বাসা ভাড়া
লিখেছেন লিখেছেন মারুফ_রুসাফি ১৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৩২:৩৬ রাত
বাসা ভাড়া দেওয়া হারাম হওয়া সম্পর্কিত আলোচনা:
১) মানব জাতির জন্য নির্মিত প্রথম ঘর হল কাবা ঘর, সেটাই আমাদের জন্য আদর্শ । সেই ঘর ভাড়া দেওয়া যায় না । إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِّلْعَالَمِينَ আলে ইমরান-৯৬
২) সুরা আল হাজ্ব এর ২৫ নম্বর আয়াত إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا وَيَصُدُّونَ عَن سَبِيلِ اللَّهِ وَالْمَسْجِدِ الْحَرَامِ الَّذِي جَعَلْنَاهُ لِلنَّاسِ سَوَاءً الْعَاكِفُ فِيهِ وَالْبَادِ ۚ وَمَن يُرِدْ فِيهِ بِإِلْحَادٍ بِظُلْمٍ نُّذِقْهُ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ মক্কায় স্থানীয় ও বহিরাগত সবার জন্য সমান অধিকার । তাহলে ভাড়া দেওয়া যাবেনা ।
৩) যে মক্কার ভাড়া খায় সে দোজখের আগুন খায় (হাদীস)। মক্কা মুসলমানদের মডেল টাউন । তার আলোকে সব শহর নির্মিত হবে ।
৪) বাড়ি বা বাসা ৩ ভাগে বিভক্ত; বাসের জন্য, মেহমানদারীর জন্য ও ইবাদতের জন্য । ভাড়া দেওয়ার জন্য নয় ।
৫) কোন নবী রাসুল ভাড়া খাননি ।
৬) হিজরতের পর মদিনায় যাওয়ার পর আনসাররা মুহাজিরদেরকে বাসা ভাড়া দেননি বরং নিজের ভাইয়ের মত ভাগ করে দিয়েছেন ।
৭) মুসা আ: কে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন তাঁর বাড়িকে কেবলা বানানোর জন্য । বাড়ি কেবলা হলে ভাড়া দেওয়া যাবেনা । وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ وَأَخِيهِ أَن تَبَوَّآ لِقَوْمِكُمَا بِمِصْرَ بُيُوتًا وَاجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ قِبْلَةً وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ ইউনুস-৮৭
৮) إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ إِخْوَةٌ মুমিনগণ পরস্পর ভাই ভাই (হুজরাত ১০)। ভাই ভাইয়ের কাছে বাসা ভাড়া খেতে পারেনা । কারণ বাপের জমিতে সবার সমান অধিকার । তদ্রুপ আল্লাহর জমিনে তাঁর প্রতিনিধিদের সবার সমান অধিকার । এরুপ আমরা জানি হযরত উমর এর উক্তি ”জমি প্রথমত আল্লাহর তারপর যে চাষ করবে তার ” কোন ভাড়া দেওয়া চলবে না ।
৯) মানুষ বাড়ির প্রকৃত মালিক নয়, সামান্য সময়ের জন্য ভোগকারী وَلِلَّهِ مِيرَاثُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ আসমান,জমিন সব কিছুর মালিকানা আল্লাহর ।
১০) মুসলিমদের নিয়ম হলো Host and guest অর্থাৎ মেহমান ও মেজবান, Landlord ও Tenant অর্থাৎ বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া নয়।
১১) যখনই মুসলিমরা Host and guest অর্থাৎ মেহমান ও মেজবান প্রথা বাদ দেয় তখনই Hotel ব্যবস্থা হয়, Hotel হলে তারপর Brothel হয় এভাবে পতিতালয় হয় ।
১২) হাছান রাজার গান "পরের জায়গা পরের জমি,ঘর বানিয়ে আমি রই, আমি সেই ঘরের মালিক নই।” তাও ভাড়া খাই !
১৩) নবী (সা বলেছেন,كن في الدنيا كانك غريب او عابر سبيل তুমি দুনিয়াতে এমনভাবে অবস্থান করবে যেন তুমি পথ অতিক্রমকারী অথবা অপরিচিত ব্যক্তি । তাহলে এত বড় বাসা বানানোর অবকাশ কোথায় ?
১৪) কারও অতিরিক্ত বাসা-বাড়ি থাকলে সেটা বিক্রি বা দান করে দেওয়া যেতে পারে । আলাহ আমাদের সবাইকে বোঝার তাওফিক দান করুন । আমিন ।
বিষয়: বিবিধ
১১১৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন