সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া কতটুকু সঠিক?
লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ১১ এপ্রিল, ২০১৪, ০৮:০৫:৪৭ সকাল
আজকে আমাদের এই সমাজে, আমরা দাঁড়িয়ে সম্মান জানানোকে আদবের অংশ হিসেবে বিবেচনা করি। আর, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস-আদালত সহ প্রায় সব যায়গায়ই এর প্রচলন অহরহ দেখতে পাই এবং এমন না করাটাকে বেয়াদবি হিসেবে গন্য
করি। অথচ, আমাদের অনেকের কাছেই একটি ব্যাপার স্পষ্ট নয় !
তা হলো আমরা অনেকেই জানিনা যে, কোন বিশিষ্ট ব্যাক্তি বা ব্যাক্তিবর্গের সম্মানার্থে দাঁড়ানো কত বড় গুনাহ ! আর, যে ব্যাক্তি অন্যদের কাছ থেকে সম্মান প্রদর্শনের/ গ্রহনের প্রতীক হিসেবে এমনটা আশা করবেন তিনি আরো বড় গুনাহ করবেন। অন্যদিকে, হক্কানী ওলামায়ে কিরামের নিকট এই দাঁড়ানো বা ক্বিয়াম করাটা বিদ’আত ও নাজায়িয। এমনটা না করার ব্যাপারে, সহীহ হাদীস
দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণ ও রয়েছে।
ﻋﻦ ﺍﻧﺲ ﺭﺽ ﻗﺎﻝ ﻟﻢ ﻳﻜﻦ
ﺷﺨﺺ ﺍﺣﺐ ﺍﻟﻴﻬﻢ ﻣﻦ ﺭﺳﻮﻝ
ﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻛﺎﻧﻮﺍ
ﺍﺫﺍ ﺭﺃﻭﻩ ﻟﻢ ﻳﻘﻮﻣﻮﺍ ﻟﻤﺎ ﻳﻌﻠﻤﻮﻥ
ﻣﻦ ﻛﺮﺍﻫﻴﺘﻪ ﻟﺬﺍﻟﻚ অর্থ: হযরত আনাস রাযিঃ হতে বর্ণিত সাহাবায়ে কিরামের নিকট রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে প্রিয় আর কেউ ছিল না। এতদসত্বেও তারা যখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখতেন, দাঁড়িয়ে যেতেন না। কেননা তারা জানতেন যে তিনি দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে অপছন্দ করেন। (তিরমীযী, মেশকাত শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩) অন্য হাদীসে আছে, হযরত আবু উমামা রাযিঃ হতে বর্ণিত, একবার রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম লাঠিতে ভর দিয়ে বের হন, আমরা দাঁড়িয়ে গেলাম। রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে নিষেধ করে বললেন, ﻻﺗﻘﻮﻣﻮﺍ ﻛﻤﺎ ﻳﻘﻮﻡ
ﺍﻻﻋﺎﺟﻢ ﻳﻌﻈﻢ ﺑﻌﻀﻬﺎ ﺑﻌﻀﺎ
অর্থ:
“অনারবরা একে অপরকে দাঁড়িয়ে সম্মান
করে, তোমরা তাদের মত
দাঁড়াবে না।” (আবু দাউদ, মেশকাত
শরীফ : পৃষ্ঠা-৪০৩)আরেকটি হাদীসে বর্ণিত আছে, রসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন:
ﻣﻦ ﺳﺮﻩ ﺍﻥ ﻳﺘﻤﺜﻞ ﻟﻪ ﺍﻟﺮﺟﻞ
ﻗﻴﺎﻣﺎ ﻓﻠﻴﺘﺒﻮﺃ ﻣﻘﻌﺪﻩ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ
অর্থ: যে ব্যক্তি তার সম্মানার্থে লোকদের দাঁড়িয়ে যাওয়াকে পছন্দ করে, সে যেন তার ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (আবু দাউদ, মেশকাত শরীফ :
পৃষ্ঠা-৪০৩) উল্লেখিত হাদীস দ্বারা বুঝা গেল, রসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে সম্মান করাকে নিষেধ করতেন, কেউ দাঁড়ালে অপছন্দ করতেন এবং এভাবে যে ব্যক্তি নিজেকে দাঁড়িয়ে সম্মান করাতে আনন্দ বোধ করে তার জন্য
জাহান্নামের ধমকি শুনিয়েছেন। এ সমস্ত হাদীসের মুকাবেলায় বিদ’আতীদের খোড়া যুক্তি ও প্রমাণ বাতিল হওয়া সকলের নিকট স্পষ্ট। আল্লাহ্ সুব'হানাহু তা'য়ালা আমাদেরকে সকল প্রকার
গোমরাহী থেকে হেফাযত করুন।
---- আমীন
বিষয়: বিবিধ
৪০৮৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 7238
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
কাউকে সম্মান করে দাড়ালে এর অর্থ এই নয় যে তাকে প্রভু ভাবা হয়,
সম্মান তো সম্মানই,
মানুষকে শ্রদ্ধা করা, সম্মান করা না যায়েজ নয়, বরং উত্সাহ দেয়া হয়েছে,
আমার ঘরে হঠাত দেখতে পেলাম আমার শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ এসেছেন আমি কি পায়ের উপর পা তুলে বসে থাকবো? নাকি আমি দাড়িয়ে তাকে রিসিভ করে সম্মান জানাবো?
এতে কী আমি কাফের হয়ে যাবো?
সব ক্ষেত্রে হাদিস কোরান দিয়ে বিচার করা যায়না,
হুজুর পাক (স) যখন মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করেছিলেন তখন হাজার হাজার মদিনাবাসী দাড়িয়ে তাঁর শানে রিসালতের গুন গান গায়েছিলেন,
সব ক্ষেত্রে ভুল বুঝলে হবেনা,
যেমন আমি কোন অনুষ্টানে গেলাম আমার এক ছাত্র/ছা্ত্রী আমাকে দেখে তার চেয়ারটা দিয়ে দাড়ায়ে গেলেন, এতে আমি বললাম -না, না, থাক উঠতে হবেনা, তুমিই বস,
আমি যে উক্তিটা প্রকাশ করলাম সেটা দু ধরনের হতে পারে,
এক- তাকে অযথা কষ্ট দিলাম না, যেহেতু সে আমার ছাত্র, আমি তাকে ভালবাসি, আমি চাই সে বসুক,
দ্বিতীয়- আমি নিজেকে সম্মানি হিসেবে জাহির করলাম না,
কারন আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়,
হুজুর পাক (স)ও তাই করতেন, বিশেষ ক্ষেত্রে নমনীয় ভাব দেখাতেন,
আচ্ছা ! আপনার বাবা হঠাত দেখলেন যে আপনার অফিসে এসে হাজির তাকে দেখে কী গোয়ার্তমি করে চেয়ারে পায়ের উপর পা দিয়ে বসে বসে তাকবেন? নাকি বাবাকে একটু আগ বাড়িয়ে নিতে যাবেন,
মোট কথা আপনি যাকে সম্মান দিচ্ছেন তাকে যদি আপনি প্রভু হিসেবে সম্মান দেন তাহলে গোনাহ হবে নতুবা সম্মান জানানো পূন্যের কাজ,
যা কিছু ভাল তা গ্রহনীয় যা কিছু খারাপ তা বর্জনীয়,
আর এই ক্ষেত্রে যাতে সাহাবী (রা)গণ সতর্ক হয়ে যান সে জন্য তিনি বলেছেন : অনারবরা একে অপরকে দাঁড়িয়ে সম্মান করে, তোমরা তাদের মত দাঁড়াবে না। "
ভাইজান । কপি পেস্ট করা লেখা ব্লগে দেওয়া বাদ দিন । কারণ এতে মানুষ বিভ্রান্ত হয় । একটা দুইটা হাদিস দিয়ে আর আক্ষরিক অনুবাদ দিয়ে আর প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে হাদিস ব্যবহার করা সৌদি আরবের বর্তমান আলেমদের রীতি । এসব কাজ তারা সচেতনভাবে মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার জন্য করে থাকেন ।
একটা দুইটা হাদিস দিয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌছানো যায় না । যদি যেতো তাহলে ইসলামের সব বিষয়েই কোন মতভেদ থাকতো না ।
আপনি হাদিস দিয়েছেন । আমি হাদিস দিয়ে দেখাচ্ছি সন্মানিত লোকদের সম্মানার্থে দাড়ানো সুন্নাত । এই ব্যাপারে বুখারী ও মুসলিম শরীফ সহ অসংখ্য হাদিসের গ্রন্হে হাদিস ও ফিকাহ-এর বইয়ে ইমামগণের গবেষণালব্ধ সিদ্ধান্ত ও মতামত রয়েছে ।
আপাতত সময় করে আমার দেওয়া নিচের তথ্যগুলো পড়বেন ।
যখন কোন সম্মানিত নেতা আসেন তাঁর সম্মানে দাঁড়িয়ে যাওয়া সুন্নাত।
বসে থাকা বেআদবী। এব্যাপারে সুস্পস্ট সহিহ হাদিস আছে । যেমন :
১. মিশকাত শরীফের প্রথম খন্ডে কিতাবুল জিহাদে - ﻡﺎﻴﻘﻟﺍ ও ﻢﻜﺣ ﺮﺳﻻﺍ ﺀﺍ শীর্ষক অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে যে- “যখন হযরত সাআদ ইবনে মুআয (রা মসজিদে নববীতে উপস্থিত হন, তখন হুযুর আলাইহিস সালাম আনসারদেরকে হুকুম দিলেন- ﺍْﻮُﻣْﻮُﻗ ﻰﻟِﺍ ﻢﻛِﺪِّﻴَﺳ আপনাদের নেতার জন্য দাঁড়িয়ে যান।“
এ দাড়ানো ছিল সম্মানবোধক। তাদেরকে বাধ্য করে দাঁড় করানো হয়নি। অধিকন্তু ঘোড়া থেকে নামানোর জন্য ২/১ জন্যই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সবাইকে কেন বললেন যে দাঁড়িয়ে যাও। আর ঘোড়া থেকে নামানোর জন্য মজলিসে আগতদের মধ্যে থেকে কাউকে ডাকা যেত।কিন্তু নির্দিষ্ট করে সবাইকে কেন হুকুম করলেন? স্বীকার করতেই হবে যে, এ দাড়ানোটা ছিল সম্মান বোধক।
হযরত সাআদ আনসারদের নেতা ছিলেন। তাই তাদের দ্বারা সম্মান করানো হয়েছে। যাঁরা উপরোক্ত বাক্য ব্যবহৃত ﻰﻟﺍশব্দ দ্বারা ধোঁকা দিয়ে বলেন যে এ দাঁড়ানোটা ছিল রোগীর সাহায্যার্থে, তারা তাহলে এ আয়াতে কি বলনে- ْﻢُﺘْﻤُﻗﺍَﺫِﺍ ﻰﻟِﺍ ِﺓﻮﻠَّﺼﻟﺍ (যখন আপনারা নামাযের জন্য দাঁড়াবেন।) নামাযও কি তাহলে রোগী যে এর সাহায্যার্থে দাঁড়াতে হয়?
(এই হাদিসটি বুখারী, মুসলিম ও ইবনে মাজাহ-তে রয়েছে । বুখারী ও মুসলিমে আবু সাইদ খুদরী রা - এর বর্ণনা দিয়ে হাদিসটি উল্লেখ আছে । এই হাদিসটি বানু কুরাইজার ঘটনার সাথে সম্পৃত্ত । )
আশআতুল লুমআত গ্রন্থে উপরোক্ত হাদীছ প্রসংগে বর্ণিত আছে-
এখানে হযরত সাআদের প্রতি তাযীম করানোর রহস্য হচ্ছে যে তাঁকে বনি কুরায়জার উপর শাসন করার জন্য ডাকা হয়েছিল। তাই এ জায়গায় তার শান-মান প্রকাশের সঠিক সময় ও প্রয়োজন ছিল।
২. মিশকাত শরীফের ﻡﺎﻴﻘﻟﺍ অধ্যায়ে
“হযরত আবু হুরাইরা থেকে বর্ণিত আছে- َﺾْﻌَﺑ َﻞَﺧَﺩ ْﺪﻗ ﻩﺍَﺮَﻧ ﻰّﺘَﺣ ﺎًﻣﺎَﻴِﻗ ﺎَﻨﻤُﻗ َﻡﺎﻗﺍَﺫِﺎَﻓ ﻪِﺟﺍَﻭْﺯَﺍ ِﺕْﻮُﻴُﺑ যখন হুযুর আলাইহিস সালাম বৈঠক থেকে উঠতেন, তখন আমরা দাড়িয়ে যেতাম এবং এতটুকু পর্যন্ত দেখতাম যে তিনি তাঁর কোন পবিত্র বিবির ঘরে প্রবেশ করছেন। “
আশআতুল লুমআত কিতাবুল আদাবের কিয়াম শীর্ষক অধ্যায়ে- ﺍْﻮُﻣْﻮﻗ ﻰﻟِﺍ ِﺪِّﻴَﺳ ْﻢُﻛ এর ব্যাখ্যা প্রসংগে উল্লেখিত আছে-
এ হাদীছের পরিপ্রেক্ষিতে অধিকাংশ উলামায়ে কিরাম পুণ্যাত্মা উলামায়ে কিরামের
তাযীম করার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেন। ইমাম নববী বলেন যে বুযুর্গানে কিরামের তাশরীফ আনয়নের সময় দাঁড়ানো মুস্তাহাব । এর সমর্থনে অনেক হাদীছ রয়েছে কিন্তু এর নিষেধাজ্ঞার
ব্যাপারে সুষ্পষ্ট কোন হাদীছ নেই।
এবার হানাফী মাযহাবের ফতোয়ার গ্রন্হ হতে উদৃতি দিচ্ছি ।
১.ফতওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবুল কারাহিয়ার ﺕﺎﻗﻼﻣ ﻙﻮﻠﻤﻟﺍ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে- ِﺬَﺧَﺍَﻭ ِﻡﺎَﻴِﻘْﻟﺎِﺑ ﻰﻟﺎَﻌَﺗ ِﻪﻠﻟﺍ ِﺮْﻴَﻐِﺑ ُﺔَﻣْﺪِﺨْﻟﺍ ُﺯْﻮُﺠُﺗ ِﺀﺎَﻨِﺤْﻧِﺎْﻟﺍَﻭ ِﻦْﻳَﺪَﻴْﻟﺍ আল্লাহ অন্য কাউকে দাড়িয়ে, করমর্দন করে বা রুকু থেকে কম নত হয়ে সম্মান করা জায়েয । রুকু পর্যন্ত নত হওয়াতো নাজায়েয
২.দুররূল মুখতার গ্রন্থের প্রঞ্চম খন্ড কিতাবুল কারাহিয়ার ﺀﺍﺮﺒﺘﺳﻻﺍ অধ্যায়ের শেষে বর্ণিত আছ- ُﻡﺎَﻴِﻘْﻟﺍ ُﺯْﻮُﺠَﻳ ِﻡِﺩﺎَﻘْﻠِﻟﺎًﻤْﻴِﻈْﻌَﺗ ُﻡﺎَﻴِﻘْﻟﺍ ُﺏَﺪْﻨُﻳ ْﻞَﺑ َﺯْﻮُﺠَﻳ ِﻢِﻟﺎَﻌْﻟﺍ ِﻯَﺪَﻳ َﻦْﻴَﺑ ْﻯِﺭﺎَﻘْﻠِﻟْﻮَﻟَﻭ আগমনকারী কারো সম্মানার্থে দাড়াঁনো
মুস্তাহাব । যেমন আলিমের সামনে দাঁড়িয়ে যাওয়া কুরআন তিলওয়াতকারীর জন্য জায়েয। এ থেকে বোঝা গেল যে, কারো কুরআন তিলাওয়াতরত অবস্থায় কোন ধর্মীয় আলিম আসলে তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া মুস্তাহাব।
এপ্রসংগে ফতওয়ায়ে শামীতে বলা হয়েছে- ْﺫِﺍ ُﻩَﺮْﻜَﻳ ﺎَﻟ ﺎًﻤْﻴِﻈْﻌَﺗ ﻰْﺠَﻳ ْﻦَﻤِﻟ ِﻥﺍْﺮُﻘْﻟﺍ ُﻯِﺭﺎَﻗ ُﻡﺎَﻴِﻗَﻭ َﻢْﻴِﻈْﻌﺘﻟﺍ َّﻖِﺤَﺘْﺴَﻳ ْﻦَّﻤِﻣ َﻥﺎَﻛ কুরআন তিলাওয়াত অবস্থায় আগমকারী কারো সম্মানার্থে দাঁড়িয়ে যাওয়া নয়, যদি তিনি সম্মান পাওয়ার উপযোগী হন।
ফতওয়ায়ে শামী প্রথম খন্ড ﺍ ﺖﻣﺎﻣﻻ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে, যদি কেউ মসজিদের প্রথম কাতারে জামাতের অপেক্ষায় বসে আছেন। ইত্যবসরে কোন আলিম আসলে তাকে জায়গা ছেড়ে দিয়ে নিজে পিছনে
বরং এর জন্য প্রথম কাতারে নামায পড়া থেকে এটা আফযল। এটাতো উলামায়ে উম্মতের তাযীমের জন্য, কিন্তু হযরত সিদ্দীক আকবর (রা তো নামায পড়ানো অবস্থায় হুযুর আলাইহিস সালামকে তাশরীফ আনতে দেখে নিজে মুক্তাদী হয়ে গেলেনএবং নামাযের মাঝামাঝি হুযুর আলাইহিস সালাম ইমাম হলেন। (মিশকাত শরীফের ﺽﺮﻣ ﻰﺒﻨﻟﺍ অধ্যায় দ্রষ্টব্য) উপরোক্ত বিবরণ থেকে বোঝা যায় যে ইবাদতরত অবস্থায়ও বুযুর্গানে দ্বীনের তাযীম করা যায়েয ।
আরো তথ্য :
১.মুসলিম শরীফের দ্বিতীয় খন্ডে ﺚﻳﺪﺣ ﻪﺑﻮﺗ ﻦﺑﺍ ﻚﻟﺎﻣ অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে- ْﻰِﻨَﺤَﻓﺎَﺻ ﻰّﺘَﺣ ُﻝﻭْﺮَﻬُﺑ ِﻪﻠﻟﺍِﺪْﻴَﺒُﻋ ِﻦْﺑِﺍ ُﺔَﺤْﻠَﻃ َﻡﺎَﻘَﻓ ْﻰِﻧﺎَّﻨَﻫَﻭ অতঃপর
তালহা ইবনে উবায়দুল্লাহ দাঁড়িয়ে গেলেন এবং দৌড়ে এসে আমার সাথে মুসাফাহা করলেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন।
এর প্রেক্ষাপটে নববীতে উল্লেখিত আছে- ﺎًﻣﺍَﺮْﻛِﺍ ُﻪَﻟ ِﻡﺎْﻴِﻘْﻟﺍَﻭ ِﻡِﺩﺎَﻘْﻟﺍ ِﺔَﺤَﻓﺎَﺼَﻣ ُﺏﺎَﺒْﺤِﺘْﺳِﺍ ِﻪْﻴِﻓ ِﺀﺎَﻘِﻟ ﻰَﻟِﺍ ِﺔَﻟ َﻭْﺮَﻬْﻟﺍَﻭ এর দ্বারা প্রমাণিত হলো যে আগমনকারীর সাথে সুসাফাহা করা, এর সম্মানে দাঁড়িয়ে যাওয়া এবং দৌড়ে এর কাছে আসা মুস্তাহাব।
২.যখন নিজের কোন প্রিয়জন আসে, তখন এর আগমনের আনন্দে দাঁড়িয়ে যাওয়া, হাত পা ইত্যাদি চুমু দেয়া সুন্নাত।
মিশকাত শরীফের কিতাবুল আদব ﺔﺤﻓﺎﺼﻤﻟﺍ শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যে হযরত যায়েদ ইবনে হারেছা (রা মুস্তাফা আলাইহিস সালামের পবিত্র দরজার সামনে আসলেন এবং দরজার কড়া নাড়লেন। َﻢَّﻠَﺳَﻭ ِﻪْﻴَﻠَﻋ ُﻪﻠﻟﺍ ﻰَّﻠَﺻ ِﻪﻠﻟﺍ ُﻝْﻮُﺳَﺭ ِﻪْﻴَﻟِﺍ َﻡﺎَﻘَﻓ ُﻪﻠَّﺒَﻗَﻭ ُﻪَﻘَﻨَﺘْﻋَﺎَﻓ ﺎًﻧﺎَﻳْﺮَﻋ হুযুর আলাইহিস সালাম চাদর বিহীন অবস্থায় তাঁর প্রতি দাঁড়িয়ে গেলেন। অত:পর কোলাকুলি করলেন এবং চুমু খেলেন।
৩. মিশকাত শরীফের কিতাবুল আদব ﺔﺤﻓﺎﺼﻤﻟﺍ শীর্ষক অধ্যায়ে আরও বর্ণিত আছে যে যখনই হযরত খাতুনে জান্নাত ফাতিমা যুহরা (রা হুযুর আলাইহিস সালামের সমীপে হাযির হতেন- ْﻰِﻓ ﺎَﻬَﺴَﻠْﺟَﺍَﻭ ﺎﻬَﻠَّﺒَﻘَﻓ ﺎَﻫِﺪَﻴِﺑ َﺬَﺧَﺎَﻓ ﺎَﻬْﻴَﻟِﺍ ﻡﺎَﻗ ﻪِﺴِﻠْﺠَﻣ তখন তাঁর জন্য দাঁড়িয়ে যেতেন, হাত ধরে হাত চুমু খেতেন এবং নিজের জায়গায় তাঁকে বসাতেন।
অনুরূপ হুযুর আলাইহিস সালাম যখন হযরত ফাতিমা যুহরা (রা এর কাছে তশরীফ নিয়ে যেতেন, তখন তিনি (ফাতিমা) ও দাঁড়িয়ে যেতেন, দস্ত মুবারকে চুমু খেতেন এবং স্বীয় জায়গায় হুযুর আলাইহিস সালামকে বসাতেন। মিরকাত ﺊﺸﻤﻟﺍ ﺓﺯﺎﻨﺠﻟﺎﺑ অধায়ের দ্বিতীয় পরিচ্ছেদে আছে- ِﺀﺎَﻠَﻀُﻔْﻟﺍ ِﻢْﻴِﻈْﻌَﺘِﻟ ِﻡﺎَﻴِﻘْﻟﺍ ِﺏُﺪُﻧ ﻰَﻟِﺍ ٌﺀﺎَﻤْﻳِﺍ ِﻪْﻴِﻓَﻭ ِﺀﺍَﺮَﺒُﻜْﻟﺍَﻭ জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিদের সম্মানে দাঁড়ানো জায়েয।
৪. যখন কোন প্রিয়জনের কথা শুনে বা অন্য কোন শুভ সংবাদ পায়, তখন সে সময় দাঁড়িয়ে যাওয়া মুস্তাহাব এবং সাহাবা ও পূর্ববর্তীগণের সুন্নাত।
মিশকাত শরীফের কিতাবুল ঈমানের তৃতীয় পরিচ্ছেদে হযরত উছমান (রা থেকে বর্ণিত আছে, আমাকে হযরত সিদ্দিক আকবর (রা যখন একটি শুভ সংবাদ শোনলেন- ﺎَﻬِﺑ ﻖَﺣَﺍ َﺖْﻧَﺍ ْﻰِّﻣُﺍَﻭ َﺖْﻧَﺍ ْﻰِﺑَﺎِﺑ ُﺖْﻠُﻗَﻭ ِﻪْﻴَﻟِﺍ ُﺖْﻤﻘَﻓ তখন আমি দাঁড়িয়ে গেলাম এবং বললাম আপনার প্রতি আমার মা-বাপ কুরবান, আপনিই এর উপযোগী।
তাফসীরে রুহুল বয়ানে ২২ পারায় সূরা ফাতহের আয়াত ﺪﻤﺤﻣ ﻝﻮﺳﺭ ﻪﻠﻟﺍ এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে উল্লেখিত আছে যে, ইমাম তকিউদ্দিন সুবকী (র এর দরবারে উলামায়ে কিরামের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। একজন না’ত আবৃত্তিকারী দুটি না’ত পাঠ করলেন- ْﻰِﻓ ْﻦَﻣ ُﻊْﻴِﻤَﺟَﻭ ُّﻰِﻜْﺒُّﺴﻟﺍ ُﻡﺎَﻣِﺎْﻟﺍ َﻡﺎَﻗ َﻚِﻟﺍَﺫ َﺪْﻨِﻌَﻓ ِﺲِﻠْﺠَﻤْﻟﺍ َﻚِﻟﺍَﺬِﺑ ٌﻢْﻴِﻈَﻋ ﺲْﻧَﺍ َﻞَﺼﺤَﻓ ِﺲِﻠْﺠَﻤْﻟﺍ তখন সাথে সাথে ঈমাম সুবকী ও মজলিসে আগত সবাই দাঁড়িয়ে গেলেন এবং তাতে বেশ আনন্দ পাওয়া গেল।
৫. কোন কাফির যিনি স্বীয় সম্প্রদায়ের নেতা, যদি ইসলাম ধর্ম গ্রহণের প্রতি আগ্রান্বিত হন, তাহলে তাঁর আগমনে তাঁর সম্মানার্থে দাঁড়ানো সুন্নাত । যেমন হযরত উমর (রা যখন ইসলাম গ্রহন করার জন্য হুযুরের খিদমতে হাযির হলেন, তখন হুযুর আলাইহিস সালাম তাঁকে নিজের পবিত্র বুকের সাথে লাগালেন (ইতিহাস গ্রন্থ দ্রষ্টব্য) ।
ফতওয়ায়ে আলমগীরীর কিতাবুল কারাহিয়া শীর্ষক ﻞﻫﺍ ﺔﻣﺬﻟﺍ অধ্যায়ে উল্লেখিত আছে- ْﻰِﻓ ﺎًﻌﻤﻃ ﻪَﻟ َﻡﺎَﻘَﻓ ِﻢِﻠْﺴُﻣ ﻰﻠَﻋ ﻰِّﻣِﺫ َﻞَﺧَﺩَﺫِﺍ َﺱَﺄَﺑ ﺎَﻠَﻓ ﻪِﻣﺎَﻠْﺳِﺍ কোন যিম্মি কাফির মুসলমানের কাছে আসলো, মুসলমান তার ইসলাম গ্রহণের আশায় তার সম্মানে দাঁড়িয়ে গেলেন, এটা জায়েয।
(৫) কয়েক জায়গায় দাঁড়ানো মাকরূহ :-
প্রথমত: যমযম ও ওযুর পানি ব্যাতীত অন্যান্য পানি পান করার সময় বিনা কারণে দাঁড়ানো মাকরূহ,
দ্বিতীয়ত : পার্থিব লালসায় বিনা কারণে দুনিয়াবী লোকের
সম্মানে দাঁড়ানো মাকরূহ।
তৃতীয়ত: ধন-দৌলতের কারণে কাফিরের সম্মানার্থে দাঁড়ানো মাকরূহ।
ফতওয়ায়ে আলমগীরীর কিতাবুল কারাহিয়া শীর্ষক ﺔﻣﺬﻟﺍ ﻞﻫﺍ অধ্যায়ে বর্ণিত আছে- ْﻭﺍ ﺎﻧْﺮَﻛَﺫ ﺎَّﻤِﻣ ﺎًﺌْﻴَﺷ َﻯِﻮْﻨَّﻳ ْﻥَﺍ ِﺮْﻴَﻏ ْﻦِﻣ ُﻪَﻟ َﻡﺎَﻗ ْﻥِﺍَﻭ َﻚِﻟﺍَﺫ َﻪَﻟ َﻩِﺮُﻛ ُﻩﺎَﻨِﻐِﻟ ﺎًﻌْﻤَﻃ َﻡﺎَﻗ যদি কারো জন্য উল্লেখিত অবস্থাদি ব্যতিত দাঁড়ানো হয় বা সম্পদের লালসায় দাঁড়ানো হয়, তাহলে তা মাকরূহ হবে। চতুর্থত: যে ব্যক্তি নিজের তাযীমের জন্য লালায়িত, তার সম্মানার্থে দাঁড়ানো নিষেধ।
পঞ্চমত: যদি কোন বড় লোক মাঝখানে বসা অবস্থায় আছে এবং তার চারদিকে বিনীতভাবে মানুষ দাঁড়িয়ে রইল। এ ধরনের দাঁড়ানো কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিজের জন্য কারো দাঁড়িয়ে থাকা পছন্দ করাটাও নিষেধ। দ্বিতীয় অধ্যায়ে এর প্রমাণ দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ । এ প্রকারভেদটা যেন স্মরণ থাকে। উপরোক্ত বিশ্লেষন থেকে এটা নি:সন্দেহে জানা গেল
যে মীলাদ শরীফে পবিত্র বেলাদতের আলোচনা করার সময় কিয়াম করাটা সাহাবায়ে কিরাম ও পূর্ববর্তী নেককার বান্দাদের থেকে প্রমাণিত রয়েছে। আমি সুন্নাত কিয়ামের বর্ণনায় চতুর্থ পর্যায়ে সে ধরণের কিয়ামের কথা উল্লেখ করেছি, যা কোন খুশির সংবাদ পেয়ে বা কোন প্রিয়জনের আলোচনার সময় করা হয় এবং প্রথম পর্যায়ে ওই ধরনের কিয়ামের কথা উল্লেখ করেছি, যা ধর্মীয় মর্যাদাশীল কোন জিনিসের সম্মানে করা হয়। সুতরাং, মীলাদ শরীফে কিয়াম কয়েক কারণে সুন্নাত। প্রথমত: এটা পবিত্র বেলাদাতের আলোচনার সম্মানে করা হয়। দ্বিতীয়তঃ এ জন্য যে, মুসলমানদের জন্য যিকরে বিলাদতের চেয়ে বড় খুশির বিষয় আর কি হতে পারে আর খুশির সংবাদে দাঁড়ানো সুন্নাত। তৃতীয়ত: মুসলমানের কাছে নবী করীম (দ থেকে বেশী প্রিয় আর কে আছে? মা-বাপ,ধন-সম্পদ ইত্যাদি সব কিছু থেকে বেশি প্রিয়ভাজন হচ্ছেন হুযুর আলাইহিস সালাম । তাঁর যিকরের সময় দাঁড়ানো পূর্বসূরী নেকবান্দাদের রীতি ।
যেটা রাসুল (সাঃ) নিজের ক্ষেত্রে পছন্দ করেননি সেটা আমাদের জন্য কেন পছন্দনিয় হবে তা বুঝতে পারলাম না। এই ধরনের সন্মান জানান মানুষের মনে অহংকার এর সৃষ্টি করে। এটি মানবতা বোধেরও পরিপন্থি। যদিও স্কুল থেকেই আমাদের এই জিনিসটি শিখানন হয়। এই কারনে আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে একটি অহংবোধ সৃষ্টি হয় যার কারনে তারা নিজেদের ভুলের উর্ধে মনে করতে থাকেন। এটি আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি।
রাসুল সা. - এর অনেক বিষয় আছে যা আমাদের জন্য কোন ভাবেই প্রযোজ্য হবে না । যেমন : তার স্ত্রীদের তার ওফাতের পর বিয়ে করা নিষিদ্ধ ছিল । অপর দিকে আমাদের মতো সাধারণ লোকরা ইন্তেকাল করলে আমাদের স্ত্রীরা অনত্র বিয়ে করতে পারবেন । তিনি ছাগল আর দুম্বা চড়িয়েছেন বলে আমাদের এসব পালা ও চড়িয়ে বেড়ানো আবশ্যক হয়ে যায়নি ।
তিনি ইসলাম প্রচার ও প্রসারের স্বার্থে অনেক কিছু করেছেন বা করার প্রয়োজনবোধ করেছেন । সেগুলো আমরা করতে চাইলেও করতে পারবো না । যেমন : আমরা চাইলে একের অধিক বিয়ে করতে পারবো না । কারণ আইনগত সমস্যার ব্যাপার আছে । উপরন্তু আমরা চারটার বেশী বিয়ে করতে পারবো না । অথচ উম্মুল মুমেনীনদের সংখ্যা প্রায় এক ডজন ।
একটা দুইটা হাদিস দিয়ে কখনো কোন সিদ্ধান্তে পৌছা যায় না । আমি বুখারী, মুসলিম ও মিশকাত হতে হাদিস উপস্হাপন করেছি এবং দেখিয়েছি : সম্মানিত লোকদের দাড়িয়ে সম্মান জানাতে স্বয়ং রাসুল ( সা.) আদেশ দিয়েছেন ।
সম্মানিত লোকদের সম্মান জানানোর আলাদা রেওয়াজ না থাকলে সমাজের সাধারণ লোকগুলোের সাথে সম্মানিত লোকগুলোর মধ্যে পার্থক্য থাকবে না । আর লোকরাও সম্মানিত লোক হওয়ার জন্য চেষ্টা ও সাধনা যথাযথভাবে করবেন না । এই দিকটিও আমাদের চিন্তা করার প্রয়োজন আছে ।
হযরত আমের ইবনে রাবিয়া (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - নবী করীম (সাঃ) বলেছেন- জানাযা আসতে দেখলে এবং তার সঙ্গে যেতে না পারলে দাঁড়িয়ে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত তা অতিক্রম করে না যায় বা নামিয়ে না রাখা হয়। (বুখারী)
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - নবী করীম (সাঃ) বলেছেন - যখন জানাযা দেখো তখন দাঁড়িয়ে যায় এবং যে তার সঙ্গে যাবে তা নামিয়ে না রাখা পর্যন্ত সে বসবে না। (বুখারী)
হযরত জাবের (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - একটি জানাযা আমাদের নিকট দিয়ে অতিক্রম করার সময় রাসুল (সাঃ) উঠে দাঁড়ালে আমরা আরজ করলাম - এটা ইহুদীর জানাযা, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! তিনি বললেন- যখন কোনো জানাযা দেখবে তখন দাঁড়িয়ে যাবে। (বুখারী)
হযরত আবদুর রহমান ইবনে লায়লা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত - সাহল বিন হোনায়েফ এবং কায়েস বিন সা'য়াদ কাদেসিয়া নামক স্থানে বসা ছিলেন । তাঁদের পাশ দিয়ে একটি জানাযা যেতে দেখে উভয়ে উঠে দাঁড়িয়ে গেলে তাঁদেরকে বলা হলো যে, এটা জিম্মির (অমুসলিম) জানাযা । তাঁরা বললেন - একদা নবী করীম (সাঃ)-এর পাশ দিয়ে একটি জানাযা যেতে দেখে তিনি উঠে দাঁড়ালে তাঁকে বলা হয়েছিলো যে সেটা ইহুদীর জানাযা । উত্তরে তিনি বলেছিলেন- তবে ওটা কি মানব দেহ নয়? (বুখারী)
লক্ষ্য করুন, মৃত (এমনকি অমুসলিম হলে-ও) ব্যক্তির জন্য পর্যন্ত দাঁড়িয়ে যাবার হাদীস পাওয়া যাচ্ছে !
শুধুমাত্র হাদীসের বাক্যসমষ্টি-ই নয় - হাদীসের প্রেক্ষাপট ও মৌল উদ্দেশ্য জানা থাকা দরকার । তেমনি সুন্নাহ ও বিদ'আতের সঠিক সংজ্ঞা-ও জানা থাকা দরকার । কাফির, মুশরিক ও অনারবদের অনেক রীতি-নীতি, অভ্যাস, পোষাক-পরিচ্ছদ, খাবার-দাবার ইত্যাদি তো আমরা দেদারসে অনুকরণ করছি। তাতে কি বিদ'আত হয়ে যাচ্ছে?
আপনার পোষ্টে উল্লেখিত হক্কানী আলেমবৃন্দের পরিচয় তুলে ধরুন ।
ধন্যবাদ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন