"আল কুর'আনের আলোকে মালয়েশিয়ার হারানো বিমানের রহস্য উদঘাটিত"
লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ৩০ মে, ২০১৪, ০২:১৩:০৮ রাত
গত মার্চের ৮
তারিখে মালয়েশিয়ান
একটি বিমান হারিয়ে যায়
যা খোজ আজ অবধি পাওয়া যায়নি।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স ফ্লাইট
৩৭০ (এমএইচ৩৭০/এমএএস৭০)
একটি নিয়মিত
যাত্রীবাহী বিমান ফ্লাইট
যা মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর
থেকে চীনের বেইজিং যাওয়ার
পথে আকাশ থেকে হারিয়ে যায়।
২০১৪ খ্রিস্টাব্দের ৮ই মার্চ
তারিখে মালয়েশিয়ান
এয়ারলাইন্স পরিচালিত
বোয়িং ৭৭৭-২০০ইআর
বিমানটি কুয়ালালামপুর
থেকে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক
বাদে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
বিমানটিতে ১৫টি দেশের ১২ জন
কর্মী ও ২২৭ জন যাত্রীসহ মোট ২৩৯
জন যাত্রী ছিলেন যাদের
অধিকাংশই চীনা।
হঠাৎ সুরা ইয়াসিন
পড়তে গিয়ে একটা জিনিস খেয়াল
হলো, সুরা ইয়াসিনের ৪২ ও ৪৩
নাম্বার আয়াত।
দুই আয়াতের জন্য ৩ টি তাফসির
দেখলাম।
জালালাইন, মা’আরেফুল
কুর’আন, তাফসির ইবন কাসীর।
সব
থেকে ভালো লাগা তাফসীর
মা’আরেফুল কুর’আনের টা।
আয়াতঃ
৩৬:৪২, এবং তাদের জন্য নৌকার
অনুরুপ যানবাহন সৃষ্টি করেছি,
যাতে তারা আরোহণ করে।
৩৬:৪৩,
আমি ইচ্ছা করিলে তাদেরকে ‘নিমজ্জিত’
করিতে পারি, তখন তাদের জন্য
কোন সাহায্যকারী নেই
এবং তারা পরিত্রান ও পাবে না।
তাফসীরঃ
কোর’আনে উড়োজাহাজের
উল্লেখঃ কিন্তু এখানে কুর’আন, উট
অথবা অন্য কোন বিশেষ
যানবাহনের উল্লেখ
করেনি, বরং অস্পষ্ট
রেখে দিয়েছে। ফলে এতে এমনসব
যানবাহন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,
যা অধিকতর মানুষ ও তার আসবাবপত্র
বহন
করে মঞ্জিলে মকসুদে পৌঁছে দেয়।
এটা সুস্পষ্ট যে, বর্তমান যুগে যে সব
যানবাহন প্রচলিত
আছে তন্মধ্যে আয়াতে প্রধানতঃ উড়োজাহাজ
বোঝানো হয়েছে। নৌকার
সাথে এর উপমাও এর সমর্থক। পানির
জাহাজ যেমন পানির উপর সন্তরণ
করে পানি তাকে নিমজ্জিত
করে না, তেমনি উড়োজাহাজ
বাতাসে সন্তরণ করে। বাতাস
তাকে নিচে ফেলে দেয় না।
কোর’আন পাক আলোচ্য
বাক্যটি অস্পষ্ট
রেখেছে, যাতে কিয়ামত পর্যন্ত যত
যানবাহন আবিস্কার হবে সবই
এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
মূল কথাঃ
পানির উপর জাহাজ ভাসে।
এটা আমরা সবাই জানি। আবার
বাতাসে উড়োজাহাজ
ভাসে এটাও আমরা সবাই জানি।
৩৬:৪১ আয়াতে উল্লেখ
আছে, আরবীতে ‘ফুলকুন’
শব্দটি উল্লেখ করা আছে। ফুলকুন
শব্দের অর্থ জাহাজ। আমার
জানামতে জাহাজ ২ প্রকার
পানিতে চলা জাহাজ আর
উড়োজাহাজ। যেহেতু
তাফসিরকারকরা এখানে উড়োজাহাজ
কে নির্বাচিত করেছেন তাই
আমিও তাই করলাম।
সর্বশেষ কথাঃ
সূরা ইয়াসীন:43 –
আমি ইচ্ছা করলে তাদেরকে নিমজ্জত
করতে পারি, তখন তাদের
জন্যে কোন সাহায্যকারী নেই
এবং তারা পরিত্রাণও পাবে না।
এখন নিমজ্জিত
হওয়া বলতে ডুবে যাওয়া, Dismiss, be
lost, Imperceptible,
invisible বা যাই হওয়া।
ধরা যাক অদৃশ্য হয়ে যাওয়া।
পানিতে জাহাজ ডুবে যায়, আর
space বা মহাকাশযান।
যেটাকে আমরা উড়োজাহাজ বলি।
উড়োজাহাজ বা বিমানঃ
বাতাসের
চেয়ে ভারী অথচ উড্ডয়নক্ষম এক
ধরনের আকাশযান । যাত্রী ও পণ্য
পরিবহন এবং যুদ্ধে এটি ব্যবহৃত হয়।
উড়োজাহাজ
নামটি এসেছে উড় বা ওড়া এবং জাহাজ
বা পোত শব্দদুটি একত্রিত করে।
উড়োজাহাজকে আমেরিকা , কানাডাসহ
অনেক স্থানে এয়ারপ্লেন
(“airplane”) বলে। আবার ব্রিটেন সহ
কিছু এলাকায় অ্যারোপ্লেন
নামে ডাকা হয়।
ইংরেজিতে এই নামদুটি এসেছে গ্রিক
αέρας (aéras-) (“air”
বা “বাতাস”) এবং গণিতের plane
(তল) শব্দদুটি থেকে।
আকাশে উড্ডয়ন সূত্রঃ এর
উর্দ্ধগতি এর ডানার সম্মুখগতির
কারণে। এই ধরণের আকাশযানের
উর্দ্ধগতি ঘূর্ণায়মান ডানা সম্বলিত
আকাশযানের মত ডানায়
বা উপরে অবস্থিত পাখার ঘূর্ণনের
কারণে সৃষ্ট হয়
না যেমনটি হেলিকপ্টারে হয়।
যদিও রকেট বা মিসাইল
আকাশে উড়ে তথাপি তাদের
উড়োজাহাজ বলা হয়না কারণ
এগুলো ডানার সম্মুখগতি ব্যাবহার
না করে রকেট থার্স্ট এর
সাহায্যে উর্দ্ধগতি অর্জন করে।
অনেক উড়োজাহাজ প্রপেলার
বা জেট ইঞ্জিন দ্বারা সৃষ্ট ঘাতের
প্রভাবে সম্মুখে চালিত হয়।
[উরোজাহাজের তথ্য wikipedia
থেকে নেওয়া]
তাহলে আমরা নিশ্চিত
ভাবে বলতে পারি যে বিমানটি আকাশে নিমজ্জিত
হয়ে গেছে। সমুদ্রে জাহাজ
ডুবতে পারে ঠিক
তেমনি মহা আকাশে বিমান
বা ঊরোজাহাজ ও ডুবতে পারে।
(সমাপ্ত)
বিঃদ্রঃ আমার এই লেখায় ভুল
থাকতে পারে। ভুল পেলে ক্ষমার
দৃষ্টিতে দেখবেন।
e-mail:
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৫ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন