মন্দিরে বাঁধা পড়লে কি হতো?

লিখেছেন লিখেছেন মোয়াজ্জেম হুসাইন সায়েম ২৭ জুন, ২০১৬, ০১:২৫:১৮ রাত

খবরঃ ঢাকার মগবাজারে হিন্দুদের মন্দির তৈরীতে স্থানীয় মুসলমানদের বাঁধা দান, টান টান উত্তেজনা। মুসলমানদের পক্ষ নিয়ে বন্দুক উঁচিয়ে হিন্দুদের শাসালেন ওসি অশোক কান্তি পাল।

.

পুলিশের আইজি বলেছেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সাথে জড়িত ওসির বিরিদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেইসাথে সেইসাথে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় কাজে বাধাদানকারী জঙ্গিদের গ্রেফতারে ৭ দিন ব্যাপী সাড়াশি অভিযান চালানো হবে।

.

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ সুশীল সমাজও। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, কারো ধর্মীয় অধিকারে বাধা দেয়া মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। আইন ও সালিশ কমিটির চেয়ারম্যান ড. সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সরকার ব্যর্থ বলেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানান। মুক্তিযুদ্ধ গবেষক শাহরিয়ার কবির বলেন, সবই জামাত শিবিরের আকা ছকে ঘটছে।

.

শোলাকিয়া ঈদগাহের ইমাম, ইমামুল মুস্লিমীন, সায়্যিদুল উলামা ফরিদুদ্দিন মাসুদ তার এক ফতোয়ায় বলেন, ইস্লামে এসব জায়েজ নেই। আল্লাহ বলেন- লাকুম দিনুকুম ওয়ালিয়া দিন। তিনি তার ফতোয়ায় ইতিমধ্যেই ২০ হাজার হক্কানি আলেমের স্বাক্ষর নিয়েছেন বলে জানান।

.

এদিকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বাংলার শিবসেনা'র যৌথ উদ্যোগে জাতীয় সংসদ ভবনের ফটকে আয়োজিত এক মানবনন্ধন থেকে ঘটনায় জড়িত ইসলামী জঙ্গিদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। হিন্দুদের হুমকি প্রদানকারী হিন্দু পুলিশ অফিসারকে হিন্দু জাতের কলংক হিসেবে অভিহিত করা হয়।

.

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও ব্যক্ত করেছেন তীব্র প্রতিক্রিয়া। জনপ্রিয় নাট্যাভিনেতা পিযুষ বন্দোপাধ্যায় এই ঘটনার প্রতিকারে হিন্দুস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

.

কবি সাহিত্যিকরাও জ্বলছেন ক্ষোভের আগুনে। একবিংশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক কবি নির্মলেন্দু গুন বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প আবার মাথাচাড়া দিয়েছে। শ্রীকৃষ্ণের সৈনিকদের আবার বাবরী ভাঙ্গার হাতিয়ার হাতে তুলে নিতে হবে।

.

আজ বিকেলে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সেইসাথে জঙ্গি দমনে যৌথ অভিযানে বাংলাদেশ সহযোগিতা চাইলে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানান।

.

.

.

.

.

উপরের সব সংবাদ কাল্পনিক। তবে ১ নং সংবাদটি সত্য হলে বাকীগুলো সত্য হওয়া সামান্য সময়ের ব্যাপার হতো। এবার আসি সত্য সংবাদে-

.

খবরঃ ঢাকার গেণ্ডারিয়ায় একটি মসজিদ নির্মাণে বাধা দিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়। হিন্দুদের পক্ষ নিয়ে হাতে ওপেন পিস্তল নিয়ে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের করে দিয়েছেন পুলিশের ওসি মিজান। সেইসাথে যারা এখানে নামায পড়তে আসবে, তাদের গ্রেফতার করা হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন তিনি। (পোষ্টের শেষে দেয়া লিংক এ দেখুন)

.

কিন্তু কই? কেউ তো কিছু বলছেনা! নেই কারো কোন প্রতিক্রিয়াও! তথাকথিত সুশীল, পুলিশ, সরকার এমনকি দেশের আলেম সমাজও প্রতিক্রিয়াহীন!

.

হ্যাঁ! এভাবেই ধীরে ধীরে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে! আর কর্তারা বলবেন, "ব্যাংডেশ ইজ গোয়িং ছু বি লাইক ম্যারিকা"!

.

মোয়াজ্জেম হুসাইন সায়েম

২৭/০৬/১৬, ০১:০৯ ঘটিকা।

.

Link- https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=10201933545577016&id=1735790219

বিষয়: বিবিধ

১৩৪০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

373236
২৭ জুন ২০১৬ রাত ০১:৩৫
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৭ জুন ২০১৬ রাত ০১:৪৫
309836
মোয়াজ্জেম হুসাইন সায়েম লিখেছেন : স্বাগতম।
373237
২৭ জুন ২০১৬ রাত ০১:৪৭
373261
২৭ জুন ২০১৬ সকাল ১০:৩৭
হতভাগা লিখেছেন : বাংলাদেশের মুসলমানেরা ইসলামের বিধি বিধান পালনের চেয়ে ভারতীয় তথা হিন্দুয়ানী রীতি পালন করতে বেশী কমফোর্ট ফিল করে
২৭ জুন ২০১৬ সকাল ১০:৪৮
309845
মোয়াজ্জেম হুসাইন সায়েম লিখেছেন : হয়তোবা!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File