প্রায় ছয়সাত বছর ক্যাম্পাসে থেকে নিজেদের জৈবিক চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছেনা
লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ১০ মার্চ, ২০১৪, ০৯:০৮:১৭ রাত
হিডেন বিয়ে অনৈতিক । এর পরিচিতি তুলে ধরছি । এর আবিষ্কার হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা । বিভিন্ন কারণে এবিশ্ববিদ্যালয় পরিচিতি পেয়েছে ।হিডেন বিয়ে হচ্ছে এমনই এক বিয়ে যা বাবা মাভাই বোন পাড়া প্রতিবেশীর অজানা থাকে । এব্যাপারে জানে শুধু মিয়া বিবি আর ৫০টাকায় ভাড়া বা দুকাপ চা খাওয়া স্বাক্ষী । সর্ব সাকুল্লে বড়জোর পাঁচ ছয় জন জানে মিয়া বিবি দুইটার বিয়ে হয়েছে ।
পক্রিয়াটা এমন । উদাহরণ দিচ্ছি । এই যেমন ধরুন । জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের মাটি বিবির সাথে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের আকাশ মিয়ার মন দেওয়া নেওয়া চলছে । তারা ঠিক করলো আমরা হিডেন বিয়েকরি । তো দেখা যাক কীভাবে হিডেন বিয়ের পক্রিয়া তারা কীভাবে শুরু করলেন ।তারা চলে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫০ কিলোমিটার দুরের কোন কাজী অফিসে ।কাজী অফিসের লোক তাদের দেখে মহাখুশি । আজ কিছু টুপাইস কামাই হবে । আর মিয়াবিবি ও খুশি মাত্র কম টাকার বিনিময়ে তাদের কথিত অবৈধ সম্পর্ক হালাল হচ্ছে ।৫০ টাকার স্বাক্ষী জোগার হলো । বিয়ে রেজিস্ট্রেশন হলো । তারপর .....
এ হিডেন বিয়ে কেন করা হয় -
১. দীর্গ দিন ধরে দেখে আসছে ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইয়া আর আপুদের অনেকে এধরনের বিয়ে করছে ।
২. প্রায় ছয় সাত বছর ক্যাম্পাসে থেকে নিজেদের জৈবিক চাহিদা পুরণ করা যাচ্ছে না । এতে তো আপতত একাজ করার বৈধতা পাওয়া যাচ্ছে । আর বাবা মা ভাইবোনসহ সমাজের লোকরা তো জানছে না ।
৩. এ বিয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্হায়ী । মেয়ে যখন দেখলো আমেরিকার নাসায় জব করা লোক তার বর হতে পারে তখন মিয়া সাহেবের সাথে বিয়ে ভেঙ্গে দিলো । এতেকোন আনুষ্ঠানিকতার প্রয়োজন হয় না । ব্যাপারটা অনেকটা কথিত তিন তালাকের মতো ।মিয়া সাহেব যখন দেখলেন তার জন্য বাবা মা পরমা সুন্দরী ও টাকা ওয়ালার মেয়ে জোগাড় করেছেন । তখন তিনিও ঐ কাজই করলেন ।
ব্যাপারটা অনেকটা লিভ টুগেদার - এর মতো । লিভ টুগেদারের সাথে এরপার্থক্য হলো হিডেন বিয়ের কাগজপত্র থাকে । যাতে করে মিয়া বিবি নিজেদের আইনগত ভাবে স্বামী স্ত্রী বলে দাবি করতে পারেন । এবং বিভিন্ন আইনগত ঝামেলাএড়াতে পারেন ।
৪. হিডেন বিয়ের লোকরা ছাত্র জীবন শেষে যে যার রাস্তা দেখে । অর্থাৎছাত্র জীবন শেষ বিয়েও শেষ । ব্যাপারটাকে অনেকটা ইরানের শিয়াদের মুতা বিয়েরসাথে তুলনা করা যায় ।
আমি শুধু এতটুকু বলবো, এবিয়ে ইসলামের সঠিক আইন অনুযায়ী হারাম এবংএকাজে যারাই যুক্ত থাকবে তারা সারা জীবন যতই ইবাদাত করুক না তা কবুল হবে না। আমার দেখায় বাস্তব জীবনে এমন লোকরা কখনো সুখী হয় না ।
অধ্যয়নই ছাত্রজীবনের ধ্যান জ্ঞান সাধনা । ছাত্র জীবনে অন্য কিছুঅগ্রহণযোগ্য । এক জন দুই নৌকায় পাড়া দিতে পারে না । বৈধভাবে বাবা মার মতোবিয়ে হলেও ছাত্র জীবনে বিয়ে করলে জ্ঞান অর্জন পক্রিয়া বাধাগ্রস্হ হয় ।
**************************************************
ঘটনাটি ১৯৯৮ সালের অগাষ্ট সেপ্টেম্বর মাসের । দৈনিক মানব জমিনসর্বপ্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্র লীগের ভয়াবহ ধর্ষণকর্ম অনুশীলনের তথ্য দেয় । তারপর দৈনিক দিনকাল । ইনকিলাব আর ভোরের কাগজরহস্যজনক কারণে প্রথম নিরব থাকে । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন মানিক দৈনিক দিনকালের বিরোদ্ধেমানহানির মামলা করলে ঘটনা জটিল রুপ ধারন করে । তখন পত্রিকা পাঠকদের কৌতুলজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ধাবিত হয় । আর পত্রিকাগুলোর হাতে গোনাকয়েকটি তখন পাঠকদের কৌতুল নিবৃত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে । তারমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে ইংরেজী দৈনিক ডেইলি স্টার ।
তাহলে আমরা আজ দেখবো ডেইলী স্টারের একটা শীর্ষ খবর যা ২৬ সেপ্টেম্বর১৯৯৮ তারিখে প্রকাশ হয়েছিল । খবরটির শিরোনাম ছিল : Fact Finding Committee Report: Over 20 JU students raped, 300 sexually harassed নেটে ডেইলীস্টারের এই সংখ্যাটি দেওয়া নেই । আমি ব্লগারদের সাথে শেয়ার করার জন্য এইনিউজটি সংগ্রহ করি রেফারেন্স সেকশন থেকে । আমি প্রথমে ইংরেজীতে খবরটাদিচ্ছি । তারপর আমার নিজের করা বাংলা অনুবাদ দিয়েছি ।
আশা করি, ব্লগার বন্ধুরা !এখবরটা থেকে শিক্ষাঙ্গনে ধর্ষণ চর্চারমাত্রা সম্পর্কে সামান্য হলেও জানতে পারবেন । আপনারা আরো জানবেন কীভাবেধর্ষণের সেঞ্চুরী হয় । তাহলে চলুন আমরা সেই খবরটা এখনই পড়ে ফেলি ।
The Daily Star September 26, 1998 Front page, Banner heading news.
Fact Finding Committee Report: Over 20 JU students raped, 300 sexually harassed
More than 20 students of Jahangirnagar University were raped and over 300 others harassed on the campus by the armed cadres of a particular political party.
This was revealed in the report of the Fact Finding committee constituted by the J U authorities.
The committee, formed on August 20 against other backdrop of press reports on incidents of rape at the university and massive protests by students, submitted its report to the VC, Prof Alauddin Ahmed, on September 21.
A copy of the report obtained by the Daily Star yesterday contained details of the ordeal suffered by the victims, “negligence” of the University authorities in handling the issue and the tyranny let loose by the armed goons on the campus.
“Some were raped several times, some were gang raped and some were even forced to leave the campus after the incidents,” the Committee report said.
“Many of them were even whisked away from in front of their residential halls at gun point and then raped in broad day light,” it said. These incidents were hushed up either with threat and coercion or in the name of adverse social repercussion.
“Some of these incidents were even brought to the notice of officials of the university but they did not take any action, reminding the victims about social repercussion.” the report noted.
“Ironically, the campus has become a fertile ground for criminal activities where a section of students under political shelter are found not only involved in rape but also in extortion, bus dacoity, bringing prostitutes at the residential halls, drug abuse and black mailing,” the report noted.
“JasimuddinManik, a student of Drama and Dramatics Department was on the top of the list of seven persons accused of rape on the university campus.”
“On completion of his 100th rape, he even celebrated the occasion offering sweets and throwing a cocktail party,” the report noted.
JasimuddinManik is the former general secretary of the Jahangirnagar University unit of Bangladesh Chhatra League. He was expelled on September one.
The six others accused of rape of the department of Bangla, HasiburRahman,Barkat of Geology,Mohammad Ali Dalas of History,NabiulHaqRoni of Government and politics,Atiqur Rahman Naim of History and Anisur Rahman of the department of English.
The six are also influential leaders of the Bangladesh Chhatra League at the university.
The report found that top leaders and armed cadres of a particular political party and some outsiders were involved in the incidence of rape. The outsiders were Sohel, Mukuland Raj.
The abettors in the incidents were identified as Titu, Ferdous, Rafiq, Ruhul, Sohag and Kajol. They were also students of the JU and leaders of Bangladesh Chhatra League.
As many as 20 sites were identified on the university campus where the incidents took place. The site included the Shaheed Minar, Library premeses, Mosharraf Hall and its gymnasium and the Green Room of the Drama and Dramatics Department.
“When the victims approached the administrative officials including Provosts of halls and former Proctor Afsar Ahmed, They hardly got any remedy on grounds of adverse social repercussion.” The report said.
The 213 page report is now being discussed by the J U Syndicate. Fact Finding Committee scrutinized more than 350 secret letters and interviewed 18 alleged offenders and about 30 witness including students and others. The committee also visited the alleged sites of the incidents, the report noted.
The seven - member Fact Finding Committee headed by Prof AnwarulHuq Sharif, comprises Dr A MannanChowdhury, Proctor of the university; Prof AbulHussain, Provost of Al Beruni Hall; KanchanChowdhury, Provost of Pritilata Hall; Prof NasimaAkhtarHussain, Provost of NawabFaizunnessa Hall Hall; A N Rasheda, Syndicate member and Prof SaudaAkhter, a teacher of Bangla Department of the university.
বাংলা অনুবাদ :
তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা এবং ৩০০ এর বেশীর শ্লীলতাহানী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ এর বেশী ছাত্রী ধর্ষিতা হয়েছেন এবং৩০০ এর বেশী শ্লীলতাহানীর শিকার হয়েছেন একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলেরঅস্ত্রধারী গুন্ডাদের দ্বারা ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে ।
ধর্ষণের ঘটনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় ধরনের ছাত্র বিক্ষোভেরপরিপ্রেক্ষিতে ২০ আগস্ট তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয় । উপাচার্যঅধ্যাপক আলাউদ্দিন আহমেদের কাছে ২১ সেপ্টেম্বর কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয় ।
গতকাল ডেইলি স্টার প্রতিবেদনটির একটি কপি পেয়েছে । যাতে বিস্তারিতভাবেবলা হয়েছে, নির্যাতিতারা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের "অবহেলা" এবংক্যাম্পাসের সশস্ত্র গুন্ডাদের অত্যাচারের শিকার ।
কমিটির প্রতিবেদন মতে,"কিছু ছাত্রী বহুবার ধর্ষিতা হয়েছেন, কিছুছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং কিছু ছাত্রী ঘটনার পর ক্যাম্পাস ছেড়েচলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন " ।
এ প্রতিবেদনের তথ্য ," এমনকি ছাত্রীদের অনেকেই তাদের আবাসিক হলেরসামনে বন্দুকের মুখে দিনের আলোতেই সম্ভ্রম হারিয়েছেন " । এসব দুর্ঘটনাহুমকি, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ও প্রতিকূল সামাজিক প্রতিক্রিয়া হওয়ার ভয়দেখিয়ে ধামা – চাপা দেওয়া হয়েছিল ।
"এই ঘটনা কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়েছিল কিন্তুতারা নির্যাতিতাদের জন্য কোনো পদক্ষেপ ও সুবিচার নিশ্চিত করেননি "প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে ।
"হাস্যকর ভাবে, ক্যাম্পাস একটি অপরাধমূলক কর্মকান্ডের উর্বর ক্ষেত্রহয়ে উঠেছিল যেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রশয়ে ছাত্রদের একটি অংশ শুধুমাত্রধর্ষণ কর্মতেই জড়িত হয়ে পরেনি, তারা চাঁদাবাজি, বাস ডাকাতি, আবাসিক হলেবেশ্যা আনা, মাদকদ্রব্য অপব্যবহার ও ব্লাক মেইলিয়েও জড়িত হয়ে পড়েছিলো "প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্তদের তালিকায়শীর্ষ সাত ছাত্রের মধ্যে শীর্ষে ছিল নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের জমিমউদ্দীন মানিক ।
"জমিম উদ্দীন মানিক ১০০তম ধর্ষণ শেষ করে বন্ধুদের মাঝে মিষ্টি বিতরনকরেছিল এবং একটি ককটেল পার্টি দিয়ে উৎসবপালনকরেছিল," প্রতিবেদনে উল্লেখকরা হয়েছে ।
জসিম উদ্দীন মানিক বাংলাদেশ ছাত্র লীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন । তাকে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৯৮ বহিস্কার করা হয় ।
ধর্ষণ কর্মের জন্য অভিযুক্ত অন্য ছয় ছাত্রদের মধ্যে আছেন বাংলাবিভাগের হাসিবুর রহমান, ভূতত্ত্ব বিভাগের বরকত, ইতিহাসের মোহাম্মদ আলীডালাস, সরকার ও রাজনীতির নবীউল হক রনি,ইতিহাসের আতিকুর রহমান নাইম এবংইংরেজি বিভাগের আনিসুর রহমান ।তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ছাত্র লীগেরপ্রভাবশালী ছয় নেতা ।
প্রতিবেদনে পাওয়া গেছে, শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিকদল এবং বহিরাগত কিছু সশস্ত্র গুন্ডা ধর্ষণ কর্মে জড়িত ছিল । বহিরাগতদেরমধ্যে ছিল সোহেল, মুকুল এবং রাজ ।টিটু, ফেরদৌস, রফিক, রুহুল, সোহাগ এবংকাজল অপরাধের সাহায্যকারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে । তারা ছিল জাহাঙ্গীরনগরবিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং বাংলাদেশ ছাত্র লীগ নেতা ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ২০ টি স্হান যেগুলোতে ধর্ষণ কর্ম সংগঠিতহয়েছিল সেগুলো যথারীতি চিহ্নিত করা হয়েছে । স্হানগুলোর মধ্য রয়েছে শহীদমিনার, গ্রন্হাগার চত্তর, মীর মোশাররফ হোসেন হল ও এর ব্যায়ামাগার এবং নাটক ওনাট্যতত্ত্ব বিভাগের গ্রীণ রুম ।
যখন ধর্ষণ কর্মের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্হারা হলের প্রভোস্টদের এবং সাবেকপোক্টর আফসার আহমেদের কাছে গিয়েছিল, তখন তারা প্রতিকুল সামাজিকপ্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র প্রতিকার পায়নি ।
২১৩ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটেআলোচিত হচ্ছে । তথ্য অনুসন্ধান কমিটি ছাত্র-ছাত্রী ও অন্য লোকদেরসহ ১৮অপরাধী ও ৩০ প্রত্যক্ষদর্শীর ২৫০ গোপন চিঠি ও সাক্ষাৎকারতন্নতন্নকরেযাচাই করছেন । কমিটি অভিযুক্ত স্হানগুলোও পরিদর্শন করেছেন । প্রতিবেদনেউল্লেখে করা হয়েছে ।
বিশ্ববিদ্যালয় নাকি রম্যশালা!!!
তিতুমীরলিখেছেন : স্হানগুলোর মধ্য রয়েছে শহীদ মিনার, গ্রন্হাগার চত্তর, মীরমোশাররফ হোসেন হল ও এর ব্যায়ামাগার এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের গ্রীণরুম ।
পলাশলিখেছেন : সেন্চুরী মানিকে দেশটা আজ ভরে গেছে!
এ জে খানলিখেছেন : হিডেন=ইডেন
স্বপ্ন সোহেললিখেছেন : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েভর্তি পরীক্ষায় আমি ইংরেজি ওবাংলায় প্রথম হই...যখন ভাইভা দিতে যাই তথন ক্যাম্পাসে ছেলে-মেয়েদেরকথা-বার্তা শুনে ভয় পেয়ে যাই.....ছেলে-মেয়েরা দেখলাম সেদিন প্রকাশ্যেই একে-অন্যের সাথে সেক্সুয়াল আলাপ করছে....আমি গ্রামীণ পরিবেশ থেকে এসে এগুলোদেখে ভাইভা শেষ করে আর জাবিতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই....অবশ্য তার তিনদিনের মাথায় ঢাবির রেজাল্ট পাবলিশ হলে বিবিএ তে চান্স পাই.......আমিআল্লাহর রহমতে ঢাবিতে চলে আসি.......এখন আমার কোন আত্নীয়-স্বজন জাবিতেভর্তি হতে চাইলে আমি আতকেউঠি..........
সাইফুল_ঈদগাহ_ককসবাজারলিখেছেন : বিয়ে না দিয়ে বিবাহযোগ্য ছেলেমেয়েদেরকে মা-বাবা দীর্ঘদিনের জন্যসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে দিচ্ছে কেন? তাই ছেলে-মেয়েদের যাবতীয়পাপের দায়ভার মা-বাবাকেও নিতে হবে। সরাসরি ব্যাবিচার ও লিভটুগেদারের চেয়েহিডেন বিয়ে অনেক ভাল। তবে এ বিয়েকেই পরে বাতিল না করে প্রকাশ্যে সামাজিকরুপ দেয়া আবশ্যক।
খন্দকার কলমলিখেছেন : তা হলে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে আমাদের সন্তানদেরকে এই শিক্ষাই দিচ্ছে? হে আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষ করো।
ফয়জুল্লাহলিখেছেন : আরে ভাই বিয়ে করতে এতো ইচ্ছা হইলে হিডেন ক্যা? বাপ মা রে জানাইয়া করলে কি সমস্যা? বুজবার পারলাম না। ধন্যবাদ লেখককে।
বিষয়: বিবিধ
১৮২৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
'বৈধভাবে বাবা মার মতো বিয়ে হলেও ছাত্র জীবনে বিয়ে করলে জ্ঞান অর্জন পক্রিয়া বাধাগ্রস্হ হয়।'
আমরা সাধারন মানুষ, আমাদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে তাড়িত হয়ে 'ডিভাইন রিলেশানশীপ' এর ইক্যুয়েশান, নিয়মকানুন, বৈধতা ও অবৈধতা, কালচার ও ট্রেডিশান ইত্যাদি সৃষ্টি করলে এবং তা প্রাকটিশ করলে - কখনোই তা গনমানুষের জন্য কল্যানকর হতে পারেনা - শুধুমাত্র কারো কারো জন্য কল্যানকর হতে পারে।
কিন্তু গণমানুষের জন্য ডিভাইন ম্যাসেজ হল, ছেলে কিংবা মেয়ে পিউবার্টি লেভেল এ পৌছা মাত্রই বিয়ের জন্য প্রস্তুত। এবং উপযুক্ত পাত্র কিংবা পাত্রী পাওয়া গেলে শরীয়া অনুযায়ী বিয়ে দিয়ে দেওয়া বা করতে দেওয়া ব্যাক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও আখেরাতের জন্য উত্তম।
আমি কিংবা আপনি আমাদের বিবেক বিবেচনাবোধ দিয়ে বুঝি - ইউনিভার্সিটিতে ভাল রেজাল্ট করার জন্য, ভাল ক্যারিয়ার তৈরীর জন্য বিয়েটা দেরীতে হলে ভাল, কিন্তু যেটা বুঝিনা সমাজকে দেরীতে বিয়ে করতে উৎসাহিত করার কারনে জাহাংগীর নগর কেইস তৈরী হবে এবং তাতে সমাজ দ্রুতলয়ে পঁচা দূর্গন্ধময় হবে এবং আলটিমেটলী আমার আপনার এবং সমাজের আখেরাত পুরোপুরি বরবাদ হবে - যদিও এ দুনিয়ার আপনি আমি সাকসেসফুল হবো - ভাল রেজাল্ট করবো।
কিন্তু আপনি নিশ্চয়ই এ দুনিয়ায় আমার কিংবা আপনার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার এর সাথে গণমানুষের আখেরাতের রেজাল্ট খারাপ হোক - এটা ট্রেডিং করবেন না বা করতে চাইবেন না।
সুতরাং আমি ব্যক্তগতভাবে মনে করি যারা মুসলিম এর শত্রু, কিংবা বলি শয়তান কিংবা বলি ইভিল ফোর্স - তারা ক্যালকুলেশানের মাধ্যমে এবং ট্রিক করে এ দেশের আলেম ওলামা হতে শুরু করে গণমানুষকে প্রতারিত করে - ১৮ বছরের নিচে ছেলে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যাবেনা বলে আইন করেছে। এবং এর মাধ্যমে বাজারে অবৈধ দৈহিক সম্পর্কের বিস্তৃতি ঘটিয়েছে। এবং সে সাথে দেরীতে বিয়ে করার কারনে - স্বামী ও স্ত্রী বিয়ের আগে কোন না কোন স্তরের জেনা করতে বাধ্য হয়েছে বা বাধ্য করেছে (এক্সেপশান আছে বা থাকতে পারে)। এবং সে সাথে বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক না হয়ে প্রতিযোগী হয়েছে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন