মিশর পতন কেন, কিভাবে, কিইবা প্রভাব
লিখেছেন লিখেছেন বিল্লাহ মাসুম ২৭ জুলাই, ২০১৩, ০১:০২:৩৩ দুপুর
কেন মিশর
বাংলাদেশ বা পাকিস্তান রাজনৈতিক ইসলামের নেতৃত্ব দেওয়ার মত অবস্থায় নেই।অভ্যন্তীন অবস্থা প্রতিকূল, ও বিশ্বে প্রভাব খাটানোর কম।
ইরান মুসলিম বিশ্বের নেতৃত্ব দিতে পারবেনা এটা হবে শিয়া নেতৃত্ব।ঠিক একারনে ইরানকে সামনে রেখে মুসলিম দেশগুলো একত্রিত হতে পারবেনা ।একারনেই যুক্তরাষ্ট্র কখনোই ইরানকে আক্রমন করবেনা । ইরানকেই তাদের একমাত্র শক্তিশালি মুসলিম প্রতিদন্দ্বি হিসাবে টিকিয়ে রাখবে ।
তুরস্ক এতো বেশি মডারনাইজেশনের দিকে গেছে যে তারা একে পার্টিকে গ্রহন করেছে উন্নয়নবান্ধ বলে।একে পার্টির সরকার কোয়ালিশন সরকার সব দল ইসলামিক নয়,পশ্চিমাদের সাথে তাদের টাইট সর্ম্পক রাখতে হয় উপরন্তু জনগনও ইসলামাইজেশনকে খুব বেশি গ্রহন করার মত অবস্থায় নাই।
মিশরে মুসলিম ব্রাদারহুড ক্ষমতায় আসায় মিশরের সম্ভাবনা ছিল রাজনৈতিক ইসলামের নেতৃত্ব দেবার ।মিশরই সেই দেশ যে দেশে রাজনেতিক ইসলামের আর্বিভাব ।ভূরাজনৈতিক অবস্থান, ঐতিহাসিকতা, তূনমূল পর্যায়ে শক্ত অবস্থা সব মিলিয়ে মিশরে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক ইসলাম আশেপাশের দেশগুলোতে আসার বাস্তব সম্ভাবনা ছিল ।যার ফলে সেীদআরব, ঈসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র, ইরান সবাই মিশরের রাইজ নিয়ে টেনসিত ছিল।
কিভাবে হল
মিশরের দুর্দিনে এগিয়ে আসতে পারত তুরস্ক,সূতরাং পরিকল্পিতবাবে তুরস্কে মিশরের ঘটনার কিছু আগে অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি করা হয়।
জনসর্মথনই শেষ কথা নই। মিশরের পতনের পিছনে কারন হল- এল বারাদি, আমর মুসা, সেনাবাহিনি, পুলিশ,মডারনাইজেশন,মিডিয়া আর বিচার বিভাগ।বারাদি নোবেল বিজয়ী পাশ্চাত্যের বিশ্বস্ত গোলাম মিশরের সাম্প্রতিক অবস্থার পিছনে এ লোকের অবদান সবচে বেশি। আমর মুসাও তাই।দেশিয় ও আর্ন্তজাতিক মিডিযার উদ্দেশ্যমূলক প্রচারনা আসল পরিস্থিতি বুঝতে ব্যার্থ করে।মুরমিপন্থি অনেক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়।সেকুলার,জয়নববাদী,রাজতন্তি অনেক লবি এর পিছনে কাজ কর।৭৮জনকে ডিঙ্গিয়ে সেনাপ্রধান নির্বাচিত করেও শেষ রক্ষা হয়নি।সেনাপ্রধান তার সম্প্রদায় স্বার্থের বাহিরে আসতে পারেনি।যেকোন অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে পুলিশ সরকারকে সহায়তা করে কিন্তু মিশরে মুরশি বিরোধি বিক্ষোভ শুরুর পরপরই পুলিশ নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়।সবচে বড় আঘাত আসে বিচার বিভাগ থেকে বিচারবিভাগ দু দুবার মুরশির আইনসভাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।
প্রভাব
রাজনৈতিক ইসলাম নির্বাচনী গনতন্থ নিয়ে দ্বিধায় থাকবে।ইরানের ইসলামী বিপ্লব প্রক্রিয়াকে অপশন হিসাবে নিতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের গনতন্থের জন্য হাহাকার আসলে ভেক আরো পরিষ্কারভাবে সবাই বুঝবে ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
২০৫২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন