৯/১১ আসলে কি হয়েছিল?

লিখেছেন লিখেছেন কিওয়ার্ড ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৪৩:২৬ দুপুর

৯/১১ এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে একটি চরম মিথ্যাচার।

এই ঘটনার ওজুহাতে তারা কয়েকটি মুসলিম দেশ ধ্বংস করেছে। এবং মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মানব ইতিহাসে চরম নিকৃষ্ট এই গেম এর মাধ্যমে মুসলিমদের সাথে করা হয়েছে চরম প্রতারণা, লক্ষ লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করা হয়েছে এর মাধ্যমে।

" সত্য কোন দিন গোপন থাকে না।" দিন দিন সত্য প্রকাশ হতে শুরু করেছে, সামনে আরও পরিষ্কার হবে ইনশাআল্লাহ।

1. একসাথে ৪টি বিমান ছিনতাই হলো। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলো কী এতই অরক্ষিত? একটি নয়, দুটি নয়, একই সময় চার চারটি বিমান ছিনতাই হলো। মার্কিন গোয়েন্দারা কিছুই জানলো না?

2. বিল্ডিং ভেঙ্গে পড়ার মেকানিজমে বলা হয়েছে - অত্যন্ত তাপে স্টীল স্ট্রাকচার ফেইল করে। একটা ফ্লোর আরেকটার উপরে ভেঙ্গে পড়ে আর এভাবে ধারাবাহিকভাবে পুরা দালান ভেঙ্গে পড়ে।

- এটার বিরূদ্ধে প্রথম যুক্তি হচ্ছে: পুরা বিল্ডিং দুইটা মোট ১১ ও ৯ সেকেন্ডে ভেঙ্গে পড়েছে। টুইন টাওয়ারের ছাদ থেকে অভিকর্ষের প্রভাবে কোন বস্তু পড়লেও সেটা মাটিতে পৌছাতে একই সময় লাগবে। অর্থাৎ পুরা ভবনটি মোটামুটি ফ্রী-ফল বা মুক্ত ভাবে পড়ার গতিতে নেমে এসেছে। এক ফ্লোর ভেঙ্গে আরেক ফ্লোরের উপরে পড়লে এবং তার প্রভাবে ভাঙ্গলে সময় আরেকটু বেশি লাগার কথা।

- বিরূদ্ধে দ্বিতীয় যুক্তি হচ্ছে - জেট ফুয়েলে সৃষ্ট আগুনে তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৫৪৯.৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে, আর স্টীল স্ট্রাকচার ভেঙ্গে পড়তে হলে কমপক্ষে ২৫০০ ডিগ্রী তাপমাত্রা দরকার (- এই ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত আছে). এছাড়া ভেঙ্গে পড়ার সময়ও আগুন লাগা ঐ তলাগুলোর জানালাতে মানুষ সাহায্যের জন্য হাত নাড়ছিল। এত তাপমাত্রায় মানুষের বাষ্পীভূত হয়ে যাওয়ার কথা।

- এছাড়া ভবন দুইটা থেকে কালো ধোঁয়া বের হচ্ছিল, অর্থাৎ আগুনের তেজ ছিল না কারণ সঠিকভাবে জ্বলা আগুনে ধোঁয়ার রং অন্যরকম হয়।

- ভবন ভেঙ্গে পড়ার মোট সময়, নিচের ফ্লোরগুলো থেকে ধারাবাহিক বিষ্ফোরণের ধোঁয়া এবং কেন্দ্রে সুনিয়ন্ত্রিত ভাবে ভেঙ্গে পড়া দেখে বোঝা যায় যে টুইন টাওয়ার এবং ভবন ৭ আগে থেকে পরিকল্পিত ভাবে পুতে রাখা বিষ্ফোরকের সাহায্যে কন্ট্রোল্ড ডিমোলিশনের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। (রিপ্লিস বিলিভ ইট অর নট-এ এ ধরণের ভবন ধ্বংস দেখায় মাঝে মাঝেই - শতকরা ১০০ ভাগ সাদৃশ্য)



3. ভবন ভেঙ্গে পড়ার ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখলে দেখা যায় যে যেই তলা ভাঙ্গছে সেই তলা থেকে বেশ কয়েক তলা নিচের জানালাগুলো থেকে বিষ্ফোরণের ধোঁয়া বেরিয়ে আসছে। (ধারাবাহিক ভাবে). এছাড়া তাৎক্ষনিক টিভি রিপোর্ট এবং অন্য প্রত্যক্ষদর্শীদের রিপোর্টেও ভবনের ভেতরে প্রচুর বিষ্ফোরণের কথা এবং ক্লিপ আছে - যেগুলো ঐ একবার ছাড়া আর প্রচার হয়নি!

4. দুইটি বিমান ভবনে আঘাত করার ঠিক আগ মূহুর্তে (সেকেন্ডের ভগ্নাংশ) আঘাত স্থলের ভেতরে বিষ্ফোরণের আলো দেখা যায়। সম্ভবত জেট ফুয়েল প্রজ্জ্বলন নিশ্চিত করার জন্য ওগুলো করা হয়েছে। (911 in plane site)



5. এক তলার উপরে আরেক তলা ভেঙ্গে পড়লে খুব জোরে ছিটকে কিছু বাইরে আসার কথা না। কিন্তু আশে পাশের ভবনে অনেক ভারী বস্তুকে গেথে থাকতে দেখা গিয়েছে যেটা বিষ্ফোরণের শক্তি ছাড়া সম্ভব না। (ছড়িয়ে পড়ার জন্য আনুভুমিক বল আসলো কোথা থেকে)

6. পেন্টাগনে যে বিমানটি বিধ্বস্ত হলো, ওই বিমানের যাত্রীদের কোনো ছিন্ন ভিন্ন দেহ পাওয়া যায়নি। সাধারণত বিমান বিধ্বস্ত হলে মৃতদেহ পাওয়া যায়। এটাই স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে পাওয়া গেল না কেন?

(এমনকি বিধ্বস্ত বিমানের কোনো ছবিও দেখা যায়নি। পেনসিলাভেনিয়ার এক মাঠে চতুর্থ যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছিল, তার বিস্তারিত বিবরণও আমরা পাইনি কোনো দিন। ওই বিমানে কতজন যাত্রী ছিল, কটি মৃতদেহ পাওয়া গেছে, এসব কোনো তথ্যই কারো কাছে নেই।)



7. লক্ষ্য করুন কোনো বিমান যদি বিধ্বস্ত হয়, তাহলে প্রথমেই খোঁজ পড়ে ‘ব্লাক বক্স’-এর কথা, যেখানে সর্বশেষ কথোপকথন রেকর্ড হয়ে থাকে। যতদূর মনে পড়ে বিধ্বস্ত ৪টি বিমানের একটিরও ‘ব্লাক বাক্স’ উদ্ধার করা কিংবা পাওয়া যায়নি। এটা কি ইচ্ছাকৃত? নাকি কোনো তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে।

8. নিউইয়র্ক টুইন টাওয়ারে হামলায় তিনহাজার ব্যক্তি প্রাণ হারালেও (বাংলাদেশী ৫ জনসহ) একজন ইহুদীও মারা যাননি। এটা কী কাকতালীয়, নাকি অন্যকিছু? অভিযোগ আছে বিমান হামলার পাঁচ মিনিট আগে সব ইহুদী ওই ভবন ত্যাগ করে।



9. ঐ তিনটি ভবন ছাড়া আগুন লেগে পৃথিবীতে কোন ভবন সম্পুর্ন ভেঙ্গে পড়েনি। (ভাল কথা ভবন-৭ কেন ভেঙ্গে পড়লো ) বিল্ডিং-৭ ভেঙ্গে পড়ে আরও ৫/৬ ঘন্টা পরে।এবং এতে সময় লাগে মাত্র সাড়ে ৬ সেকেন্ড। এটাতে কোন বিমান আঘাত করেনি, তাই জেট ফুয়েল বা অন্য অযুহাত খাটে না।যা ছিলো মূল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কমপ্লেক্সের যথেষ্ট বাইরের দিকে অবস্থিত। তবে এই বিল্ডিং-এ গোয়েন্দা সংস্থার অনেকগুলো অফিস (এবং ওয়াল স্ট্রীটের বিভিন্ন কেলেঙ্কারির তদন্ত রিপোর্ট রক্ষিত) ছিল।

10. ফায়ার সার্ভিসের কথোপকথনের টেপ থেকে জানা যায়, ঐ ভবনগুলোর আগুনের অংশগুলোতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী পৌঁছে গিয়েছিল এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে বলে রিপোর্ট করছিল। (- এই টেপ অনেকদিন পর আদালতের নির্দেশে অবমুক্ত করা হয়)



11. ভবনগুলো ধ্বসে পড়ার পর ধ্বংসস্তুপ থেকে কোনো কংক্রিট পাওয়া যায়নি, এত বড় ভবনের কোনো তলার কোনো চিহ্নই পাওয়া যায়নি। যে প্রবল তাপে কংক্রিট জাতীয় বস্তু বাষ্পীভূত হয়ে যায়, তা কোনভাবেই জেট প্লেনের জ্বালানি পুড়িয়ে উত্পন্ন করা সম্ভব নয়। যদি বিল্ডিংগুলো প্লেনের আঘাতেই পুরোপুরি ভাংতো, তাহলে তা এত নিখুঁতভাবে সরাসরি উল্লম্ব দিকে পড়ার কথা না। এভাবে সরাসরি নিচের দিকে ফেলার জন্য শুধু যে বিস্ফোরণ দরকার, তাই নয়, বরং একটি পূর্ব পরিকল্পিত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির (যে পরিকল্পনা ও প্রযুক্তির কোনটাই আফগানিস্তানের পাহাড়ের গুহায় বসে করা অসম্ভব) সাহায্যে সেটাকে খুব সাবধানে নিয়ন্ত্রণ করাও দরকার, যেনো বিস্ফোরণের সময় তা কোনো দিকে হেলে না পড়ে।

12. যেই বিমানগুলো টাওয়ারে আঘাত করেছিল তাৎক্ষনিক রিপোর্টে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে যে ওগুলোতে কোন জানালা ছিল না। প্রথম আঘাতের মাত্র একটি ভিডিও ফুটেজ আছে তাই পরিষ্কার ছবি দিয়ে সত্যতা যাচাই করা যাচ্ছে না, কিন্তু ২য় আঘাতের বিভিন্ন ক্যামেরার ভিডিও ফ্রেম বাই ফ্রেম দেখলে দেখা যায় যে ঐ বিমানটি স্বাভাবিক কোন বিমান নয়। বিমানের নিচে পেটের মধ্যে বিশাল কিছু একটা লাগানো। এই ধরণের বিমান সেনাবাহিনী রিমোটকন্ট্রোল বিমান হিসেবে ব্যবহার করে ... যার কিছু ছবি দেখলে এই দুইয়ের সাদৃশ্য বোঝা যায়।



13. এই ঘটনার ফলে লাভবান হয়েছে কারা (মোটিভ?). এটাকে অযুহাত বানিয়ে দ্রুত জনগণের সমর্থন নিয়ে ইরাক আক্রমণ করা হয়েছে। আর যুদ্ধ মানেই যুদ্ধাস্ত্র ... আর সেগুলো কেনা হয় সমরাস্ত্র কারখানা থেকে --- ওগুলোর মালিক কে? সরকারী কোষাগারের টাকা সহজেই তাদের পকেটস্থ।

14. ৯/১১ এর সকাল বেলা পর্যন্ত ঐ তিন ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব যে কম্পানির হাতে ছিল, ঐ নিরাপত্তা কম্পানির মালিক কে জানেন কি? জেব বুশ - জর্জ বুশের ছোট ভাই।



15. মোট ৭টি বিল্ডিং-এর মধ্যে শুধুমাত্র ঐ তিনটিই একজন মালিকের লিজ নেয়া ছিল। এবং মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই ঐ তিনটি বিল্ডিং-এর নিরাপত্তার জন্য প্রায় সাড়ে তিন বিলিওন ডলারের ইন্সুরেন্স করা হয়েছিল যার মধ্যে সন্ত্রাসী হামলার একটা বিশেষ ধারা/অনুচ্ছেদ ছিল। বিল্ডিং ধ্বংসের পরে দুটি বিল্ডিং দুটি আলাদা সন্ত্রাসী হামলা এই দাবী দেখিয়ে আদালতের রায় পেয়ে উনি ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়েছেন।

16. সাজানো ঘটনার মনগড়া রিপোর্ট আগেই ওদের নিয়ন্ত্রনাধীন সমস্ত চ্যানেলে চলে গিয়েছিল। বিবিসির একটা রিপোর্টে রিপোর্টার বলছে ভবন-৭ ও ধ্বসে পড়েছে, কিন্তু তখনও তাঁর পেছনে ভবন-৭ দাঁড়িয়ে ছিল এবং আরও ২০ মিনিট পরে ওটা ধ্বংস হয় ।

এই বিষয়ে ভিডিও প্রমান চাইলে এই সাইটটাতে অনেক ভালো কালেকশন আছে।

এই ঘটনার উপর ১৫ টি প্রশ্ন রেখেছিলেন পাক গোয়েন্দা প্রধান, কিন্তু অনেক খুঁজেও প্রশ্নগুলো পাইনাই। At Wits' End

সুত্রঃ

http://www.somewhereinblog.net/blog/ronypilot1/29239416

http://www.weeklysonarbangla.net/news_details.php?newsid=2780

http://www.somewhereinblog.net/blog/osamajikami/29446709

http://rense.com/general66/dirt.htm

বিষয়: বিবিধ

৪৮০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File