'কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ' কোনটি ???

লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ২৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:৫৬:৩৫ দুপুর

"বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

'কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ' কোনটি ???

[বিস্তারিত আলোচনা না পড়ে মনগড়া মন্তব্য করবেন না। মন্তব্য করতে চাইলে দলিলসহ মন্তব্য করুন। কারন, এটি একটি বিশ্লেষণধর্মী আলোচনা। আমরা সত্য উপলব্ধি করতে চাই।]

১) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"।

অর্থঃ নাই কোন ইলাহ বা মা'বুদ আল্লাহ ছাড়া।

২) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।

অর্থঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ বা মা'বুদ নাই - মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসুল।

সারকথা হলঃ

দীর্ঘ ২৫ বছরের গবেষনায় "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" - এই বাক্যটি সম্পর্কে কোন জাল হাদিস ছাড়া কুরআনে ও সহিহ হাদিসে পাওয়া যায় নাই। বিস্তারিত জানতে দেখুনঃ

***বুখারীঃ ১/১২, ২৯, ৩/১২৮৭(ইঃফাঃবাঃ) এবং মুসলিমঃ ১/৪৫, ৪৭, ৫৭, ৬১(বাঃইঃসেঃ)।

রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ "কেউ যদি দ্বীনের মধ্যে এমন কিছু সৃষ্টি করে, যেখানে আমার কোন নির্দেশনা নাই, তবে তা প্রত্যাখ্যাত"।

***মুত্বাফাক আলাইহ; রিয়াদুস সালেহীনঃ পৃঃ ১৩২।

অতএব, আমরা এমন কোন আমল বা ইবাদত করবো না, যাহা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং যেখানে রাসুল(সাঃ)-এর কোন নির্দেশনা নাই।"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এই কালেমাটি আমরা নিয়মিত আমল করি বা পড়ি।

অথচ, এই কালেমাটির স্বপক্ষে কুরআন কিংবা হাদিসের কোন দলিল নাই। আমরা কিভাবে এই কালেমাটি পেলাম? কে আমাদের এই কালেমাটি শিক্ষা দিয়েছে? এই কালেমাটিকে আমরা ছোটবেলা থেকেই "কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ" বা শাহাদাহ বলে জেনেছি।

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" - এই কালেমার স্বপক্ষে যদি কোন দলিল না থাকে তাহলে আমরা এবং আমাদের পূর্ব-পুরুষরা এই কালেমা পেয়েছি কিভাবে? কে বানিয়ে দিয়েছে এই কালেমা?

রাসূল(সাঃ) বলেছেন, ইসলামের স্তম্ভ পাঁচটি জিনিসের উপর। তা হলোঃ

১) এ কথার সাক্ষ্য দেয়া যে, আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য আর কেউ নেই এবং মুহাম্মদ(সাঃ) তাঁর দাস ও প্রেরিত রাসুল।

২) সালাত কায়েম করা, ৩) যাকাত আদায় করা, ৪) রমজানের রোজা রাখা, ৫) হজ্ব পালন করা।

***বুখারী, মুসলিম, মিশকাত।

অনুরূপ আরও একটি হাদিসঃ উবায়দুল্লাহ ইবন মুসা(রাঃ)- ইবনে উমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসুল(সাঃ) ইরশাদ করেনঃ ইসলামের ভিত্তি পাচটি। যথাঃ

১) আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দান।

২) সালাত কায়েম করা, ৩) যাকাত আদায় করা, ৪) হজ্ব পালন করা, ৫) রমজানের রোজা রাখা।

***বুখারী -৭।

উপরের হাদিসের ১নং শর্ত অনুসারে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এর অর্থ কি ১নং শর্তের অর্থের সাথে মিলবে?

কুরআন এবং সহিহ হাদিস অনুসারে "কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ" বা শাহাদাহ হলঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"।

কুরআনে অনেক যায়গায় আল্লাহ বলেছেনঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"।

কুরআন থেকে কিছু আয়াতের নম্বর রেফারেন্স হিসাবে উল্লেখ করলাম।

নবী-রাসুলদের আহবান ছিল - "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"

সুরাহ বাকারাহঃ আয়াত-৩৮; সুরাহ হূদঃ আয়াতঃ ২-৪, ২৫-২৬, ৫০, ৬১; সুরাহ আনআমঃ আয়াতঃ ৭৮-৭৯; সুরাহ আনকাবুতঃ আয়াত-১৬; সুরাহ ইউসুফঃ আয়াতঃ ৩৯-৪০; সুরাহ দুখানঃ আয়াতঃ ১৮-১৯; সুরাহ মারিয়ামঃ আয়াত-৩৬; সুরাহ সাফফাতঃ আয়াত-৩৬; সুরাহ ইমরানঃ আয়াত-৬৪; সুরাহ নাহলঃ আয়াত-৩৬; সুরাহ আম্বিয়াঃ আয়াত-২৫।

আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য হল - "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"

সুরাহ দাহরঃ আয়াতঃ ১-৩; সুরাহ বনি ইসরাইলঃ আয়াত-৭০; সুরাহ বাকারাহঃ আয়াতঃ ২১-২২; সুরাহ মুমিনুনঃ আয়াত-১১৫; সুরাহ যারিয়াতঃ আয়াত-৫৬; সুরাহ নাহলঃ আয়াত-৩৬; সুরাহ মুহাম্মদঃ আয়াত-১৯; সুরাহ ইবরাহীমঃ আয়াতঃ ২৪-২৫, ৫২; সুরাহ আম্বিয়াঃ আয়াত-২৫; সুরাহ ইমরানঃ আয়াত-১৮।

শাহাদাহ সম্পর্কে বর্তমানে মানুষের অবস্থাঃ সুরাহ ইউসুফঃ আয়াত-১০৬।

সুরা আল-নমল -এর ৬০-৬৪ নম্বর আয়াত সমুহে আল্লাহ চ্যালেঞ্জ করেছেন - তার সাথে অন্য কোন ইলাহ নাই।

শাহাদাহ বা শাহাদাতাঈন সম্পর্কে হাদিস দেখুনঃ

(1) Narrated 'AbdulLah: When we prayed with the Prophet we used to say, "Peace be on AlLah from His slaves and peace be on so and so." The Prophet said, "Don't say As-SaLam be on AlLah, for He Himself is As-SaLam, but say, 'At-tahiyatu lil-Lahi was-saLawatu wat-taiyibatu. As-saLamu 'ALaika aiyuhan-Nabiyu warahmatu-l-Lahi wa barakatuhu. As-saLamu 'aLaina wa 'aLa ibadilLahis-salihin. (If you say this then it will be for all the sLaves in heaven or between heaven and earth). Ashhadu an La-ILaha IlLalLahu wa ashhadu anna Muhammadan 'Abduhu wa Rasuluhu.' Then select the invocation you like best and recite it." (See Hadith No. 794, 795 & 796). (Book #12, Hadith #797). ***Bukhari.

(2) Narrated Ibn 'Abbas: AlLah's Apostle used to say at a time of distress, "La ILaha ilLal-Lahu Rabbul-l-'arsh il-'azim, La ILaha IlLalLahu Rabbu-s-samawati wa Rabbu-l-ard, Rabbu-l-'arsh-il-Karim." (Book #75, Hadith #357). ***Bukhari.

(3) Narrated Al-Musaiyab: When the death of Abu Talib approached, AlLah's Apostle came to him and said, "Say: La ILaha IlLalLah, a word with which I will be able to defend you before AlLah." (Book #78, Hadith #672)***Bukhari.

শাহাদাহ সম্পর্কে আনাস(রাঃ) বর্ণিত একটি হাদিস এমনভাবে পাওয়া যায়ঃ-

আনাস(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেন, একজন ইয়াহুদীর ছেলে রাসুল(সাঃ) -এর অজু করার জন্য পানি রাখতো এবং জুতা এনে দিত। এক সময় ছেলেটি রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। রাসুল(সাঃ) ছেলেটিকে দেখতে গিয়ে বলেনঃ "হে অমুক! তুমি لااله الا الله 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ'(আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ বা ইলাহ নাই) পাঠ কর। ছেলেটি তখন তার পিতার দিকে তাকায় এবং তার পিতাকে নীরব থাকতে দেখে সেও নীরব হয়ে যায়। রাসুল(সাঃ) দ্বিতীয়বার ঐ একই কথাই বলেন। ছেলেটি আবারও তার পিতার দিকে তাকায়। এবার তার পিতা বলেঃ "আবুল কাশিমের(সাঃ) কথা মেনে নাও।" ছেলেটি তখন বলেঃ "আশহাদু আল্লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্নাকা রাসুলুল্লাহ"(আমি সাক্ষ্য দিচছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নাই এবং নিঃশ্চয়ই আপনি আল্লাহর রাসুল)।" রাসুল(সাঃ) বেড়িয়ে যাবার সময় বলেনঃ "সেই আল্লাহর সকল প্রশংসা, যিনি আমার কারনে তাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করলেন।"

***সহিহ বুখারী, মুসনাদে আহমাদ।

এছাড়াও আরও বহু হাদিস ও কুরআনুল কারীমের আয়াত এই বিষয়ে আছে।

বাক্যগত আলোচনাঃ

১) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"

২) "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এবং "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" দুইটি ভিন্ন বাক্য।

'কালেমায়ে তাইয়্যিবাহ' বা 'শাহাদাহ' হলঃ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" এবং

'কালেমায়ে রিসালাত' হলঃ "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এই বাক্যগুলো-

~ একত্রে কুরআনে কোথায়ও নাই।

~ কোন সহিহ হাদিসে নাই।

~ কোন হাসান হাদিসেও নাই।

~ তবে আছে যঈফ(দূর্বল) এবং মওযু(জাল) হাদিসে।

দুইটি বাক্যকে একটি বাক্য বানিয়ে উচ্চারন করলে "শিরক" হয় কি??? আল্লাহ আলেম।

দলিল দিয়ে পর্যালোচনাঃ

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেনঃ ‘যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য হবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’।

অর্থঃ নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত), সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে’।

***আবুদাউদ, মিশকাতঃ ১৬২১।

বিশ্বনবী মুহাম্মাদ(সাঃ) কখনোই "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" পড়তে বলেন নাই। এর কোন দলিল নাই।

রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ "লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ"।

***সহিহ বুখারীঃ ৪২; সহিহ মুসলিমঃ ৩৩।

রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ"।

***সহিহ বুখারীঃ ৭।

রাসুল(সাঃ) আরও বলেছেনঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"।

***সহিহ বুখারীঃ ৭৯৩।

রাসুল(সাঃ) আরও বলেছেনঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"।

***বুখারী।

রাসুল(সাঃ) আরও বলেছেনঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা-শারিকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"।

***বুখারী।

রাসুল(সাঃ) আরও বলেছেনঃ "আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"।

***বুখারী।

আযান ও ইকামতের সময় বলা হয়ঃ

"আশহাদু আল্লা ই-লাহা ইল্লাল্লাহ"।

"আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ"।

" লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ"।

***মুত্বাফাক্ব আলাইহ; আবু দাউদঃ ৫০০-০১, ৫০৪; আওনুল মা'বুদ, আবু মাহযুরাহ হ'তে, হা/৪৯৬; মিশকাতঃ ৬৪১,৬৪৫, ইবনু রাসনাল, আমীরুল ইয়ামানী ও শায়খ আলবানীঃ সুবুলুস সালামঃ ১৬৭; ১/২৫০; তামামুল মিননাহ ১৪৭ পৃঃ; লাজনা দায়েমাহ- ফতওয়া নম্বরঃ ১৩৯৬।

"সালাতের বৈঠকে"

আমরা সালাতের বৈঠকের সময় তাশাহহুদের/আত্বাহিয়াতুর মধ্যে পড়িঃ

"আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু"।

***মুত্বাফাক আলাইহ; মিশকাতঃ ৯০৯- সালাত অধ্যায়।

"সালাতের সালাম শেষে"

রাসুল(সাঃ) সালাতের সালাম শেষে এই কালেমা পড়তেন এবং পড়তে বলেছেনঃ 'লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর'- (১ বার) অথবা আল্লাহু আকবার ৩৪ বার।

***মুসলিম: ১২৪০, মিশকাত: ৯৬৬-৬৭/২৩৮৭-৮৮; মুত্বাফাক আলাইহ।

সর্বপ্রথম প্রচলনঃ

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এইভাবে কালেমা বানিয়ে সর্বপ্রথম চালু করেছিলেন- আত্বা আল-খুরাশানী(রহঃ) এবং ইমাম যুহুরী(রহঃ) বলে জানা যায় [আল্লাহ আলেম]।

"আত্বা আল-খুরাশানী(রহঃ)" [হিজরীঃ ৫০-১৩৫ এবং ইংরেজীঃ ৬৭০-৭৫২]-একজন ইসলাম গবেষক, পারসীয়ান(ইরানী) ফকীহ এবং কুরআনের মুফাসসির ছিলেন। তিনি তাবেঈ' আল-তাবেঈন -এর অনুসারী ছিলেন। অনেকেই বলেছেন, তার পিতা 'বলখ' থেকে এসেছিলেন।আল্লাহ আলেম।

"তবে যদি কেউ গবেষনাগত ভুল করে তাহলে, সে একটি সওয়াব পাবে"। [আল্লাহ আলেম]

***বুখারী; কিতাবুল ইতিশাম অধ্যায়।

একটি হাদিসের আলোকে সাধারন যুক্তিঃ

উবায়দুল্লাহ ইবন মুসা(রাঃ)- ইবনে উমর(রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসুল(সাঃ) ইরশাদ করেনঃ ইসলামের ভিত্তি পাচটি। যথাঃ

১) আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই এবং মুহাম্মদ(সাঃ) আল্লাহর রাসুল এ কথার সাক্ষ্য দান।

২) সালাত কায়েম করা, ৩) যাকাত আদায় করা, ৪) হজ্ব পালন করা, ৫) রমজানের রোজা রাখা।

***বুখারী -৭।

উপরের হাদিসের ১নং শর্ত অনুসারে, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" এর অর্থ কি ১নং শর্তের অর্থের সাথে মিলবে? এই কালেমার সাথে কি কোন মিল আছে? কখনোই ১নং শর্তের অর্থের সাথে মিলবে না।অতএব, আমরা দলিল ছাড়া কেন কালেমা তাই্য়্যিবা হিসাবে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" পড়বো? দলিল অনুসারে আমরা এই কালেমা পড়বোঃ "লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ"।

রাসুল(সাঃ) বলেছেনঃ "যদি তোমার দ্বারা একজন ব্যক্তিকেও আল্লাহ হেদায়েত দান করেন তাহলে, সেটি তোমার জন্য একটি লাল উটের চাইতে উত্তম হবে"।

***বুখারীঃ ৪২১০।

"জান্নাতের চাবি"

"লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ" হল জান্নাতের চাবি। রাসূলুল্লাহ(সাঃ) বলেছেনঃ

"যার শেষ বাক্য হবে "লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ", সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।"

***আবু দাঊদঃ ৩১১৬; মিশকা্‌তঃ ১৬২১।

ওয়াহাব বিন মুনাববিহ(রহঃ)-কে বলা হল, "লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ" কি জান্নাতের চাবি নয়?

তিনি বললেন, অবশ্যই। তবে প্রত্যেক চাবিরই দাঁত থাকে। যদি তুমি দাঁতওয়ালা চাবি নিয়ে যাও, তবে তোমার জন্য জান্নাত খোলা হবে। অন্যথায় তা তোমার জন্য খোলা হবেনা"(কালেমার দাঁত হল নেক আমল)।

***বুখারী, মিশকাতঃ ৪৩; ‘ঈমান’ অধ্যায়।

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"

[সবচেয়ে ওজনে ভারী আমল]

আবু সাঈদ খুদরী(রাঃ)বর্ণিত: রাসূল(সাঃ) বলেছেনঃ মুসা(আঃ) আল্লাহকে বলেছিলেন,‘হে আমার রব! আমাকে এমন কিছু শিক্ষা দিন, যা দ্বারা আমি আপনাকে ডাকতে পারি এবং আপনার স্মরণ/যিকর করতে পারি। আল্লাহতা’য়ালা বললেন, “হে মুসা! বল, "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"।

মুসা(আঃ) বললেন, হে আমার রব! আপনার সমস্ত বান্দারা'তো ইহা বলে।

[আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যিনি সব জানেন আমরা কিছুই জানিনা]

আল্লাহ বললেনঃ “হে মুসা! আমি ছাড়া, সাত আকাশ এবং উহার মধ্যে যাহা কিছু আছে এবং সাত যমীন(এবং উহার মধ্যে যাহা কিছু আছে) যদি এক পাল্লায় স্থাপন করা হয় এবং অপর পাল্লায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-কে স্থাপন করা হয় তবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ"-এর পাল্লাটি বেশী ভারী হয়ে যাবে।’

***ইবনে হিব্বানঃ ২৩২৩, আল-হাকেমঃ ১/৫২৮।

Above Hadeeth in English:

‘La ilaha ill Allah’[Heavier than All Dhikr/Jikr]

Abu Sa`eed al-Khudri said, that the Messenger of Allah (peace be upon him) said:“Moses (Alayhi salam) said: O Lord! Teach me something that I can remember You with and I can supplicate You with. Allah said: “Say ‘La ilaha ill Allah’, O Musa.” He (Musa) said: All of your servants say this. He (Allah) said: “If the seven Heavens and those who dwell in them other than Me and the seven Earths are put into one pan (of the scale) and ‘La ilaha ill Allah’ is put into the other; ‘La ilaha ill Allah’ would be heavier.” [Ibn Hibbaan and Haakim]

"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"- এই কালেমার পক্ষে জাল হাদিসঃ

অনেকে নীচের হাদিসটাকে দলিল হিসাবে দাড় করায় যে, আদম(আঃ) তার গোনাহ মাফের জন্য যখন আল্লাহর দরবারে কাদছিলেন তখন আল্লাহর আরশের খুটির সাথে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" কালেমা দেখেছিলেন এবং এই কালেমা পড়ার পর আল্লাহ তাকে মাফ করে দিয়েছিলেন। তারা বলে, মুহাম্মাদ(সাঃ)-কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কিছুই সৃষ্টি করতেন না।

হাদিসটি এমনভাবে পাওয়া যায়ঃ

এই হাদিসটির ঘটনা হচ্ছে এই রকমঃ যখন আদম(আঃ) পাপ করলেন বা নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে অন্যায় করলেন, তখন তিনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলেন এই বলে যে, “হে প্রভু, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই, তোমার উপর মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর অধিকারের দোহাই দিয়ে।” তখন আল্লাহ নাকি বলেছিলেনঃ “হে আদম, তুমি মুহাম্মাদের র‍্যাপারে কিভাবে জানলে যাকে আমি এখনও সৃষ্টি করিনি?” আদম নাকি উত্তর দিয়েছিলেন, “হে প্রভু, তুমি যখন আমাকে তোমার নিজের হাতে বানিয়েছিলে এবং তোমার রুহকে আমার ভেতরে ফুঁ দিয়েছিলে, আমি তখন মাথা উচু করেছিলাম এবং দেখেছিলাম তোমার কুরসিতে লেখা – আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ তার রাসুল। সেখান থেকে আমি বুঝেছিলাম যে – তুমি তোমার পাশে কারও নাম ব্যবহার করবেনা, যদি না সে তোমার সবচেয়ে পছন্দের কেউ না হয়।” তখন নাকি আল্লাহ বলেছিলেন, “ও আদম, তুমি ঠিক কথা বলেছ। আমার সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে পছন্দ হল মুহাম্মাদ। আমার উপর তার অধিকারের দোহাই দিয়ে আমাকে ডাকো। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেব। আর যদি মুহাম্মাদকে না বানাতাম, তাহলে আমি তোমাকে বানাতাম না”।

["মুহাম্মাদ(সাঃ)-কে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ কোন কিছুই সৃষ্টি করতেন না" - "মুহাম্মাদ(সাঃ)-এর নূর থেকে সমস্ত সৃষ্টি জগত সৃষ্টি হয়েছে"---এটা মিথ্যা কথা।]

ইমাম আয-যাহাবী বলেনঃ এই হাদিসের বর্ণনাকারীদের মধ্যে আব্দুল্লাহ ইবন মুসলিম আল-ফিরি আছে, যে একজন কুখ্যাত মিথ্যাবাদী। ইবন হিব্বান বলেনঃ আব্দুল্লাহ ইবন মুসলিম অনেক হাদিস জাল করে প্রচার করে গেছে, যেগুলো সে দাবী করতো সে লাইস এবং মালিক-এর কাছ থেকে শুনেছে। শায়খ আলবানীও এই হাদিসটিকে জাল বলে প্রমাণ করেছেন। ইমাম আয-যাহাবী এবং ইবন তাইমিয়া(রঃ) একে বাতিল-মিথ্যা হাদিস বলেছেন।

এবার আসুন হাদিসটি পরীক্ষা করে দেখিঃ-

Falseness of the hadeeth about Adam praying by virtue of Muhammad (blessings and peace be upon them both)This Hadeeth is it saheeh or not?

Hadeeth:

“When Adam committed his sin, he said, ‘O Lord, I ask You by virtue of Muhammad to forgive me.’ Allaah said, ‘O Adam, how do you know of Muhammad when I have not yet created him?’ He said, ‘O Lord, when You created me with Your own hand, and breathed into me the soul that You created, I raised my head and saw written on the pillars of the Throne, Laa ilaaha ill-Allaah Muhammad Rasool Allaah [There is no god but Allaah, Muhammad is the messenger of Allaah]. Then I knew that You would not mention in conjunction with Your name any but the most beloved of Your creation to You.’ Allaah said, ‘You have spoken the truth, O Adam. He is indeed the most beloved of My creation to Me. Pray to me by virtue of Him, for I have forgiven you. Were it not for Muhammad, I would not have created you.’”.

Answer: Praise be to Allaah.

This hadeeth is mawdoo’ (fabricated). It was narrated by al-Haakim via ‘Abd-Allaah ibn Muslim al-Fahri (who said), Ismaa’eel ibn Muslimah narrated to us, ‘Abd al-Rahmaan ibn Zayd ibn Aslam told us, from his father, from his grandfather, from ‘Umar ibn al-Khattaab (may Allaah be pleased with him), that he said: The Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said, “When Adam committed his sin…” Then he quoted the hadeeth as the questioner quoted it. Al-Haakim said: The isnaad of this hadeeth is saheeh. This is what al-Haakim said! But a number of scholars rebuked him and denounced him for classing this hadeeth as saheeh. They ruled that this hadeeth is false and fabricated, and they pointed out that al-Haakim contradicted himself when commenting on this hadeeth. There follow some of their comments: Al-Dhahabi said, criticizing the words of al-Haakim quoted above: Rather it is mawdoo’ (fabricated), and ‘Abd al-Rahmaan is not reliable, and I do not know who ‘Abd-Allaah ibn Muslim al-Fahri is. Al-Dhahabi also said in Meezaan al-I’tidaal: It is a false report. Al-Haafiz Ibn Hajar agreed with him in Lisaan al-Meezaan. Al-Bayhaqi said: ‘Abd al-Rahmaan ibn Zayd ibn Aslam is the only one who narrated it with this isnaad, and he is da’eef (weak). Ibn Katheer agreed with him in al-Bidaayah wa’l-Nihayyah, 2/323. Al-Albaani said in al-Silsilah al-Da’eefah, 25: (it is) mawdoo’. Al-Haakim himself (may Allaah forgive him) accused ‘Abd al-Rahmaan ibn Zayd of being a fabricator of hadeeth, so how could his hadeeth be saheeh? Shaykh al-Islam Ibn Taymiyah said in al-Qaa’idah al-Jaleelah fi’l-Tawassul wa’l-Waseelah (p. 69): Al-Haakim’s narration of this hadeeth is something for which he was denounced, and he himself said in his book al-Madkhil ila Ma’rifat al-Saheeh ‘an al-Saqeem: ‘Abd al-Rahmaan ibn Zayd ibn Aslam narrated fabricated ahaadeeth from his father, and it is obvious to any competent hadeeth scholar that he is the one to blame for fabricating ahaadeeth. I say: ‘Abd al-Rahmaan ibn Zayd ibn Aslam is da’eef (weak) because he made a lot of mistakes. See Silsilat al-Ahaadeeth al-Da’eefah by al-Albaani, 1/38-47.

একটি বহুল প্রচলিত জাল হাদীসঃ

"আদম(আঃ) যখন গুনাহ করে ফেললেন, তিনি বললেনঃ হে আমার প্রভু! তোমার নিকট মুহাম্মাদকে সত্য জেনে প্রার্থনা করছি। আমাকে ক্ষমা করে দাও। আল্লাহ্‌ বললেনঃ হে আদম! তুমি কিভাবে মুহাম্মাদকে চিনলে, অথচ আমি তাঁকে সৃষ্টি করিনি? আদম বললেনঃ হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে যখন আপনার হাত দ্বারা সৃষ্টি করেছিলেন এবং আমার মধ্যে আপনার আত্মা থেকে আত্মার প্রবেশ ঘটান, তখন আমি আমার মাথা উচু করেছিলাম। অতঃপর আমি আরশের স্তম্ভগুলোতে লেখা দেখেছিলাম "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ"। আমি জেনেছি যে, আপনার কাছে সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি ব্যতিত অন্য কাউকে আপনি আপনার নামের সাথে সম্পৃক্ত করবেন না। সত্যই বলেছ হে আদম! নিশ্চয়ই তিনি আমার নিকট সর্বাপেক্ষা ভালবাসার সৃষ্টি। তুমি তাঁকে হক জানার দ্বারা আমাকে ডাক। আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো। মুহাম্মাদ যদি না হত আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না।"

এটি লোকমুখে হাদীসে কুদসি হিসাবে যথেষ্ট প্রসিদ্ধ। অথচ হাদীস বিশেষজ্ঞরা এ ব্যপারে একমত যে, এটি ভিত্তিহিন রেওয়ায়েত, মিথ্যুকদের বানানো কথা। রাসুল(সাঃ) এর হাদীসের সাথে এর সামান্যতম সম্পর্কও নেই।

ইমাম সাগানী, আল্লামা পাটনী, মোল্লা আলী কারী, শাইখ আজলুনী, আল্লামা কাওকাজী, ইমাম শাওকানী, মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ ইবন সিদ্দিক আল-গুমারী এবং শাহ আবদুল আযীয মুহাদ্দিস দেহলভী(রাহিঃ) প্রমুখ মুহাদ্দিসীনে কেরাম হাদীসটিকে জাল বলেছেন।

***রিসালাতুল মাওযুআতঃ ৯, তাযকিরাতুল মাওযুআতঃ ৮৬, আল-মাসনুঃ ১৫০, কাশফুল খাফাঃ ২/১৬৪, আল-লু’লু’উল মারসুঃ ৬৬, আল-ফাওয়ায়েদুল মাজমুআঃ ২/৪১০, আল-বুসীরী মাদেহুর রাসুলিল আযম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামঃ ৭৫, ফাতাওয়া আযীযিয়াঃ ২/১২৯, ফাতাওয়া মাহমুদিয়াঃ ১/৭৭ [প্রচলিত জাল হাদীস- আবদুল মালেক পৃষ্ঠা নং ১৮৬-১৮৭]

হাদিসটি সম্পর্কে শেইখ আলবানী রাহিমাহুল্লাহর তাহকীকঃ ইমাম হাকিম ‘’আল-মুসতাদরাক’’ গ্রন্থে (২/৬১০) এবং তার সুত্রে ইবন আসাকির (২/৩২৩/২) ও বাইহাকী ‘’দালায়েলুন নবুওয়াহ’’ গ্রন্থে (৫/৪৮৮) মারফু হিসাবে আবুল হারিস আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম আল-ফিহরী সুত্রে আব্দুর রাহমান ইবন যায়েদ ইবন আসলাম হতে... বর্ণনা করেছেন।

হাকিম বলেনঃ হাদিসটির সনদ সহীহ।

যাহাবী তার বিরোধিতা করে বলেছেনঃ হাদিসটি বানোয়াট। আব্দুর রাহমান দুর্বল আর আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম আল-ফিহরী কে তা জানি না।আমি (আলবানী) বলছিঃ এ ফিহরীকে ‘’মীযানুল ই’তিদাল’’ গ্রন্থে এ হাদিসটির কারনে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি (যাহাবী) বলেছেনঃ হাদিসটি বাতিল।

বাইহাকী বলেনঃ হাদিসটি আব্দুর রাহমান ইবন যায়েদ একক ভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি দুর্বল।

ইবনু কাসীর তাঁর ‘’আত-তারীখ’’ গ্রন্থে (২/৩২৩) তা সমর্থন করেছেন। আর হাফিয ইবন হাজার ‘’আল-লিসান’’ গ্রন্থে যাহাবীর সাথে ঐক্যমত্য পোষণ করে বলেছেনঃ হাদিসটি বাতিল।

আমি (আলবানী) বলছিঃ ইবন হিব্বান বর্ণনাকারী আবদুল্লাহ ইবন মুসলিম ইবন রাশীদ সম্পর্কে বলেনঃ তিনি হাদীস জাল করার দোষে দোষী। তিনি লাইস, মালিক এবং ইবন লাহি’য়ার উপর হাদীস জাল করতেন। তার হাদীস লেখা হালাল নয়। হাকিম কর্তৃক এ হাদীস বর্ণনা তাঁর বিপক্ষেই গেছে। কারন হাকিম সহীহ বললেও তিনি ‘’আল-মাদখাল ইলা মা’রিফাতিস সহীহে মিনাস সাকিম’’ গ্রন্থে বলেছেনঃ আব্দুর রাহমান ইবন যায়েদ ইবন আসলাম তার পিতা হতে কতিপয় জাল হাদীস বর্ণনা করেছেন। একই কথা আবু নু’য়াইমও বলেছেন।

ইবন তাইমিয়া বলেছেনঃ এই আব্দুর রাহমান ইবন আসলাম দুর্বল হওয়ার ব্যপারে সকল মুহাদ্দিসগন একমত।

ইবনুল জাওযী বলেনঃ আপনি যদি হাদীস শাস্ত্রের পণ্ডিতদের কিতাবগুলো খুঁজেন, তাহলে তাকে কেউ দুর্বল বলেননি এরুপ পাবেন না। বরং তাকে আলী ইবন মাদানী এবং ইবন সা’দ অত্যন্ত দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

ইমাম যাহাবী বলেনঃ তার হাদীস বিদ্বানদের নিকট চরম পর্যায়ের দুর্বল।

ইবন হিব্বান বলেনঃ তিনি না জেনে হাদিসকে উলট-পালট করে ফেলতেন। তিনি বহু মুরসাল বর্ণনা ও মাওকুফ সনদকে মারফু করে ফেলেছেন। এ জন্য তাকে পরিত্যাগ করাই হচ্ছে তার প্রাপ্য।

আমি(আলবানী) বলছিঃ সম্ভবত হাদিসটি ইসরাইলী বর্ণনা থেকে এসেছে। ভুল করে আব্দুর রাহমান ইবন যায়েদ মারফু করে ফেলেছেন। কারন আলোচিত ফিহরী সুত্রেই হাদিসটি মাওকুফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে।

আবু বাকর আজুরী "আশ- শারী’য়াহ" (পৃষ্ঠা ৪২৭) গ্রন্থে তা উল্লেখ করেছেন।

এছাড়া আবু মারওয়ান উসমানী সুত্রে উসমান ইবন খালিদ হতে মাওকুফ হিসাবে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু তারা দুজনেই দুর্বল।

ইবন আসাকিরও অনুরুপ ভাবে (২/৩১০/২) মদিনাবাসী এক শাইখ হতে ইবন মাসউদ(রাঃ)-এর সাথীদের থেকে বর্ণনা করেছেন। এটির সনদে একাধিক মাজহুল বর্ণনাকারী রয়েছেন।

মোটকথা নাবী(সাঃ) হতে হাদিসটির কোন ভিত্তি নেই। হাদিসটিকে হাফিয যাহাবী ও হাফিয আসকালানী বাতিল বলে হুকুম লাগিয়েছেন।

[যইফ ও জাল হাদীস- আলবানী; ১ম খণ্ড; হাদীস নঃ ২৫]।

উপরের এই জাল হাদিসের আলোকেই শয়তানের দোসর বিদআতিরা এই "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ" বাক্যটি বানিয়েছে।

আল্লাহ্ তা’আলা মজবুত বাক্য দ্বারা মুমিনদেরকে ইহ ও পরকালে সুদৃঢ় রাখেন:

أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللّهُ مَثَلاً كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاء "তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ তা’আলা কেমন উপমা বর্ণনা করেছেনঃ পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উত্থিত"।

***সূরা ইবরাহীমঃ আয়াত-২৪।

বারা'আ ইবনে আযেব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “মুসলমানকে যখন কবরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তখন সে সাক্ষ্য দিবেঃ ‘আল্লাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ্ নেই এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এভাবে সাক্ষ্য দেয়াটাই মহান আল্লাহর এ বাণী প্রমাণ করেঃ “আল্লাহ্ ঈমানদার লোকদের সেই অটল বাক্যের (কালেমা তাইয়্যেবার) দরুন ইহকালীন জীবনে ও পরকালে সুদৃঢ় রাখেন।”

***সূরা ইবরাহীমঃ ২৭; বুখারী: ৬/১০০ (৪৬৯৯) ও মুসলিম: ৮/১৬২ (২৮৭১) (৭৩)।

يُثَبِّتُ اللّهُ الَّذِينَ آمَنُواْ بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الآخِرَةِ وَيُضِلُّ اللّهُ الظَّالِمِينَ وَيَفْعَلُ اللّهُ مَا يَشَاء

"আল্লাহ তা’আলা মুমিনদেরকে মজবুত বাক্য দ্বারা মজবুত করেন। পার্থিব জীবনে এবং পরকালে। এবং আল্লাহ জালেমদেরকে পথভ্রষ্ট করেন। আল্লাহ যা ইচ্ছা, তা করেন।"

***সূরা ইবরাহীমঃ আয়াত-২৭।

এক সাথে কোথায়ও নাইঃ

لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ একসাথে কুরআন কিংবা হাদিসে কোথায়ও নাই।

মহান আল্লাহ বলেছেনঃ مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ

অর্থঃ মুহাম্মাদ আল্লাহর রসূল।

***সূরা ফাতহঃ আয়াত-২৯।

لَا إِلٰهَ إِلَّا الله

অর্থঃ নাই কোন ইলাহ বা উপাস্য আল্লাহ ছাড়া।

কুরআনুল কারীমে ১৭ বার لَا إِلٰهَ إِلَّا الله বলা হয়েছে।

لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ একসাথে কুরআন কিংবা হাদিসে কোথায়ও নাই।



বিষয়: বিবিধ

৪৮৫৪ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

166751
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৫৯
শিশির ভেজা ভোর লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক। জানতে পারলাম অনেক কিছু
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৮
121190
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
124594
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশেষ ঘোষণ মানব ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা বিশ্বের তিনটি অভিশপ্ত জাতি (১) ইয়াহুদী মুসলমান (২) খৃষ্টান মুসলমান (৩) মোহামেডান মুসলমান । ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে ওযাইর আল্লাহর ছেলে। খৃষ্টানরা বলে, আল্লাহ আছেন তবে ঈসা আল্লাহর ছেলে। মোহামেডানরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে “আহাদ” আর “আহমাদ” এর মধ্যে মাত্র একটি “মিম” অক্ষরের তফাত। মিম মুছে ফেললেই “আহ্মাদ” আহাদ” অর্থাৎ আল্লাহ হয়ে যায়। আল্লাহর নূরে মুহাম্মাদ তৈরী, আর নূরে মুহাম্মাদী দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি। মুহাম্মাদ না হলে বিশ্বে সৃষ্টি হতো না। এদের কলেমা, কালেমা তাওহীদের সাথে মুহাম্মাদ সঃ কে একাকার করে বলা, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।” আরবী ব্যাকরণ মতে যার অর্থ দাঁড়ায় : “নাই কোনো উপাস্য আল্লাহ ব্যতিত, তিনিই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। অতএব, দেখা যায় যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা অর্ধেক মুশ্রিক, আর মোহামেডানরা ষোলো আনা মুশ্রিক। তাই বিশ্বময় আল্লাহ মোহামেডান মুসলমানদের ইয়াহুদী খৃষ্টানদের গোলাম দশায় অভিশপ্ত করে রেখেছেন। তাহলে বাঁচার উপায় কি? উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর আখেরী নবী সঃ যেভাবে কলেমা পড়তে ও বলতে বলেছেন। তা'হলো, আমরা যেভাবে আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে (আত্তাহিয়্যাতে) কলেমা উচ্চারণ করি : أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد الرسول الله আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ আশ্হাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد عبده و رسوله এসো হে আদম সন্তান মানব জাতি, আমরা সঠিকভাবে কলেমা পড়ে মুস্লিম ও মু’মিন হই। فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ আল্লাহ বলেছেন, জেনে নাও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (সূরা মুহাম্মাদ-১৯)
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন : قولوا لا إله إلا الله تفلحواو من قال لا إله إلا الله دخل الجنة যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে। শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি। যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে। (তওবা-৩০) وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ (তাওবা-৩০) এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে, তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে। ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে। যেমন সালাতের আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে আছে। তবেই তাওহীদ ভিত্তিক মুস্লিম উম্মাহ সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অচল অবস্থা দূর হয়ে বিশ্বে আল্লাহ, রাসূল ও আল্ র্কোআন ভিত্তিক উম্মার জয় হবে। রহমতের বিশ্বায়ন হবে মানব জাতি এক জাতি হবে। তাওহীদ ও কলেমা তাওহীদের উত্থানই ইমাম মাহ্দী ও হযরত ঈসা আঃদের বিপ্লবের সূচনা করবে। বর্তমান প্রচলিত শির্কী কলেমা সে উত্থানের পথে বাধা। আজ থেকে সবাই তাওহীদের পতাকা ধারণ করো ও বলো: لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আযান ও এক্বামতের শেষে তাই আছে। আল ক্বোরআনে আল্লাহ তাই বলতে নির্দেশ করেছেন।
166797
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৬:৪২
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : আল্লাহ জানেন,তবে মনে প্রশ্ন জাগলো।
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৩
121186
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : কি প্রশ্ন??
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ বিকাল ০৪:৪৬
121286
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : যে বিষয়গুলো আপনি তুলে ধরলেন।
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
124593
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশেষ ঘোষণ মানব ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা বিশ্বের তিনটি অভিশপ্ত জাতি (১) ইয়াহুদী মুসলমান (২) খৃষ্টান মুসলমান (৩) মোহামেডান মুসলমান । ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে ওযাইর আল্লাহর ছেলে। খৃষ্টানরা বলে, আল্লাহ আছেন তবে ঈসা আল্লাহর ছেলে। মোহামেডানরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে “আহাদ” আর “আহমাদ” এর মধ্যে মাত্র একটি “মিম” অক্ষরের তফাত। মিম মুছে ফেললেই “আহ্মাদ” আহাদ” অর্থাৎ আল্লাহ হয়ে যায়। আল্লাহর নূরে মুহাম্মাদ তৈরী, আর নূরে মুহাম্মাদী দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি। মুহাম্মাদ না হলে বিশ্বে সৃষ্টি হতো না। এদের কলেমা, কালেমা তাওহীদের সাথে মুহাম্মাদ সঃ কে একাকার করে বলা, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।” আরবী ব্যাকরণ মতে যার অর্থ দাঁড়ায় : “নাই কোনো উপাস্য আল্লাহ ব্যতিত, তিনিই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। অতএব, দেখা যায় যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা অর্ধেক মুশ্রিক, আর মোহামেডানরা ষোলো আনা মুশ্রিক। তাই বিশ্বময় আল্লাহ মোহামেডান মুসলমানদের ইয়াহুদী খৃষ্টানদের গোলাম দশায় অভিশপ্ত করে রেখেছেন। তাহলে বাঁচার উপায় কি? উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর আখেরী নবী সঃ যেভাবে কলেমা পড়তে ও বলতে বলেছেন। তা'হলো, আমরা যেভাবে আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে (আত্তাহিয়্যাতে) কলেমা উচ্চারণ করি : أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد الرسول الله আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ আশ্হাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد عبده و رسوله এসো হে আদম সন্তান মানব জাতি, আমরা সঠিকভাবে কলেমা পড়ে মুস্লিম ও মু’মিন হই। فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ আল্লাহ বলেছেন, জেনে নাও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (সূরা মুহাম্মাদ-১৯)
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন : قولوا لا إله إلا الله تفلحواو من قال لا إله إلا الله دخل الجنة যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে। শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি। যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে। (তওবা-৩০) وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ (তাওবা-৩০) এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে, তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে। ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে। যেমন সালাতের আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে আছে। তবেই তাওহীদ ভিত্তিক মুস্লিম উম্মাহ সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অচল অবস্থা দূর হয়ে বিশ্বে আল্লাহ, রাসূল ও আল্ র্কোআন ভিত্তিক উম্মার জয় হবে। রহমতের বিশ্বায়ন হবে মানব জাতি এক জাতি হবে। তাওহীদ ও কলেমা তাওহীদের উত্থানই ইমাম মাহ্দী ও হযরত ঈসা আঃদের বিপ্লবের সূচনা করবে। বর্তমান প্রচলিত শির্কী কলেমা সে উত্থানের পথে বাধা। আজ থেকে সবাই তাওহীদের পতাকা ধারণ করো ও বলো: لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আযান ও এক্বামতের শেষে তাই আছে। আল ক্বোরআনে আল্লাহ তাই বলতে নির্দেশ করেছেন।
166813
২৪ জানুয়ারি ২০১৪ সন্ধ্যা ০৭:৩১
মনসুর লিখেছেন : মহান আল্লাহ আমাদর সবাইকে হেদায়েত দিয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক কামিয়াবী দান করুন, আমীন।
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
121189
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : আমিন।
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩২
124592
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশেষ ঘোষণ মানব ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা বিশ্বের তিনটি অভিশপ্ত জাতি (১) ইয়াহুদী মুসলমান (২) খৃষ্টান মুসলমান (৩) মোহামেডান মুসলমান । ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে ওযাইর আল্লাহর ছেলে। খৃষ্টানরা বলে, আল্লাহ আছেন তবে ঈসা আল্লাহর ছেলে। মোহামেডানরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে “আহাদ” আর “আহমাদ” এর মধ্যে মাত্র একটি “মিম” অক্ষরের তফাত। মিম মুছে ফেললেই “আহ্মাদ” আহাদ” অর্থাৎ আল্লাহ হয়ে যায়। আল্লাহর নূরে মুহাম্মাদ তৈরী, আর নূরে মুহাম্মাদী দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি। মুহাম্মাদ না হলে বিশ্বে সৃষ্টি হতো না। এদের কলেমা, কালেমা তাওহীদের সাথে মুহাম্মাদ সঃ কে একাকার করে বলা, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।” আরবী ব্যাকরণ মতে যার অর্থ দাঁড়ায় : “নাই কোনো উপাস্য আল্লাহ ব্যতিত, তিনিই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। অতএব, দেখা যায় যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা অর্ধেক মুশ্রিক, আর মোহামেডানরা ষোলো আনা মুশ্রিক। তাই বিশ্বময় আল্লাহ মোহামেডান মুসলমানদের ইয়াহুদী খৃষ্টানদের গোলাম দশায় অভিশপ্ত করে রেখেছেন। তাহলে বাঁচার উপায় কি? উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর আখেরী নবী সঃ যেভাবে কলেমা পড়তে ও বলতে বলেছেন। তা'হলো, আমরা যেভাবে আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে (আত্তাহিয়্যাতে) কলেমা উচ্চারণ করি : أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد الرسول الله আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ আশ্হাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد عبده و رسوله এসো হে আদম সন্তান মানব জাতি, আমরা সঠিকভাবে কলেমা পড়ে মুস্লিম ও মু’মিন হই। فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ আল্লাহ বলেছেন, জেনে নাও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (সূরা মুহাম্মাদ-১৯)
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন : قولوا لا إله إلا الله تفلحواو من قال لا إله إلا الله دخل الجنة যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে। শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি। যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে। (তওবা-৩০) وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ (তাওবা-৩০) এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে, তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে। ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে। যেমন সালাতের আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে আছে। তবেই তাওহীদ ভিত্তিক মুস্লিম উম্মাহ সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অচল অবস্থা দূর হয়ে বিশ্বে আল্লাহ, রাসূল ও আল্ র্কোআন ভিত্তিক উম্মার জয় হবে। রহমতের বিশ্বায়ন হবে মানব জাতি এক জাতি হবে। তাওহীদ ও কলেমা তাওহীদের উত্থানই ইমাম মাহ্দী ও হযরত ঈসা আঃদের বিপ্লবের সূচনা করবে। বর্তমান প্রচলিত শির্কী কলেমা সে উত্থানের পথে বাধা। আজ থেকে সবাই তাওহীদের পতাকা ধারণ করো ও বলো: لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আযান ও এক্বামতের শেষে তাই আছে। আল ক্বোরআনে আল্লাহ তাই বলতে নির্দেশ করেছেন।
167236
২৫ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:০৭
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : যারা আরবী ব্যাকরন যানেন তাদের জন্য বলছি; لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ এই বাক্যটি কখনও তারকিব করা যায়না। তারকিব বা বাক্য বিশ্লেষন করতে গেলে মাঝখানে ওয়া আন্না বসাতে হয়। তো আমরা বলতে পারি... লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।
168807
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১০:৩৮
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : ৥প্যারিস থেকে আমি : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ। এটাই সঠিক।
168821
২৮ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ১১:২৭
ইমরান ভাই লিখেছেন : সত্যি অনেক কিছু জানলা। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
"আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আন্না মুহাম্মাদান রাসূলুল্লাহ"
৩১ জানুয়ারি ২০১৪ সকাল ০৯:৩১
124591
মুহাম্মদ_২ লিখেছেন : বিশেষ ঘোষণা
মানব ঐক্যের পথে প্রধান বাঁধা বিশ্বের তিনটি অভিশপ্ত জাতি (১) ইয়াহুদী মুসলমান (২) খৃষ্টান মুসলমান (৩) মোহামেডান মুসলমান ইয়াহুদীরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে ওযাইর আল্লাহর ছেলে। খৃষ্টানরা বলে, আল্লাহ আছেন তবে ঈসা আল্লাহর ছেলে। মোহামেডানরা বলে, আল্লাহ আছেন, তবে “আহাদ” আর “আহমাদ” এর মধ্যে মাত্র একটি “মিম” অক্ষরের তফাত। মিম মুছে ফেললেই “আহ্মাদ” আহাদ” অর্থাৎ আল্লাহ হয়ে যায়। আল্লাহর নূরে মুহাম্মাদ তৈরী, আর নূরে মুহাম্মাদী দিয়ে বিশ্ব সৃষ্টি। মুহাম্মাদ না হলে বিশ্বে সৃষ্টি হতো না। এদের কলেমা, কালেমা তাওহীদের সাথে মুহাম্মাদ সঃ কে একাকার করে বলা, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ্।” আরবী ব্যাকরণ মতে যার অর্থ দাঁড়ায় : “নাই কোনো উপাস্য আল্লাহ ব্যতিত, তিনিই মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ”। অতএব, দেখা যায় যে ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা অর্ধেক মুশ্রিক, আর মোহামেডানরা ষোলো আনা মুশ্রিক। তাই বিশ্বময় আল্লাহ মোহামেডান মুসলমানদের ইয়াহুদী খৃষ্টানদের গোলাম দশায় অভিশপ্ত করে রেখেছেন। তাহলে বাঁচার উপায় কি? উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর আখেরী নবী সঃ যেভাবে কলেমা পড়তে ও বলতে বলেছেন। তা'হলো, আমরা যেভাবে আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে (আত্তাহিয়্যাতে) কলেমা উচ্চারণ করি : أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد الرسول الله আশ্হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ আশ্হাদু আল্ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান্ আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু। أشهد أن لا إله إلا الله أشهد أن محمد عبده و رسوله এসো হে আদম সন্তান মানব জাতি, আমরা সঠিকভাবে কলেমা পড়ে মুস্লিম ও মু’মিন হই। فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ আল্লাহ বলেছেন, জেনে নাও “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” (সূরা মুহাম্মাদ-১৯)
শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন : قولوا لا إله إلا الله تفلحواو من قال لا إله إلا الله دخل الجنة যে-ই বলবে, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্” জান্নাতে যাবে। শেষ নবী সঃ কোথাও, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেন নি। যে কেউ জেনে তা বলবে, ইয়াহুদী ও খৃষ্টানদের ন্যায় ওযাইর ও ঈসা আঃ কে আল্লাহর শরীক বানানোর পাপে মুশ্রিক ও কাফের হয়ে যাবে। (তওবা-৩০) وَقَالَتِ الْيَهُودُ عُزَيْرٌ ابْنُ اللَّهِ وَقَالَتِ النَّصَارَى الْمَسِيحُ ابْنُ اللَّهِ ۖ ذَٰلِكَ قَوْلُهُم بِأَفْوَاهِهِمْ ۖ يُضَاهِئُونَ قَوْلَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِن قَبْلُ ۚ قَاتَلَهُمُ اللَّهُ ۚ أَنَّىٰ يُؤْفَكُونَ (তাওবা-৩০) এতো দিন যারা না জেনে ভুলে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে বলেছে ও লিখেছে, তারা তওবা করে এখন থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কালেমা তাইয়েবা ও তাওহীদ পড়ে ঈমান নবায়ন করবে। ঘরে, মসজিদে, অফিসে, স্থাপনায় ও যেখানে যেখানে “লা ইল্লাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” একত্রে লেখা আছে, তা মুছে ও সরিয়ে ফেলবে। এখন থেকে পৃথক পৃথক কলেমা তাইয়েবা ও কালেমা রিসালাত পড়বে, লিখবে ও শিখাবে। যেমন সালাতের আযান, ইক্বামত ও তাশাহ্হুদে আছে। তবেই তাওহীদ ভিত্তিক মুস্লিম উম্মাহ সৃষ্টি হয়ে বর্তমান অচল অবস্থা দূর হয়ে বিশ্বে আল্লাহ, রাসূল ও আল্ র্কোআন ভিত্তিক উম্মার জয় হবে। রহমতের বিশ্বায়ন হবে মানব জাতি এক জাতি হবে। তাওহীদ ও কলেমা তাওহীদের উত্থানই ইমাম মাহ্দী ও হযরত ঈসা আঃদের বিপ্লবের সূচনা করবে। বর্তমান প্রচলিত শির্কী কলেমা সে উত্থানের পথে বাধা। আজ থেকে সবাই তাওহীদের পতাকা ধারণ করো ও বলো: لا إله إلا الله লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আযান ও এক্বামতের শেষে তাই আছে। আল ক্বোরআনে আল্লাহ তাই বলতে নির্দেশ করেছেন।
172322
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ দুপুর ১২:১৯
মারুফ_রুসাফি লিখেছেন : ধন্যবাদ মুহাম্মদ_২ ভাই। প্রিয়তে রাখলাম।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File