আল মাহমুদ-এর কবিতা
লিখেছেন লিখেছেন বিল্লাহ মাসুম ২৪ জুন, ২০১৪, ০৮:১২:২৬ রাত
মাঝে মাঝে হৃদয় যুদ্ধের জন্য হাহাকার করে ওঠে
মনে হয় রক্তই সমাধান, বারুদই অন্তিম তৃপ্তি;
আমি তখন স্বপ্নের ভেতর জেহাদ, জেহাদ বলে জেগে উঠি।
জেগেই দেখি কৈশোর আমাকে ঘিরে ধরেছে।
যেন বালিশে মাথা রাখতে চায় না এ বালক,
যেন ফুৎকারে উড়িয়ে দেবে মশারি,
মাতৃস্তনের পাশে দু'চোখ কচলে উঠে দাঁড়াবে এখুনি;
বাইরে তার ঘোড়া অস্থির, বাতাসে কেশর কাঁপছে।
আর সময়ের গতির ওপর লাফিয়ে উঠেছে সে।
না, এখনও সে শিশু। মা তাকে ছেলে ভোলানো ছড়া শোনায়।
বলে, বালিশে মাথা রাখো তো বেটা। শোনো
বখতিয়ারের ঘোড়া আসছে।
আসছে আমাদের সতেরো সোয়ারি
হাতে নাংগা তলোয়ার।
মায়ের ছড়াগানে কৌতূহলী কানপাতে বালিশে
নিজের দিলের শব্দ বালিশের সিনার ভিতর।
সে ভাবে সে শুনতে পাচ্ছে ঘোড়দৌড়। বলে, কে মা বখতিয়ার?
আমি বখতিয়ারের ঘোড়া দেখবো।
মা পাখা ঘোরাতে ঘোরাতে হাসেন,
আল্লার সেপাই তিনি, দুঃখীদের রাজা।
যেখানে আজান দিতে ভয় পান মোমেনেরা,
আর মানুষ করে মানুষের পূজা,
সেখানেই আসেন তিনি। খিলজীদের শাদা ঘোড়ার সোয়ারি।
দ্যাখো দ্যাখো জালিম পালায় খিড়কি দিয়ে
দ্যাখো, দ্যাখো।
মায়ের কেচ্ছায় ঘুমিয়ে পড়ে বালক
তুলোর ভেতর অশ্বখুরের শব্দে স্বপ্ন তার
নিশেন ওড়ায়।
কোথায় সে বালক?
আজ আবার হৃদয়ে কেবল যুদ্ধের দামামা
মনে হয় রক্তেই ফয়সালা।
বারুদই বিচারক। আর
স্বপ্নের ভেতর জেহাদ জেহাদ বলে জেগে ওঠা,
বখতিয়ারের ঘোড়া
বিষয়: সাহিত্য
১৪৮৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কমিউনিস্ট আন্দোলনের সৃষ্ট কবি আল মাহমুদকে নিয়ে আজ আমরা অনেক গর্ব করি। যে সব লিখার কারণে কবি আল মাহমুদ আজ সর্বজন বিদিত, জামাতের কোন রোকন, সদস্য সে সব কবিতা লিখলে কবেইনা দল থেকে বহিস্কৃত হত। এজন্যই চিন্তার সীমাব্ধতায় বন্দী আমরা নতুন করে একজন আল মাহমুদ তৈরী করতে পারিনা। পারবো ও না। ধন্যবাদ। কথাগুলো খারাপ লাগলেও নিরেট সত্য। অবশ্য আমি যদি আজ প্রবাসী মজুমদারের নেতা হতাম, তাহলে তার সদস্য পদ এখানেই বাতিল করতাম।
মন্তব্য করতে লগইন করুন