অজানা কিছু জেনে নেই , মায়ান পঞ্জিকা সম্পর্কে ।

লিখেছেন লিখেছেন অজানা নগরীর ফারুক শাহ্ ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৫১:২৯ সন্ধ্যা



[ ২০১২ এবং মায়ান পঞ্জিকা ]

হলিউডের 'ডুমস্ডে : ২০১২' ছবির

ঘটনার

মতো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর

সত্যি সত্যি আমাদের

পৃথিবীতে ঘটতে যাচ্ছে ধ্বংসলীলা,এমনটি

হবে বলেই

নাকি ভবিষ্যৎবাণী করে গেছে আজ

থেকে হাজার বছর আগের প্রাচীন এক

সভ্যতার

অধিবাসী ‘মায়া’রা।সবচেয

়ে বড়

ভয়ঙ্কর

ব্যাপার হলো, মায়ান পঞ্জিকাতে আজ

পর্যন্ত

যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার

প্রতিটিই

কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় পরিণত

হয়েছে। আর

এ কারণেই পৃথিবী ধ্বংসের

আশঙ্কা নিয়ে এত

বেশি আলোচনা হচ্ছে।

অধিকাংশ প্রাচীন সভ্যতায় উল্লেখ

আছে যে,

অলৌকিক ক্ষমতাসম্পন্ন কেউ একজন দূর

থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন।

জীবনের

প্রতিটি খুঁটিনাটি ঘটনা সেই একজনের

বিশাল বড়

এক ঐশ্বরিক প্ল্যানের অংশবিশেষ। আর

প্রাচীন

সভ্যতায় উল্লেখিত এই ঐশ্বরিক প্ল্যান

বুঝতে পারার জন্য পৃথিবীর একমাত্র

উপায়

'মায়ান পঞ্জিকা'। কিন্তু

কী আছে মায়ান

ক্যালেন্ডারে? জিনিসটাই বা কী?

পুরাতন সেই মায়ান সভ্যতা ইতিহাসের

এক অনুপম

সৃষ্টি। আজ থেকে অনেক অনেক বছর

আগে আজকের মেক্সিকোতে ‘মায়া’

নামের

একটা সভ্যতা ছিলো। প্রাচীন সেই

সভ্যতার

অধিবাসী মায়ারা খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০

থেকে ৯০০

খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত

টিকে ছিলো পৃথিবীতে।

মায়ারা বেশ শিক্ষিত জাতি হিসেবেই

পরিচিত

ছিলো সবার কাছে। প্রাচীন সেই

মায়াদের নিজস্ব

ভাষারীতি এবং লেখন পদ্ধতিও ছিলো।

জ্ঞান-

বিজ্ঞানের

নানা শাখায়, বিশেষ

করে জ্যোর্তিবিজ্ঞান

ে খুবই

পারদর্শী ছিলো তারা।সময়

এবং সৃষ্টির সুন্দর

বিন্যাস সম্পর্কে মায়ানরা অনেক

আগেই অবগত

ছিলেন। তাদের ছিল ভবিষ্যৎ জানার

নান্দনিক

ক্ষমতা।

মায়ানরা আগে থেকেই জানত যে চাঁদ,

শুক্র

এবং অন্য গ্রহ-

তারা মহাবিশ্বে চক্রাকারে ঘুরছে।

সেই সময়েই তারা নিখুঁতভাবে সময়

গণনা করতে পারত। তাদের

একটি পঞ্জিকা ছিল

যাতে সৌর বছরের প্রতিটি মিনিটের

নিখুঁত

বর্ণনা ছিল। মায়ানরা মনে করত

প্রতিটি জিনিসের

ওপর সময়ের প্রভাব

রয়েছে এবং প্রতিটি জিনিস

একেক সময় একেকটি অবস্থানে বিরাজ

করছে।

মায়ানদের কাছে মহাকাশের উপর

২২টি ভিন্ন

ভিন্ন পঞ্জিকা ছিল। এর

মধ্যে কোনো কোনো পঞ্জিকা এখন

থেকে ১০

মিলিয়ন বছর আগের। আর সেগুলো এত

দুর্বোধ্য

যে তা বুঝতে চাইলে হিসাব-নিকাশ

করার জন্য

সঙ্গে অবশ্যই একজন

করে অ্যাস্ট্রোনমার,

অ্যাস্ট্রোলজার,

জিওলজিস্ট

এবং ম্যাথমেটিশিয়ান থাকতে হবে।

অধিকাংশ

আর্কিওলজিস্ট মনে করেন

মায়ানরা খ্রিস্ট

জন্মের প্রায় ৩ হাজার ১১৪ বছর

আগে থেকে সময় গণনা করা শুরু করেছে।

আমাদের

বর্তমান পঞ্জিকা মতে খ্রিস্টের

জন্মের বছরের

জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম বছর

গণনা করা হয়।

আর মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই

বছরটাকে হিসাব করা হয় শূন্য বছর।

এই

সময়টাকে লেখা হয় এভাবে :

০-০-০-০-০।

একটা নতুন চক্র শুরু হওয়ার আগে ১৩

চক্রের

৩৯৪ বছর শেষ হয়ে যাবে। আর নতুন

চক্রটি শুরু

হবে ২০১২ সালে। সবচেয়ে আশঙ্কার

ব্যাপার

হলো ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর

থেকে মায়ান পঞ্জিকাতে আর

কোনো দিনের

উল্লেখ নেই। তাই এই

দিনটিকে মনে করা হচ্ছে পৃথিবীর

সর্বশেষ দিন।

আর একটি বিষয় হলো আজ পর্যন্ত মায়ান

পঞ্জিকাতে যাই

ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে, তার

প্রতিটি কথা বাস্তবে প্রতিফলিত

হয়েছে।

আজকের বিজ্ঞানের চরম

উৎকর্ষতা থেকে শুরু

করে বিজ্ঞানের সব গুরুত্বপূর্ণ

উত্থানের উল্লেখ

মায়ানদের ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই

ছিল। তাই

বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরাও

২০১২ সালের

২১ ডিসেম্বরে পর

থেকে কী ঘটতে পারে তাই

নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

বর্তমানে মানুষের চিন্তা-

চেতনা এবং ধ্যান-

ধারণায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সময়

এবং বিজ্ঞান সম্পর্কিত জ্ঞানের

বিষয়ে মধ্য

আমেরিকার মায়ান সভ্যতাই

সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল এবং আছে।

সমগ্র

পৃথিবীর মধ্যে তাদের পঞ্জিকাই

সবচেয়ে বেশি নিখুঁত। আজ পর্যন্ত কেউ

এর

কোনো খুঁত খুঁজে পাননি। মায়ানদের

পঞ্জিকার

মধ্যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র

পৃথিবী এবং সোলার সিস্টেমের

পরিবর্তনের

কথা উল্লেখ আছে। এগুলোর মধ্যে কিছু

পঞ্জিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত

হয়ে আসছে।

মায়ানদের হিসাব মোতাবেক পঞ্চম

বিশ্বের

সমাপ্তি হয়েছে ১৯৮৭ সালে। ষষ্ঠ

বিশ্ব শুরু

হবে ২০১২ সাল থেকে। অর্থাৎ

বর্তমানে আমরা বিশ্বের

মাঝামাঝি জায়গায়

অবস্থান করছি। এই সময়টাকে বলা হয়

এপোক্যালিপস অর্থাৎ রহস্যোদঘাটন

বা রহস্য

উন্মোচন। এর অর্থ দাঁড়ায় প্রকৃত সত্য

প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। মায়ানদের

ষষ্ঠ

সভ্যতা যে আসলে কবে থেকে শুরু

হতে যাচ্ছে তার

কোনো নির্ধারিত তারিখ নেই। এর

মানে হচ্ছে ষষ্ঠ সভ্যতার শুরু

হওয়া বা না হওয়াটা সম্পূর্ণ নির্ভর

করছে এই

সময়ের বাসিন্দাদের ওপর।

আমরা যেমনটি আশা করি, তেমন

একটি পৃথিবী এবং সভ্যতা যখন

থেকে আমরা গড়া শুরু করব তখন থেকে এই

বিশ্ব

শুরু হয়ে যাবে।মায়ানরা এটাও বলে যে,

এটা শুরু

হবে ২০১২ সাল নাগাদ।

আমরা প্রযুক্তির

অনেক ঊধর্ে্ব উঠে যাব (এখন

আমরা যেমনটা দেখতে পাচ্ছি)।

আমরা সময়

এবং টাকার ঊধর্ে্ব চলে যাব। চতুর্থ

ডাইমেনশন

(বর্তমান ৮টি ডাইমেনশন নিয়ে কাজ

চলছে)

অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম

ডাইমেনশনে প্রবেশ

করব। গ্যলাঙ্রি সময় বিন্যাসের

এবং আমাদের

পৃথিবী ও সমগ্র সোলার সিস্টেমের

সময়সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে যাবে।

২০১২

সালে আমাদের সৌরজগত এবং ছায়াপথ

একই

সমতলে বিন্যস্ত হবে। এই চক্রটি পূরণ

হতে পুরোপুরি ২৬ হাজার বছর লেগেছে।

অর্থাৎ

খুব শিগগিরই মহাজাগতিক

কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো ২০১২ সালেই কেন এ

ক্যালেন্ডারের সমাপ্তি?

মায়ান ক্যালেন্ডার বিশেষজ্ঞদের

বিশ্বাস

২০১২

সালে পৃথিবীতে কোনো না কোনো দুর্যোগ

অবশ্যই

নেমে আসবে।

(পোষ্টের সমস্ত তথ্য সংগৃহীত)

[বি দ্রঃ আমাদের পবিত্র

কুরআনে যেহেতু এই

রকম কিছু উল্লেখ নেই,তাই আমরা এই সব

বিশ্বাস

করব না।]

বিষয়: বিবিধ

২০৫৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File