন জিয়াউর রহমান।

জিয়াউর রহমান জনতার হৃদয় স্পন্দন বুঝতে পেরেছিলেন সম্পূর্ণভাবেই। তিনি জাতির আশা-আকাংখা বাস্তবায়নের সামনে যারা বাধা হতে পারে; যারা ভিন দেশীদের এজেন্ট হিসেবে সক্রিয় ছিল সেই রকম এজেন্টদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেন। নিজে চলেগেলন জনতার মাঝে। অনেকেই আদর করে জিয়াউর রহমানকে ‘রাখাল রাজা’ও বলত। সেই রাখাল রাজা এই জাতিকে নিয়ে গেলেন বিশ্ব মুসলীম উম্মাহর আরো কাছে। জাতি স্বনির্ভর হওয়ার পথে অনেকটুকু পথ এগিয়েও গিয়েছিল।

তারপর লোভী-লম্পট এক জেনারেল বাধা হয়ে দাঁড়াল আমাদের অগ্রগতির সামনে। বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করে নয়টা বছর দূর্নীতির মাধ্যমে জাতিকে শোষণ করল। দেশের রাজনীতিবিদরাও জিয়াউর রহমানের মৃত্যু এবং এরশাদের ক্ষমতা দখলে মন্তব্য করল- I am not unhappy. ক্ষমতাটা তখন ভোগ-ভাগের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হল। যার যা প্রয়োজন ছিল তা এরশাদের কাছে পেয়েছে। এরশাদের কাজে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যারা দাঁড়িয়েছিল তারাও অতি নগন্য একটা অংশ মাত্র ছিল। ঐ ধারাবাহিকতায় একটা নষ্ট প্রজন্ম এদেশে তৈরী হয়েছে। ঘটেছে শিক্ষাঙ্গনে ধর্ষণের সেঞ্চুরী উৎসবের মত ঘটনা।

আসুন বাংলাদেশের ৭২-৯০’র সারাংশ করি। প্রথম দুই ব্যক্তি ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য করেছেন বিরোধী মত দমন। রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। তৃতীয় ব্যক্তি করেছেন সম্পদ দিয়ে ম্যানেজ। কাউকে বাড়ি, কাউকে নারী; মানে যে যেটাতে ম্যানেজ হয়েছে। তিন ব্যক্তিই পরকালে জবাবদিহিতার ব্যাপারে নিজেরাই ভাল জানেন চিন্তা করতেন কিনা; করলে হয়ত আমার দেশের অবস্থা ভিন্ন থাকত।

ইরানের বিপ্লবের পরপর ৩০০’র অধিক; কারো মতে হাজারের অধিক সেক্যুলার সেনা কর্মকর্তা ফাঁসিতে ঝুলেছে। এটা বাস্তবতা।

কিন্তু মুরসি সেই পথে হাটেন নি। মুরসি হাটেন নি মানে ব্রাদারহুড হাটেনি। সবাইকে সাথে নিয়ে একটা কল্যাণময় দেশ ব্রাদারহুড গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁদের হিসেব মিলাতে একটু সময় লেগেছে। আর সেই সময়টাই আমেরিকা-ইজরাইল কাজে লাগিয়েছে। আজকের প্রশ্ন- দালালদের শেষ রক্ষা কী হবে?

মিশরের সেনাবাহিনীতে রয়েছে অসংখ্য এরশাদ! মিশরের সেনাবাহিনী বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার মার্কিন সহায়তা পায়!! সেই সেনাবাহিনী কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে? তাদের জন্য রয়েছে নিজদেশের বিশাল বাণিজ্যিক সুবিধা। মার্কিন সহায়তা এবং বাণিজ্যিক সুবিধার এই স্বার্থ এক দিনে গড়ে ওঠেনি। মিশরে সেনা শাসন চলেছে যুগের পর যুগ। ১/১১ পরবর্তী আমাদের দেশের যা হয়েছিল অনেকটা মিশরের অবস্থাও ছিল সে রকম। মনেপড়ে মঈন ইউ আহমদের হর্স কাহিনী?

যেমনি মিশরের সেনাবাহিনী ধ্বংস করা হয়েছে তেমনি ধ্বংস করা হয়েছে মিশরের বিচার বিভাগও। আর সেখানে আছে আরেক হামিদ কারজাই- এল বারাদেই। এই এল বারাদেইকে দিয়ে সেখানে গড়ে ওঠেছে লাল পানি, সেঞ্চুরিয়ান মানিক, কালো বিড়াল আর দেশ প্রেমিক আবুল হোসেনদের একটা এলিট সোসাইটি! যারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের মিডিয়ায় কভারেজ পেয়েছে বিশাল হিসেবে। যারা মার্কিন-ইজরাইল স্বার্থ রক্ষায় মাঠে সক্রিয়।

ব্রাদারহুড ক্ষমতা হারানোর পর আরবের আমিরবৃন্দ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাঠাচ্ছে মিশরিয় কারজাই এল বারাদেই’র জন্য! রহস্যও পরিষ্কার- ব্রাদারহুড ক্ষমতায় থাকলে আমিরগণ লাল পানি আর ইহুদী ললনার সাথে মধুর সময় ব্যয়ে ব্যাঘাত ঘটবে! আবার যেকোন মুহুর্তে রাজতন্ত্রেও আঘাত আসতে পারে!

তবে মিডিয়া আড়াল করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা খবর পাচ্ছি; আজ সমগ্র মিশরই সেই তাহরির স্কয়ার। বিশ্ববাসী এরকম গণজোয়ার আর দেখেনি। সর্বস্তরের মানুষ এখন মুরসির সমর্থনে তথা তাদের প্রিয় দলের সমর্থনে রাজপথে। তারা জান দেবে কিন্তু হার মানবে না।

এখন দেখার বিষয় মার্কিন হাবিলদার সিসি, মিশরী কারজাই এল বারাদেই কীভাবে পলায়ন করে? এটা একটা দিক। আবার মনে শংকা জাগে- মিশরকে ইসরাইলের স্বার্থে খন্ড-বিখন্ড হতে হয় কিনা? কারণ মিশর যদি এই সংকট কেটে ব্রাদারহুডের আয়ত্বে আসে তবে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে ইহুদী-খ্রীস্টান স্বার্থ। এই স্বার্থের সাথে আবার আরবের রাজপরিবারগুলোরও ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে।আপনি আমি যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ পেয়েছি মুরসিদেরটা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারা প্রকৃত গণতন্ত্র চর্চা করে। মিশরের এই বিপ্লবের পর যতগুলো সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কেবল মুরসি একাই নেননি; সেখানে মিশরের উত্তপ্ত বালুতে পুড়ে খার হওয়া নেতৃত্বছিল। তাদের কাছে তাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থা, তাদের অভ্যন্তরীন অবস্থা সর্বোপরি সার্বিক অবস্থা মাথায় রেখেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমাদের গণতন্ত্রের মানেই হচ্ছে ২টা পরিবার। দুই পরিবারের কর্তারা যাই বলেন তাই আমাদের সমাজ গ্রহণ করে, করতেই হয়। তাদের অভ্যন্তরে গণতন্ত্রের ‘গ’ও নেই। ‘এক নেতার এক দেশ’ এই মন্ত্রই আমাদের গণতন্ত্র।

একটু পিছনে ফিরি। মক্তবে পড়ার সময় থেকেই মিশর শব্দের সাথে পরিচিত ছিলাম। মূসা, ফেরাউন, নীলনদ ইত্যাদি শব্দ তখনই শিখেছিলাম। একটু বেড়ে ওঠার পর পিরামিড, ফারাও, ক্রুসেড, সালাউদ্দীন আইয়ুবীদের সাথেও পরিচিত হলাম। তারপর সাইয়্যেদ কুতুব, হাসান আল বান্না, জয়নব আল গাজ্জালীদের, জামাল নাসের-মোবারক প্রমুখ ।

আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে এক তিতুমীর ছিল; প্রতি ঘরে না জন্মালেও বাংলার ঘরে ঘরে এখন অসংখ্য তিতুমীর আছে। আছে হাজী শরিয়ত উল্যাহ, শাহ্ জালাল, শাহ্ আমানত। মিশরে সালাহ উদ্দীন আইয়ুবী ছিলেন; সেখানে এখন ঘরে ঘরে আইয়ুবী আছে। মুরসি উত্তর মিশরের রাজপথ সেই কথাই প্রমাণ দিচ্ছে।

কিছু মিল-অমিলের কথা বলি- বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর সরকার ৩০ হাজারের বেশী ভিন্ন মতের রাজনৈতিক কর্মী, বুদ্ধিজীবি হত্যা করেছে। শহীদ জহির রায়হান (৩০ জানুয়ারী, ১৯৭২), সিরাজ শিকদার সেই তালিকার প্রধান সারিতে আছেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতা নিলেন বঙ্গবন্ধুর কাছের লোকেরাই। তাদের আচরণ যখন বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিকিয়ে দেয়ার আয়োজন ছিল তখন ৭ নভেম্বর ঘটল সিপাহী বিপ্লব। সেই সিপাহী-জনতার বিপ্লবে সামনে আসলেন জিয়াউর রহমান।

জিয়াউর রহমান জনতার হৃদয় স্পন্দন বুঝতে পেরেছিলেন সম্পূর্ণভাবেই। তিনি জাতির আশা-আকাংখা বাস্তবায়নের সামনে যারা বাধা হতে পারে; যারা ভিন দেশীদের এজেন্ট হিসেবে সক্রিয় ছিল সেই রকম এজেন্টদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিলেন। নিজে চলেগেলন জনতার মাঝে। অনেকেই আদর করে জিয়াউর রহমানকে ‘রাখাল রাজা’ও বলত। সেই রাখাল রাজা এই জাতিকে নিয়ে গেলেন বিশ্ব মুসলীম উম্মাহর আরো কাছে। জাতি স্বনির্ভর হওয়ার পথে অনেকটুকু পথ এগিয়েও গিয়েছিল।

তারপর লোভী-লম্পট এক জেনারেল বাধা হয়ে দাঁড়াল আমাদের অগ্রগতির সামনে। বন্দুকের নলে ক্ষমতা দখল করে নয়টা বছর দূর্নীতির মাধ্যমে জাতিকে শোষণ করল। দেশের রাজনীতিবিদরাও জিয়াউর রহমানের মৃত্যু এবং এরশাদের ক্ষমতা দখলে মন্তব্য করল- I am not unhappy. ক্ষমতাটা তখন ভোগ-ভাগের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হল। যার যা প্রয়োজন ছিল তা এরশাদের কাছে পেয়েছে। এরশাদের কাজে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। যারা দাঁড়িয়েছিল তারাও অতি নগন্য একটা অংশ মাত্র ছিল। ঐ ধারাবাহিকতায় একটা নষ্ট প্রজন্ম এদেশে তৈরী হয়েছে। ঘটেছে শিক্ষাঙ্গনে ধর্ষণের সেঞ্চুরী উৎসবের মত ঘটনা।

আসুন বাংলাদেশের ৭২-৯০’র সারাংশ করি। প্রথম দুই ব্যক্তি ক্ষমতা স্থায়ী করার জন্য করেছেন বিরোধী মত দমন। রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। তৃতীয় ব্যক্তি করেছেন সম্পদ দিয়ে ম্যানেজ। কাউকে বাড়ি, কাউকে নারী; মানে যে যেটাতে ম্যানেজ হয়েছে। তিন ব্যক্তিই পরকালে জবাবদিহিতার ব্যাপারে নিজেরাই ভাল জানেন চিন্তা করতেন কিনা; করলে হয়ত আমার দেশের অবস্থা ভিন্ন থাকত।

ইরানের বিপ্লবের পরপর ৩০০’র অধিক; কারো মতে হাজারের অধিক সেক্যুলার সেনা কর্মকর্তা ফাঁসিতে ঝুলেছে। এটা বাস্তবতা।

কিন্তু মুরসি সেই পথে হাটেন নি। মুরসি হাটেন নি মানে ব্রাদারহুড হাটেনি। সবাইকে সাথে নিয়ে একটা কল্যাণময় দেশ ব্রাদারহুড গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁদের হিসেব মিলাতে একটু সময় লেগেছে। আর সেই সময়টাই আমেরিকা-ইজরাইল কাজে লাগিয়েছে। আজকের প্রশ্ন- দালালদের শেষ রক্ষা কী হবে?

মিশরের সেনাবাহিনীতে রয়েছে অসংখ্য এরশাদ! মিশরের সেনাবাহিনী বছরে ৩ বিলিয়ন ডলার মার্কিন সহায়তা পায়!! সেই সেনাবাহিনী কাদের স্বার্থ রক্ষা করবে? তাদের জন্য রয়েছে নিজদেশের বিশাল বাণিজ্যিক সুবিধা। মার্কিন সহায়তা এবং বাণিজ্যিক সুবিধার এই স্বার্থ এক দিনে গড়ে ওঠেনি। মিশরে সেনা শাসন চলেছে যুগের পর যুগ। ১/১১ পরবর্তী আমাদের দেশের যা হয়েছিল অনেকটা মিশরের অবস্থাও ছিল সে রকম। মনেপড়ে মঈন ইউ আহমদের হর্স কাহিনী?

যেমনি মিশরের সেনাবাহিনী ধ্বংস করা হয়েছে তেমনি ধ্বংস করা হয়েছে মিশরের বিচার বিভাগও। আর সেখানে আছে আরেক হামিদ কারজাই- এল বারাদেই। এই এল বারাদেইকে দিয়ে সেখানে গড়ে ওঠেছে লাল পানি, সেঞ্চুরিয়ান মানিক, কালো বিড়াল আর দেশ প্রেমিক আবুল হোসেনদের একটা এলিট সোসাইটি! যারা ইহুদি-খ্রিস্টানদের মিডিয়ায় কভারেজ পেয়েছে বিশাল হিসেবে। যারা মার্কিন-ইজরাইল স্বার্থ রক্ষায় মাঠে সক্রিয়।

ব্রাদারহুড ক্ষমতা হারানোর পর আরবের আমিরবৃন্দ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সাহায্য পাঠাচ্ছে মিশরিয় কারজাই এল বারাদেই’র জন্য! রহস্যও পরিষ্কার- ব্রাদারহুড ক্ষমতায় থাকলে আমিরগণ লাল পানি আর ইহুদী ললনার সাথে মধুর সময় ব্যয়ে ব্যাঘাত ঘটবে! আবার যেকোন মুহুর্তে রাজতন্ত্রেও আঘাত আসতে পারে!

তবে মিডিয়া আড়াল করলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা খবর পাচ্ছি; আজ সমগ্র মিশরই সেই তাহরির স্কয়ার। বিশ্ববাসী এরকম গণজোয়ার আর দেখেনি। সর্বস্তরের মানুষ এখন মুরসির সমর্থনে তথা তাদের প্রিয় দলের সমর্থনে রাজপথে। তারা জান দেবে কিন্তু হার মানবে না।

এখন দেখার বিষয় মার্কিন হাবিলদার সিসি, মিশরী কারজাই এল বারাদেই কীভাবে পলায়ন করে? এটা একটা দিক। আবার মনে শংকা জাগে- মিশরকে ইসরাইলের স্বার্থে খন্ড-বিখন্ড হতে হয় কিনা? কারণ মিশর যদি এই সংকট কেটে ব্রাদারহুডের আয়ত্বে আসে তবে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হবে ইহুদী-খ্রীস্টান স্বার্থ। এই স্বার্থের সাথে আবার আরবের রাজপরিবারগুলোরও ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে।

এই লেখা প্রকাশিত হয়েছে নিচের একটা অনলাইন পত্রিকায়। নিচে লিংক দেয়া হল-

http://www.bdbreaking24.com/view.php?id=2957

বিষয়: বিবিধ

১২৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File