জামাতে ইসলামীদেরকে কিছু উপদেশ দিয়ে যাই
লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ১৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৩:০৫:৩৮ দুপুর
সব দোষ 'গোলাম 'আযমের'! কিন্তু উনাকে দেওয়া হ'লো আজীবন কারাদণ্ড ! আর নির্দোষদের দেওয়া হ'লো মৃত্যুদন্ড!
যদি গোলাম আযম, কামরুজ্জামানের মত স্মার্ট ছেলেদের এই নোংরা রাজনীতিতে না নিয়ে আসতেন তবে এই ছেলেগুলোর ভবিষ্যত অত্যান্ত উজ্জল হতো।
ভুল নেতৃত্বের পেছনে দৌড়ানোর কারণেই অকাল মৃত্যু হলো নিষ্পাপ ছেলেগুলোর।
"আমি ব্যক্তিগত ভাবে জামাত-শিবির কে সাপোর্ট করি না; কিন্তু তোমাদের অদ্ভুত আচরণ দেখে আজ কিছু বলতে ইচ্ছে হ'লো।"
আর কত মায়ের বুক খালি হবে এভাবে? আর কত নিষ্পলক তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবে তাগুতের কারসাজি?
তোমরা কাদের কাছে বিচার চাচ্ছো? যারা আমাদের টাকায় কেনা অস্ত্র দিয়ে আমাদেরই উপর গুলি চালাচ্ছে! ওরা তাগুত! আর তাগুতের কাছে আল্লাহ বিচার চাইতে নিষেধ করেছেন। (দেখো সুরা নিসা-৫১)
'তোমাদের ঈমান দুর্বল! তোমাদের নেতৃত্বের কোন শক্ত ভিত নেই! যদি ঈমানের ভিত থাকতো তবে মাঠে নামতে বাধা কোথায়?'
যে কামরুজ্জামান চলে গেলো তারমত আরেক কামরুজ্জামান কি ১০ বছরে পাবে? আমার তো মনে হয় তার মত স্মার্ট একটা লোক পেতে তোমাদের ১০০ বছরও লেগে যেতে পারে!
যে সাইদি কে তোমরা হারাচ্ছো তার মত সাইদিকে আর পাওয়া সম্ভব না!
গ্রামের গোবেচারা মূর্খ ব্যক্তিরাও সাইদিকে চেনে। উনার যে জনপ্রিয়তা এই বাংলার মাটিতে আছে তা উনার থেকে বেশি জানা ব্যক্তির ও নেই! আর ভবিষ্যতেও হবে না কিনা একমাত্র আমার প্রতিপালকই জানেন।
সর্বশেষ হাতিয়ার বলে তোমাদের তো আর কিছু রইলো না!
একে একে তোমরা তোমাদের মূল্যবান ব্যক্তিদের হারাচ্ছো, তবুও তোমাদের বোধোদয় ঘটলো না? লাল বিপ্লব কি এভাবেই সম্ভব?
তোমাদের দ্বারা কি লাল বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয়?!
"হে মুমিনগন তোমাদের কি হইলো? যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্য তোমাদের বলা হয় তখন মাটি জড়িয়ে ধর, তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে? অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।" (সুরা তওবা ৩৮)
"যদি আল্লাহর পথে বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ শাস্তি দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন।" (সুরা তওবা ৩৯)
"তোমরা বের হয়ে পর সল্প বা অধিক সরঞ্জামের সাথে এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন ও সম্পদ দিয়ে, এটি তোমাদের জন্য অতীব উত্তম। যদি তোমরা বুঝিতে পার।" (সুরা তওবা ৪১)
"যদি তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও, তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য জাতিকে প্রতিষ্ঠা করবেন, এরপর এরা তোমাদের মত হবেনা।" (আয়াতঃ সুরা মুহাম্মদ- ৩৮)
ভাবতেই গায়ে কাটা দিচ্ছে, কুরআনের এই সতর্কবাণী কিভাবে হুবুহু মিলে যাচ্ছে বর্তমান পরিস্হিতির সাথে? তাহলে আমরাই কি সেই অভিশপ্ত জাতি,যাদের ধ্বংস করে দিয়ে অন্য জাতিকে কাজে লাগাবেন?
ভাবছো জয়-পরাজয়ের ব্যাপার? হে হে সেটা আল্লাহর হাতে। সেটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোন প্রয়োজন নেই! কারণ স্পষ্টভাবে আল্লাহ পবিত্র কুর'আনে বলে দিয়েছেন, জয় পরাজয় আল্লাহর হাতে (সুরা নিসা/ইমরানের কোন আয়াত হবে)।
একবার ঈমান কে শক্ত করে মাঠে নেমেই যাও। বাকিটা আল্লাহ দেখবেন।
যারা আল্লাহর পথে সীসা ঢালা (বুন'ইয়ানুম মারছুস) প্রাচীরের মত সারীবদ্ধভাবে যুদ্ধ করে আল্লাহ তাদের ভালবাসেন। (দেখো সূরা ছফ-৪)
“তোমরা তাদের বিরুদ্ধে ততক্ষন পর্যন্ত যুদ্ধ কর যতক্ষন ফিৎনা দূরীভূত না হয়” এবং আল্লাহর দ্বীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠা না পায়। (দেখো সূরা বাকারা-১৯১)
যারা ফিৎনা সৃষ্টি করেছে তাদের নির্মূল না করলে আমরা নিজেরাই ধ্বংস হয়ে যাব।
আসো আমরা কুফরকে নির্মূল করার যুদ্ধে অংশগ্রহন করি। আসল মুক্তির যুদ্ধ শুরু করি। আল্লাহ অবশ্যই আমাদেরকে সাহায্য করবেন।
যে সমস্ত পরিবারের লোকেরা মারা গেছে তাদের দিকে একটু দৃষ্টি ফেরাও। দেখো তাদের অবস্থা।
যারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে তারা কি আমাদের সেবক? না শোষক?
সমস্ত সরকারী সৈন্যবাহিনী, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অসহযোগ কর। তাদের সাথে সামাজিক ভাবে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন কর।
ফেরাউন, হামান ও তাদের সৈন্যবাহিনীর কাছে তোমরা কি আশা কর?
যারা গনতন্ত্রের অনুসারী বলে দাবী করছে তারা তোমাদের অধিকার দিতে পারবে?
প্রচলিত নির্বাচিত সরকার কখনও কি তোমাদের চিকিৎসা, শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র তথা সমস্ত অধিকারকে বৈষম্যহীন ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে?
গনতন্ত্রের দাবীদাররা শুধু জনগনকে উত্তেজিত করে ক্ষমতা চায়; ইস্যু খোঁজে।
আমাদের দরকার সৎ লোকের শাসন।
শয়তানের হাতে কোরআন দিয়ে কোন লাভ হবে? শিয়ালের কাছে মুরগী আমানত হিসাবে দিলে কি হবে?
আমাদের টাকায় কেনা অস্ত্র ওদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে হবে। দুনিয়া ও আখেরাতে আমাদের অধিকার বাস্তবায়ন করার জন্য, জুলুম থেকে বাচাঁর জন্য যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী।
যুদ্ধ কর গণতন্ত্রের লেবাসধারী শয়তান নেতাদের বিরুদ্ধে; যারা ইসলামের নামে কুৎসা গায় বা ব্যাবসা করে।
"মানুষের ভেতরে এমন অনেকেই আছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নিজেকে উৎসর্গ করে। আর আল্লাহ তার এই বান্দাদের প্রতি অতিশয় দয়ালু। (সুরা বাকারা-২০৭)
"মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যু বরণ করেছে এবং কেউ কেউ মৃত্যু বরণের প্রতীক্ষা করছে। তারা মোটেও তাদের প্রতিজ্ঞা পরিবর্তন করেন নি। (সুরা আহযাব ২৩)
অতএব, আমার বলার কিছুই বাকী নেই। যা বোঝার তা বুঝে নিও। আর তোমাদের করণিয় সমন্ধে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া হয়েছে। যদি ঈমানের ভিত শক্ত থাকে তো আল্লাহ দ্বীনের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ কর, না হয় মুক্তি অসম্ভব!
বিষয়: রাজনীতি
১৪৯১ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
রাসুল (সঃ) এর কাছে ইসলাম গ্রহণ করে কত সাহাবী তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছিলেন, কত জন তাদের জীবন, ব্যবসা বাণিজ্য বিপন্ন করেছেন ৷ তাহলে কি আপনি রাসুল(ষঃ) কে দোষ দিবেন তাদেরকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত করায়?(নাউযুবিল্লাহ)
মানুষের মূল্য শুধু দুনিয়ায় বেঁচে থাকায় দেখলেন ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন